নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Cyrus: সাইরাস দি গ্রেট।
সাইরাসের পিতার নাম ছিল ক্যামবিসেস ১ম। মা ম্যান্ডেন ছিল মিদিয়ান সম্রাট অস্টিয়েজের কন্যা। জ্যোতিষ গণনায় এই বলে ভবিষৎবাণী করা হয়েছিল যে, রাজকুমারী ম্যান্ডেনের গর্ভে যে পুত্রসন্তানের জন্ম হবে, সে হবে বিদ্রোহী এবং এক সময় সে এতদঅঞ্চলের একচ্ছত্র অধিপতির আসনে বসবে। গণকগণের এ ভাববাণী ছিল এক স্বপ্ন ব্যাখ্যায়। হেরোডেটাস বলেন,- Astyages had two dreams in which a flood, and then a series of fruit bearing vines, emerged from her pelvis, and covered the entire kingdom. আর সম্রাট অস্টিয়েজ এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তার গণকগণ ঐ ভাববাণী দেন।
যা হোক, গণকদের কথায় রাজা অস্টিয়েজ তার রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হন। প্রথমে তিনি কন্যাকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কাজটা সোটেও সুখকর নয়। তাছাগা তার কন্যা বিবাহিত এবং সে তার স্বামীর সাথে দূরে অবস্থারত। সুতরাং তিনি বিকল্প ভাবেন এবং এক পরিকল্পণা করেন। অত:পর ঐ পরিকল্পণা বাস্তবায়ন করার সুযোগও এসে গেল।
অস্টিয়েজের কন্যা ম্যান্ডেন ছিলেন অনসাঁ বা পার্সার রাজা সাইরাস ১ম এর স্ত্রী। অস্টিয়েজ জানতে পারলেন ম্যান্ডেন সন্তান সম্ভবা। সুতরাং তিনি তিনি আগ্রহ সহকারে তাকে নিজের কাছে নিয়ে এলেন দেখভাল করার নামে। তারপর যখন তার সন্তান প্রসবকাল নিকটবর্তী হল তিনি সেনাপতি হারপাগাসকে এই মর্মে নির্দেশ দেন যে, পুত্রসন্তান হলে পরপরই যেন তাকে হত্যা করা হয়।
সাইরাস।
অত:পর রাজকুমারী ম্যান্ডেন এক পুত্রসন্তান প্রসব করেন এবং হারপাগাসও ঐ শিশুকে হস্তগত করেন। কিন্তু যখন তিনি শিশুটিকে দেখলেন, তখন নিজ হাতে তাকে হত্যা করতে পারলেন না। সুতরাং তিনি রাতের অন্ধকারে সংগোপনে দূরের এক নির্জন পাহাড়ের ঢালে পরিত্যক্ত অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে এলেন। তার ধারণা ছিল, কোন হিংস্র বন্যপশু তাকে খেয়ে ফেলবে, এতে তিনি হত্যার দায় থেকে মুক্ত থাকবেন এবং তাতে রাজাজ্ঞা প্রতিপালনেও তার কোন কসূর হবে না।
শিশু সাইরাসকে যেখানে হারপাগাস ফেলে রেখে এসেছিলেন, তার পাশেই ছিল এক মেষপালকের পর্ণকুঠির। ঐ রাখাল দম্পতি রাতে শিশুর কান্না শুনে বিষ্মিত হয়। তারা ছিল নিঃসন্তান। সুতরাং আগ্রহ ও কৌতুহল নিয়ে তারা কান্নার উৎস লক্ষ্য করে কুঠির থেকে বেরিয়ে আসে এবং পাহাড়ের ঢালে পরিত্যক্ত শিশুটিকে খুঁজে পায়। নির্জন বনে তারা একটা মানব শিশু পাবে, মনে তাদের এমন প্রত্যাশা থাকলেও তা যে সত্য হবে তা তারা কল্পণাও করেনি। সুতরাং তারা শিশুটিকে খোদার দান হিসেবে ধরে নিল এবং পরম আদরে, অতি আগ্রহ সহকারে তাকে লালন-পালন করতে লাগল।
শিশু সা্ইরাসকে হত্যা করতে
