নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ আমি কথিত মুসলিমদের (আমেরিকার) বন্ধুর মুখশ উন্মোচন করব ইনশাআল্লাহ।
তার আগে চলুন একটু পেছেনের দিকে ফিরে যায়।
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ ২৮ শে জুলায় ১৯১৪ সালে শুরু হয়ে ছিল মুসলিমদের খিলাফত বিলুপ্তির জন্য।বহু কাঠ খড় পুড়িয়ে আর ষড়যন্ত্র করে শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছিল।
২য় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয়ে ছিল খ্রিস্টান বিশ্বের মধ্যে কে মোড়ল হবে তা নিয়ে।যুদ্ধে শেষে মোড়ল হল আমেরিকা।
তো কথা হল যে যুদ্ধ শুরু হল মুসলিমদের খিলাফত বিলুপ্তর জন্য তা কিভাবে আপোষে মিটে যায়? মুসলিমরা ধরেই নিয়েছে যে যুদ্ধ শেষ?অথচ আল্লাহ দাজ্জাল আসার আগ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বলেছে!
আর বলেছেন তোমরা তোমাদের তরবারি নামিয় না,তোমরা তরবারি নামেলেও কাফেররা তাদের তরবারি শান দিতে থাকবে!
এবার আল্লাহর এই কথার প্রমাণ দেবে ওদেরই তৈরি মিডিয়ার সাহায্যে ইনিশাল্লাহ।
৮২% লোক শরিয়া আইন চাই!!!
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ একটি প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল।
" এতে বলা হয়, বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে ৮২ শতাংশই শরিয়া আইনের পক্ষে। ধর্ম পালন করেন এমন ৮৮ শতাংশই এ ধরনের আইন চায়। অন্যদিকে ধর্ম পালনে নিয়মিত নয় এমন ৭৯ শতাংশ ব্যক্তিও শরিয়া আইনের 'পক্ষে'!
ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনটি গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে।
পিউ রিচার্সের ওই তালিকার শীর্ষে আছে আফগানিস্তান; দেশটির ৯৯ শতাংশ মুসলমান শরিয়া আইনের পক্ষে। এর পরের দেশগুলো হলো ইরাক, ফিলিস্তিন, মালয়েশিয়া, নাইজার, পাকিস্তান, মরক্কো। এর পরই অষ্টম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ!!!
যুগান্তর পত্রিকা যদিও এই খবর মিথ্যা দাবি করেছে কিন্তু আপনি বাংলাদেশ বাদেও বাকি দেশ গুলোর দিকে লক্ষ করলে বুঝতে পারবেন যে কথাটা কতটা সত্যা।আর কিছু দিন আগেও রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বাতিলের বিপক্ষে যে ভাবে আওয়াজ তুলে ছিল তা যুগান্তর পত্রিকার এই দাবি ধোপে টেকে না।তবে ধন্যবাদ যুগান্তর এই যুগান্তকারী তথ্য দেবার জন্য
তথ্যসূত্রেঃ
দৈনিক যুগান্তর
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে কেন? কেন আমেরিকার এই গবেষণা করতে হবে? কেন তারা উদ্দেশ্যহীন ভাবে এই গবেষণা করবে?এতে তাদের স্বার্থ কি?
এবার চলুন আরো গভীরে...
আমেরিকার ফোন কলে আড়ি পাতাঃ
সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন ফাস করেদিয়েছেন নতুন তথ্য,যার জন্য নাকাল হতে হল NSA কে।
এই সাবেক গোয়েন্দার বরাতে বেরিয়ে এসেছে মিস্টিক নামের আমেরিকার এক অভিনব গোয়েন্দা নজরদারির তথ্য।
মিস্টিক নামের এই গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে NSA কেবল ব্যক্তি বিশেষ না বরং পুরো দেশের মানুষের ফোন কলের উপর নজরদারি করে এবং তারা সেই সব ফোন কল রেকোর্ড করেও রাখে!স্নোডেনের এই তথ্যের সত্যতা খুজে বের করেছে যুক্তরাষ্ট্র এরই এক জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক ওয়াশিংটন (লিংক)
তথ্যসূত্রেঃ
ঢাকা টাইমস
এখনে আবার আমার প্রশ্ন দাঁড়িয়ে গেল,কেন আমেরিকা এই ফোন কলে আড়ি পাতবে? চোরের মন পুলিস পুলিশ!
মানবাধিকার এতে কি লংঘন হই নি?মানুষ কি স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারে না এই পিশাচ গুলোর কারনে?
এর উত্তর আমিই দিচ্ছি আসলে এই জানোয়ার গুলো আড়ি পেতে দেখে কেউ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা।খ্রিষ্টান বিশ্বই যদি এদের করাল গ্রাসের বাইরে না হই তাহলে মুসলিমরা এর বাইরে কিভাবে যাবে?ফোন কলে আড়িপাতে বিশেষ করে মুসলিমদেশ গুলোর উপর। কারন এদের সাম্রাজ্যবাদ নীতির পথের কাটাই যে মুসলিমরা।
চলুন আরো গভীরে যাই ভাইসব
U.S. Threatened To Fine Yahoo $250K A Day If It Didn't Release User Data:
তাহলে ব্যপারটা একটু খোলসায় করি না কি?যেহেতু আম্রিকাকে উলঙ্গ করতে এসেছি...
