নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবি নজরুলের দুরন্ত পথিক সুকান্তের দুর্মর আমি মহাবিদ্রোহী রণক্লান্ত

অর্ণব আর্ক

জগদ্ধাত্রীর অপরিশোধ্য ঋণে বাঁধাজীবনের তটিনী আজ পড়ে আছে তটে,ঘুম ভাঙানি গান সে কবেই থেমে গেছেএখন আর বাজে না মর্চে ধরা গ্রামোফোন।।ওষ্ঠ-শীর্ষে আকড়ে থাকা পিতৃপ্রদত্ত প্রাণটি সত্যি কেমন এক মূর্তিমান অভিশাপ,এখানে কেবলি বেজে ওঠে ,শ্মশানের সেই খট্টাঙ্গ পুরাণের বিলাপ,মুর্তিমান বিভীষিকায় আচ্ছন্ন এ এক অপলাপ। তবুও স্বপ্ন দেখি আকাশ ভরা জোছনায়,বৈশাখী পূর্ণিমায় এখনো বুক বাধিঁ আশায়। কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম খামে মন আজ চিঠি পাঠায়কোনো অর্বাচীন ঠিকানায়। তাই দৃষ্টি আমার প্রসারিত ঐ নীলিমায়।

অর্ণব আর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত সাম্প্রতিক অপপ্রচার ও অনলাইনের তোলপাড় প্রসঙ্গে

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২০

আপনারা সবাই নিশ্চয়ই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক অনাকাংখিত ঘটনার সাথে অবগত। গত ২৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখ দিবাগত রাতে একটি গুজব বা ভূয়া তথ্যকে কেন্দ্র করে ফেইসবুকসহ বেশ কিছু অনলাইন মিডিয়ায় জাবি ক্যাম্পাসকে নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছে। মিথ্যা একটি তথ্যকে পুঁজি করে ফেইসবুকের বিভিন্ন পেইজে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও এখানকার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নামে অকথ্য ভাষায় দুর্নাম করা হয়েছে। পরে জানা গেছে যে পুরো ঘটনাটিই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাজানো। কিন্তু ততক্ষণে তথ্যের পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কালি মাখামাখি হয়ে গিয়েছে। গালিগালাজ দিয়ে বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজ আর ইউজারদের ওয়াল ভরে গেছে। অনাকাংখিতভাবে একটি স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদালয়ের সুনাম নষ্ট হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা কারোরই কাম্য নয়। তবে কোনোমতে এখানেই এই ঘটনার শেষ হলেও এরুকম ঘটনা ভবিষ্যতে আরো ঘটবে। আবারো প্রশ্নিবিধ হতে পারে আমাদের সামাজিক অস্তিত্ব। তাই এখনই এর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।



জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নাম মানে শুধু জাবি শিক্ষার্থীদের দুর্নাম নয়, এটি সারা দেশের জন্য দুর্নাম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হলো বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য লীলাভূমি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ৪২ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। বিভিন্ন সময়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এখানকার সাধারন শিক্ষার্থীদের রয়েছে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন করার সফল উদাহরণ। মুক্তিযুদ্ধের প্রায় সমসাময়িক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করা এই ক্যাম্পাসটির বুকে অংকিত আছে মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতার প্রতীক। বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করা সহস্র কৃতি সন্তানের সফল ও নামকরা ব্যক্তিত্ব হয়ে গড়ে উঠার পেছনে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগরের মাটি-বাতাসের প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষ অবদান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দ্বিতীয় জন্মস্থান। জাবি ক্যাম্পাসের মাটি আমাদেরকে মায়ের মতো আগলে রেখেছে, লালন করেছে। আমাদের অনুভূতি আর চেতনার প্রতিটি বিন্দুতে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাময়ী ছাপ। আমরা আমাদের মায়ের অপমান সহ্য করবো না। আমাদের প্রাণপ্রিয় ক্যাম্পাসের নামে মিথ্যা দুর্নামের সরাসরি প্রতিবাদ জানাতে আমরা বদ্ধ পরিকর।



প্রতিবাদ আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্লাটফর্মে করেছি। কখনো শহীদ মিনারের পাদদেশে অনাহারে শুয়ে থেকে আমরণ অনশন করেছি, কখনো ভিসি স্যারের বাড়ির সামনে… আমাদের প্রতিবাদের রয়েছে দীর্ঘদিনের সাফল্যগাঁথা ইতিহাস। আমরা প্রতিবাদ করে হেরে যেতে শিখিনি। কিন্তু সব ধরনের প্রতিবাদের ক্ষেত্র এক না। শরীরি অপমানের প্রতিবাদ হয় শরীর দিয়ে, মানববন্ধন দিয়ে কিংবা অনশন বা বিক্ষোভ দিয়ে। কিন্তু অনলাইনে মিথ্যা দুর্নামের আর গুজবের প্রতিবাদ কী দিয়ে হবে? হ্যা, অনলাইনের অন্যায় আচরণ অনলাইনেই ঠেকাতে হবে। আমাদের ক্যাম্পাসের সম্মানরক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই।

কিন্তু কীভাবে? সাম্প্রতিক ঘটনার প্রতিবাদ অনেকেই করেছেন তাদের নিজস্ব ফেইসবুক ওয়ালে। কিন্তু সবাই তা করতে পারেনি। অনেকে জানতেই পারেনি ঘটনা কী ঘটেছে আদৌ! কারন ঘটনাটির প্রসঙ্গ বাদে প্রায় পুরো ঘটনাটিই অনলাইনভিত্তিক। অনেকেই ফেইসবুক আইডি থাকা সত্যেও নিয়মিত লগ ইন করেন না বা সময় পান না। তাই তাদের চোখে পড়ে না অনেক কিছুই। কিন্তু যারা করেন তাদের? তারা সব দেখে প্রতিবাদ করতে গিয়ে সঙ্গী বা সমর্থক খুঁজে পায় না। জনপ্রিয় ফেইসবুক পেইজগুলোতে হট হট পোস্টের শত শত হুজুগে অশালীন কমেন্টের ভীড়ে প্রতিবাদ করতে গিয়েও পাত্তা পায় না আমাদের জাবি পরিবারের ভাই-বোনের সত্য কথাটি। আমি ভালোভাবেই জানি যেই সত্যি কথাটি, যেটি এই মুহুর্তেই চোখের সামনে দেখে আসলাম সেটিকে বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে আমার চোখেরই সামনে। কিন্তু আমি কিছুই বলতে পারছি না। বললেও কেউ বিশ্বাস করছে না। হুজুগে কমেন্টের ধাক্কায় ছিটকে পড়ছে সত্য, ভূলুন্ঠিত হচ্ছে অস্তিত্ব। সেই অসহায় অনুভূতিটা যে কী রকম তা যারা ঐসব পোস্টে কমেন্ট করে অপমানিত হয়েছেন তারা ছাড়া কেউ বুঝবে না। অনেকটা এরকম মনে হয় যেনো আমাকে বেঁধে রেখে আমারই ভাইকে খুন করা হচ্ছে, ধর্ষন করা হচ্ছে আমারই আপন বোনটিকে!



কিন্তু এর কার্যকারন কী?



ফেইসবুক পেইজগুলোতে হাজার হাজার ফ্যানদের সমাগম ঘটে। ছোট্ট একটি স্ট্যাটাস বা পোস্ট দেয়া হলেও তা কয়েক সেকেন্ডেই হাজার হাজার ফেইসবুক ইউজারের কাছে পৌছে যায় খুব কম সময়ে। তাই জাবি ক্যাম্পাসকে জড়িয়ে মিথ্যা একটি তথ্য বিভিন্ন পেইজে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে সাধারন লোকেরা জাবি ক্যাম্পাসের ভেতরের আসল সত্যটি যাচাই করতে না পেরে বেশিরভাগেরাই সেগুলো বিশ্বাস করেছে। সাধারন আর হুজুগে জনগণের গালিগালাজ দিয়ে ভরে গেছে নামসর্বস্ব ফেইসবুক পেইজের সেসব পোস্টগুলোতে। যেখানে পেইজের মোট জনসংখ্যার তুলনায় স্বভাবতই জাহাঙ্গীরনগর পরিবারের সদস্যদের সংখ্যা খুবই নগন্য হওয়ায় তারা সফলভাবে সেগুলোর প্রতিবাদ করতে পারছে না।



আমাদের আসলে করণীয় কী?



জানি শত শত মানুষ সত্য একটি কথাকে মিথ্যা বললেও সত্য সেটা সত্যই থাকবে। কিন্তু নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ন্যুনতম চেষ্টাটুকু আমরা করতে পারি। এখনই সেটা করার সময়! আমরা যারা নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করি, ফেইসবুক টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহার করি, তারা খুব সহজেই এটি করতে পারি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা প্রতিদিনই ফেইসবুকে লগ ইন করেন, অনেকে সারাদিনের অনেকটা সময় জুড়েই ব্যবহার করেন। তারা এসব গুজবের তাৎক্ষণিক ও জোরালো জবাব দেয়ার ক্ষমতা রাখেন। অনেকেই জবাব দিয়েছেন। কিন্তু এককভাবে। বিতর্কিত জায়গাগুলোতে তারা ঠিকই কালিমাখা হয়ে ফেরত এসেছেন টিকতে না পেরে। এটি ঘটেছে সমর্থকের অভাবে, আন্তঃ আর অন্তঃযোগাযোগের অভাবে। একটি ভালো কমেন্ট দিলেও দশটা খারাপ কমেন্টের চাপে সেটা টিকতে পারে না। তাই এটিকে সফল অনলাইন প্রতিবাদ বলা যাচ্ছে না। সফল প্রতিবাদ করতে হলে একতাবদ্ধ হতে হবে, নিয়মিত হতে হবে, সমর্থক প্রয়োজন হবে।



কীভাবে একটি পেইজের মিথ্যা একটি পোস্টের সফল প্রতিবাদ করা যেতে পারে তার একটি নমুনা দিচ্ছি। ধরুন আমরা একটি ফেইসবুক গ্রুপের মাধ্যমে একতাবদ্ধ হলাম যেখানে ঐসব ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বা ফেইসবুকার থাকবে যারা প্রতিদিনই নিয়মিত ফেইসবুকে লগ ইন করে। জাবি পরিবারের ভেতরে এরকম লোকের সংখ্যা নেহাৎ কম হবে না। সর্বনিম্ন কয়েক হাজার হবে বলে আমার বিশ্বাস। যখনই কোনো ফেইসবুক পেইজে বা যে কোনো জায়গায় জাবি ক্যাম্পাসকে নিয়ে কোনো মিথ্যা অপপ্রচার বা বাজে মন্তব্য করা হবে, সেটি দেখা মাত্রই গ্রুপে যে কোনো সদস্য গ্রুপে এসে সেই খবরটি লিংক সহকারে জানাবে। তাতে গ্রুপের সবাই সেই খবরটি জানতে পারবে এবং লিংকটিতে গিয়ে দল বেধে মন্তব্য করে আসতে পারবে। তাতে অন্তত লোকেরা আমাদেরকে একা আর অসহায় ভাববে না। আমাদের কমেন্টগুলো চাপা পড়ে যাবে না, অবজ্ঞা করা হবে না। সত্য কথা ঢেকে দিতে কয়জনের কমেন্ট ডিলিট করবে ওরা? একটা জনপ্রিয় ফেইসবুক পেইজের হট একটা পোস্টে কতোগুলো মন্তব্য পড়তে পারে? একশো-দুইশো। আমরা জাবি পরিবারের মধ্য থেকে এর কয়েকগুণ বেশি সংখ্যক একটিভ ফেইসবুকার পাওয়া যাবে খুঁজলে। তাদের অতি ক্ষুদ্র একটা অংশই যথেষ্ট এসব অপপ্রচার আর অসঙ্গতির বিরুদ্ধে সফল প্রতিবাদের জন্য।



জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মোস্ট সিনিয়র একজন স্টুডেন্ট হিসেবে প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা থেকেই একটা পাকনামো করে ফেললাম। অনলাইনভিত্তিক সকল সামাজিক গণমাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে সকল ধরনের নেতিবাচক সমালোচনার বস্তুনিষ্ঠ জবাব দেয়া, ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক বিভিন্ন তথ্যের যৌক্তিক পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ, প্রাক্তন ও বর্তমান সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে অনলাইন ঐক্য তৈরী এবং সংরক্ষনের উদ্দ্যেশ্যে গ্রুপটি তৈরী করা হলো। জানি না কতোটুকু সফলতা আসবে এর মাধ্যমে। তবু আমি আশাবাদি।



জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ জাবি পরিবারের সকল সদস্যকে আহ্বান জানাই ধর্ম, বর্ণ, রাজনীতি আর বৈষম্য সকল কিছুর উর্ধে শুধু জাহাঙ্গীরনগরের প্রাণের টানে এই গ্রুপটিতে জয়েন করে আমাদের অনলাইনভিত্তিক অস্তিত্ব রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য। আর যারা নিয়ইত ফেইসবুকে লগ ইন করেন, বিভিন্ন ব্লগে লেখেন তাদের কাছে আহ্বান নয়, অধিকার থেকেই আবদার রইলো কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করার জন্য। এটি ব্যক্তি বা গোষ্ঠির আবদার নয়, এটি আমাদের মায়ের আবদার, আমাদের অস্তিত্বের আবদার। এগিয়ে আসুন, আরেকবার দেখিয়ে দিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শুধু মাঠেই প্রতিবাদ করতে জানে না, অনলাইনেও পারে… প্রতিবাদে গর্জে উঠুন! জাহাঙ্গীরনগর চিরজীবি হোক!!!