হারপাগাসকে আদেশ দিচ্ছেন রাজা অস্টিয়েজ
দশ বৎসর পরের ঘটনা। পাশের গাঁয়ের এক ব্যক্তি মেষপালকের বিরুদ্ধে শিশু চুরির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করল রাজদরবারে। তার অভিযোগ ছিল, এমন রাজলক্ষণযুক্ত শিশু কখনও রাখাল পরিবারের হতে পারে না। নিশ্চয়ই তারা ঐ শিশুটিকে চুরি করে এনে পালন করছে। অবশ্য অভিয়োগকারীর এমন ধারণার পিছনে আরও কারণ ছিল।
রাখাল পরিবার শিশু সাইরাসকে অতি সংগোপনে আতি আদরে এতকাল লালন-পালন করে আসছিল। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সাইরাসের দুরন্তপনা বেড়ে যায়। দশ বৎসর বয়সের সময় তাকে আর ঘরে আটক রাখা সম্ভব হয়নি। আর এতদিনে রাখাল পরিবারেরও তাকে নিয়ে আর কোন ভয়ের কারণ ছিল না। সুতরাং তারা পাশের গাঁয়ের সমবয়সী কিছু ছেলেপুলের সাথে তার খেলাধূলায় কখনও বাঁধ সাধেনি। কিন্তু অত:পর বড় ধরণের সমস্যা দেখা দিল।
সমবয়েসী ছেলেদের সঙ্গে খেলাধূলার এক পর্য়ায়ে সাইরাস একদিন একজনকে ধরে মারধোর করে তার আদেশ অমান্য করার কারণে। এতে ছেলেটি তার পিতাকে ডেকে আনে। তারপর তার পিতা তদন্ত করে যখন সাইরাসকে অপরাধী দেখতে পায়, তখন সে তাকে ক্ষমা চাইতে বলে, কিন্তু সাইরাস ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করে। ফলে তার পিতামাতাকে ডেকে আনা হয়। অত:পর যখন এটা জানাজানি হয় যে, সে একজন মেষ পালকের সন্তান, তখন ঐ ধণিক ব্যক্তি বিষ্মিত হয় তার এমন দু:সাহস দেখে এবং সে আরো বিষ্মিত হয় ঐ রাখাল পরিবারে এমন একজন সন্তান দেখে। সুতরাং সে মোটেও বিলম্ব করেনি রাজদরবারে অভিযোগ দায়ের করতে।
ঐ মামলার বিচারের সময় রাজদরবারে বালক সাইরাসকে উপস্থিত করা হল। তাকে দেখে রাজা অস্টিয়েজ চমকে উঠলেন। তার সন্দেহ হল। তিনি তাকে এবং তার মেষপালক পিতাকে আলাদা ভাবে জেরা করলেন। আর মেষপালকের স্বীকারোক্তির পর তিনি সেনাপতিকে ডেকে চাপ দিলেন। এতে হারপাগাস স্বীকার করেন যে- তিনি রাজার আদেশ মত শিশুটিকে নিজে হত্যা না করে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে এসেছিলেন যাতে হিংস্র জন্তুরা তাকে খেয়ে ফেলে।
সাইরাস।
অস্টিয়েজ নিঃসন্দেহ হলেন যে, এটাই তার কন্যা ম্যান্ডেনের পুত্র। তিনি নিজে অনুতপ্ত হলেন এবং বুঝতে পারলেন খোদা যাকে রক্ষা করেন তাকে কেউই মারতে পারে না। সুতরাং তার মন আর অপরাধ করতে সায় দিল না। তিনি সাইরাসকে ইচতানায় তার পিতামাতার কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
এদিকে রাজাজ্ঞা যথাযত: পালনে ব্যর্থতার জন্যে হারপাগাসকে চরম মূল্য দিতে হয়। রাজা অস্টিয়েজ তার এক পুত্রকে ধরে এনে টুকরো টুকরো করে। অত:পর তার একাংশ রোস্ট করা হয় আগুনে সেঁকে. এবং আরেক অংশ করা হয় রান্না। তারপর ভোজ আসরে হারপাগাসের টেবিলে তা পরিবেশন করা হয়।আর যখন হারপাগাস তার ডিনার শেষ করে, তখন খবার পরিবেশনকারীরা নিহতের মাথা ও হাত-পায়ের টুকরোগুলো ট্রেতে সাঁজিয়ে এনে হারপাগাসকে উপহার দেয়। -[হেরোডেটাস, স্টোরিজ অফ দ্যা ইস্ট, পৃষ্ঠা,৭৯-৮০]