আম্রিকা Yahoo এবং Facebook. কে ইউজার ডেইটা না দেবার জন্য এই জরিমানা করে।মানে আমরা কাকে কি ফেইসবুকে এসএমএস করি কার পোস্টে কি কমেন্ট করি কি পোস্ট দেই...সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে কি কি বিষয় সার্চ দেয় তার সাথে টেররিজম যুক্ত কিনা...ইত্যাদি ইত্যাদি যাবতীয় সব বিষয় যা যা আপনি ফেইসবুক ইয়াহুতে করেন সব কিছুই জমা করে দিতে হবে মোড়ল আম্রিকাকে ।আপনি কোথায় থেকে সার্চ দিচ্ছেন তাও ওরা ট্র্যাক করে আর সেই সাথে সার্চ হিস্টরিও জমা করে রাখে।।এজন্য নন ট্র্যাকিং সার্চ ইঞ্জিন গুলোর পপুলারিটি বাড়ছে।এর মধ্যে এগিয়ে আছে DuckDuck এরা অপনার সার্চ হিস্টরিও রাখবে না লোকেশনও ট্র্যাক করবে না।
ভাবছেন গুগলের কথা কেন গুগল কে জরিমানা করে নি?করবে কেন? গুগল তো আগে থকেই আমেরিকার খাস চামচা!আপনি কি কি সার্চ দিয়েছে এ পর্যন্ত সব জিপ ফাইল আকারে আপনি নিজেই গুগল থেকে নামাতে পারবেন।এখন কথা হচ্ছে আপনি নিজেই যদি আপনার তথ্য দেখতে পারেন তাহলে মোরাল সাব পারবে না কেন? শুধু গুগল ইয়াহু না প্রায় সব সার্চ ইঞ্জিনই আপনার লোকেশন ট্রাক,সার্চ হিস্টরি জমা রাখে।
না দিলে? নাদিলে ঐ যে ইয়াহুর মত প্রত্যেক দিনে 250k জরিমানা দিতে হবে।আর বলাবাহুল্য 250k means 250000 thousand dollars!!!!
আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রথমে ফেসবুক ইয়াহু দিতে অস্বীকার করেছিল পরে উপরোক্ত ডলারের জরিমার দরুন ঠিকিই দিয়েছে।"পরের তথ্য গোপন রেখে নিজে নিজে বাশ খাওয়ার কি দরকার"
তথ্যসূত্রঃ
http://www.npr.org/…/u-s-threatened-to-fine-yahoo-250k-a-da…
https://www.washingtonpost.com/…/38a7f69e-39e8-11e4-9c9f-eb…
কোথায় স্বাধীনতা? আপনি না বলেন আপনি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক! আপনি নামে মাত্র স্বাধীন দেশের পরাধীন নাগরিক!
আবারও সেই একই প্রশ্ন থেকে যায়....
গুটি বসন্তের জীবাণু আজও জীবিতঃ
এবার আসি জীবাণু অস্ত্র নিয়ে...
জীবাণু অস্ত্রকে বলা হয় গরিবের অস্ত্র।কারণ এটা তৈরি করতে খুব একটা খরচ হই না,কিন্তু এটা অতীব ফল দায়ক!অতীতে ইহা বহু ব্যবহার মুসলিমদের উপরে করেছে বিশেষ করিয়া ব্রিটিশরা।
এবার কাজের কথায় আসি...
গুটি বসন্ত বা Small Pox এর নাম কে বা শোনেনি।এটা খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৪০% থেকে ৩০% পটল তোলে।তো আমরা জানি এই রোগের অস্তিত্ব আর নেই দুনিয়াতে।
কিন্তু...আছে!এটা খ্রিষ্টান বিশ্বের কথিত দুই মোড়াল মানে আম্রিকা আর রুসিয়া সংরক্ষণ করে রেখেছে সেই বিংশ শতাব্দির শেষের দিক থেকে।কারণ আসলে কিছুই না।তারা বৈজ্ঞানিক মানুষ এই গুটি বাজ বসন্তের জিবানু নিয়ে নাকি তাদের এখনো গবেষণা বাকি।আরো গবেষণা চায়।
কেনো যে এই মারাত্মক জীবাণু কে ওরা লালন পালন করছে তা এক মাত্র মুসলিমরাই বুঝতে পারবে।লক্ষ করে দেখুন দুই মোড়াল এটাকে সংরক্ষণ করছে যাদের মধ্যে বছরে বার মাসই কথিত শীতল যুদ্ধ লেগেই থাকে।
তথ্যসূত্রেঃ
http://www.independent.co.uk/…/last-stocks-of-smallpox-viru…
ভেবে দেখুনতো একবার যদি তারা প্রতিহিংসা বসত এই রোগ পরস্পরের মধ্যে ছড়িয়ে দেই কি হবে?
এত ভাবার দরকার নেই এই ভয়ংকর রোগ তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় এই দুই মোড়ল মুসলিমদের উপর ব্যবহার করবেই করবে ইনশাআল্লাহ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বা ক্রুসেডের যুদ্ধে (ক্রুসেড বলতে লজ্জা পায় তো তাই নাম দিয়েছে বিশ্বযুদ্ধ) এই দুই দল হাত মিলিয়ে কিন্তু মুসলিম উম্মাহ কে ধংস করেছিল।৩য় বিশ্ব যুদ্ধেও এর ব্যতিক্রম হবে না।এটা আল্লাহ কুরানেই বলে দিয়েছেন যে মুসলিম কে ধংস করার জন্য কাফেররা সংঘবদ্ধ হবে।
আর এটা তাদের গোপন প্রস্তুতি। হইত গবেষণা চলছে এই নিয়ে যে কিভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে এই রোগ আরো দ্রুত গতিতে শক্রুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪
মহা সমন্বয় বলেছেন: আসলে সবাই নিজের স্বার্থ নিয়েই ব্যস্ত।