লিখেছেন Nahid Frozen Grave-dweller

সামুতে তেনার অবস্থান না থাকায় আমার আইডি থেকে শেয়ার দিলাম।

ধন্যবাদ নাহিদকে

বর্তমান ও সাবেক সকল জাহাঙ্গীরনগরিয়ানকে এই গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রতিবাদে অংশ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি.।

মন্তব্য ৯০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪২

নষ্ট ছেলে বলেছেন: অপপ্রচারটাই অপপ্রচার কিনা কে জানে!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০২

অর্ণব আর্ক বলেছেন: আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে জানি না।
মাত্র দু'জন মেয়ে উঠেছিল ঐদিনে যেদিন ফেসবুকে ফালতু নিউজটা ছড়ানো হয়।
পক্ষান্তরে ঐ দুটো মেয়ের একজন ছিল আমাদের এক ব্যাচমেটের রুমে।
যদি গণরুমে থাকতো সেখানে র‌্যাগিং এর প্রশ্ন ওঠে। বিশেষত সিনিয়ররা ওখানে পরিচিত হতে গেলে একটু হাসি ঠাট্টা ফাইজলামি হতে পারে। এর বেশি কিছু নয়।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

আথাকরা বলেছেন: বস আপনি যতই বুঝাননা কেন বাংলাদেশে একমাত্র জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজগুলো হয় !!!! যা কিনা একটি স্বাধীন দেশের জন্য লজ্জাজনক !!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

অর্ণব আর্ক বলেছেন: কিছু উদাহরণ উপস্থাপন করুন আপনার মন্তব্যের পক্ষে। অযৌক্তিক গুজবে কান দিতে দিতে এই অবস্থা হয়েছে বাংলাদেশের। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই র‌্যাগিং আছে। কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিরোধী একটি গোষ্ঠী অনলাইনে সক্রিয় হওয়াতে জাবির নামে এহেন অপপ্রচার রটেছে বেশি। অযৌক্তিক ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে অনলাইনের জুড়ি নেই।

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫০

ক্লান্ত দুচোখ বলেছেন: ছোট বেলার "রাখাল বালকের বাঘের" গল্পটা মনে আছে?
ব্যাপারটা এমনতো হতে পারে যে, দুঃকৃতকারীরাই এটা করেছে।
কারন পাব্লিক "ভুয়া" খবরে তোলপাড় করার পরে যখন লজ্জা পাবে, তখন সত্যি সত্যি যখন ঘটনাটা ঘটাবে তখন পাব্লিক যেন অতটা পাত্তা দিবে না!

খুব সুন্দর একটা চাল! অপ্রকৃ্তস্থ মানুষেরা "চরম জিনিয়াস" হয় জানেন তো?? :-0

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: @নষ্ট ছেলে, এখন তাহলে কি করা যায় বলে আপনি মনে করেন? আপনার মন্তব্য গুলো গত দু'দিন ধরে পর্যবেক্ষন করলাম, আমরা একটা সুষ্ঠু সমাধানে আসতে চাই!

এই বিষয়ে আপনি কি কিছু দিকনির্দেশনা দিয়ে আমাদের সাহায্য করতে পারেন?

মেয়েটি এবং তার পরিবার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে, মেয়েটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করেছে এবং সে এখন পর্যন্ত যে হলে তাকে র‌্যাগ দেয়া হয়েছে বলে জাননো হচ্ছে সেখানে উঠেই নাই!

এখন ভিক্টিম(কথিত) যদি নিজে কোন অভিযোগ করতে না চায়, তার সহপাঠিরা যদি অভিযোগ অস্বীকার করছে, কিন্তু অনালাইনে আপনি (যেহেতু আপনি আমার ফেবু লিস্টে আছে তাই আপনাকেই বলছি) এবং আরও বেশ কয়েকজন মোটামুটি নিশ্চিত যে ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে সেটা সত্যি এবং যেহেতু মাহাবুব হাসান ভাইয়ের কাছে সেটার অকাট্য প্রমাণ আছে, আপনারা কি এই ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারেন না? কিংবা ইউজিসির কাছে একটা মানপত্র প্রেরন করুন যাতে তারা ঘটনার তদন্তের জন্য দায়িত্ব নেয়! কিংবা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে গেলেন........


কারো না কারো উপরে তো বিশ্বাস রাখতেই হবে আপনাদের তাই না!
না হলে শুধু শুধু অনলাইনে এমন বিষেদাগার ছড়িয়ে কাজের কাজ তো কিছু হবে না!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৯

অর্ণব আর্ক বলেছেন: আপা বাদ দেন এইফালতু ম্যাতকার ।
আমি-আপনি বছরের পর বছর পৈড়া কিছু জানতে পারি নাই।
তেনারা অনলাইনে বৈয়াই হাফেজ হৈয়া গ্যাছেন না।
বুঝতে পারি না জাহাঙ্গীরনগরের নাম শুনলেই এতো চুলকানি আসে কইত্তাইক্যা।
আসলে মনে হয় জাহাঙ্গীরনগরে চান্স পাওয়া অনেক কঠিন।
অনেকেই চান্স না পাইয়্যা ছ্যাকিত।
তারা জ্বালা মেটায় ব্লগ ফেসবুকে।

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

কষ্টসখা বলেছেন: ভালো উদ্যোগ,তবে আপনারা যারা সিনিয়র আছেন আপনাদের প্রতি অনরোধ এসব কুৎসা রটনাকারীদের বিরূদ্ধে আইনানুগ কোন ব্যবস্হা নেওয়া যায় কিনা ভেবে দেখতে।
আমার জানা মতে প্রশাসন,পুলিশসহ অনেক যায়গায় আমাদের বড় ভাইয়েরা বিভিন্ন গুরূ্বপূন্র পদে আছেন তারাযদি একটু সহযগিতা করেন তাহলে আমার মনে হয় এই কুচক্রীদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা যেত।

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০১

নীলতিমি বলেছেন: যারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন ঘটনা জানতে চান পড়ে দেখুন..

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৩

নীলতিমি বলেছেন: যারা জাহাঙ্গীরনগরের দোষী কুলাঙ্গারগুলোর পক্ষে সাফাই গাইছেন, তারা একটু দেখেনিন প্রথম আলোর ৯, ফেব্রুয়ারি ২০০৯ -এ করা Ragging নিয়ে একটি রিপোর্ট (৫ম পাতায়) । তাদের পূর্ব ইতিহাস বলে, তারা ধোয়া তুলসি পাতা না!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২১

অর্ণব আর্ক বলেছেন: শুনেন ব্রো...
থ্রি ইডিয়টস আর তামিল মুভি তেহেলকা দেখলে আরো অনেকগুলো এমনি কাহিনী বানানো যাবে। ঐসব গীতি জাতি আজ আর আমলে নেয় না।

৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৩

কষ্টসখা বলেছেন: @আথাকরা,আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ও অনাচার কম হয় না। ব্যাপারটা হলো আমরা সত্যকে সত্য বলার সৎ সাহস রাখি তাই প্রতিবাদ করতে পারি কিন্তু আপনারা কাপুরূষের মত অন্যায় অনাচরকে প্রশয় দেন ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৮

অর্ণব আর্ক বলেছেন: Click This Link

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৮

নীলতিমি বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিশেষত সিনিয়ররা ওখানে পরিচিত হতে গেলে একটু হাসি ঠাট্টা ফাইজলামি হতে পারে। এর বেশি কিছু নয়।

..................

এটাই আপনার সবচেয়ে বড় বাটপাড়ী । আমি নিশ্চিত আপনাদের কাছে এসব হাসি ঠাট্টা হতে পারে কিন্তু যারা এর শিকার হয়েছে তাদের কাছে না!

দায়া করে কোনো জ্ঞান দেবেন না, আমার চেয়ে আপনার অভিজ্ঞতা বেশি বই কোনো ভাবেই একবিন্দু কম নেই এ ক্ষেত্রে! কারন, আমি নিজেই প্রথম বর্ষে ব্যাপক RAG -এর শিকার হয়েছিলাম, এক বার নয় কয়েকবার, হলে, রাস্তায়, ট্রান্সপোর্টে বাসের অপেক্ষায় থাকার সময়।


আর আপনার কেন ঈশপের ওই লেজকাটা শেয়ালের মতো আচরন করছেন।
জাবিতে একবার ভার্তি হয়ে লেজ কেটে গেছে বলেই কি RAG-এর স্বপক্ষে আপনাদের গলাবাজি করতে হবে!


ভাই মানুষ হোন!

এটা গুজব হতে পারে, কিন্তু আপনাদের সবাই ভালো মানুষ না এটা ১০০% নিশ্চিত !

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৫

অর্ণব আর্ক বলেছেন: শুনেন এখনো মাস্টার্স এর ভাইবা হয়নাই।
গত্তুকাইলো ক্যাম্পাসেই ছিলাম। কাজেই আপনারা যারা অনলাইনে শুইন্যা হাজি থেকে শুরু কৈরা মুফতি হৈগেছেন তাদের থাইক্যা অনেক অনেক বেশি জানি এই বিষয়ে।
আপনাদের চিৎকারেই আজ এই অবস্থা।
আপনারাই ঐ গোষ্ঠী যারা চান জুনিয়র পোলাপাইন ফাস্ট ইয়ারে ভর্তির পরদিন থেকেই প্রকাশ্যে বিড়ি খাইতে খাইতে চার ইয়ার সিনিয়রের মুখে ধোয়া মারুক। তিন-চার বছর সিনিয়র মেয়েদের টিজ করুক আর নিজেরা বহিরাগত বান্ধবী নিয়ে জনসমক্ষে আকাম কুকাম করুক। আপনারা যদি মনে করেন এরপরেও তেনারা ফাস্ট ইয়ারর। লুতুপুতু বাবু তেনাদের কিছু কওয়া কবিরা গুনাহ। জাবির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এর সাথে একমত নন।
এতে আপনাদের অতিরিক্ত জ্বালাপোড়া হৈলে জাবিতে গিয়া হাজির হোন।
শহীদ মিনার খালি আছে। একটা ব্যানার লটকাইয়া অনশন শুরু করেন।
শুধু এই র‌্যাগিং নিয়ে যে অপপ্রচার চলছে তার থেকে যদি কিঞ্চিত বেশি প্রচার হৈতো আনোয়ার গার্লসের ঐ কুত্তার বাচ্চাটাকে নিয়ে। ঐটাকেও পরিমলের কাছে পৌছে দেয়া যাইতো।
যত্তসব আইছে কইত্তাইক্যা।
আর পুত্তম আলোর লিংক কি বাইবেল নাকি ?
আর বাইবেল সত্য নাকি আমরা যা দেখছি সেটা সইত্য :(

১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১১

কষ্টসখা বলেছেন: @নীলতিমি,একটা পেপার কাটিংকে সামনে বানিয়ে আর কত অপপ্রচার চালাবেন।ভাবতে ঘৃনা হয় এরকম রূচির মানুষেরা ও আজকাল ব্লগিং করে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৩

অর্ণব আর্ক বলেছেন: ফালাইয়া দেন ঐ পেপার কাটিং।
তেনারা অনলাইনে শুইন্যা হাজি থেকে শুরু কৈরা মুফতি হৈগেছেন
আমরা শিক্ষার্থী হৈয়াও বাল্ডা জানি না।

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১১

আথাকরা বলেছেন: কষ্টসখা@ বুঝতে পারছি আপনি ছাত্রদল এবং ছাত্রলীগের কথাই বলছেন !!
জাবি শিক্ষার্থীরা অনেক মেধাবী সন্দেহ নেই কিন্তু এ ধরনের কাজ চরম বিরক্তিকর !!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৫

অর্ণব আর্ক বলেছেন: নারে ভাই ....
অপ্রচারে শর্ষে থেকে শেয়াল বের হয়..

১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২১

নীলতিমি বলেছেন: @কষ্টসখা : আপনারা যে আসলেই অন্ধ তা আবার প্রমাণ পেল! ঘটনা ঘটে এক হাজার আর পেপারে আসে একটা। আর একটা প্রমাণ দেখাতেই এই হইচই।

আমার ওই পোস্টের লিঙ্ক ধরে একটি আর্টিকেল পড়ে আসুন, দেখুন আপনাদের নিজের বিশ্ববিদ্যালেয়ের মানুষদের প্রকৃত চেহারা। সত্য হজম করার সাহস যদি থাকে আর কি।


আর আপনি যে অন্ধ, তার প্রমাণ স্বরুপ: আমি যে আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা লিখেছি সেটি আপনি ইগনোর করে গেছেন। আমাকে RAG দেবার সময় বড় ভাই (মাদারচো..)রা হুমকি দিতে যদি কাউকে কিছু বলি তাহলে আর ভার্সিটিতে পড়া হবে না ! আরো কত কি। একজন ইন্টার পাস করে বের হওয়া কারো পক্ষে এমন হুমকি সহ্য করা কঠিন বইকি!