পিতা ১ম ক্যাম্বিসেস পুত্রকে ফিরে পেয়ে তার পিতা সাইরাস ১ম এর নামানুসারে তার নাম রাখেন- সাইরাস (Cyrus)। এই নামটি এসেছে প্রাচীন পার্স্যিয়ান শব্দ কোরস (Kūruš) থেকে যার অর্থ জ্যোতির্ময় ("like the Sun"). আর ইন্দো-ইউরোপিয়ান অর্থে শত্রুর যম ("humiliator of the enemy”) ৫৫৮ খ্রীঃপূঃ পিতা ১ম ক্যাম্বিসেস মারা গেলে সাইরাস সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং রাজ্য বিস্তারের দিকে মনোযোগী হন। আর ঐ উদ্দেশ্যে প্রথমেই তিনি সুদক্ষ ও সুসজ্জিত বৃহৎ এক সেনাদল গড়ে তোলেন এবং পরে নজর দেন রাজ্য বিস্তারের দিকে।
সাইরাস যখন সিংহাসনে আরোহন করেন, তখন তার বয়স ছিল ত্রিশ বৎসর। তিনি ছিলেন রাজরক্তের একজন প্রকৃত রাজপুরুষ। হঠাৎ করেই তার অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলি প্রকাশ পেল। দশ বৎসরের সংক্ষিপ্ত সময়ে তিনি সমগ্র মাদিয়ার একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হয়ে গেলেন। অত:পর তার রাজ্যসীমা স্বল্প সময়ের মধ্যে সমগ্র পারস্যসহ মেসোপটেমিয়া উপত্যকার উত্তর অংশ, আর্মেনিয়া এবং এমনকি এশিয়া-মাইনর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। আর বিশ বৎসরের মধ্যে তিনি পূর্বে ইন্ডিস নদী থেকে এশিয়ান সাগরের মধ্যকার সমস্ত ভূ-খন্ডের অধিপতি হয়ে যান।
সাইরাসের মূর্ত্তি, সিডনী।
সাইরাস যখন অনসাঁর (Ansan) সিংহাসনে বসেন তখন তার বিরুদ্ধে অস্টিয়েজ হারপাগাসের নেতৃত্বে এক বাহিনী প্রেরণ করেন।কিন্তু হারপাগাস কাজ করেন উল্টো, তিনি সাইরাসকে দমনের পরিবর্তে তাকে গোপনে মিদিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে অনুপ্রাণিত করেন।এতে সাইরাস আক্রমণ করেন মিদিয়া এবং তিন বৎসর অবরোধের পর ৫৫০ খ্রীঃপূঃ রাজধানী ইচতানা দখল করে নেন- বন্দী করেন সম্রাট অস্ট্রিয়েজকে আর বিবাহ করে নেন রাজকন্যা অমিটিসকে (Amytis)। এ বিবাহের ফলে ব্যক্টেরিয়া, পার্থিয়া ও সাকা তার অধীনে চলে আসে। এরপর তিনি দৃষ্টি ফেরান পশ্চিমে।
পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় তিনি কিছুকালের জন্যে প্রাচীন ব্যাবিলনের পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছিলেন। তারপর তিনি তার রাজ্যের পশ্চিমের সীমানাগুলি স্থাপন করার পর, ৫৪১ খ্রীঃপূঃ বাবিল আক্রমণ করার জন্যে ফিরে আসেন। তার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য পরিচালনার জন্যে এটা একটা সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছিল। কারণ তার পশ্চিম থেকে সূদূর পূর্ব পর্যন্ত বিস্তৃত সাম্রাজ্যের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেটা, যার অধীনে তখনও ছিল টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস উপত্যকা, সিরিয়া, প্যালেস্টাইন ও আরবসহ বিরাট অঞ্চল।
