নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেন বার বার রক্ত ঝরছে মধ্য প্রচ্যে?ইরাক,মিসর এখন সিরিয়া আর অর্ধ শতকের বেশি সময় ধরে কেন ফিলিস্তিনি রক্ত ঝরছে?
একটা ব্যাপার লক্ষ করবেন যখন জংগী সংগঠনের নাশকতা মুলক কাজের কথা শোনা যায় তখন বিশ্বের প্রতিটা দেশ হুকার দিয়ে উঠে তখন সবাই একযোগে প্রশ্ন তোলে আর দেই সেই অমর ডায়লোগ "আজ কোথায় মানবতা?আর যখন ফিসিস্তিনের কথা উঠে তখন তখন সারা বিশ্ব চুপ!!!তখন কোথায় যাই মানবতা? ইস্রাঈল কোন কথা ছাড়াই নির্বিচার ফিলিস্তিনের নারি শিশু কে হত্যা করে তাদের বসতি স্থাপন করে যাচ্ছে আর সারা বিশ্ব চুপচাপ তাদের এই ভয়ঙ্কর আর্তনাদ শুনে চুপ।কোন প্রশ্ন নেই কোন আন্দলোন নেই যে ইস্রাঈল যেটা করছে সেটা আসলে বৈধ কাজ!!!
ইস্রাঈলি ধর্ম গ্রন্থ ওল্ড টেস্টা মেন্টে আছে "সোলোমনের রাজ্য পুনরায় দখল করার জন্য কোন অপরাধই অপরাধ না" মানে হত্যা খুন শিশু নারি হত্যা ধর্ষন কোন পাপ না।আরো আছে ওল্ড টস্টা মেন্টে হযরত দাউদ আঃ কে নিয়ে মিথ্যাচার।যুদ্ধের মাঠে যখন ইসরাঈলীরা জয় লাভ করে তখন তালুতকে নাবী সামেউল বলেন,
“প্রভু নির্দেশ দিচ্ছেন যে, ইসরাইল সন্তানদের বসবাসের জন্য এই ক্যানানাইট ভূখণ্ড তাদের প্রভু নির্ধারিত করেছেন। কাজেই তালুত যেন পরাজিত ক্যানানাইট জাতীর জীবিত অবশিষ্ট সকল নারী, পুরুষ, শিশু, প্রাণী, জীব জানোয়ার এমনকি বৃক্ষরাজী যারা বাতাস থেকে নিঃশ্বাস নিয়ে থাকে তাদের সকলকে অন্তরে কোন প্রকার দ্বিধা না রেখে নির্বিচারে হত্যা করে ভূখণ্ডটিকে পবিত্র করতঃ সেখানে প্রবেশ করে। কারণ অবিশ্বাসীদের পদচারনায় ভূখণ্ডটি দূষিত হয়ে গেছে বিধায় তাদের প্রভু চান ভূখণ্ডটি বিশুদ্ধ করতঃ সেখানে বিশুদ্ধ জাতী হিসেবে ইসরাইল সন্তানদের বসবাসের জন্য সুনিদৃষ্ট করতে। রাজা তালুত নবীর এই এথনিক ক্লিনজিং নির্দেশনা কার্যকর করতে ইতস্ত বোধ করছিল। এমনি অবস্থায় নবী সামেউল শেষ পর্যন্ত তালুতকে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বাধ্য করে এবং তালুতের সৈন্যবাহিনী নির্বিচারে ক্যানানাইট জাতীর সকল নিরীহ জীবিত আবালবৃদ্ধবণিতা নারী পুরুষ, প্রাণীকুল ও বৃক্ষরাজীকে হত্যার মাধ্যমে ধংস করে ভূখণ্ডে প্রবেশ করে।”
চিন্তা করুন কত জঘ্যতম ঘটনা আমরা মুসলিম্রা জানি এটা হযরত দাউদের নামে মিথ্যাচার কিন্তু ওরা তা মনে করে না।তাই তো ফিলিস্তনে আজ এই বিভিষিকা।ওদের আর্তনাদে বাতাস আজ ভারি হয়ে গেছে,কিন্তু মানুষ যে তাঁর বিবেকের দুয়ার বন্ধ করে আছে??