তারা কি আর বলে বেড়াবে, ওই আপু - ওই ভাইয়া হুমকি দিয়েছে, বাজে কথা বলেছে! X( X(

বুঝলেন ভায়া এবার অন্ধত্ব সারাতে এবার আপনার কোথায় যেতে হবে ! ;)

১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২২

শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: বাংলাদেশের সব ভার্সিটিতে র‍্যাগিং আছে সত্য কিন্তু জাহাঙ্গীর নগর ভার্সিটি হইলো এসব ফালতু কামের সর্দার।

সেঞ্চুরী মানিক এ জাহাঙ্গীর নগরেরই অবদান। অপ্রচার অপ্রচার বলে মুখে ফেনা তুলে ফেললেও কিছু হবেনা। মানুষ এই ভার্সিটির পার্ভাটদের সম্পর্কে ওকিবহাল আছে। X( X( X( X(

১৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৩

কষ্টসখা বলেছেন: @আথাকরা, আমি শুধু পলিটক্স এর কথা বলছি না,নারী নিপিড়ন মাদকসহ যেকোনো অনাচারের কথা বলছি।

১৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৭

নীলতিমি বলেছেন: শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: বাংলাদেশের সব ভার্সিটিতে র‍্যাগিং আছে সত্য কিন্তু জাহাঙ্গীর নগর ভার্সিটি হইলো এসব ফালতু কামের সর্দার।

সেঞ্চুরী মানিক এ জাহাঙ্গীর নগরেরই অবদান। অপ্রচার অপ্রচার বলে মুখে ফেনা তুলে ফেললেও কিছু হবেনা। মানুষ এই ভার্সিটির পার্ভাটদের সম্পর্কে ওকিবহাল আছে।

--------------

সে আর বলতে ! কাকে কি বলেন, তেনারা সাধু আর সবই বদ ! /:)

১৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৯

খালি ব্যান খাই বলেছেন: এই নীলতিমি দেখি গন্ডারের চাইতেও বেশি মোটা চামড়া লৈয়া আইছে। ঐ অর্ণব তুই কমেন্টানো বন্ধ কর। হ্যারে পেচাল পাড়তে দে।
খামুখা আইয়া পত্রিকাঅলার মতো পেপার কাটিং সেল কর্তেছে।
অনেকদিন পর মুনে হয় ব্লগ কেচালে জইম্যা উঠতেছে।

১৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

খালি ব্যান খাই বলেছেন: তবে কমেন্টকারীরা খেয়াল কৈরেন ...
ল্যাঞ্জা ইজ আ ডিফিকাল্ট থিং টু হাইড।

১৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪১

কষ্টসখা বলেছেন: @নীলতিমি ,আপনি কি এমন সাধু পুরূষ তাতো আপনার কমেন্ট দেখেই বোঝা যায় যে আপনার অভিজ্ঞতা বিশ্বাস করতে হবে।
@শরীফ মহিউদ্দীন,মানিককে এই ক্যাম্পাস থেকে আমরা সাধারন ছাত্ররাই বিতাড়িত করেছি আপনাদের দরকার হয় নাই।আপনাদের ওখানে ওই ধরনের ঘটনা কম ঘটে না তাদের কি এমন উদ্ধার করেছেন জানাবেন।

১৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

স্বাধীকার বলেছেন: ভাই এই যে প্রচারণা সেটার পেছনে সূদূর প্রসারী একটি পরিকল্পনা কাজ করছে বহুদিন। জাবি অপবিত্র হয়ে গিয়েছে, সেখানে মওদুধী কিতাব বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত পবিত্র করা যাচ্ছেনা। কিন্তু কিছু দায়িত্বশীল ব্লগারের অতীত ক্ষোভ থাকতে পারে, তাই এ গুজবের সুযোগে একটু মজা নিতে চাওয়া আরকি। তাদের দোষ দিচ্ছিনা। আপনারা যারা ক্যাম্পাসে আছেন তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, চোখ কান খোলা রাখুন, কোনো পটভূমি যেন তৈরী না হয়, যাতে কোনো অপশক্তি এখানে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে........শিবিরের পেইজগুলো খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন-কারা এ প্রচারণায় বেশী সক্রিয়।

জাবিতে শিবিরকে বৈধতা দিলেই এসব থাকবেনা-এমন একটা প্রচারণা আড়ালে চলছে বহু দিন। যেকোনো মূল্যে ছাত্রশিবির জাবি ক্যাম্পাস দখল করতে চায়। দুই বার ঘুমন্ত অবস্থায় দখল করতে পারলেও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশের একমাত্র ক্যাম্পাস যেখানে মৌলবাদী রাজনীতিমুক্ত, চিরতরে নিষিদ্ধ। ছাত্রশিবিরের অন্যতম টার্গেট হলো জাবি ক্যাম্পাস দখল করা, যাতে ঢাকাকে অবরোধ করতে ৩৮টি জেলার সংযোগ ঢাকা-আরিচার রোডটি নিয়ন্ত্রণ নেওয়া যায়। তৎকালীন শিবিরের বহু ডায়েরীতে আমরা তাদের বহু পরিকল্পনার ছক দেখেছি। এখন আড়াল থেকে জাবিকে কলংকিত করে সেখানে মওদুধীবাদী কিতাব কায়েম করতে হবে, পবিত্র করার তাগিদে নিজেরা ক্যাম্পাসে ঢুকার বৈধতা আনার ধান্ধায় এসব পরিকল্পিত প্রচারণা চালাচ্ছে। সাধারণদের বুঝানোর চেষ্টা করছে জাবি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সাধারণরা ভিতরের অবস্থা জানেনা। জাবি খারাপ এটা নাকি বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই জানে-অথচ আমরা সেখানে পড়ে জানতে পারলাম না, আফসোস!! মা-র কাছে মামা বাড়ীর গল্প শুনায়। কোনো মেয়ে চেয়েছে বলেই অনলাইন হিরো সেজে সাথে সাথে স্ট্যাটাস দিয়েছে, কোনো ছেলে সাহায্য চেয়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করলেও এই অনলাইন হিরোরা সেখানে উকিঁ মারতোনা, দায়িত্বশীলতা আর লুলামীর মাঝে তফাৎ রাখাটা জরুরী এটা প্রথম গুজবকারী বুঝতে পারেননি।

জাবির ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্রইউনিয়ন, ছাত্রফেডারেশন, জাবি থিয়েটার, লোকো থিয়েটার, ধ্বনি, সংকীর্তন যতদিন আছে-ততদিন কোনো মৌলবাদী পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবেনা। ক্যাম্পাসের পেছনের গ্রামে বিয়ে করেও সংসার পেতেও শিবির জাবি দখল করতে পারেনি। পারবেনা, যত মিথ্যাচারই করুক, যত স্ক্রিণশট সংগ্রহ করুক। মানিক ধর্ষক -তাকে ক্যাম্পাস ছাড়া করেছে সেদিনের নির্ভিক শিক্ষার্থীরা নিজের শিক্ষা জীবন বিপন্ন করে। কারন সেদিন যদি মানিককে আমরা তাড়াতে না পারতাম, তাহলে আমরা আর ক্যাম্পাসে ফিরতে পারতাম না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সরকার, প্রক্টর, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শামীম ভাইসহ সব মানিকের ফেবারে থাকার পরও আমরা আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছি, টিয়ার গ্যাস খেয়েছি, রাতে হলে ঘুমাতে পারিনি, ভিসির বাড়ীর গেইটে সারারাত অবরুদ করে রেখেছি। আমিতো বলবো বহু জঘন্য ছাত্রনেতা বহু ক্যাম্পাসে আছে মানিকের মতো-কিন্তু সেখানেই শিক্ষার্থীরা সেরকম মানিকদের উচ্ছেদ করতে পারেনি। কিন্তু জাবির শিক্ষার্থীরা সকল প্রতিকূলতার মধ্যেই মানিককে ক্যাম্পাস ছাড়া করেছে, ১৭জনের ছাত্রত্ব বাতিল করেছে, আজীবন বহিস্কার করতে বাধ্য করেছে। কখনো কখনো দায়িত্বহীনদের মানিক সংক্রান্ত ইতরামীপূর্ণ প্রশ্ন শুনলে মনে হয়, আমরা মানিকের বিষয়টি আড়ালে রাখলে আজ হয়তো এই ইতররা এভাবে আমাদের সমালোচনা করতে পারতোনা। কিন্তু তাতে বহু মানিকের জন্ম হতো-তাই আমরা সেদিন সঠিক কাজটিই করেছি বলে মনে করি।

জাবি সম্পর্কে মন্তব্যকারী সচেতন ব্লগারদের বলবো-শিবিরীয় প্রচারণায় আবেশিত হয়ে জাবিকে গালি দিয়ে নিজের অতীত ক্ষোভ মেটাতে পারবেন, কিন্তু সমস্যার সমাধান হবেনা। কোনো ছাত্রীর চোখের জল পড়লে আমাদের চেয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কারো চেয়ে বেশী কষ্ট আমাদেরই লাগে। যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে/জাবিতে যেকোনো অপশক্তির বিচরণ অসম্ভব কিছু নয়, র‌্যাগিং হয়নি কখনো-সেটাও নয়। কিন্তু আমাদের সহযোগিতা করবেন আন্তরিকভাবে, ঘৃণা করে নয়। যাতে আমরা এর প্রতিকার করতে পারি। অন্যথায় যারা এ ধরণের প্রচারনায় লাভবান হতে চায়, সেই অপশক্তি সেখানে ঢুকার বৈধতা চাইবে, বিশ্ববিদ্যালয় গুলো কওমী এতিমখানা হয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলো মুক্তচিন্তার সার্বজনীন বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি হারাবে। যেকোনো অপসংস্কৃতির বিরোদ্ধে সচেতন ব্লগারদের উৎকণ্ঠাকে সাধুবাদ জানাই, সহযোগিতা চাই এর অবসানে। কিন্তু ঘৃণা বা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য আমাদের অন্য ইঙ্গিত দিতে পারে, প্লিজ যৌক্তিক মন্তব্য আশা করছি, কাম্য পরামর্শ প্রত্যাশা করছি। অনলাইন হিরো হতে গিয়ে অনেকেই দায়িত্বশীলতার সীমালংঘন করছেন, নিজেকে ছোট করছেন-যা কাম্য নয়।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২২

অর্ণব আর্ক বলেছেন: এই মন্তব্যের পরে আর কিছু বলার নাই।
ইতর বাদরদের প্রতিবাদে এতো সময় নষ্ট করলেন কেনো।
ওদের ল্যদাইতে দিন না।
ঐ ল্যাদানি দিয়ে জৈব সারও হয়না।
এরা কি এটা জানে ?

২০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

খালি ব্যান খাই বলেছেন: ঐ মানিকের মতো এক খাঙ্কির পোলারে নিয়া রাজনীতি আর সহ্য হয় না।
যারে পোলাপাইন জুতাইয়া খেদাইলো তারে নিয়া এতো ম্যাতকার কেনু ?

২১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৩

নষ্ট ছেলে বলেছেন: @রেজোওয়ানা,
গত একদিন হবে, দুইদিন না।
আমি যত পোস্টেই কমেন্ট করেছি তার বেশির ভাগই কিছু প্রশ্ন ছিল।


***বাংলাদেশে এত বিশ্ববিদ্যালয় থাকতে বার বার কেন জাবির বিরুদ্ধেই এই ধরনের অভিযোগ আসে? নাকি বলবেন জাবি বাংলাদেশের সেরা(!) তাই।

***অবস্থা ভয়াবহ না হলে তো বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইটে র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে ব্যানার লাগানোর কথা না?

***কেউ যদি সত্যিই র‍্যাগিং এর শিকার হয় তাহলে সেটা কিভাবে প্রমাণ করবে? অভিযোগ করলে তো স্বাভাবিক ভাবেই অস্বীকার করবে? আর সিনিয়রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে বাকি চার বছর কিভাবে কাটবে সেটা তো সবাই বুঝে।

২২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: Bisoy seita na, akta bisesh doler online activity dekha jai proti bochor JU r admission test r new class suru hobar age.
2010 rongdhonu namer ak blogger ai kaj kore jothesto dola khaisilo blog, r tar post er link akhon dekhi koyekjone feri kortase.

Manus sob ghas khai tou!

Post porjobekhone nilam.

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১১

অর্ণব আর্ক বলেছেন: বাদ দেন যত্ত ইতরদের কাজ।
হ্যা জাবির সিনিয়ররা এত্তো খারাপ যে ১০ বছরের সিনিয়র হওয়ার পরেও আপনাদের ব্যাচের প্রায় সবাইকেই আমি চিনি। আর শুধু ভার্সিটির ছোট ভাই হওয়ার কারণে একজন ২৬ ব্যাচের বড় ভাই যিনি কিনা অনেক উচ্চপদস্থ সরকারি আমলা সব কিছু বিসর্জন দিয়ে পোলাপাইনের লগে আড্ডা দিতে আসতেন তার বডিগার্ড আর সেক্রেটারি বাদে।
এরা এগুলোর মর্ম বুঝবে কি করে ?

২৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১০

কষ্টসখা বলেছেন: জাবি এমন একটা ক্যাম্পাস যেখানে প্রকৃত মুমিন ব্যক্তি অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দের সাথে চলতে পারে কারন প্রায় প্রতিটি হলসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রয়েছে অনেকগুলো মসজিদ।এখানে অনেক ঈমানদার ভাইকে দেখেছি যারা প্রকৃতপক্ষে ভাল মানুষ, আজ ঢালাও ভাবে কুৎসা রচনা করে এদেরকেও গালি দেওয়া হচ্ছে।
তাই এই ঘটনার পিছনে শিবিরের কোন দুরভিসন্ধি আছে কিনা খতিয়ে দেখা দরকার।

২৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৩

নষ্ট ছেলে বলেছেন: শুনেছি র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে নাকি জাবিতে কঠোর আইন আছে। ছাত্রত্বও নাকি বাতিল হয়ে যায়। প্রয়োগ না থাকলে আইন দিয়েই কি হবে? যদি বলেন র‍্যাগিং হয় না কিংবা প্রমাণ নাই তাই প্রয়োগ নাই তাইলে ঐ প্রশ্নগুলোই ঘুরেফিরে আসে!