বাবিল। হাম্বুরাবীর সময় পর্যন্ত সেমিটিক জাতি এই ঐতিহাসিক অঞ্চল শাসন করে আসছিল। সাইরাসের আক্রমণের ফলে আর্য জাতি কর্তৃক এই সেমিটিক শাসন দখলীকৃত হয় এবং পরবর্তী হাজার হাজার বৎসর ধরে তারা এই অঞ্চলে তাদের রাজত্ব কায়েম রাখে।
বাবিল নগরী।
৫৪১ খ্রী:পূ: বাবিল আক্রান্ত হলেও ঐ মহানগরী আক্রমণকারী সাইরাসের বিরুদ্ধে কোনরূপ প্রতিরোধ সৃষ্টি করেনি। যুদ্ধ ছাড়াই মূলত: নগরীটি আত্মসমর্পণ করেছিল। লোকেরা তখনকার জগতের এই বিখ্যাত সাইরাসের মানবোচিত গুণাবলি সম্পর্কে অবগত ছিল। অত্যাচারিত জনগোষ্ঠী তাদের অবস্থার উন্নতির আশায় তার বশ্যতা স্বীকার করতে প্রস্তুত ছিল।
অধিবাসীরা তাই স্বেচ্ছায় তার জন্যে নগরীর গেটগুলি খুলে দিয়েছিল। ফলে অনায়াসে পারস্যিক বাহিনী ঢুকে পড়ে নগরীর অভ্যন্তরে। নগর দখলের পর সাইরাস তার সৈন্যদের নির্দেশ দেন যেন কোন লুটপাট বা অত্যাচারের প্রশ্রয় দেয়া না হয়। তিনি বাসিন্দাদের ডেকে অভয়বাণী দেন এবং তাদের সকল প্রকার ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনঃস্থাপন করেন।
ইহুদিদের দেশে ফেরার অনুমতি।
সাইরাস শাসক হিসেবে ছিলেন একজন অসাধারণ মানুষ, যদিও যুদ্ধের ময়দানে ছিলেন কসাই। তার নেতৃত্বের দক্ষতা এবং গুণাবলি প্রজাদের কাছে তাকে বন্ধুভাবাপন্ন,স্পষ্টভাষী এবং অত্যন্ত সুবিবেচক শাসক হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছিল। তিনি তার প্রজাদের মঙ্গল সাধনের জন্যে উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং তার উদ্দেশ্য পরিপূরণের জন্যে মুক্তভাবে তাদের সংস্কৃতিক বিষয় সমূহে অংশ নিতেন।
শীঘ্রই তিনি আবিস্কার করলেন যে, বাবিলে বসবাসকারী অনেককে অন্যান্য দেশ, দেশসমূহ থেকে জোরপূর্বক আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেককে আনা হয়েছে ক্রীতদাস রূপে। তাদের অস্থিরতা এবং অসন্তুষ্টতা উপলব্ধি করে তিনি এক অপ্রত্যাশিত কাজ করলেন। তিনি পূর্ববর্তী রাজার নীতি পরিবর্তন করে ৫৩৮ খ্রীঃপূঃ এমন নীতি প্রনয়ন করলেন যার দ্বারা জোরপূর্বক আনীত লোকদের মধ্যে যারা দেশে ফিরে যেতে চায়, তারা যেতে পারবে। এই নীতি ইহুদিদের শুধুমাত্র মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার সুযোগই কেবল সৃষ্টি করে দেয়নি, উপরন্ত তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালনের জন্যে নিরাপত্তা, সহায়তা এবং স্বাধীনতা দানেরও নিশ্চয়তা দিয়েছিল।
এসময়ই নবী ওযাইর নির্বাসিত এসব ইহুদিদের মধ্যে সাইরাসের এই ঘোষণা জারি করলেন- ‘স্বর্গের প্রভু পৃথিবীর সমস্ত রাজ্য আমাকে দান করেছেন, আর তিনি প্যালেস্টাইনের জেরুজালেমে তাঁর জন্যে এক গৃহনির্মাণ করার মহান কর্মভার আমাকে দিয়েছেন। সুতরাং তোমাদের মধ্যে থেকে, তার সমস্ত প্রজার মধ্যে থেকে যার ইচ্ছে সে জেরুজালেমে যাক এবং মহান খোদার জেরুজালেমস্থ গৃহ নির্মাণ করুক।
