নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আসলে সিয়াপন্থি ইরান কে সমর্থন করতাম!আমি জানতাম না যে ওরা বনী ইস্রাইলের মত বিগড়ে যাওয়া মুসলিমদের ভয়ংকর একটা শাখাএরা ইহুদের মতই ভয়ংকর। এরা কাফের না এরা মুসলিমদের(সুন্নি)পতন চাই।শিয়াদের জন্মও হয়েছে ইহুদিদের চক্রান্ত থেকে।আব্দুল্লাহ ইবনে সাবাহ নামক এক মুনাফিকের কাছ থেকে কিন্তু সে ছিল প্রকৃতপক্ষে ইহুদি।এই ইহুদি শয়তান নতুন ফোরকা চালু করে।ইনি বলেন যে আলীই একমাত্র খলিফার পদ প্রার্থী বলে ওসমানের বিরুদ্ধে জনগন কে লিলিয়ে দেই পরে এই দল বিশাল আকার ধারন করে এবং সাহাবীগনের বিরুদ্ধে চলে যাই।
আমরা একটু পেছনে ফিরে যাই।যখন উসমান খলিফা ছিল।তখন সম্ভবত মদিনার আসে পাসে আব্দুল্লাহ ইবনে সবাহ নামক এক লোক ধ্যন মগ্ন অবস্থায় পাওয়া গেল।মানুষ একটু দরবেশ টাইপের লোক দেখলে বেশি ভক্ত শ্রদ্ধা করে।তো উনাকে দেখার পর মানুষ উনাকে খ্যাতির যত্ন করতে লাগল।কিছু দিনের মধ্যেই সে চরম খ্যাতি অর্জন করে ফেলল।আর সেই সাথে এই কাফের প্রচুর দান খইরাত করত যাকে বলে দুহাতে দান করা।এত সম্পদ সে পেত ইহুদিদের কাছ থকে।আর মানুষ সাহায্য পেলে স্বভাবতই দূর্বলতা অনুভব করে,তাকে সম্মান করে।আর এই শয়তানে যেমন ছিল কণ্ঠ তেমনি ছিল কুরআনে জ্ঞান।মানুষের মগজ ধোলাই কিভাবে করতে হবে তা ইহুদিদের কাছে থেকে খুব ভাল ভাবেই রপ্ত করে।এই বুজুর্গ লোকটি আসলে ইহুদি ছিল।তাকে ইহুদিরা পাঠায় মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার জন্য।তো এই বুজুর্গ সাহেব হুট করে একদিন বলল খিলাফতের ব্যপারে।নবীজি যেহেতু বলেছে "আমার বংশধর ফাতেমার মধ্যমে হবে "তাই রঙ চং লাগিয়ে ব্যপারটা কে এমন পর্যায়ে লাগালা যে খোদ আলি খিলাফতের পদ না পেয়ে চরম অখুশি সে বাধ্য হয়ে ওমর,আবুবকর এবং ওসমান এর খিলাফত মানছে।তো এই বিশাল লোকেরা ফিতনা সৃষ্টি করল মিশরে।যখন উসমান জানতে পেল তখন আলি কে এব্যাপারে বলল তখন আলী বলল "কসম আল্লাহর ওদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই"।উসমান ছিল কোমল মনের তিনি এত কিছু জানার পরও কিছুই বলেন নি।কিন্তু ঐ শয়তনারা উসমান কে হত্যা করে ফেলল।এর পরের ইতিহাস খুব সাধারণ।মানে যেভেবে মূর্তি পূজা শুরু হই ঠিক সেভাবে।যখন কোন নবি কোন জাতির মধ্যে থেকে বিদায় নিত তখন তাঁর জায়গায় নবির শিষ্যগন থাকত।যখন তারা বিদায় নিত তখন শয়তান সাধারণ মানুষের মনে এই বলে কুপ্রচরণা দিত যে তোমরা ঐ বুজুর্গদের মূর্তি বানিয়ে ফটকে স্থাপন কর যাতে তাদের মূর্তি দেখলে তোমাদের ইবাদতের কথা মনে পড়ে যাই।এভাবে ধীরে ধিরে এক পুরুষ বিদায় নিত আরেক পুরুষেরা এসে একে আরো ভক্তি শ্রদ্ধা করত এক সময় ভক্ত করতে করতে তাদের পূজা করা শুরু হই।ঠিক এই ভাবে প্রথমে আলি কে খলিফা,পরে নবী,পরে আলী নিজেই আল্লাহ এই দাবি করে বসে( নাউজুবিল্লাহ)।