সম্ভবত আপনি আমার ফেসবুক ফ্রন্ডস লিস্টে নাই (রেজোওয়ানা নামে), কখনো ছিলেনও না (রেজোওয়ানা নামের কাউটে ডিলিট করেছি বলে মনে হয় না)।

২৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: O taile sei nosto chale apni na, bachalen bhai.

Any ways, raging birodhi bannar aro onek versity te ache, khoj nin.

Ju against a ato complain keno seta bojar jonno Sadhikar viyer comments poren.

Complain tou korte hobe age, complain na korle bichar hobe kivabe, protikar hobe kivabe, r oporadhi sasti pabe kivabe?
Apni nijeo tou versity te poren, hall a thaken, keo ke jodi rag deya hoy seta ki hall a gopon thake? Proman korar kono sakhi thake na?


Apni akta guide line den thaole kivabe atar somadhan kora jai.

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৫

অর্ণব আর্ক বলেছেন: যার প্রব্লেম তার খবর নাই।
অনলাইনে আইয়া পড়তে হাজার হাজার সহকারী।
সবগুলারে জুতাইয়া বাংলাদেশ থেকে দুর করতে পারলে শান্তি হৈতো।
এই যুগে অনলাইনের সামান্য কিছু অসমতা এইডাই। :(

২৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৭

শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: সব কিছুতেই জামাত শিবির ভালো লাগেনা। জাবির সমস্যা আছে এবং এটা সমাধানের পথ খুজতে হবে এটাই সাধারন কথা। জাবিতে অনেক মেধাবী ভালো ছাত্র আছে। সবার সব অর্জন তো কিছু কুলাঙ্গারের জন্য নষ্ট হতে পারেনা। আমি বুঝিনা অনলাইনে এসে সবাই ঐ কুলাঙ্গারদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার দরকার কি??

একজন বলেছেন মানিককে জুতাপেটা করেছেন জুতাপেটা তার একটা ধর্ষনের সময় করলেন না কেন??

কারন একটা দুইটা ঘটনা আপনাদের কাছে মনে হয় তেমন কোন ব্যাপারই না তাইনা??

আমার অনাগত ভবিষ্যতকে জাবি আর ইডেন কলেজে আমি পাঠাবোনা, যতদিন তাদের পরিবর্তন না হয় এটাই স্বাভাবিক,

আর দশজনের মত আমরাও চাই জাবি দেশ সেরা ভার্সিটি হোক

তাই বলছি দয়া করে অনলাইনে দোষিদের পক্ষে সাফাই না গেয়ে ঐ কুলাঙ্গাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে কাজ করুন

২৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৯

নিওন বলেছেন: "জুনিয়র পোলাপাইন ফাস্ট ইয়ারে ভর্তির পরদিন থেকেই প্রকাশ্যে বিড়ি খাইতে খাইতে চার ইয়ার সিনিয়রের মুখে ধোয়া মারুক। তিন-চার বছর সিনিয়র মেয়েদের টিজ করুক আর নিজেরা বহিরাগত বান্ধবী নিয়ে জনসমক্ষে আকাম কুকাম করুক।" ভাই এসব খোড়া অজুহাতে র‍্যাগিং এর সাফাই গাওয়ার দরকার কি? জুনিয়র দের আদব শেখাতে এসব অমানবিক আজাইরা সিস্টেম এ না গেলে হয়না?? এইসব কইরা ঠিকই তো জুনিয়রের কাছ থেকে দুইদিন পর বিড়ি চাইয়া খাবেন। জাবিতে র‍্যাগিং আছে আর সেটা যে খুব ভালো কিছু সেটা বলার দরকার নাই....আমি নিজে ধরা খাইছি...ক্যাম্পাস লাইফে কোন জুনিয়ররে র‍্যাগ না দিলেও তো কেউ বেয়াদবি করেনাই....?? নিজের ক্যাম্পাসরে ভালবাসা ভালো, আমিও বাসি, কিন্ত নবজাতকের জন্যে বাসযোগ্য করে যাওয়ার অংগিকারটাও থাকা উচিৎ....

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৮

অর্ণব আর্ক বলেছেন: শুনেন এই সব ফালতু কথা আমাদের শেখাতে আসবেন না।
যদি ইচ্ছে হয় আমার ডিপার্টমেন্টের যেকোনো জুনিয়রের কাছে গিয়ে জিগ্গাসা কইরেন।
মিয়া পরীক্ষার আগের দিন রাইতে জুনিয়রদের ২০০ পেজের রিপোর্ট দেইখ্যা দিয়া পড়তে বসার মতো বদান্যতা জাবির বড়ভাইরাই দেখাতে জানে। জাবিতেই এমন অনেক সিনিয়র ভাইকে দেখেছি যারা যাওয়ার পর জুনিয়ররা একসাথে হাউমাউ করে কান্নাকাটি করে।
জাবিতে সিনিয়র জুনিয়র রিলেশন অন্তত আপনার পারিবারিক রিলেশন থেকে ভালো এটুকু বলতে পারি।

২৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভাই জাবি খুবই খারাপ জায়গা, এর আকাশ বাতাস সবই দুষিত,স্টুডেন্ট গুলো শয়তানের চেলা।আল্লাহ আপনাদের মত পুন্যবান মানুষদের জাবি থেকে দূরে রাখুন----আমিন

তবে এই অধমের একটা ছোট্ট প্রশ্ন কোন কোন কাজ কে র‌্যাগিং বলা যায় তার একটা সুস্পট ধারনা দিয়ে যাবেন কি??জুনিয়র কোনো ছাত্র বড় ভাইয়ের পায়ে পাড়া দিয়ে অবলিলায় চলে গেলে যদি তাকে ধমক দেয়া হয় সেটা র‌্যাগিং?নাকি রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকলে সিনিয়র ভাই সরে দাড়াতে বল্লে সেটা র‌্যাগিং?যদি তাই হয় তবে আর কিছুই বলার নেই।
তবুও প্রতি বছর এই ক্যাম্পাসে লাখ লাখ বাবা মা তাদের আদরের সন্তানদের নিয়ে আসেন।প্রতি সিটে কম্পিটিশন হয় ৬০-১০০ জনের।প্রতি বছর এখন থেকে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে পাশ করে বের হয়।ভাই তারা কিভাবে থাকে এই ক্যাম্পাসে????
আপনাদের বর্ননা মতে এই ক্যাম্পাস তো হাবিয়া দোজোখের সমতুল্য।এখানের পরিস্থিতি তো দেশের সকলেই জানে।তার পর ও কেন মানুষ তার বাচ্চা কে এখানে দেয়???এই কাম্পাসের অবস্থা এত খারাপ হলে তো সেই কবে সেই মানিকের ঘটনার সময়েই ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যেত কারন কেউ আস্তে চাইত না।হয়নি কেন???????

২৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫০

টিনের চশমা বলেছেন: মিয়া হলে বইসা পরীক্ষার্থী ছেলে মেয়েদের নেংটা কইরা রেগিং করেন আর নেটে আইসা শাক দিয়া মাছে ঢাকেন । X( X( অসভ্য কোনহানকার । X( X(

রেগিং বন্ধ করার ব্যবস্থা না নিয়া আবার উল্টা চাপা ঝাড়তাছেন সব বিশ্ববিদ্যালয়ে রেগিং দেওয়া হয় X( X( থাপড়াইয়া দাত ফেলে দেওয়া উচিত X( X(

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৫

অর্ণব আর্ক বলেছেন: সাহস থাকলে আইয়া একটা দাত ফেলাইয়া যাইয়েন। বইমেলাতে প্রায় রোজই যাবো।
আপনার পরনের প্যান্ট ঠিক নাই।
ঐটা আগে টেনে তুলেন। পরে জাবির পোলাপাইনের বিরুদ্ধে আগাইতে চেষ্টা করেন।

৩০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

এস এম নাদিম মাহমুদ বলেছেন: ওই শব্দটির ভয়ে ২০০৭ সালের আসমি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম উঠায়নি। শিয়ালের লেজ কাটা কাহিনীর কথা মনে পরে গেল।...............াহাহাহহাহাহ...........নিপাত যাক র‌্যাগিং

৩১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৪

স্বাধীকার বলেছেন:
শরীফ ভাই,

আমরা মানিকের বিষয়টি গোপন রাখলে আপনারা কি খুশী হতেন? আমরা আন্দোলন করেছি, সেটাকে বন্ধ করেছি-এটা কি আমাদের অন্যায়? আজ কথায় কথায় অনেকেই বলছে সেখানে মানিকের জন্ম হয়-তাই জাবি খারাপ। আজকে মানিককে বিতাড়নের জন্য আপনাদের উচিত আমাদের সাধুবাদ জানানো কিন্তু আপনারা আমাদের অপরাধী ভাবছেন-যা দেখে মানিকেরা খুশী হবে। তাহলে প্রকারন্তে এখানের বিষোদগারকারীরা মানিকের হয়েই বক্তব্য দিচ্ছে। মানিক ধর্ষক তাতে কি মানিকের মা-র কোনো হাত ছিলো? তাহলে মানিক আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হওয়ার কারণে বর্তমানদের কেন আপনারা অপরাধী ভাবছেন। মসজিদের ইমাম ধর্ষন করলে মসজিদ কিভাবে অপরাধী হয়, সারা দেশের ইমামরা কেন অপরাধী হবেন?

আপনি বলেছেন,‘‘তার একটা ধর্ষনের সময় করলেন(জুতাপেটা) না কেন??’’-ধর্ষনের সময় জুতাপেটা করতে পারিনি কারণ মানিক যখন ধর্ষন করেছে তখন আমাদের খবর দিয়ে যায়নি!! আপনার প্রশ্ন দেখে অবাক হলাম। কোনো ধর্ষক কি বলে কয়ে অপরাধ করে, নাকি ধর্ষণের পর ভিক্টমকে বিষয়টি নজরে আনতে হয়-তারপর মানুষ সোচ্চার হয়। অনেক সময় ভিক্টিম সামাজিকতার ভয়ে গোপনও করতে পারে। আর আপনি বলছেন ধর্ষনের সময় জুতাপেটা করলাম না কেন? ক্ষমতাসীন সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক-তার বিরোদ্ধে দাড়ানো কি এতটাই সহজ ছিলো? তাছাড়া ধর্ষনের অনেক পড়ে প্রথম মানবজমিন পত্রিকায় সংবাদটি আসে। তারপরও আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা কতজন যে শারীরিক ভাবে মানিকের বাহিনীর হাতে মার খেয়েছি, আপনারা কি তা জানেন? মানিক ক্যাম্পাসে সেঞ্চুরী করেছে-এটা আপনারা পত্রিকায় ‍শুনেছেন, পড়েছেন-কিভাবে সংবাদটি আসলো, কিভাবে এটা প্রচার পেলো-সেটা কি জানেন? আমরা জানি প্রকৃত ঘটনাটি কি ছিলো,কোথা থেকে কিভাবে আসলো। বার বার বলার পরও আপনারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে নোংরা ভাষায় আক্রমন করছেন। অনেক দায়িত্বশীল ব্লগার এমন ভাবে মন্তব্য করছে যে, যেন আমরা নিজেরা জাবিকে খারাপ হিসাবে মেনে নিই-সেটাই হবে তাদের কাছে সত্য। তার মানে হলো ঐসব গুজবকারীকে খুশী করতে আমাকে মিথ্যাটা স্বীকার করতে হবে-এ ধরনের প্রত্যাশা ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রকাশ করেনা, হীনমন্যতা থেকেই আসে।
ঢাবিতে বাধন নামক এক নারীকে নববর্ষে নির্যাতন করা হয়েছে বহু আগে, তার মানে কি এই যে আজকের যে শিক্ষার্থী সেও সেখানেই ছিলো, নাকি ঢাবির কোনো শিক্ষক সে জন্য দায়ী? সমালোচনা করা সহজ, কাউকে ঘৃনা করতে চাইলে তেমন কারণের দরকার হয়না, তার হাসি খারাপ, তার হাটা খারাপ, তার চেহারা কালো-বহুভাবেই সমালোচনা করতে পারবেন। আমি অবাক হয়েছি আমাদের অনলাইন হিরোদের দায়িত্বশীলতার মাত্রা দেখে, গাজীপুরে মুর্খ মানুষ ছেলেধরা ভেবে মানসিকভাবে অসুস্থ্য মহিলাকে গণপিটুনিতে খুন করেছে। ঠিক সেরকমই অনলাইনের শিক্ষিত সমাজ একজন গুজব রটনাকারীর রটনায় হিরো সাজতে গিয়ে দায়িত্বহীন বেহুশ বর্বর জনতায় পরিনত হয়ে জাবিকে আক্রমন করার প্রয়াস চালিয়েছে-যা দেখে আমরা হতবাক হয়েছি।
জাবিকে টার্গেট করে বহুলিংক প্রদানকারী আরব্যরজনীর রচয়িতারা কি চায়-আমরা জানি। আমরা এখনো জেগে আছি, থাকবো। অপশক্তির প্রতিরোধ চলবে, আপনাদের সহযোগিতা কাম্য, ঘৃণা নয়। ভালো থাকবেন।

৩২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৬

কষ্টসখা বলেছেন: @নষ্ট ছেলে,আপনার পশ্নগুলোর উত্তর আমি দিচ্ছি আাশা করি নিরপেক্ষ ভাবে চিন্তা করবেন।
#বাংলাদেশে এত বিশ্ববিদ্যালয় থাকতে বার বার কেন জাবির বিরুদ্ধেই এই ধরনের অভিযোগ আসে? নাকি বলবেন জাবি বাংলাদেশের সেরা(!) তাই।