সাইরাসের সাম্রাজ্য।
আর যে কোন স্থানে যে কেহ অবশিষ্ট আছে, প্রবাস করছে, সে বা সেই স্থানের লোকেরা খোদার ঐ গৃহের জন্যে স্বেচ্ছাদত্ত নৈবদ্য ব্যতিরেকে স্বর্ণ, রৌপ্য, অন্যান্য দ্রব্য ও পণ্য দিয়ে তাদেরকে সাহায্য করুক। খোদা তাদের সহবর্ত্তী হোন।’
উল্লেখযোগ্য মানুষটি ইস্রায়েলের জন্যে খোদার উদ্দেশ্য পরিপূরণের প্রতিনিধি ছিলেন। তার প্রতি খোদার আশীর্বাদও ছিল(সাইরাস এক আল্লাহই বিস্বাসী ছিলেন কিনা এনিয়ে ২য় পর্বে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ)। নবী ই‘শাইয়া তার সম্পর্কে বলেছিলেন-
‘আমি তার দক্ষিণ হস্ত ধারণ করেছি,
আমি তার সম্মুখে নানা জাতিকে পরাভূত করব;
আর রাজগণের কটিবন্ধ খুলে ফেলব;
আমি তার অগ্রে কপাট সকল মুক্ত করব, আর পুরদ্বার সকল বন্ধ থাকবে না।
আমি তোমার অগ্রে অগ্রে গমন করে উচ্চনীচ স্থান সমান করব,
আমি পিত্তলের কবাট ভগ্ন করব ও লৌহের হুড়কা কেটে ফেলব।
আর আমি তোমাকে অন্ধকারাবৃত ধনকোষ ও গুপ্তস্থানে সঞ্চিত নিধি দেব;
যেন তুমি জানিতে পার আমি খোদাই তোমার নাম ধরে ডাকি,
আমি ইস্রায়েলের খোদা।
আমার দাস ইয়াকুবের ও আমার মনোনীত ইস্রায়েলের নিমিত্ত
আমি তোমার নাম ধরে ডেকেছি;
তুমি আমাকে না জানলেও তোমাকে উপাধি দিয়েছি।
আমিই খোদা, আর কেউ নয়; আমি ব্যতিত অন্য উপাস্য নেই;
তুমি আমাকে না জানলেও আমি তোমার কটিবন্ধ করব।’-(ই‘শাইয়া ৪৫:১-৫)
‘অন্য দেশ থেকে জোরপূর্বক আনা লোকদের মধ্যে যারা দেশে ফিরে যেতে চায়, তারা যেতে পারে। একই সাথে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালনের জন্যে নিরাপত্তা, সহায়তা এবং স্বাধীনতা প্রদানেরও অঙ্গীকার করা হল।’-৫৩৮ খ্রীঃপূঃ জারিকৃত এই বিখ্যাত ঘোষণা অনেক ইহুদিকে স্বদেশে ফিরে যেতে অনুপ্রাণিত করে। অনেকে আবার বাবিলের মত একটি দেশে যেখানে তারা অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ভাবে নিরাপত্তা ভোগ করছিল, সে দেশ ছেড়ে তারা আট‘শ মাইল অতিক্রম করে ছোট্ট গরীব মাতৃভূমিতে ফিরে গিয়ে কঠোর এবং সীমাবদ্ধ জীবন-যাপন করার মত বিশ্বাস হারিয়েও ফেলেছিল।
যাহোক, সর্বমোট ষাট হাজার ইস্রায়েলী মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তণের জন্যে প্রস্তুত হয়েছিল। প্রথম দলটি ৫৩৭ খ্রীঃপূঃ দাউদ বংশের সরুব্বাবিলের নেতৃত্বে এবং পরবর্তী দল দু‘টি অল্পকিছু দিনের ব্যবধানে যথাক্রমে নবী ওযাইর এবং নহিমিয়ের নেতৃত্বে জেরুজালেমে প্রত্যাবর্তণ করেছিল।
২য় পর্ব
উৎস:
Dandamayev,Muhammad A.,CYRUS iii. Cyrus II The Great, Encyclopædia Iranica
Schmitt, Achaemenid dynasty
Kuhrt, Amélie (1995). "13". The Ancient Near East: C. 3000–330 BC.