আমেরিকা যখন উপর থেকে বোমা ফেলে একটা জংগী কে হত্যা করার জন্য ২ টা নিরিহ মানুষব কে হত্যা করে তখন আর সেটা মানবতা বিরোধী কাজ হই হই না কারণ এতা যে আমেরিকা করেছে তাদের জন্য সব বৈধ!!আন্তর্জাতিক হিউম্যান রাইটস ও ছুপ সেই সাথে সবাই যেন ঝিম মেরে গেছে যেন কিছুই হই নি!!!আর নাম ধারি মুসলিমদেশের প্রেসিডেন্টরা নির্বাক হয়ে যাই।এই ঘটনা দেখে হুমায়ূন আহমেদ বলেছিল "যে দেশে পাখির জন্য এত যত্ন নিতে পারে সে দেশ কিভাবে মানুষের উপর বোমা ফেলে"?
এত গেল ফিলিস্তিন ইরাকের বেলায়ও তাই আমেরিকা এক হাতে নেই ইরাক কে আর সারা বিস্ব নির্বাক হাজার হাজার তরুনির ইজ্জতের আর মানুষের প্রানের রক্তে লাল করে ইরাক কে খোড়া করে দেই যাতে দাড়াতে না পারে।আর সেই সাথে হাত মেলায় শত বছরের গাদ্দার সিয়ারা।ইরাকের সিয়ারা ওদের সাথে হাত মেলাই । সিয়া সংগঠন!এরা ছিল ইরানের তৈরি।সকল ধরনের সাহায্য এরা ইরান থেকে পাচ্ছিল। সাদ্দাম হোসেন পতনের জন্য যতরকম জঘন্যতম কাজ আছে সবই এরা করে।সাদ্দাম যাই হোক না কেন সাদ্দাম যদি এখনও থাকতেন তাহলে ইরাকের অবস্থা এখনকার চেয়ে কি ভাল হত না?।কিন্তু ঐ যে বুসের ক্রুশেডের অভিযানে সাদ্দাম যে বড় বাধা!!!(বুস সেই সময় ইয়ারাকের যুদ্ধ কে ক্রুসেড হিসেবে ধরে মানে খ্রীস্টান্দের পব্রিত্র ধর্মিয় জিহাদ)।ইরাকের আর যুদ্ধ করার ক্ষমতা নেই কারোর সাথে।সব শেষ।
সিরিয়াও শেষ ওখানে ক্ষমতায় আছে দুই জালেম ।এক কট্টর সিয়া প্রেসিডেন্ট আরা আই এস।এদের কেউ ওসিলা হিসেবে আমেরিকা ব্যবহার করে সিরিয়েকে ধংস করে দিল।একবার আমেরিকা একবার পুতিন মিয়া।ওদের বোমা হামলাই কি এক জন শিশুরও কি প্রাণ হানী হই নি?অবশ্যই হয়েচে।একজন না হাজার হাজার তাহলে ওদের নিউজ আসে না কেন সংবাদ মাধ্যমে?কারোণ ঘুমন্ত মুসলিম জাতির যে ঘুম ভেংগে যাবে ভাইয়ের রক্ত দেখে যে খুন চেপে যাবে,তখন কি হবে এদের এই জন্য আজ এরা চুপ ।পস্পরের মধ্যে তাই এদের এত বিভেদ।
আফগানে রাসিয়া কত হাজার নিরপরাধ মানুষ কে হত্যা করেছিল তা জানেন? জানেন না তাই তো?কেন জানেন না ?ইচ্ছে নেই।মিডিয়া প্রকাশ করে নি তাই?