উত্তর:জাবির ছাত্ররা ক্যাম্পাসে আসার সাথে সাথে কোন বিশেষ গোষ্ঠীর(ছাত্রলীগ,ছাত্রদল,শিবির) কানপড়া পেয়ে অন্ধ বা ভীতু হয়ে যায় না।তারা এখানে স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে শেখে ফলে প্রতিবাদ করে ফলে বিষয়টা এই মুক্ততথ্য প্রবাহের যুগে সবার কাছে পৌছে যায়।তাই আমি বলতে পারি জাবির ছাত্ররা অন্য যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়র ছাত্র ছাত্রীদের চেয়ে বেশী স্বাধীনচেতা ও সচেতন।আমি দেশের বিখ্যাত একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুনেছি ফাইনাল ইয়ারে পড়া এক ভাই ফাস্ট বা সেকেন্ড ইয়ারে পড়া পলিটিকাল পোলাপানের কথায় উঠে বসে কারন তাকে হলে সিট ধরে রাখতে হবে যা আপনি জাহাঙ্গীরনগরে কল্পনা ও করতে পারবেন না।আর কোন বিশ্ববিদ্যালয় সেরা এ বিষয়ে ক্যাচাল করতে চাই না কারন গবেষনা,চাকরি বা স্কলারশীপ কোনটা সেরার মানদন্ড তা কেউ জানে না

***অবস্থা ভয়াবহ না হলে তো বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইটে র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে ব্যানার লাগানোর কথা না?
উত্তর:সঠিক দিক নিদেশনা দেওয়া একটা বিশ্ববদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব।আপনি যদি সাম্প্রতিক সময়ে জাবিতে এসে থাকেন তাহলে দেখতে পাবেন শুধু র‍্যাগিং না,অতিথি পাখির নিশ্চিত বিচরন,পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সহ অনেক জনসচেতনতামূলক পোষ্টার জাবির এাখানে সেখানে টানানো রয়েছে।প্রশাসনের একটি ভাল উদ্যোগকে নেগেটিভ ভাবে নেওয়ার মানে হয় না।

***কেউ যদি সত্যিই র‍্যাগিং এর শিকার হয় তাহলে সেটা কিভাবে প্রমাণ করবে? অভিযোগ করলে তো স্বাভাবিক ভাবেই অস্বীকার করবে? আর সিনিয়রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে বাকি চার বছর কিভাবে কাটবে সেটা তো সবাই বুঝে
উত্তর: র‍্যাগিং এর শিকার হলে তা প্রমান করা খুব কঠিন কোন ব্যাপার না।একজনকে রেগ দিলে অবশ্যই কিছু ইভিডেন্স থাকার কথা। তাছাড়া যে সময়ে র্যগ দেওয়া হয় ঐসময়েই প্রক্টর বা দায়িত্বশীল টিচারকে ফোন দিলে তাৎক্ষনিক ভাবে on the spot এ প্রক্টরিয়াল বডি সেখানে হাজির হতে বাধ্য সেটা যে সময়ই হোক না কেন।এখন প্রশ্ন হতে পারে একজন নতুন ছাত্র কিভাবে এটা জানবে?এজন্যই তো প্রাসনের পক্ষ থেকে প্রক্টর বা দায়িত্বশীল টিচারদের ফোন নাম্বার টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।আর সিনিয়রদের বিরূদ্ধে অভিযোগ করলে কি হবে কিছুই হবে না বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন পড়াশোনা করে নিজের মেধায় কারো শরীরে পরগাছা হয়ে নয় যে সিনিয়ররা তাকে হেল্প না করলে সে পাশ করে বের হতে পারবে না।

আশা করি উত্তরগুলো আপনার বোধগ্য হবে

৩৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১১

নিওন বলেছেন: ভাই, আমি জাবিরে খারাপ বলছি না, স্বীকার করি, ওখান থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় পড়াটা যে কতটা মজার হতে পারে এটা বু্ঝতে শিখেছিলাম। হয়তো আমি ওখানে থাকলে বেশ ভাল র‌্যাগার হতে পারতাম :) কিন্তু আমি আমার ক্যাম্পাসে থেকে জানি, কাউকে শেখানোর লাইগা, র‌্যাগিং করতে হয়না। কে জানে এটা কার কি ধরনের মানসিক ক্ষতি করে?? যুদ্ধের প্রথম বোমাটা যেমন আমাদের হৃদয়ের উপর পড়ে সেটাকে দুমড়ে মুচড়ে দেয়, র‌্যাগিং ও যদি অমনটা করে??

৩৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২০

নষ্ট ছেলে বলেছেন: আমার ফেসবুক আইডি আমার আসল নামেই। আর নষ্ট ছেলে আমার আসল নাম না :D
অন্য কোথাও আছে কিনা জানি না। যাই হোক, আমার জানার সীমাবন্ধতা।

শিবির যদি সত্যিই এত বড় ষড়যন্ত্র করে থাকে তাহলে তো আপনাদের আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিৎ। আর এই ধরনের অপপ্রচার করে ক্যাম্পাসে শিবির কিভাবে স্থায়ী হবে সেটাও একটা তর্কের ব্যাপার!

আগেই বলেছি এই ধরনের অভিযোগ করাটা অভিযোগকারীর জন্য রিস্কি হয়ে যায়।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৯

অর্ণব আর্ক বলেছেন: ব্যক্তিগত প্যাচালের ল্যাদানি এই পুস্টে কেনো ??
দুরে গিয়া মরেন ..

৩৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৭

শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: শিবিরের ছাগুরা অন্যের আগুন লাগা ঘরে বসে আলু পোড়া খেতে দারুন অভ্যস্থ। এই পোষ্টে আজকে আবার তা দেখলাম। দোষ আমাদেরও কিছু আছে আমরাই সব কাজে এদের বদনাম করে করে এদের মাথায় তুলেছি।
আমরাই বলে যাচ্ছি এদের হাত অনেক লম্বা, এতে করি ঝড়ে বক মরে আর ফকির বেটার কেরামতি বাড়ে টাইপের সমস্যা প্রবল হয়ে উঠে।

জাবি আমার দেখা বাংলাদেশের সব চেয়ে সুন্দর ভার্সিটি, আমি চাই এ ভার্সিটি আরো দিন দিন অনেক উন্নতি করুক। আর ভার্সিটিতে কি হয় না হয় আমরা বাহির থেকে তা কিছুই বলতে পারবোনা। খামাখা কোন দোষারপ করা ঠিক হবে না।

আমি আমার আগের রাগ করে দেয়া বক্তব্য ফিরিয়ে নিচ্ছি।


সেই সাথে আশা করছি জাবির ছাত্রছাত্রীরা তাদের অতীতকে ভুলে গিয়ে ভবিষ্যতে কেউ যেন র‍্যাগিং এর নাম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম না করতে পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকবে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫১

অর্ণব আর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ভুল বুঝতে পারার জন্য।
আমরা জাবিতে লেখাপড়া করে সারাদিন ক্যাম্পাসে থেকে বুঝতে পারলাম না। আর ঐ বেটারা ফেসবুকের ওড়না পেইজে বৈয়া সব জাইনা যায়।
বাদ দেন যত্তসব ফালতু ।

৩৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৮

তুহিন আল মামুন বলেছেন: ভাই টিনের চশমা,
আপনি নিশ্চয় ন্যাংটা করার সময় পাশে ছিলেন ????
সত্যি কথা বলতে কি আপনারা পারেনও, আপনি যেখানে পড়েন বা পড়েছেন সেখানে সবই হয় শুধু বিচার হয় না ।
আর বড় বড় কথা বলতেছেন যারা তাদের বলি- আপনারা কোন সাধু বাবা আসছেন- নিজের প্যান্টের পেছনে একটু তাকিয়ে দেখেন- আপনার প্যান্টের পাছায়ও একটু ফুটা আছে ।

অন্য যে কোন ক্যাম্পাসের চাইতে জাবি অনেক বেশি নিরাপদ । যে বা যারা এই মিথ্যা ঘটনা ছড়িয়েছে তাদের শূলে চড়ানো উচিত । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন পরেই বলবেন যে ক্যাম্পাসে শিবির থাকলে এটা হতো না ।

যারা সাধা বাবার সন্তান এখানে আছে তাদের বলছি- আমার মনে হয় আপনার যদি কোন ভাই বোন এখানে চান্স পায় তবে তাকে ধর্ষক মানিকের স্মৃতি বিজরিত এই ক্যম্পাসে পাঠাবেন এবং র‌্যাগার ধর্ষকদের হাতে তুলে দিবেন ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৮

অর্ণব আর্ক বলেছেন: অসাধারণ বলেছিস তুহিন..
এর উপরে আর কিছু বলার নাই।
জরুরী কাজে ব্যস্ত আছি নাহলে সব কমেন্টের উত্তর দিতাম।
এখন পোস্টের গেইট খুইলা রাখছি।
ইচ্ছা মতো ল্যাদাইতে দে।
ঐ গুলা দিয়া তো হিউমাস সারও হৈবে না।
যে আবালের চশমা টিনের তার কমেন্টের আর কি জবাব আছে।

৩৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪২

স্বাধীকার বলেছেন:
শরীফ ভাই,

আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য জাবির দরজা সব সময় খোলা। জাবিতে যেকোনো সময়, যেকোনো প্রয়োজনে-জানাবেন, পাশে পাবেন। পরিচিত, অপরিচিত অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে পরীক্ষা দিতে আসে, কয়েকদিন কয়েকটি গ্রুপের পরীক্ষা হয়, অনেকেই একাধিক গ্রুপে পরীক্ষা দিতে চাইলে ক্যাম্পাসে থাকার দরকার পড়ে। যদি এমন কোনো প্রয়োজন কখনো পড়ে, আমাদের জানাবেন, আমরা ক্যাম্পাসে না গিয়েও অবস্থান করার ব্যবস্থা করার আশা রাখি। ক্যাম্পাসে পাখীমেলা হয়, যদি কখনো যান, জানাবেন।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা আপনার জন্য।

৩৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪২

নষ্ট ছেলে বলেছেন: "কষ্টসখা বলেছেন: @নষ্ট ছেলে,আপনার পশ্নগুলোর উত্তর আমি দিচ্ছি আাশা করি নিরপেক্ষ ভাবে চিন্তা করবেন।
#বাংলাদেশে এত বিশ্ববিদ্যালয় থাকতে বার বার কেন জাবির বিরুদ্ধেই এই ধরনের অভিযোগ আসে? নাকি বলবেন জাবি বাংলাদেশের সেরা(!) তাই।

উত্তর:জাবির ছাত্ররা ক্যাম্পাসে আসার সাথে সাথে কোন বিশেষ গোষ্ঠীর(ছাত্রলীগ,ছাত্রদল,শিবির) কানপড়া পেয়ে অন্ধ বা ভীতু হয়ে যায় না।তারা এখানে স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে শেখে ফলে প্রতিবাদ করে ফলে বিষয়টা এই মুক্ততথ্য প্রবাহের যুগে সবার কাছে পৌছে যায়।তাই আমি বলতে পারি জাবির ছাত্ররা অন্য যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়র ছাত্র ছাত্রীদের চেয়ে বেশী স্বাধীনচেতা ও সচেতন।আমি দেশের বিখ্যাত একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুনেছি ফাইনাল ইয়ারে পড়া এক ভাই ফাস্ট বা সেকেন্ড ইয়ারে পড়া পলিটিকাল পোলাপানের কথায় উঠে বসে কারন তাকে হলে সিট ধরে রাখতে হবে যা আপনি জাহাঙ্গীরনগরে কল্পনা ও করতে পারবেন না।আর কোন বিশ্ববিদ্যালয় সেরা এ বিষয়ে ক্যাচাল করতে চাই না কারন গবেষনা,চাকরি বা স্কলারশীপ কোনটা সেরার মানদন্ড তা কেউ জানে না"

মাফ করেন ভাই আর তর্ক করতে চাই না। জাবিই সেরা মাইনা নিলাম! সন্দেহ করার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আশা করি ক্ষমাশীলতার দিক দিয়েও সেরাই হবে।
সুইট ড্রিমস :)

৩৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫০

কষ্টসখা বলেছেন: @শরীফ মহিউদ্দীন
জাবি কোন ভীরু ,কাপুরুষ ,রোবট বা মুরগির খোয়াড় না তাই আপনার অনাগত ভবিষ্যত যদি এই গোত্রীয় কোন কিছু হয় থাকে তাহলে পাঠানোর দরকার নাই আর যদি মনে করেন সে হবে রক্ত মাংসের মানুষ যে দেশের,দশের বিপদে এগিয়ে আসবে, যে একজন মুমুষু রোগীকে রক্ত দিতে হাজার সমস্যা মাথায় নিয়ে ও হাসাতালে ছুটে যাবে ,যে অহেতুক অপমানিত হওয়া মা বা বোনকে অপমানের হাততথেকে বাচাতে শত অত্যাচার উপেক্ষা করে বুক চিতিয়ে দাড়িয়ে যাবে তাহলে তাকে,আপনার অনাগত ভবিষ্যতকে এই ক্যাম্পাসে পাঠিয়েন।আমন্ত্রন রইল

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৩

অর্ণব আর্ক বলেছেন: আন্দোলন জাবির ঐতিহ্য।
শত ঘাত প্রতিঘাতে কোনো অপশক্তির লড়াই সহ্য করেনি জাবি।
ভবিষ্যতেও করবে না। তাই জাবিকে পেচিয়ে যত অপ্রচার চালানো হোক না কেনো এতে জাবির কিছুই আসবে যাবে না।
এগুলো আসলে আঙ্গুর ফল টক মার্কা কাহিনী।
কুনো হালায় চান্স পাইয়া মারায় নাই।
তাই নিজেদের বাপ মানিকের নাম নিয়ে মজা লৈতেচে।
যত্তসব হতভাগার দল।

৪০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫০

হাছন রাধা করিম বলেছেন: স্বাধীকার ভাই আপনার শেষের করা দুইটা মন্তব্য পড়ে শুধুই আশ্চর্যিত হচ্ছি।

৪১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৯

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: সব ই বুঝলাম তবে কেউ কেউ মাহবুব ভাইকে বলির পাঠা বানানোর চেষ্টা করছে যা আমার কাছে ভালো ঠেকছে না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৭

অর্ণব আর্ক বলেছেন: বাদ দেন। কপি আজাদ পর্যন্ত দেখি তেনার খ্যাতিপ্রাপ্তির সুযোগ কাজে লাগাইতে চাইছে। অবাক করা কাণ্ড। যত্তসব হিটসিক পোলাপাইন। এতো হিট দিয়া খাইবি নাকি গায়ে দিবি।

৪২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৪

গরিব বলেছেন: আকাম গুলা যদি না করে তাহলে ত অপপ্রচারের প্রশ্নই আসে না !!

৪৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৫২

সুদীপ্ত কর বলেছেন: জামাত-শিবির সব চাইতে বড় মেশিনবাজ। এরা সবাইরে, সবকিছুরে খালি ইউজ করে।
লীগরে ইউজ করে, বিএনপিরে ইউজ করে, সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনকে ইউজ করে। ভার্সিটিতে লাথি খেয়ে বের হইসে তাই আজাইরা ইস্যু দিয়া লাফায়। আর কিছু নিউট্রাল মানুষও না বুইঝাই লাফায়। তিলরে তালবাগান বানায়া এদের দিন যায়।

এই শালাদের মত ছাগল ভার্সিটি পর্যন্ত কেমনে যায়?

আপনারা চিন্তা করবেন না। আমরা আপনাদের সাথে আছি। র‍্যাগের নামে অত্যাচারের বিপক্ষে আমরা সবাই। দুই একটা ফানি কথাবার্তা বলে ফ্রি হয়ে বাকী তিন বছর ছোটভাইয়ের যে কোন পেইন সহ্য করাকে যদি কেউ র‍্যাগিং বলে সে বলুক।

৪৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

কষ্টসখা বলেছেন: @চেয়ারম্যান০০৭ ,ভাই আপনি আমার অত্যন্ত প্র্রিয় একজন ব্লগার। আপনার প্রতি সেই ভালো লাগার দাবি নিয়ে বলছি,মাহবুবব হোসেন যে কাজটা করেছেন তা কতটা ভয়ঙ্কর তা নিশ্চয় আপনি বুঝতে পারছেন।এই একটা পোষ্টের কারনে হাজার হাজার নিরপরাধ বোনকে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম ভাষায় অপমান করা হচ্ছে ব্লগে ,ফেসবুকে।এই একটা পোষ্টের কারনে আমার প্র্রিয় ক্যাম্পাসকে যা খুশি তাই বলছে কিছু মনুষত্বহীন জ্ঞানপাপী।
আপনার কি মনে হয় না এতো বড়ো একটা ঘটনা যিনি ঘটিয়েছেন তার ন্যুনতম অনুশোচনা থাকা উচিত?
ভুল স্বীকার করে জাবি প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়া উচিত?

উনার তথাকথিত পরিচিত ফেসবুক পেজের এডমিনদের মাধ্যমে তার যে ভুল হয়েছে তা স্বীকার করে জাবির নামে মিথ্যা রটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে কোন নোট পেজগুলোতে শেয়ার করা উচিত?

৪৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

রেজোওয়ানা বলেছেন: অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে মাহাবুব ভাইকে এবং তার অনালাইন জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করা হইসে, ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করেছে কেউ কেই......... এমন কি বিখ্যাত কবি আজাদ সাহেব দেখি এখন সব 'দায়' মাহাবুব ভাইয়ের উপর তেল সহযোগে চাপাইয়া দিয়া কাইটা পরার চেষ্টা করতাছে.....চমৎকার!

মাহাবুব ভাইয়ের আহব্বানে সাড়া দিয়ে তাকে যথাসাধ্য সহযোগীতার চেষ্টা করা হয়েছে, তার সাথে অনেক ইনফো শেয়ার করছি, সেও করেছে.....এখন আশাকরি সে যত দ্রুত বিষয় গুলো অনুধাবন করতে পারবেন, ততই মঙ্গল!

এবং তার সকল শুভাকাংখীরই তাকে সহযোগীতা করা উচিত বিষয় গুলোর বুঝতে সাহায্য করা @ চেয়ারম্যান।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৯

অর্ণব আর্ক বলেছেন: এই কপি আজাদকে আবারো দেখা যাবে লিটল ম্যাগ চত্তরে, ঐ বইমেলায়। ওরে দেখলে কেনো জানি গা জ্বালা করে। কেমন চাম্পু চাম্পু ভাব আচার আচরণে।

৪৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: @কষ্টসখা ঠিক বলেছেন আপনি।যে লোক খেয়াল খুশি মত আরব্যরজনির গল্প সৃষ্টি করলো এবং যার ফলে আমার ক্যাম্পাস কে নিয়ে এত্ত কুকথা হল তার অবশ্যই শাস্তি হয়া দরকার।
আমাদের ক্যাম্পাস নাকি বেশ্যালয়!!!!!!!!!!!!!!আর যে সব মাথা মোটা পাবলিক কিছু না বুঝে শুনে কমেন্ট করে তাদেরও ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। এদের যে অবস্থা দেখছি তাতে মনে হয় এরা যদি কোনোদিন শোনে ভারত বাংলাদেশ আক্রমন করতে আসছে তাহলে সত্যমিথ্যা যাচাই না করেই বউ বাচ্চা নিয়ে বঙ্গপসাগরে ঝাপ দেবে।
সত্যি সত্যি র‌্যাগিং হোক তারপর তার প্রতিবাদ করবেন।থাকব আপনাদের সাথে।

আর বেশি সোচ্চার জনসাধারনের কাছে প্রশ্ন শুধু জাবির নিউজ়গুলো নিয়েই কেন আপনাদের এত মাথাব্যথা।আপনারা এতই যখন সচেতন তখন সারা দেশে ক্যাডট কলেজ,ঢাবি,খুবি,মেডিক্যাল বা বুয়েট নিয়ে কিছু বলেন না কেন?????

একটা জায়গাতে এমন ঘটনা ঘটলে চাইতে পারেন অপরাধির শাস্তি হোক।সেটা না করে পুরো ক্যাম্পাস ও তার ছাত্রদের উদ্দেশ্য যাতা কথা বলবেন এটা আপনাদের কেমন শিক্ষা?????

এতদিন মনে করতাম ব্লগ ফেসবুকের মত আজাইরা পাব্লিকের জায়গা না।এখন দেখছি এখানেও সব ফাউল পাব্লিকে ভরে গেছে।মানুষের এমন মুর্খের মত কমেন্ট দেখলে নিজেদের ই লজ্জা লাগে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০১

অর্ণব আর্ক বলেছেন: ভাই কমেন্ট না কৈরা লাইত্থাইয়া পশ্চাৎদেশ লাল কৈরা দেন না কেনো।
যত্তসব ইতর বালাই। মনে করছে এইডাও জগা বাবুর পাঠশালা। এখানেও র্যাগিং ব্যাগিং নামে নানা কথা বার্তা তুলে চামে সহজেই মগাচীপ হৈয়া যাইবে গা। কিন্তু বাপি দিল্লী অনেক দুর। বয় হৈলো এত্ত, জাবি আর জগার পার্থক্যা বুইঝতার্লিনারে পাগলু :(

৪৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

অপরাজেয় বিদ্রোহি বলেছেন: শুধু একটা কথাই বলব যে,RAG দিয়ে কখনও কারো মন জয় করা যায় না। আর জাবির RAGএর শিকার হওয়া এক ফ্রেন্ড আজ ফোন দিয়ে অনেক গালিগালাজ করল RAGপ্রদানকারীদের। ওর বর্ণনা অনুসারে জাবিতে RAG বলতে কিছু নেই যা আছে তার নাম বিকৃত মানুসিকতা সম্পর্ন কিছু রুচীহীন মানুষের নতুনদের প্রতি নির্মম মানসিক অত্যাচার...পর্ণ দেখতে বাধ্যকরা, চটি পড়তে বাধ্য করা, অন্য ছেলেরবিশেষ অঙ্গে হাত দিয়ে মাপ বলতে বাধ্য করা- এটা কোন ধরনের আচরন? এবং শেষে বলে দেয়া হয় যে, ''ক্যাম্পাসে যা ইচ্ছে তাই করবি, মাল(!) দেখলে আওয়াজ দিবি-কেউ কিছু করলে আমরা দেখব!''

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০২

অর্ণব আর্ক বলেছেন: যেমনকে তেমন। তাইলে বুঝি ঐ বেডা ঐ গোষ্ঠীরই লোক ছিল।

৪৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

একাকী সমুদ্রে বলেছেন: আপনারাই ঐ গোষ্ঠী যারা চান জুনিয়র পোলাপাইন ফাস্ট ইয়ারে ভর্তির পরদিন থেকেই প্রকাশ্যে বিড়ি খাইতে খাইতে চার ইয়ার সিনিয়রের মুখে ধোয়া মারুক। তিন-চার বছর সিনিয়র মেয়েদের টিজ করুক আর নিজেরা বহিরাগত বান্ধবী নিয়ে জনসমক্ষে আকাম কুকাম করুক। আপনারা যদি মনে করেন এরপরেও তেনারা ফাস্ট ইয়ারর। লুতুপুতু বাবু তেনাদের কিছু কওয়া কবিরা গুনাহ। জাবির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এর সাথে একমত নন।
এতে আপনাদের অতিরিক্ত জ্বালাপোড়া হৈলে জাবিতে গিয়া হাজির হোন।



লেখক বলেছেন: শুনেন এই সব ফালতু কথা আমাদের শেখাতে আসবেন না।
যদি ইচ্ছে হয় আমার ডিপার্টমেন্টের যেকোনো জুনিয়রের কাছে গিয়ে জিগ্গাসা কইরেন।
মিয়া পরীক্ষার আগের দিন রাইতে জুনিয়রদের ২০০ পেজের রিপোর্ট দেইখ্যা দিয়া পড়তে বসার মতো বদান্যতা জাবির বড়ভাইরাই দেখাতে জানে। জাবিতেই এমন অনেক সিনিয়র ভাইকে দেখেছি যারা যাওয়ার পর জুনিয়ররা একসাথে হাউমাউ করে কান্নাকাটি করে।
জাবিতে সিনিয়র জুনিয়র রিলেশন অন্তত আপনার পারিবারিক রিলেশন থেকে ভালো এটুকু বলতে পারি।



লেঞ্জা লুকাইয়া রাখা দায় B-)) B-)) B-))
সাবাস বাঘের বাচ্চা।

আমি জাহাঙ্গীরনগর এ পড়ি নাই তোমাদের মত কাউকে কখনও র‍্যাগও দেই নাই। তবুও আমার হল থেকে বিদায় এর কয়েকটা জুনিয়র কানছিল ।

আসল ব্যাপারে কই আমার এক ফ্রেন্ড ছিল তোমাদের ভার্সিটিতে বাল ছাল পলিটিক্স করত। ওর সাথে দেখা করতে গিয়ে মাঝে মাঝে থাকতাম। তখন যা দেখছি তাতে বুঝতে পারছি যে ঘটনা নিয়ে এত তোলপাড় তা গুজব হতে পারে কিন্তু এরকম ঘটনা তোমাদের ক্যাম্পাসে সবসময় ঘটে

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৪

অর্ণব আর্ক বলেছেন: লেঞ্জা লুকাইয়া রাখা দায় B-)) B-)) B-))
সাবাস বাঘের বাচ্চা।

৪৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

অপরাজেয় বিদ্রোহি বলেছেন: শিবির আসলেই যে RAGবন্ধ হয়ে যাবে তা নয়, শিবির আরো জঘন্য। ওরা যাতে ক্যাম্পাসে না আসতে পারে এই ব্যবস্থা আপনাদেরই করতে হবে। RAGGINGএর মাধ্যমে আপনারাই ওদের হাতে ক্যাম্পাসে আসার রাস্তা বাতলে দিচ্ছেন।
এবার একটা ব্যাক্তিগত কথা বলি, শুধুমাত্র RAGএর ভয়ে আপনাদের ভার্সিটিতে ভর্তি হইনি!

৫০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১২

শহিদ শাকিল নিহন বলেছেন: অহেতুক জাবি নিয়ে ক্যাচাল করার কোন কারণ দেখি না ,তবে আমার এক স্টুডেন্ট(উপজাতি ,মেয়ে) এইবার মিস্ট এ ভর্তি হয়েছে , ভয়ে জাবিতে ভর্তি হয় নাই , কার কাছে কি শুনেছে আল্লাহ জানে। আমি আপনাদের কাউকে দোষারোপ করছি না । কখনো একদু'জনের ভুলের জন্য, বাড়াবাড়ির জন্য বাকীদের কথা শুনতে হয় । তবে আশা করি অনেকের ভুল গুলো আপনারা ভাঙ্গাবেন , কারন ভুল গুলো দূর করার পাশাপাশি ভুল ধারণা গুলো দূর করা ও জরুরি । আর মিস্ট এর উদাহারণ টা দিলাম এই জন্য যে জাবি ভালো হওয়া সত্ত্বেও কেউ কেউ ভয় পায় ,ভুল ধারণার জন্য । আশা করি ভুল বুঝবেন না। টুকটাক র‍্যাগ খারাপ না :P :P । তবে আপনাদের উচিত আগামী ২-৩ বছর সম্পূর্ণ র‍্যাগ মুক্ত ক্যাম্পাস রাখা ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৫

অর্ণব আর্ক বলেছেন: আরে ভাই আমাদের ব্যাচের পর থেকেই জাবিতে আইনত রেগ নিষিদ্ধ।
:)
৩৫ ব্যাচ তাদের রেগ উৎসব পর্যন্ত করতে পারেনি।
আর কি কমু :)

৫১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

কষ্টসখা বলেছেন: @অপরাজেয় বিদ্রোহি,জাবি ক্যাম্পাস অন্যায়ের বিরূদ্ধে সংগ্রামের ক্যাম্পাস।রেগের ভয়ে ভীত কোন ভীরূর ক্যাম্পাস না।
আমি যদি বলি আপনার কোন প্রিয় মানুষ কোন অন্যায় করেছে আপনি কি যাচাই না করেই বিশ্বাস করবেন?তাইশোনা কথা এভাবে প্রচার করতে নেই।
@শহিদ শাকিল নিহন,৫০০০তম হয়ে অনেকে লেকচার ছাড়ে আমি অমুক জায়গায় চান্স পাইছিলাম,পড়লাম না।আপনার স্টুডেন্ট ঐ প্রজাতির কেউ একজন খবর নিয়ে দেইখেন।
@একাকী সমুদ্র,ঢাবিতে পলিটিকালদের কথা না শোনায় সারা রাত হলের ছাদে আটকে রাখা,রাবিতে শিবির না করায় অত্যাচার করা এই ঘটনাগুলো কি আপনি দেখেন না,নাকি জাবির কথা শুনলেই চুলকানি শুরু হয়?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৬

অর্ণব আর্ক বলেছেন: জাবির কথা শুনলেই চুলকানি শুরু হয়

৫২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

একাকী সমুদ্রে বলেছেন: @কষ্টসখাঃ জাবির মধ্যে অনেক বিছা আছে ওই গুলা আইসা চুল্কায় মনে হয় :-P

যেখানে যত কিছুই হউক এখন যেটা হইছে সেটা নিয়ে কথা। অন্য ইউনিভার্সিটিতে খারাপ কিছু হলে ওদেরকে নিয়ে বলব। তবে সত্যি বলতে গেলে জাবি হইছে সেরা। অন্য সবগুলাতে যত খারাপ কাজ হয় সবগুলা মিলাইলেও এই একটার অর্ধেক হবে না। :-B :-B

৫৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮

কষ্টসখা বলেছেন: @একাকী সমুদ্রে,আপনার মিথ্যাচারে জাবির কিছু যায় আসে না । মনে রাখবেন মিথ্যা রটনা করে হাততালি পাওয়া যায় কিন্তু বিনিময়ে বিবেক বিক্রি করে দিতে হয়।

৫৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

একাকী সমুদ্রে বলেছেন: আমি কি মিথ্যা ঘটনা কইলাম X( তোমরা যা বলছ তা কপি পেস্ট করছি। তাতেই তোমরা খেপে গেছ। এরকম না খেপে গিয়ে নিজেদের সংশোধন কর। সেটাই ভাল হবে

৫৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

ঘুড়িবাবা বলেছেন: আমার মনে পইড়া গেল, গত বছর জাবির এক আপুরে মোবাইলে অনেক জালাইছিলো এক বিশিষ্ট (অ)ভদ্রলোক ।কুপ্রস্তাব দিছিল। পরে সে দেকা কত্তে আসছিল, তখন নাকি তার বাজে জায়গাগুলায় কিছু মালিশ করা হইছিল। নষ্টছেলে মনে হয় সেই ভদ্রলোক অথবা তারই মত কেউ যে জাবিতে আসছিল আকাম করতে আর পরে হেহেহেহে........ধরা খাইয়া জান হাতে নিয়া পালাইছিল।
এর লাইগা তার এত রাগ জাবির উপরে, উম্মা। ঠিক ধরছি না নষ্টছেলে? নামটা্ও তাই কয়।

৫৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

ঘুড়িবাবা বলেছেন: কয়েকজন কইল, র‌্যাগের ভয়ে জাবিতে ভর্তি হয় নাই, যেন কইলেই ভর্তি কইরা নেয় জাবিতে!!!!!!!!!!!
আর এই ভীতুর ড়িমগুলা জাবিতে ভর্তি না হইয়া ভাল করছে। জাবি বলদের গোয়াল না, জাবি বাদুরের গুহা ও না।
যারা আগেই ভয় পাইছে তারগো জাবি কেন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার হক নাই। বিশ্ববিদ্যালয় খালি পড়ার জায়গা না, নিজেরে সামনের দিনে টিকে থাকার জন্য তৈরির জায়গা ও।এইসব ভীতুরাই দেশের একটার জন্য দায়ী। উটপাখির মতন মাথা গুইজা থাকে কিছু দেখলে।জাবির ছাত্র-ছাত্রীরা তো আর তেমন না,
অন্যায় দেখলে কেমনে আগায়া যা্ওয়া লাগে তারা জানে।এইসব ভীতুর ড়িম জাবিতে ভর্তি হইলে জাবির প্রতিবাদের ইতিহাস বন্ধ হইয়া যাইত।
ভয় পা্ওয়া বলদগুলারে বলি, জীবনটা তো কা্টাইলা ভয় পাইয়া, এখন অন্যদের ও ভয় দেখা্ও জাবি নিয়া। দেখা্ও দেখা্ও দেখা্ও।যত দেখাইবা তত বুজবো জাবি নিয়া তোমাদের মত সুবিধাবাদীদের ভয় কত?

৫৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

অশুভ বলেছেন: যারা র‌্যাগের ভয়ে জাবিতে ভর্তি হয় নাই বলছে, আমার ধারণা জাবিতে তাদের ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতাও নাই। আংগুর ফল টকই হয় এইসব ক্ষেত্রে। তাদের বলছি, দুঃখ কইরেন না ভাইয়েরা পরের জনমে ট্রাই কইরেন। ;)

৫৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ধানের চাষী বলেছেন: অপপ্রচার যারা চালাইছে আর এই পোস্টে যে সব আ*লরা আকাইম্যা কমেন্ট কইরা মজা নিছে তাদের মুখে জুতার বাড়ি।
কয়েকটা পেপার কাটিং দেখলাম মনে হইলো ! তো এত সোচ্চার যারা, তাঁরা এই গুজব স্বীকার কইরা যে বিবৃতি গুলা দেওয়া হইছে সেগুলা একটু দিলে ভালো হয়।
অন্তত বুঝতে পারতাম যে তাঁদের নিজেদের পরিবারের কোন মেয়ে অপমানের শিকার হইলে বা বানানো কথা বলা হইলে মজা না নিয়া তাঁরাও প্রতিবাদে আগাইয়া আসবে !!!
আর জাবির সব ভাইয়া-আপু-সহপাঠী-জুনিয়রদের ধন্যবাদ, অন্যায়ের প্রতিবাদে আমরা সোচ্চার থাকবো, সবসময় ।

৫৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১০

ড্যানিয়েল আর্যভট্ট বলেছেন: জাবিতে মারাত্মক র‍্যাগ হয় সেটা অস্বীকার করাটা বোকামি। যদি সঠিক কাজটি করতে চান তাহলে র‍্যাগের নামে যেসব অনাচার হয় সেসব বন্ধ করার জন্য প্রচারণা চালান। আমি একজন প্রত্যক্ষদর্শী। মেয়েদের র‍্যাগ দেয়া নিয়ে এর আগেও অনেক কথা হয়েছে। জাবিতে অনেক ভালো পরিবারের মেয়ে ভর্তি হতে চায়না কেন? দেখুন জাবি ক্যাম্পাস আমার একটি প্রিয় স্থান। অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ হয় না। মেয়েদের অসহায় পেয়ে অনেকেই নিজেদের কাপুরুষত্ব প্রকাশ করে। সব ঘটনা সামনে আসেনা। অহরহ জাবিতে এসব ঘটনার খবর আমরা পাই।

৬০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

ক্লান্ত দুচোখ বলেছেন: আইজকার পত্রিকা... B-))

জাবিতে র‌্যাগিং: সিনিয়র আপুকে প্রেমের প্রস্তাব!

৬১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

ধানের চাষী বলেছেন: বাংলানিউজ৪২০ ওই সাইটটা না ? কোন মডেলের কয়টা গোপন ভিডিও বাইর হইছে তা নিয়া শিরোনাম দিতো !!!
এত পাবলিক বংলানিউজের ফ্যান !!!

৬২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০২

সোর্বিয়ের বলেছেন: জাহাঙ্গীরনগরে ৫ বছর পড়েও বুঝতে পারলামনা জায়গাটা এত এত ভয়ংকর!! আর ফেসবুক ও ব্লগে দুই একটা ভূয়া নিউজ দেখেই সবাই বুঝে ফেলছে জাবি একটা ভয়ংকর জায়গা। আফসুস নিজের প্রতি !!

মানুষ এত এত সময় কই পায়? একটা ভূয়া খবরে এত ফালাফালির কি আছে?

যারা ফালাফালি করতেছেন তাদের বলছি, জাহাঙ্গীরনগর গিয়ে কয়দিন ঘুরে আসেন। তারপর নিজের মত করে জানুন জায়গাটা কেমন !!

৬৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২১

স্বাধীকার বলেছেন:
৥ হাছন রাধা করিমঃ

ভাই, আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা আমি কি কোনো ভুল করলাম কিনা। কেন আশ্চার্য হয়েছেন-আমাকে বলুন, আমার ভুল হলে/কষ্ট দিয়ে থাকলে আমি সরি। জানান প্লিজ।

৬৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১০

htusar বলেছেন: মুল পোস্টের থেকে কমেন্টে অনেক বেশি কিছু জানতে পারতেসি। আমি এটাই বুঝি না এত বিশ্ব-বিদ্যালয় থাকতে জাবিকে নিয়েই কেন এমন হচ্ছে? র‍্যাগিং এর নিয়ে যত কথা-বার্তা হচ্ছে তা কি পুরোটাই অপপ্রচার নাকি কিছু সত্যি ও আছে? এটা কি পুরোটাই সিবিরের কাজ নাকি অন্য কিছুও এর সাথে যুক্ত? এতে কার কি লাভ?
পর্যবেক্ষনে নিলাম।

৬৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

রেজোওয়ানা বলেছেন:
‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ ও কিছু কথা

ঘটনা ১:
ঠিক কবেকার কথা , মনে নেই। সকালে পত্রিকা খুলেই এক বীভৎস ছবি। ৩১ শে ডিসেম্বর রাত ১২ টা। একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদছে। ৭-৮ জন ছেলে তার পরনের কাপড় টেনে টেনে ছিঁড়ে উলঙ্গ করার চেষ্টা করছে। মেয়েটার সর্বাঙ্গে ছেলেগুলোর কিলবিলে হাত। আর আরও অনেক ছেলেরা দৃশ্যটি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছে । না, এরা ৭১ এর হানাদার বাহিনী নয় । এরা এই দেশের সবচাইতে বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

ঘটনা-২:
বাজারে এক পর্ণ সিডি ছড়িয়ে পড়লো। সিডির নায়ক, দেশের সবচাইতে নামী ও অভিজাত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তা, সেই নায়ক সাহেব আমাদের দেশে ‘লুকানো ক্যামেরায় পর্ণ ছবির’ জনক। তিনি অনেক মেয়ের সাথে প্রেম করতেন এবং তাদের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও বাজারে বিক্রি করতেন। এই মেয়েদের মধ্যে একজন পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছিলো।

ঘটনা-৩:
দেশের পাবলিক মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা একজন মহিলা চিকিৎসক ধর্ষিত এবং খুন হলেন একজন ওয়ার্ড বয়ের কাছে। মিডিয়া তোলপাড় হল। নারীনেত্রীরা সরব হলেন। নিরব রইলেন শুধু সেই মেয়েটির সহপাঠীরা । অনেক ধরনের দাবি নিয়ে যারা প্রায়ই হাসপাতাল এ চিকিৎসা দেয়া বন্ধ করে দেন , একটু ইচ্ছে করলেই তারা মেয়েটির খুনের বিচার চেয়ে লড়াই করতে পারতেন, তাতে আর কিছু না হোক, ধর্ষণকারীরা কিছুটা হলেও সাবধান হতেো।
পবিত্র শিক্ষাঙ্গনকে কলঙ্কিত করা এমন শত শত নারী নির্যাতনের ঘটনা আমি এই মুহূর্তে বলতে পারি, যেসবের কোন প্রতিবাদ হয়নি সহপাঠীদের কাছ থেকে।

ঘটনা-৪:
একটি সনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাশালী এক ছাত্র নেতা একদিন কেক কেটে ঘোষণা করলেন, তিনি ১০০ মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন।সাথে সাথে খবরটি ছড়িয়ে পড়ল সারাদেশে। খবর ব্যাবসায়িরা প্রচার করলো , এই ১০০ টি মেয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন ছাত্র ১০০ জন ছাত্রী কে ধর্ষণ করেছে, বিষয়টা কতটা অবাস্তব আর হাস্যকর এবং আদৌ সম্ভব কিনা , সেটা যাচাই করার মত সময় বা ইচ্ছা কারো ছিলনা। সেই ছাত্রনেতা স্বীকার করল, সে ধর্ষণ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে পাশের গ্রামের কিছু মেয়েকে , সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছিল ২ জন। কিন্তু, মিডিয়া সেটা মানবে কেন? গ্রামের মেয়েরা ত অহরহই ধর্ষিত হয় । কিন্তু ১০০ ছাত্রী ধর্ষণের মত রগরগে এবং রসাল ঘটনা পাবলিক যে বেশী খাবে। সাংবাদিকরা ঠিকই ভেবেছিলো। পাবলিক খবরটা শুধু খেলোনা, চিবিয়ে চিবিয়ে খেলো। কেউ কেউ আবার আবিস্কার করল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব মেয়েই ধর্ষিত । এই বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম ‘জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ ।

প্রথম তিনটি ঘটনায় আমি কোন নাম উল্লেখ করিনি। কারন, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কে কলঙ্কিত করার ইচ্ছা আমার নাই। আমি শুধু আত্মভোলা বাঙ্গালী জাতীকে মনে করিয়ে দিতে চাই, নারী নির্যাতন বাঙ্গালী জাতীর নাড়ির স্বভাব। দেশের ছাত্র সমাজ , বাংলাদেশের বাইরে নয়। তাই, প্রায়ই এই ধরনের ঘটনা দেশের সব স্কুল , কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে। আমাদের দেশ সেই দেশ, যেখানে নারী ধর্ষিত হলে সবাই ঘটনাটাকে প্রথমে চাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এই কাজটা শুধু গ্রামের গরীব অশিক্ষিত লোকেরা করে তা কিন্তু নয়।দেশের সর্বচ্চ ডিগ্রীধারী , সর্বচ্চ সন্মানের অধিকারী লোকটিও একই কাজ করে । দুর্ভাগ্যক্রমে কোন কারনে যদি ঘটনা প্রকাশিত হয়ে যায় , তাহলে প্রথম যে কাজটি করা হয়, তা হল, ধর্ষিত মেয়েটির কোন না কোন দোষ খুজে বের করা। মেয়েটি খারাপ ছিল, মেয়েটি ওখানে গেল কেন, মেয়েটির পোশাক অশ্লীল ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি। শিক্ষক দ্বারা স্কুলের ছাত্রী ধর্ষিত হবার একটি ঘটনায়, দেশের সবচেয়ে পঠিত একটি পত্রিকায় সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক একটি লাইন পড়ে অবাক হয়েছিলাম । সেটি হল, মেয়েটি স্কারট পরে শিক্ষকটির বাড়ি পড়তে গিয়েছিল । যেন , এই স্কারট পরার অপরাধে শিক্ষক ছাত্রীকে উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। যাই হোক, এই হল মোটামুটি নারী নির্যাতন সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষের মানোসিকতা । এখন এই দেশের কিছু ছাত্রছাত্রী যদি , ক্ষমতাসীন দলের ধর্ষণকারী ছাত্রনেতাকে বহিষ্কারের জন্য আন্দোলন করে , ক্লাস বর্জন করে, হাতে হাত মিলিয়ে ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে প্রতিবাদ করে, তাহলে দেশের আপামর জ্ঞানীগুণীদের ভ্রু কুঞ্চিত হয়ে উঠবে, এটাই কি স্বাভাবিক নয়? আমার উল্যেখিত প্রথম তিনটি ঘটনায় ছাত্র সমাজ ফুঁসে ওঠেনি , গনআন্দোলন করে নিউজ পেপারের হেডলাইন হয়নি। তারা সমস্ত ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে হেঁটে চলে গেছে, যেন কিছুই আসে যায়না । যেমনটা প্রতিদিন আমরা করে থাকি। শুধু তাই নয়, আমরা ধর্ষিতাকে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করি নিউজপেপারে , পুলিশ স্টেশনে , কোর্টে । কিন্তু , বোকা জাবির ছেলেপেলেরা, ধর্ষণকারীকে বহিষ্কারের দাবী নিয়ে সরকারী ভিসির কাছে হাজির হল।আরও দাবী করলো, শিক্ষাংনঙ্গনে মেয়েদের জন্য ‘যৌন নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা’ করা হোক। সরকারের দালাল ভিসি যখন জিজ্ঞেস করল, তোমাদের মধ্যে কে ধর্ষিত হয়েছে, সামনে আস। জাবির সবগুলো মেয়ে একসাথে এগিয়ে এসে বলল, আমরা সবাই ধর্ষিত হয়েছি । কি সাহস এই মেয়েগুলোর বুকে। ধর্ষিত সহপাঠীকে অপমানের হাত থেকে বাঁচাতে আর কোন উপায় যে ছিলোনা। এত বছরের আন্দলনের মধ্যে একবারও জাবি র ছেলেমেয়েরা ধর্ষিতার নাম প্রকাশ করেনাই। জাবির ছেলেরা কত মার খেয়েছে উপাচার্যের গুন্ডা বাহিনীর কাছে। কত অপমান, কত হুমকি, বহিষ্কার, পুলিশের লাঠি । তবু , একরোখা ছেলেমেয়েগুলো ধর্ষণকারীকে ক্যাম্পাস ছাড়া করেছিল। সরকারের অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও , ঘটনার নায়ক মানিককে বহিষ্কার করতে বাধ্য হয়েছিল প্রশাসন । কিন্তু বহিষ্কারের কয়েক বছর পর ওই মানিক কে পরিক্ষা দিতে আবার বসানো হয়ছিল গোপনে। পরীক্ষার হলে তাকে চিনতে পেরে এক ছাত্রী ঘোষণা করল, সে ধর্ষণকারীর সাথে পরিক্ষা দেবেনা। তার সাথে অন্য ছাত্রছাত্রীরাও উঠে দাঁড়ালো । তারাও দেবেনা পরিক্ষা। মানিক কে আটকে রাখা হল পরিক্ষার হলে। তারপর আবার আন্দোলন । শিক্ষাঙ্গনে ‘যৌন নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা’ আদায় করে ছাড়ল জাবি র ছেলেমেয়েরা।অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালো । পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এমন ঘটনা ঘটলে, সেটা হয়ত ছাত্রছাত্রীদের গর্বের ইতিহাস হয়ে উঠতে পারতো । কিন্তু, ভুলে গেলে হবেনা, এই দেশটির নাম ‘বাংলাদেশ’।মিথ্যাই এই দেশে সত্যের বাবা।

আজ হঠাৎ করেই আমার প্রিয় ক্যাম্পাসকে নিয়ে কিছু লেখার তাড়না বোধ করলাম। ইদানিং প্রবাসে অলস সময় কাটাতে অনেকের মতো আমিও ফেইসবুকে ঘোরাঘুরি করি। তাতে লক্ষ্য করছি, এই ফেইসবুকের মাধ্যমে একজন ব্যাক্তি খুব সহজেই একটা ভাইরাসের মত একটা তথ্য ছড়িয়ে দিতে পারে। সত্য, কিংবা মিথ্যা যাচাইয়ের আগেই ছড়িয়ে পরে সেই খবর। এই সুযোগে ব্লগার নামে এক নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয়েছে। রহিমুদ্দিন, কলিমুদ্দিন, সবাই হয়ে উঠছেন স্বঘোষিত ব্লগার যারা দেশের সমস্ত সমস্যাকে নিজের অনভ্যস্ত কাঁধে চাপিয়ে নিয়েছেন এবং সমাজের নানা অসঙ্গতিগুলোকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে যাচ্ছেন। এমনই এক ব্লগার সম্প্রতি জাবি তে ‘র্যা গ’ নিয়ে একটি ভুয়া পোস্ট ছড়িয়ে দিয়েছেন। সেই পোস্ট এর নিচে আবার আমাদের দেশের বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা নানা রকম মন্তব্য করেছেন। যেমন একজন লিখেছে্ন, উনি জাবি র মেয়েদের বিয়ে করবেন না, কারন এদের চরিত্র ভাল না। তা, এই বিয়ের পাত্রের প্রোফাইল দেখে আমি নিশ্চিত হলাম, উনাকে বিয়ে করতে জাবির কোন মেয়েই রাজি হবেনা । আবার একজন লিখেছেন, জাবির মেয়েরা ধর্ষিত হয় তাই উনি জাবি তে ভর্তি হন নি।পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, উনি জাবিতে দুই বার ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পান নি । যাই হোক, এসব সমালোচনায় এত নামী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিছু যায় আসে বলে আমি মনে করি না। কিন্তু , প্রয়োজন আছে এইসব অপপ্রচারের কারন অনুসন্ধান করা। কারণটি অবশ্য জাবির প্রতিটি ছাত্রছাত্রী কম বেশী জানে। কিন্তু দেশের সবাইকে জানার সুযোগ করে দিতেই আমার আজকের এই লেখা।

জাবি বাংলাদেশের একমাত্র শিবির মুক্ত ক্যাম্পাস। শিবির, নামে বা বেনামে এখানে কোন দিনই আসন গাড়তে পারেনি। তাই কিছুদিন পর পর এরা জাবি নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে কিছু বিতর্ক ছড়ায়। আর জাবি নিয়ে বিতর্ক ছড়াতে চাইলে , মানিকের প্রসঙ্গ টেনে আনাটাই সবচেয়ে সোজা। সুদূর ইটালিতে বসে , মানিক ও নিশ্চয়ই খুশী হয়ে ওঠে এসব পড়ে , কারন পাবলিসিটি পাওয়া তার জীবনের একটা শখ ছিল। একারনেই ত কেক কেটে ধর্ষণের ঘোষণা দেয়া। আর এই মানিক কে অস্ত্র বানিয়ে শিবির প্রমান করতে চায়, জাবিতে মেয়েদের অবস্থা খুব করুন। ইসলামের লীজ নেয়া শিবিরই পারে এইসব মেয়েদের উদ্ধার করতে। কিন্তু না, সাধু সাবধান। এই জাবি থেকে তাদের বের করে দেয়া হয়েছিল। এই জাবির ভেতরে তাদের স্থান কোনদিনই হবেনা।।

Courtesy: LAMIA AHMED

যারা এখনও কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া র‌্যাগ সংক্রান্ত প্রপাগান্ডাকে সত্যি প্রমানিত করার জন্য আদাজল খেয়ে লেগে আছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমান আছে এবং নিশ্চয় কথিত ভিক্টিমের সাথে আপনাদের এই বিষয়ে কথা হয়েছে (যদিও সে নিয়মিত ক্লাস করে, জাবি তার কাছে ভীতিকর কিছু না).......আপনারা অনলাইনে মজা না লুটে সরাসরি আইনের আশ্রয় নেন।

৬৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৫৩

হাছন রাধা করিম বলেছেন: স্বাধীকার ভাই অনেক দেরীতে উত্তর দিচ্ছি এরজন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।

না ভাই আমাকে কোনভাবেই দুঃখ দেন নাই। আমি জাবির বিষয়ে আপনার করা কমেন্টে আশ্চর্য হয়েছিলাম। আপনার মতো প্রজ্ঞাবান, পরিমিত চিন্তার মানুষের কাছ থেকে এরকম মতামত আশা করিনি। সম্পূর্ণ ব্যাপারটায় আপনি হটাৎ জামাত-শিবির প্রসংগ নিয়ে আসলেন জাবিকে ভালো প্রমান করতে এটা আমি প্রত্যাশা করিনি আপনার কাছ থেকে।

আমরা তো জানি জাবি জামাত-শিবির মুক্ত এবং এটাও ভালো করে জানি যে সেখানে জামাত-শিবির কখনোই ঠাই পাবেনা। তারপরও আপনারা জাবির প্রাক্তন এবং বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা মিলে যেভাবে পুরো ঘটনাটিকে জাশির প্রয়াস বলে চালাতে চাইলেন এটা মানতে পারিনি এবং পারছিওনা।

জাবিতে র‌্যাগিং একটা ভয়াবহ সমস্যা এবং কোন সুস্হ মনের মানুষই র‌্যাগিংকে সমর্থন করতে পারেনা। হোক সেটা ছেলেদের ক্ষেত্রে অথবা মেয়েদের ক্ষেত্রে। আপনাদের কাউকেই দেখিনি এটার বিরুদ্বে শক্ত অবস্হান নিতে।

আপনিই বলুন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোন মেয়েই কি জনসমক্ষে এটা স্বীকার করবে যে সে যৌন নিপীড়নমূলক কোন কিছুর ভিক্টিম হয়েছে বা যেসব মেয়ে এইরকম ভয়াবহ কাজ করেছে তারা কি স্বীকার করবে যে তারা এরকম কিছু করেছে?

তাহলে আপনার মতো একজন মানুষ কি করে সম্পূর্ন বিষয়টিকে জাশির অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিলেন? আপনি কি খেয়াল করেছিলেন যে এই ঘটনার দুদিন পর জাবির অনেকেই এই সামু ব্লগে পোষ্ট করেছিলেন যে আমাদের সেই বোনটি আজ ক্লাস করেছেন! যেই মেয়ের অস্হিত্বই ছিলোনা দুইদিন আগে সেই মেয়েটি হঠাৎ কোথা থেকে নাজিল হলো?

তাহলে তো ধরেই নিতে হয় যে যাহা রটে তাহার কিছুটা তো বটেই। নয় কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.