Amelie Kuhrt The Persian Empire: A Corpus of Sources from the Achaemenid Period.
Beckwith, Christopher. (2009). Empires of the Silk Road:
Vesta Sarkhosh Curtis; Sarah Stewart (2005). Birth of the Persian Empire.
Shabnam J. Holliday (2011). Defining Iran: Politics of Resistance.
Margaret Christina Miller (2004). Athens and Persia in the Fifth Century BC:
Neil MacGregor, "The whole world in our hands",
Daniel, Elton L. (2000). The History of Iran.
Arnold, Bill T.;Michalowski, Piotr "Achaemenid Period Historical Texts Concerning Mesopotamia".
Mark A. Garrison, Visual representation of the divine and the numinous in early Achaemenid Iran: old problems, new directions;
Briant, Pierre, From Cyrus to Alexander: A History of the Persian Empire Tr. by Peter T. Daniels,
M. Waters, "Cyrus and the Achaemenids",
Jack Martin Balcer (1984). Sparda by the bitter sea: imperial interaction in western Anatolia.
A. Sh. Sahbazi, "Arsama", in Eancyclopaedia Iranica.
Rollinger, Robert, "The Median "Empire",
Herodotus, The Histories, Book I, 440 BC. Tr. by George Rawlinson.
Croesus: Fifth and last king of the Mermnad dynasty.
Tavernier, Jan. "Some Thoughts in Neo-Elamite Chronology" .
Nabonidus Chronicle,
Potts, Daniel Mesopotamian civilization: the material foundations.
"Ancient History Sourcebook: Herodotus: Queen Tomyris of the Massagetai and the Defeat of the Persians under Cyrus".
Grousset, Rene (1970). The Empire of the Steppes.
Tomyris, Queen of the Massagetae, Defeats Cyrus the Great in Battle Herodotus, The Histories
Nino Luraghi (2001). The historian's craft in the age of Herodotus.
Ilya Gershevitch (1985). The Cambridge history of Iran:
Connop Thirlwall, Longmans, A history of Greece,
M. A. Dandamaev, A political history of the Achaemenid empire,
Abraham Valentine Williams Jackson (1906). Persia past and present.
John Maxwell O'Brien (1994). Alexander the Great: the invisible enemy.
Cardascia, G., Babylon under Achaemenids, in Encyclopedia Iranica.
Richard Nelson Frye (1963). The Heritage of Persia. World Pub. Co.
Cyrus Kadivar (Jan 25, 2002). "We are Awake". The Iranian.
M. Boyce, "The Religion of Cyrus the Great"
Watson E. Mills, Roger Aubrey Bullard: Mercer dictionary of the Bible.
Josephus, Flavius. The Antiquities of the Jews,
Goldwurm, Hersh (1982). History of the Jewish People: The Second Temple Era.
Schiffman, Lawrence (1991). From text to tradition:
Winn Leith, Mary Joan (2001) [1998]. "Israel among the Nations: The Persian Period".
Ma'arefat Al-Maad – Ma'ad Shanasi,
John Curtis, Julian Reade, Dominique Collon (1995). Art and empire.
Wilcox, Peter; MacBride, Angus (1986). Rome's Enemies: Parthians And Sassanid Persians.
Jakob Jonson: "Cyrus the Great in Icelandic epic: A literary study".
Nadon, Christopher (2001), Xenophon's Prince: Republic and Empire in the Cyropaedia,
Boyd, Julian P. "The Papers of Thomas Jefferson".