আর লিবিয়া?গাদ্দাফি কে ঝেড়ে দিল সবার সামনে ।তখন সবাই বলছিল মরুক ব্যাটা।ব্যাটা তো জালেম ।এরকম জালেম শশকের মৃত্যু চাই ।শুধু লিবিয়ার জনগন বলছিল ভিন্নকথা।কিন্তু লিবিয়ার জনগনের আর্তনাদ আমাদের কাণে আসে নি!কেন কারণ এই মিডিয়া চাই নি আমেরিকা বড় দাদা চাই নি যে আর্তনাদ আমাদের কাছে পৌছাক।কারণ ওদের আর্ত্নাদ শুনলে তো আমাদের ঘুম ভেজ্ঞে যাবে!!!
এখন গাদ্দাফি শেষ।এখন আমরা সবাই গাদ্দাফির জন্য আফসোস করছি।লোকটা ভাল ছি্ল!লোকটা ভাল ছিল!!! এই প্রলাপ বকে কি লাভ? সময়ের দাবি ছিল যখন তখন আমরা চু প ছিলাম।আর এখন উনি শেষ এখন আর্তনাদ!!একবার লিবিয়াই গিয়ে দেখুন লিবিয়ার কি অবস্থা!!যারা বলছিল গাদ্দাফি জালেম শশক তারাই দেখুক গাদ্দাফি মারা গিয়ে কি এমন উন্নতি হয়েছে লিবিয়ার।আর এই লিবিয়ার পতননের মূল হেতা কে ছিল বল তো পাখি? ইরানের তৈরি একটা বৃহত সিয়া সংগঠন নাম হিজবুল্লাহ।এরাই হাত তো মিলিয়েছিল আম্রিকার সাথে।এরাই ধংস করে তাকে।এ থেকে এটাই বোঝা গেল ইরানও চাই সারা বিস্বে সিয়া মতবাদ সিয়া শাশন কায়েম হই যেন।এরাও গোপনে কলকাঠি নাড়ছে প্রত্যেক যুদ্ধে।অথচ সবাই চুপ!সিয়া সম্পর্কে জানা যাদের ইচ্ছে আছে তারা আমার ওয়ালে দেখিতে পারেন বিস্তারিত আলোচনা করা আছে ওদের ইতিহাস আর আকিদা নিয়ে।
আচ্ছা আমি না একটা ব্যাপার বুঝতে পারছি না মিডিয়া তো সত্য অন্বষক, তো মিডিয়া এসব খবর দেই না কেন???কি এমন ব্যপার আছে যা তারা প্রকাশ করতে চাই না ?
আর এই জংগী সংগঠনেরই বা কি আছে যা মিডিয়া সাথে সাথে প্রকাশ করে? জলটা তো ঘোলা হই এখানেই রে ভাই।তাহলে কি ধরে নেব মিডিয়া শক্তের ভক্ত নরমের যম?
(চলবে)
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
আরব বেদুঈন বলেছেন: ইরান হল ঠিক ইহুদিদের মত ঠান্ডা মাথায় খুন করে যাবে ,না কেউ বুঝবে না কেউ শুনবে।ধন্যবাদ।
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩
ইমরান আশফাক বলেছেন: ঠিক বলেছেন, পরের পর্বটি কখন পাব?
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৭
আরব বেদুঈন বলেছেন: ভাই কস্ট করে একটু আমার প্রফাইলে দেখুন।প্রথমেই আছে। ব্লগের নিয়ম কানুন তো জানি না তাই লিংক পাঠাতে পারলাম না
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৯
হতভাগা রাজু বলেছেন: ভাল বলেছেন ।১৯৮০-১৯৮৮ পর্যন্ত ইরাক-ইরান যুদ্ধের একটা প্রতিশোধও নেয়া হয়ে গেলো সাদ্দামের উপর ।এটাই ইরানের প্রাপ্তি