নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"হারিয়ে যাওয়া মানুষ দ্বিতীয় বার হারায়না, হারিয়ে যেতে চাইলে তাকে ফিরে আসতে হবে। আমি বার বার ফিরে এসেছি, বার বার হারিয়ে যাওয়ার জন্য \" --- আমি

আরিয়ান রাইটিং

ভাল কিছু লেখার জন্য সময় দিতে হয়, অহেতুক তারাতারি করতে গেলে ভাল কিছু হারাতে হয় - আমি

আরিয়ান রাইটিং › বিস্তারিত পোস্টঃ

___বৃষ্টি বিলাস

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬



অফিস থেকে নীল রঙের ফাইলটা নিয়ে বের হলাম।চিকল রাস্তা ধরে হেটে চেনা রাস্তার পাশে এসে দাঁড়ালাম।কোনো খালি রিকশা চোখে পরছেনা।চোখটা প্রচন্ড ভারি হয়ে এসেছে।একটা শান্ত ঘুমের প্রয়োজন।গতকাল রাতটা বেশি জাগা হয়ে গেছে।তাই হয়তো ভারি লাগছে।আবেক প্রবন এই চোখ আর খোলা রাখা যাচ্ছেনা।এক ঝাপটা পানি চোখে মুখে দিলে হয়তো ভালো লাগতো।আকাশটা গম্ভীর দেখাচ্ছে।আকাশের চোখ নেই।তবে সাদা কালো মেঘে তার আবেগ প্রায় প্রকাশ করে।আকাশের আবেক দেখার জন্য কেও নেই।ব্যস্ত এই শহর চলছে তার গতিতে।আকাশের আবেগ দেখার সময় কোথায়।নীল বিশালতাকে এক গুচ্ছ কালো মেঘ গ্রাস করে ফেলেছে।যে কোনো সময় বৃষ্টি নামতে পারে।ঢাকার রাস্তায় থাকা খোলা মেনহল খনিকের জন্য হারিয়ে যাবে বৃষ্টির পানিতে।মেনহলের ঢাকনা চুরি করার লোকের এখন আর অভাব নেই।মেনহলের পানি আর বৃষ্টির পানির জটিল অনুপাত মূলক মিশ্রনের সৃষ্টি হবে কিছুখন পরেই।কারো কারো সেই মিশ্রনে পরার সৌভাগ্য হয় !

আমার মাথায় বৃষ্টির ফোঁটা পরা শুরু করলো।দেখতে দেখতে বৃষ্টির মাত্রাটা বেরে গেলো।আশে পাশের মানুষ ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছে।শুধু আমি ছুটছিলা।দুচোখ বন্ধ করে বৃষ্টির প্রতিটা ফোঁটা বোঝার জন্য নেমে পরলাম।প্রতিটা ফোঁটায় হাজারো কথা।সব কিছু কেমন পিছনে টেনে নিচ্ছে।ফেলে আসা স্মৃতি চোখের সামনে খেলা করছে।মনে করিয়ে দিচ্ছে পুরোনো কথা।মানুষের স্মৃতি এমন কেনো?যেটা পুরোনো হয়ে গেছে সেটা পুরোনো হয়েই থাক।নতুন করে চোখের সামনে আসার কি দরকার।

আমি বৃষ্টি ভালোবাসিনা।বৃষ্টিতে ভেজার মধ্যে বলে অন্যরকম আনন্দ রয়েছে।অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করে এর শীতল বাতাসে।কে যে এই ধরনের ফালতু কথা বলেছে কে জানে।বৃষ্টি আবার আনন্দের হয় কিভাবে ?এটাতো রীতিমতো বিশাল সমস্যা ! হাটা যায়না চলা যায়না,কি যে একটা সমস্যা সৃষ্টি করে।বৃষ্টি সমস্যাই সৃষ্টি করতে পারে,আনন্দ সৃষ্টি করতে পারেনা।ভার্সিটিতে থাকা কালিন এমনটাই ভাবনা চিন্তার অধিকারী ছিলাম বৃষ্টি বিষয়ে।কেও আমাকে বৃষ্টিতে ভেজাতে পারেনি।বৃষ্টিতে ভেজার কোনো মানে হয়।বৃষ্টির দিন গুলো অসহ্য লাগতো।এমনি একটা দিন আমি ভার্সিটি থেকে বের হলাম।আকাশে তখন কালো মেঘ।বুঝতেই পারছি বৃষ্টি নামবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।আমিও কম নই।বড় এক ছাতা বেগেই আছে।বৃষ্টি ফোঁটা পরলেই বের করে ফেলবো।ভাবতে ভাবতেই বৃষ্টি পরা শুরু হলো।ছাতাটা বেরকরতে করতে বৃষ্টি যেনো তার প্রবল শক্তি খাটিয়ে নেমে পরলো।আমি ছাতা মাথায় হাটছি।কিন্তু তেমন লাভ হচ্ছেনা।বৃষ্টির ঝাপটা আমাকে একটু একটু পরে ভিজিয়ে দিচ্ছে।এমন সময় হুট করে একটা মেয়ে আমার ছাতার নীচে ঢুকে পরলো।আমি চমকে উঠলাম।মেয়েটা আমার ছাতা ধরে বললো চলো তারাতারি।আমি এবার পুরোপুরি হতভম্ব।এই মেয়েটা কে ?চেনা নেই জানা নেই অথচো আমার ছাতার নিচে এসে আশ্রয় !
মেয়েটা প্রায় ভিজে গেছে।ভেজা চুল তার গালে লেগে আছে।চোখটায় একটা মায়া ধরানো দৃষ্টি।ভ্রুটা কোনো শিল্পির তুলির ছোয়ায় আঁকা।পাতলা একটা ঠোট।পুরো চেহারাটায় একমাত্র গোলাপি ঠোঁটটা ফুটে উঠেছে।লাল রঙের একটা থ্রি-পিচ পরেছে।লাল জামা ভিজে যেনো আরো লাল হয়ে গেছে।হাতের লাল রঙের চুড়ির শব্দ আর বৃষ্টির রিমঝিম শব্দটা মিলেমিশে একাকার।আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললাম

-কোথায় যাবেন আপনি ?
-এমন বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে হচ্ছে কিন্তু বাসায় যাওয়া দরকার।
-বাসায় যাবেন ভালো কথা।আমার ছাতার নীচে চলে এলেন যে।
-অপনি যেদিকে যাবেন আমিতো সেই দিকেই যাবো।
-মানে বুঝলাম না !
-আপনার বাসার দিকে যাবো।এবার বুঝেছেন?
-আপনি কি আমাকে চেনেন?
-মোটামুটি ভাবে চিনি।আমাকে চিনার কথা না।আপনি বই পড়তে থাকলেতো এদিক ওদিক আর তাকিয়ে দেখেন না।
-কি বলছেন, বুঝিয়ে বলবেন কি।আমি কিছু বুঝতে পারছিনা।
-আমার বাসা আপনার বাসার সাথেই।আমার আম্মুর সাথে আপনার আম্মুর পরিচয় আছে।প্রায় আপনাদের বাসায় আম্মুর সাথে যাওয়া হয়।তখন দেখতাম আপনি বই পড়ছেন।আমার আম্মুকে হয়তো চেনেন।
-ও আচ্ছা,আপনিকি এই ভার্সিটিতে পড়েন ?
-জি
-কথনো দেখিনিতো
-দেখবেন কি করে।এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখেন আপনি? মনেহয় না...

মেয়েটার নাম তুলি।তুলির সাথে আমার ঐদিন পরিচয় হয়।আমাদের বাসায় অনেকবার এসেছে,কখনো খেয়াল করিনি।খেয়াল করারো কথানা।বাসায় সারাক্ষণ বই আর লেপটপ নিয়ে পরে থাকা।কে আসলো কে গেলো ওতে আমার মাথাব্যথা নেই।সারাটা রাস্তা কথা বলতে বলতে আসি।আমি পুরো ভিজে গেলাম।পকেটে থাকা প্রিয়ো একটা ফোন সেট ছিলো।বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে যায়।বাসায় এসে যখন দেখি পুরোভেজা শুধু মাথাটা ছাড়া তখন অবাক হয়ে যাই।আমি এই ভাবে ভিজে গেছি অথচো টেরি পেলাম না।মেয়েটা আমার চিন্তা চেতনাকে কিছুখনের জন্য গায়েব করে ফেলেছিলো।আমি ভিজে গেছি অথচো টের পেলামনা কেনো? কে দেবে এর উত্তর?প্রশ্নটা জমা করে রাখলাম মনের মাঝে।অদ্ভুত ভাবলায় হারিয়ে গেলাম মেয়েটাকে নিয়ে।মেয়েটার মধ্যে কিছু একটা রয়েছে।তা না হলে এভাবে সবকিছু ভুলে গেলাম কি করে।এমনটা তো এর আগে হয়নি।

আমার বন্ধু খুবি কম।বন্ধু বলতে শুধু বই।বাহিরে অকারনে সময় কাটানো আমার কাছে ক্যালকুলেশন ছাড়া একটা অংকের মতো বিষয়।যেই অংকের দৈর্ঘ্য প্রস্থ বিশাল।যেটা করতে যেয়ে অনেকগুলো সাদা কাগজের অপচয়।অথচো ফলাফল শুন্য !এর কোনো মানে হয়? মানে খুঁজে কি হবে যেখানে নিজের অংক মিলাতে পারছিনা।কখনো কোনো মেয়ের সাথে চলাফেরা করিনি।বাহিরে যেয়ে অন্যদের মত ফুচকা খাওয়া হয়নি।সেখানে আমি আজ সবি করছি।হ্যাঁ...জীবণের নতুন কোনো প্রচ্ছদ আমি আঁকা আঁকি করছি।আঁকতে চাইনি কিন্তু তুলি হাতে ধরে আঁকিয়ে দিচ্ছে।শুধু এতটুকু বুঝে উঠতে আমার অনেক সময় লেগে গেছে।কিন্তু যতখনে বুঝেছি ততখনে আমি অনেক দূর এসে পরেছি।প্রতি দিন আমার বাসার সামনে এসে আমাকে তুলি ডেকে নিয়ে যায়।যখন তুলি ডাক দিতো এই জাহিদ ! বের হবেনা ? আমি কোন মায়ায় বের হয়ে আসতাম কে জানে।তুলির সাথে ঘুরে বেরাতাম।অদ্ভুত রকমের তার চিন্তাভাবনা আর মনমুগ্ধ করা সেই কন্ঠ।আমি তেমন কথা বলতাম না।আমি শুধু শুনতাম।তুলির কথা শুনতে আমার ভালো লাগতো।সব কিছু কি সুন্দর করে গুছিয়ে বলে।এতো সুন্দর করে মানুষটা বলে কিভাবে ? সব কিছুর মাঝে যে কথাটা না বললেই নয় তা হলো আমার বিশাল পরিবর্তন।ছোট্ট একটা জীবণ।পৃথিবিতে হাজারো রঙের খেলা।জীবণটা তুলি তার মনের মাধুরী মিশিয়ে সেই রঙে সাজিয়ে নিয়েছে।আমার ভুবনটা বদলে গেছে তুলির এই বন্ধুত্যপুর্ণ সম্পর্কের সংস্পর্শে এসে।ভালোবাসতে শিখেছি প্রকৃতিকে।ভালোবাসতে শিখেছি হঠাৎ হারিয়ে যেতে।ভালোবাসতে শিখেছি বৃষ্টিতে ভিজতে।আর ভালোবাসতে শিখেছি তুলিকে।কিন্তু বলা হয়নি কখনো সেই ভালোবাসার মানুষটিকে যে আমার দুনিয়ায় এসে পুরো দুনিয়াটাকেই বদলে দিয়েছে।হাসতে শিখিয়েছে অন্যের হাসির মাঝে।আনন্দ পেতে শিখিয়েছে অন্যকে সাহায্য করার মাঝে।আচ্ছা এই মেয়েটার সাথে আগে কেনো দেখা হলোনা ? যাইহক দেখাতো হয়েছে এটাই বড় কথা।যে কয়েকটা দিন বাঁচবো আনন্দ করেতো বাঁচতে পারবো।এই মানুষটার দেখা না পেলে হয়তো তা হতোনা।অদ্ভুত চিন্তার বাস্তব দৃশ্য হয়তো চোখে ধরা পরতোনা।তুলির জন্ম দিনটা ছিলো এমনি এক দৃশ্য।পরিচয় হবার পর প্রথম জন্ম দিনের উপহার দিতে চলেছি।কি দিবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না।তুলির কাছে যথন জানতে চইলাম তোমার জন্য কি আনবো তখন বলে ছিলো পাখি উপহার দিতে।আমি অনেকগুলো পাখি কিনে নিয়ে যাই একটা সুন্দর খাঁচায় করে।তুলি পাখি পছন্দ করতো ঠিকি কিন্তু খাঁচায় রাখতে পছন্দ করতো না।তুলি আমাকে নিয়ে ছাদে চলে গেলো।খাঁচা থেকে একটা একটা করে পাখি বের করছে আর খোলা আকাশে মুক্ত করে দিচ্ছে।পাখিগুলো খোলা আকাশ পেয়ে আনন্দে তাদের ডানা মেলে দিলো।মুক্ত আকাশে ডানা মেলার আনন্দ ধরে রাখার মত নয়।পাখিগুলোর থেকে বেশি আনন্দ যেনো তুলির চোখে মুখে ভেসে উঠছে।আমি সেই আনন্দ ভরা মুখ খানি দূরে দাড়িয়ে দেখলাম।অবাক হয়ে তাকিয়ে ভাবলাম কে আসলে তুমি...? এমন প্রশ্ন সেই দিনটাতেও আমার মনে এসে দুচোখ রাঙিয়ে ছিলো।যখন তুমি আমি বসে আছি পরিচিত সেই পার্কে।হঠাৎ বৃষ্টি এসে যখন সকলের ছোটাছুটির কারণ হয়ে দাড়ালো।তুমি তখন বৃষ্টির অবুজ ভাষা বোঝায় ব্যস্ত।বৃষ্টির ফোঁটা তোমার চিবুক ছুয়ে পরছে আর আমি সেই দৃশ্য মনের পরম আনন্দে দেখছি।

…পকেটে রাখা ফোনসেট বেজে উঠলো।চোখ খুলে ফোনসেট বের করলাম।বৃষ্টির পানিতে ডিসপ্লেটা চলে গেছে।আমি রিসিভ করলাম।ঐ পাশ থেকে মেয়ে কন্ঠে
-হেলো
-হ্যা বলো
-তুমিকি আবার বৃষ্টিতে ভিজতেছো ?
-হুট করে বৃষ্টি নেমে গেলো।আমার কিচ্ছু করার ছিলোনা
-থাক থাক !আর বলতে হবেনা।ফোনসেট নষ্ট হবার আগে রুমাল দিয়ে মুছে ফেলো।
-রুমালটাও ভিজে গেছে
-ভালো হয়েছে।তুলিদের বাসায় যেতে হবে মনে আছে?
-হে আছে...হেলো হেলো...

লাইনটা কেটে গেলো।ফোনসেট এবার পুরোপুরি বিকল।বৃষ্টি প্রায় থেমে গেছে।তুলির আজ জন্ম দিন।পরিচিত সেই উপহার নিয়ে আমার বাসায় গেলাম । তৃপ্তি আমার স্ত্রী।আমার উপর প্রচন্ড রাগ করে আছে।প্রথমত আমি খাঁচা ভর্তি পাখি নিয়ে এসেছি সেটা দেখে।দ্বিতীয়ত নতুন ফোনসেট আবার নষ্ট করেছি বৃষ্টিতে ভিজে সেটা জেনে।আমার হাতের ভেজা নীল রঙের ফাইলটা ফেনের নিচে রাখলাম।ভেজা কাপড় ছাড়িয়ে তৃপ্তির কাছে যেয়ে বসলাম।খুব রাগ তার।কথাই বলবেনা আমার সাথে।আমার নাকি বুদ্ধি একটুও নেই।তুলিদের বাসায় পাখি নিয়ে যাবো এটা তৃপ্তি মেনেই নিতে পারছেনা বার বার বলছে পাখি কারো বাসায় নেয় ? তবে রাগ ভাঙানোটা কঠিন কিছুনা।একটু পরেই ঠিক হয়ে যাবে।তৃপ্তির রাগ বেশিখন থাকেনা।

* তুলির আম্মু একটু অসুস্থ।তবুও আমাদের জন্য যতটুকু করা দরকার তা করলো।সবাই যখন ব্যস্ত আমি তখন পাখির খাঁচা নিয়ে ছাদে চলে এলাম।বৃষ্টির পানি এখনো শুকিয়ে যায়নি । ছাদটা পুরোপুরি ভেজা রয়েছে।ভেজা ছাদের অনুভূতি টুকু নিতে জুতা খুলে নিলাম।কি শীতল এক অনুভূতি।ছাদের এক কোনায় যেয়ে খাঁচাটা রাখলাম।তুলি পেছন থেকে এসে হাসিমাখা সেই চেহারা নিয়ে বলছে

-পাখি গুলো আমি উড়াবো নাকি তুমি উড়াবে ?
-অনেকতো উড়িয়েছো।আজ আমি উড়াই।
-আচ্ছা উড়াও তাহলে…

আমি খাঁচা থেকে একটা পাখি বের করে উড়িয়ে দিলাম।পাখিটা আমার হাতে ঝাপটা মেরে উড়ে গেলো।অদ্ভুত এক অনুভূতি হলো যা ঠোঁটের কোনায় একটু হাসি এনে দিলো।আমি সেই অনুভূতি টুকু বোঝার জন্য আরেকটা পাখি উড়িয়ে দিলাম।পাখিটা ঝাপটা মেরে উড়েগেলো।আমি আনন্দে মুচকি হেসে উঠলাম।তুলি ঠিকি বলতো অন্যের আনন্দ নিজের কাছে বড় আনন্দ। নীচ থেকে তৃপ্তি ছাদে এলো।আমাকে একা একা ছাদে পাখি উড়াতে দেখে অবাক হয়ে বলল

-একি !পাখি উড়িয়ে দিচ্ছো কেনো ?

আমি ছোট্ট নিশ্বাস ছেড়ে বলাম

-এদের খাঁচায় বেমানান লাগছে তাই...
-তোমার কাজ কারবার কিছুই বোঝা যায়না।নীচে এসো সবাই অপেক্ষা করছে।

তৃপ্তি নীচে চলে গেলো ।আমি ছাদে দাঁড়িয়ে রইলাম।আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।
বৃষ্টি শেষ হয়ে গেলেও আকাশের গম্ভির ভাবটা এখনো যায়নি।তৃপ্তি ডেকে গেছে নীচে যাবার জন্য।তবে আজ কেনো জানি মনে হচ্ছে নীচে না উপরে কেও আমার জন্য অপেক্ষা করছে।তার অপেক্ষা করার আর ইচ্ছে নেই।অপেক্ষার ক্লান্তি তাকে ঘিরে ফেলেছে।তবু অপেক্ষা করছে।অপেক্ষা করছে একসাথে বৃষ্টিতে ভেজার জন্য,দুহাতে পাখি উড়াবার জন্য।আজ তার চোখে জল।যাকে কোনোদিন আমি কাঁদতে দেখিনি আজ তার চোখে জল কেনো ?
যাহ ! আমার চখেও জল এসে গেছে ।এর কোনো মানে হয় ?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬

প্রথমকথা বলেছেন: ভালো লেগেছে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

নূপুর চৌধুরি বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৩

আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: ধন্যবাদ।
শুভ হোক আপনার পথচলা।

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আরিয়ান রাইটিং,

মুক্তির আনন্দঘন মুহূর্ত মুক্তিদাতা ও মুক্তিকামী উভয়ের জন্য প্রবল আনন্দের..........
এই আনন্দ আকাশে বাতাসে এক অদ্ভুত ব্যাঞ্জনা রচনা করে। কালে কালে এই মুক্তির স্বাদ নিতে গিয়ে দিতে গিয়ে আমার মনে হয় বিধাতার চোখের কোন চিকচিক করে ওঠে.................. বৃষ্টি নামে।


এভাবেই লেখুন। প্রথম প্লাস +++

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: অন্যের আনন্দের মাঝে নিজের আনন্দ,ভাললাগা, আর এক অদ্ভুদ ভালবাসা উতপ্রত ভাবে মিশে আছে।
আপনি এই মন্তব্যটি কতটুকু আনন্দ বা কতটুকু ভাললাগার স্থান থেকে করেছেন,আমি সত্যি জানিনা। তবে আমার ভাললাগা আপনার "প্রথম প্লাস +++ " এর মন্তব্যের জন্য অসীম হয়ে গেছে।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.