পরে আবার এরাই গাদ্দারী করে হযরত হুসাইন রাঃ কে নির্মম ভাবে কারবালের প্রন্তরে শহীদ করে দেয়।এরা সবার সাথে গাদ্দারি করে ইমাম হাসান হুসাইন সহ ইরাকে সাদ্দাম শাসনের পতন,লিবিয়ার গাদ্দাফি শানামল পতনের মূল হেতা ছিল এই শিয়া গন।এরা ঠিক ততটাই শয়তান যতটা ইহুদিরা।
আপনিই বলুন যারা আলী কে নবি মানে বা স্রষ্টা তারা কিভাবে মুসলিম হই? আমরা যে বলি এরা মুসলিম?এরা যদি মুসলিম হই তাহলে ইহুদি খ্রিষ্টান রাও মুসলিম।কারন ইহুদি খ্রিষ্টান রাও আল্লাহ কে আল্লাহ বলে মানে ঠিকই কিন্তু উজাইর (আঃ) ইসা (আঃ) কে তার পুত্র বলে আর এরা আলী কে নবী নাউজুবিল্লাহ (সিরিয়ার বুচার আল আসাদ হল এই ফেরকার লোক)।
শিয়াদের ইতিহাস দেখলে দেখবেন এদেরও ইহুদিদের মত মুসলিমদের সাথে গাদ্দারি করার লম্বা ইতিহাস।
ইরাকে সাদ্দাম পতনে শিয়ারা সক্রিয় ভাবে সাদ্দামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।যত ধরনের ষড়যন্ত্র আছে সব শিয়া আর আমেরিকা একই ছাদের নিচে বসে করে।লিবিয়াতেও একই ঘটনা।গাদ্দাফির পতনের কারণ শুধু মাত্র একটি সংগঠনের জন্য হই সেটি হল হিজবুল্লাহ।একটি সিয়া সঙ্গগঠন।এই সংগঠনই আবার সিরিয়ার বাসার আল আসাদ কে জানপ্রান দিয়ে সমর্থন করে যাচ্ছে।আর বাসার যে কত নিকৃষ্ট্ যারা ওর সম্বন্ধে খোজ রাখে তারাই বলতে পারবে।দেখবেন সুন্নি সরকারের পতনের সাথে সাথে আমেরিকা সিয়া প্রধান সরকার বানিয়েছে।যেমন ইরাকের কথায় ভাবুন।
আর বর্তমানে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের কথা আপনাদের অজানা নেই।আসাদের বিপক্ষে যখন সবাই তখন সিয়া ইরান তাদের পক্ষে!চিন্ত করুন একবার!
ইরান সিয়া সংগঠন পাঠায় সিয়া বানানোর জন্য।ফেইসবুকে এদের মগজ ধোলাইকৃত কিছু ছেলে আছে যাদের কথা হল "ইসলামে কোন সিয়া সুন্নি নেই,সব আমেরিকার চাল"!কথা ভাল কিন্তু উদ্দেশ্য খারাপ।প্রত্যেক পোস্টে দেখবেন ইরানের সিয়া ইমামদের প্রমোট করে,উক্তিও দেবে সিয়াদের!!!এতেই বোঝা যাত এদের অন্তরে কি আছে!এবার মিশরে শিয়ারা সুন্নিপন্থি একজন মুসলিম কে যে কিভাবে ধংশ করে তার একটা উদাহরণ দেই...এক মুসলিমের ছেলের নাম ওমর (শিয়ারা ওমরে কে সহ্য করে না) ছিল। শুধু এই জন্য শিয়ারা এই ছেলে কে পুড়িয়ে মারে।শুধু হত্যাই করে না সেই লাশ ওই ছেলের বাবার সামনে রেখে যাই।হাফেজ মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে শিয়ারা।একজন মানুষের এর বেশি কিছু আর হারানোর থাকে না।
এবার সিদ্ধান্ত আপনার এরা মুসলিম না কাফের।মুসলিম ট্যাগলাগেই মুসলিম হই না।
©somewhere in net ltd.