H.F. Vos, "Archaeology of Mesopotamia",
Elton L. Daniel, The History of Iran,
John Curtis, Nigel Tallis, Beatrice Andre-Salvini. Forgotten Empire,
Hekster, Olivier; Fowler, Richard (2005). Imaginary kings:
Kuhrt (2013), The Persian Empire:
Grayson (1975), Assyrian and Babylonian Chronicles
The Nabonidus Chronicle of the Babylonian Chronicles
Thucydides (History of the Peloponnesian War)
Arrian (Anabasis Alexandri)
Polyaenus (Stratagems in War)
Polybius (The Histories (Polybius))
Diodorus Siculus (Bibliotheca historica)
Ball, Charles James (1899). Light from the East: Or the witness of the monuments.
Cardascia, G (1988). "Babylon under Achaemenids". Encyclopaedia Iranica. Vol. 3.
Church, Alfred J. (1881). Stories of the East From Herodotus.
Freeman, Charles (1999). The Greek Achievement: The Foundation of the Western World.
Fried, Lisbeth S. (2002). "Cyrus the Messiah? The Historical Background to Isaiah 45:1".
Schmitt, Rüdiger (1983). "Achaemenid dynasty". Encyclopaedia Iranica. vol. 3. London: Routledge.
Schmitt, Rüdiger (2010). "CYRUS i. The Name". Routledge & Kegan Paul
Tait, Wakefield (1846). "The Presbyterian review and religious journal".
Amelie Kuhrt: Ancient Near Eastern History: The Case of Cyrus the Great of Persia.
Bickermann, Elias J. (September 1946). "The Edict of Cyrus in Ezra 1".
Dougherty, Raymond Philip (1929). Nabonidus and Belshazzar:
Drews, Robert (October 1974). "Sargon, Cyrus, and Mesopotamian Folk History".
Harmatta, J. (1971). "The Rise of the Old Persian Empire: Cyrus the Great".
Lawrence, John M. (1985). "Cyrus: Messiah, Politician, and General".
Jovy, Alexander (2011). I am Cyrus: The story of the Real Prince of Persia.
'শত মনীষীর কথা (১-৪ খন্ড)- ভবেশ রায;
'দি হার্ট অব হিব্রু হিষ্ট্রি'- এইচ আই হেস্টার;
'এন্সিয়েন্ট হিস্ট্রি অব ইস্রায়েল' - ফাদার ডি ভক্স;
'এ লিটারেরী হিস্ট্রি অব পারস্যিয়া' -ই.জি, ব্রাউন;
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১০
আরব বেদুঈন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪
আমিই মিসির আলী বলেছেন: পর্বের কথা উল্লেখ করে সমাপ্ত করলেন যে!!
কয়েক জায়গায় বাংলা বানানে ভুল হইছে।
আর না হলে ভালোই লিখছেন।
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১৩
আরব বেদুঈন বলেছেন: এত বড় পোস্ট বানান ভুল হওয়া স্বাভাবিক তবে পাঠক বুঝলেই হল
ওটা ভুলে হয়ে গেছে
ধন্যবাদ আপনাকেও
৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০০
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: জানতে পারলাম
ধন্যবাদ
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১৪
আরব বেদুঈন বলেছেন: পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩
কালপুরুষ কালপুরুষ বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম; একটা অজানা ইতিহাস; ধন্যবাদ।।
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১৫
আরব বেদুঈন বলেছেন: পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ
৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫২
জুন বলেছেন: অনেক বছর পর আপনার লেখায় অনেক আগের পড়া সাইরাস এর ইতিহাস ভেসে উঠলো আমার চোখের সামনে। এখন চিন্তা করলে এদেরকে নৃশংস আর রক্তপিপাসু মনে হলেও তাদের যুগে তারা বীর বলেই খ্যাত ছিল।
ভালোলাগলো ইতিহাস।
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১৭
আরব বেদুঈন বলেছেন: আমি যতদূর জানি সাইরাস বীর এবং ন্যায়পরায়ণ শাসকই ছিল এজন্যই তাকে মহান বলা হই।ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০২
আলিয়া নূর বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম।