![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জগদ্ধাত্রীর অপরিশোধ্য ঋণে বাঁধাজীবনের তটিনী আজ পড়ে আছে তটে,ঘুম ভাঙানি গান সে কবেই থেমে গেছেএখন আর বাজে না মর্চে ধরা গ্রামোফোন।।ওষ্ঠ-শীর্ষে আকড়ে থাকা পিতৃপ্রদত্ত প্রাণটি সত্যি কেমন এক মূর্তিমান অভিশাপ,এখানে কেবলি বেজে ওঠে ,শ্মশানের সেই খট্টাঙ্গ পুরাণের বিলাপ,মুর্তিমান বিভীষিকায় আচ্ছন্ন এ এক অপলাপ। তবুও স্বপ্ন দেখি আকাশ ভরা জোছনায়,বৈশাখী পূর্ণিমায় এখনো বুক বাধিঁ আশায়। কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম খামে মন আজ চিঠি পাঠায়কোনো অর্বাচীন ঠিকানায়। তাই দৃষ্টি আমার প্রসারিত ঐ নীলিমায়।
প্রত্নতত্ত্বে অধ্যয়ন করতে গিয়ে আমরা অতীত রাজা রাজড়াদের নানা ধরণের অবাক করার মতো খেয়াল খুশির পরিচয় পাই। এর মধ্যে অদ্ভুদ কিছু বিষয় যেমন মানুষের চিত্তকে বিচলিত করে তেমনি কিছু বিষয় আছে যেগুলো শুনলে ঘৃণায় মুখ বিকৃত করতে হয়। আমার একটা অভ্যাস আছে অবসর সময়টুকু বেশিরভাগই কাটাই হয় বই পড়ে কিংবা নেটে ব্রাউজিং করে যেখানে প্রত্নতত্ত্ব আর ইতিহাসই কেন্দ্রে থাকে। আর প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই এটা আমাকে এতটাই টানে যে আমার লেখাপড়ার গণ্ডিটা অনেকটা প্রত্নতত্বের মধ্যেই কিভাবে যেন আটকে গেছে।
জা. বি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে তখন তৃতীয় বর্ষের মাঝামাঝি পড়ি এমনটা হবে। একটি সংবাদপত্রে ফিচার লেখার প্রস্তাব পেয়ে মিশরীয় মমির কিছু ছবি দেখছিলাম। ফিচার লেখার তুলনায় আমার অনুসন্ধিৎসু চোখ নিবদ্ধ হয় একটি বিশেষ বিষয়ের প্রতি। তখন ঐ প্রবন্ধ শেষ করার কাজ অনেক পিছিয়ে যায়। আমি ভাবতে থাকি অন্য বিষয় নিয়ে।
মমির যে ছবিগুলো দেখতে পাই তার প্রায় প্রতিটিই কেমন যেন বিকৃত চেহারার। ঠিক তখনই ভাবতে শুরু করলাম। একটু পর ভালভাবে খেয়াল করে বের করলাম কেমলমাত্র যে মমিগুলো অধিক বিকৃত সেগুলো নারীদের মমি। ব্যপারটা আসলেই আগ্রহোদ্দীপক, চিন্তার ও মজার। তখন এক রকম নিশ্চিত হয়ে যাই এই ভেবে এর পেছনে নিশ্চয় কোন একটা কারণ আছে যেটা মেয়েদের মমিগুলোকে অধিকতর বিকৃত করেছে। কিন্তু কি হতে পারে ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছিলাম না। তবে গভীর অনুসন্ধানে ধীর ধীরে বেড়াল বেরিয়ে আসতে থাকে। স্মরণাপন্ন হই এখনকার দিনে অনুসন্ধিৎসু মনের একান্ত সহযোগী গুগলের। একের পর এক সার্চ করতে থাকি নানা টপিকে। কিন্তু একজন উদ্ভট চিন্তার প্রত্নতাত্ত্বিকের খেয়াল মেটাতে ব্যর্থ হয়েছিল সবার প্রিয় গুগল।
সেদিন কোনো সুরাহা হয় নি। হতাশ হয়ে মিশরীয় সভ্যতার উপরে নামকরা ও নিবেদিতপ্রাণ কিছু গবেষকের লেখাগুলো খুটিয়ে খুটিয়ে পড়তে লাগলাম। পরে ফেসবুক, টুইটার আর অরকুটে আমার বেশ কয়েকজন মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করলাম। তারা কিছু বলে না শুধু হাসতে থাকে। বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক ফারহাত হুসেন, মোহামেদ বাকির, স্যালি বিনফোর্ড কিংবা হোসাম মোহামেদ আবদেলজাইম এরা তো এই কথা হেঁসেই উড়িয়ে দিলেন।
অ্যানি সার্গিসিয়ান চ্যাটের মধ্যে বলেই দিলো ‘সো ফানি!! সো ফানি!!!’ অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটাল আমার মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বন্ধু আহমেদ রউফ হামদি, সে বেচারা আসলে তেমন কিছু বলতে পারে নি কেবল মাত্র একটি সুত্র দিতে পারলো। একটি মোটাতাজা সাইজের প্রায় ১৭২ এম.বি সাইজের একটি বই (A Companion to Ancient Egypt , Alan B. Lloyd ed.) সে মিডিয়াফায়ারে আপলোপ করে লিংক দিলো। সেই বইটিতে বিষয়টি সম্পর্কে অনেক ইঙ্গিত ছিলো। মূল আলোচনার বাইরে এই কথাগুলো বলে আমি সে সময় আমার চেষ্টা আর বার বার ব্যর্থ হওয়ার বিতৃষ্ণা জানাতে চেয়েছি।
এক নেক্রোফিলিক মাদারির ফডু (সূত্র গুগল)
যাহোক এখন আসল কথায় আসি। এটা বিষয়টি জানার জন্য পার করা অনেক অস্বস্তিকর একটা সময় এর কথা। এটা অনেকটা অপ্রাসঙ্গিক হলেও না বলে পারলাম না। রউফ হামদির পাঠানো বইটিতে বিষয় ব্যাখ্যা করার চেষ্টা না করে একটি বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে তা হল ন্যাক্রোফিলিয়া। যাই হোক আমি বিবরণ না পাই ঘটনাটার সূত্র তো পেলাম। এরপর আসল কাজটা আমার জন্য বেশ সহজ হয়ে গেল। শব্দটি সরাসরি কপি করে গুগলের ব্রাউজারে পেস্ট করে এন্টার দিই। আমার সামনে ভেসে উঠল ইতিহাসের এমন এক জঘন্যতার কাহিনী যা শুনলে মানবাত্ম এখনো ঘৃণায় রি রি করবে। বস্তুত মিশরীয়দের শবাসক্তি বা নেক্রোফিলিক আচরণের জন্যই মৃতদেহগুলোকে একটি বিনষ্ট হওয়ার পর মমি করা হতো। বাকিটুকু আমার সাইটে গিয়ে পড়তে হবে।
এটা সাময়িক পোস্ট।
১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১০
অর্ণব আর্ক বলেছেন: আগামী মেলাতে মিশরীয় সভ্যতার উপর আমার বইই পাবেন। সেখানে গৎবাঁধা বিবরণের বাইরে গিয়ে নানান সব কাহিনী পাবেন। কিছু কিছু নতুন আবিষ্কৃত বিষয় সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
২| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: পেইজ নট ফাউন্ড
১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
অর্ণব আর্ক বলেছেন: এবার লিংক ঠিক করে দিয়েছি।
৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬
সাধারণ মুসলমান বলেছেন: গ্রেইট।
১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
অর্ণব আর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১০
সাধারণ মুসলমান বলেছেন: aurnabarc.wordpress.com
এ ঢুকে খোঁজেন।
১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
অর্ণব আর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। এখন পোস্টের লিংকেই পাবেন।
৫| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: পরিসংখ্যানে দেখা যায় নেকরোফিলিয়ায় আক্রান্ত এই সব বিকার গ্রস্তদের সিংহভাগই পুরুষ। :-&নারী হবার কোন সম্ভাবনা যে নাই, তা শিওর ।
তবে + এই রকম কাছাকাছি আর্টিকেল পড়েছিলম কয়েকটা
১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০
অর্ণব আর্ক বলেছেন: আপনি খুব সম্ভবত ফিলিস রেসনিকের কোনো লেখা পড়েছিলেন।
মেয়েরাও যে নেক্রোফিলিক হয় এটা পরের পর্বে আনবো। লেখা পুরোটাই আছে। বড় লেখা বিরক্তির কারণ। তাই পর্ব আকারে দিচ্ছি।
এটা লিখতে চাইনি। বাউন্ডুলে রুবেল অনেকটা জোর করে দিতে বাধ্য করেছে। :/
৬| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: নেক্রফিলিয়া নিয়া আগেই জানি। সিনেমাও দেখসি কয়েকটা। তয় মিশরিয়রা যে এই কাম করসে তা জানতাম না!
১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
অর্ণব আর্ক বলেছেন: তাদেরটাকে আপনি পেডোফিলিয়া বা নেক্রোল্যাগনিয়া বলতে পারেন। বিশেষ করে কিং হেরডের সময় থেকে এটা আরো ভয়ানক রূপ নেয়। টেড বান্ডি মুভিটা যদি দেখে থাকেন সেখানে আর নতুন করে কিছু বলার নেই আপনাকে। ওখানে নেক্রোফিলিয়া হেমিসাইডের কিছু ভয়ানক দৃশ্যায়ন করা হয়েছে।
অ.ট. কেমন আছেন? কেমল চলছে গল্প চর্চা। আপনার গল্প অনলাইন থেকে হার্ডকপিতে পড়তে ইচ্ছে করে। নতুন কিছু আসছে নাকি ?
৭| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
সায়েম মুন বলেছেন: আপনার পার্সোনাল ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে লেখাটার লিংক পেয়ে আগেই পড়েছি। এখানে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে গেলাম।
১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
অর্ণব আর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ সায়েম মুন ভাই। আমি দ্রুতই সবগুলো পর্ব আপলোড করে ফেলবো। পুরোটা পড়ে প্রতিক্রিয়া জানাবেন। কোনো সীমাবদ্ধতা বা ভূলভাল তথ্য গেলো নাকি সেটা জানা জরুরী।
৮| ১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৬
ঐশীকা বলেছেন: ব্যাপাটা জানতাম কিন্তু এত ভয়াবহ এটা বুঝিনি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
২২ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০২
অর্ণব আর্ক বলেছেন: পুরোটা লিখেছি আমার পার্সনাল ব্লগে। বলা যায়না সামু এটা ডিলিট করতে পারে কিংবা আমি নিজেই ডিলিট করে দেবো। আমি সামুতে কোনো পোস্ট সচরাচর রাখি না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: অসাধারণ শুরু। আরো বেশী লেখা চাই মিশরীয় সভ্যতার উপরে।