|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
করোনা মোকাবেলায় সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানী ও গবেষকবৃন্দ যেখানে ভাইরাসের স্ট্রাকচারাল বায়োলজি বোঝার ও এর বিরুদ্ধে কার্যকর একটি নভেল ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টায় রীতিমতো যুদ্ধে নেমে পড়েছে তখন আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা ব্যাস্ত  হান্ডসানিটাইজার বানানোর প্রতিযোগিতায়, আর এলকোহলের ভাপ নেয়া তত্ত্বে !!! ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক তো করোনার ওষুধ আবিষ্কারের দাবি করে বসলো !!!! আসলে গবেষণার প্রতি চরম উদাসীনতা থাকতে থাকতে এবং গবেষক হয়েও দীর্ঘদিন গবেষণা কর্মকান্ড থেকে দূরে থাকার ফল যে ভয়াবহ তা জাতি এখন দেখতে পাচ্ছে , একটি গবেষণা কিভাবে এগিয়ে নিতে হয় এবং তার ফলাফল কোন পর্যায়ে এবং কিভাবে উপস্থাপন করতে হয় ন্যূনতম সেই নলেজটুকুও আমাদের দেশের গবেষকদের নেই , এরাই আবার বিভিন্ন গবেষণা প্রথিষ্ঠানে নীতিনির্ধারক ও বিশ্বাবিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত !!! কিন্তু ভাবতেও অবাক লাগে এদের চিন্তাচেতনার বিস্তৃতি এখনো সেই হাইস্কুলের শিক্ষার্থী কতৃক তৈরিকৃত হান্ডসানিটাইজার ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ !!!!
   
       এতদসত্ত্বেও, আমাদের দেশেও নামকরা খুব ভালোমানের জীবপ্রযুক্তিবিদ আছে , একথা ভুলে চলবে না যে আমাদের দেশের গবেষকরাই কিন্তু পাটের জিনোম সিকুয়েন্সিং করেছিল , এবং পাট প্রক্রিয়াজাতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা ছত্রাকের জিনোম সিকুয়েন্সিং কিন্তু আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরাই করেছিল , তাছাড়া এখনো  বাংলাদেশে প্রচুর তরুণ মেধাবী বিজ্ঞানী রয়েছেন যারা একটু উৎসাহ এবং সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণায় সাফল্য নিয়ে বয়ে নিয়ে আসতে পারে 
   করোনা নিয়ে গবেষণায় আমাদের দেশে কয়েকটা রিসার্চ গ্রুপ তৈরী করতে হবে , এই রিসার্চ গ্রুপ এ বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছে এমন তরুণ বিজ্ঞানীদের সম্পৃক্ত করতে হবে , এদের নেতৃত্বে থাকবে আমাদের দেশের নামকরা জীবপ্রযুক্তিবিদেরা , যেমন , ড. শাহ মোহাম্মদ ফারুক , ড. শরীফ আক্তারুজ্জামান , ড. হাসিনা খান , ড. ফেরদৌসী কাদরী, ড .সমীর কে সাহা  প্রমুখ এদের নেতৃত্ত্বে কিছু রিসার্চ গ্রূপ গঠন করতে হবে , যাদের ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য থাকবে । যেমন , এক গ্রুপের উদ্দেশ্য থাকবে ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা এবং তা ইউরোপ কিংবা আমেরিকার করোনা ভাইরাসের জিনোম এর সাথে মিলিয়ে দেখা , আরেকটা গ্রুপ ভাইরাস ডিটেকশন মেথড নিয়ে কাজ করতে পারে , এভাবে একেকটা গ্রুপ ভাইরাসের একেক সাইট নিয়ে রিসার্চ করবে এবং সেই সাথে প্রাপ্ত ফলাফল একে অপরের সাথে শেয়ার করবে ।  সাথে সাথে আরেকটা টিম থাকবে যারা বাজেট বন্টন করবে এবং বৈশ্বিক এই লক ডাউনের সময়  প্রয়োজনীয় মিডিয়া , কেমিক্যালস ও রিএজেন্ট বাহির থেকে দ্রুততম সময় দেশে নিয়ে আসবে । দেশের গবেষকদের এই কোয়ালিশনের সাথে ইউরোপ, আমেরিকা , জাপান কিংবা চীনে যারা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ করে যাচ্ছে তাদের সাথে সংযোগ থাকতে হবে এবং আমাদের এখানে গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের আদান প্রদান রাখতে হবে । তারা যদি বুঝতে পারে যে দেশে আমরা একটি সক্রিয় প্লাটফর্ম তৈরী করেছি করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণায় , তবে তারা তাদের কিছু কাজ আমাদের এখানেও ট্রান্সফার করতে পারে অর্থাৎ আমাদের অংশগ্রহণে কিছু কাজ করিয়ে নিতে পারে। 
          করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভ্যাকসিন এবং ওষুধ ডেভেলপ করার জন্য  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি আম্ব্রেলার নিচে থেকে পৃথিবীর নামকরা কিছু রিসার্চ গ্রুপ এখন একসাথে কাজ করছে । এর সামনের সারিতে আছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ নেব্রাস্কা মেডিকেল সেন্টার এর দক্ষ ভাইরোলজিস্টবৃন্দের একটি সুসংগঠিত টিম , তারা ভাইরাসের খুঁটিনাটি তথ্য আদানপ্রদান করছেন চায়নার উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির বিজ্ঞানীদের সাথে । মূল গবেষণার কাজ চলছে , ইউরোপ এবং আমেরিকায় , এবং পরীক্ষামূলক  কিছু প্রয়োগ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াতে , একটি সুন্দর নেটওয়ার্ক  এ সমস্ত গবেষণা কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে 
 । কোনো দেশেই এককভাবে কাজ করে যাচ্ছে না , আমাদের দেশের বিজ্ঞানীদের এখন সুযোগ এসেছে নিজেদের উপযুক্ত প্রমান করে এই মহৎকর্মযজ্ঞে নিজেদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে নেয়া , আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজের জন্য আমাদের দেশের ল্যাবরেটরি ও গবেষকরা যে উপযুক্ত তা তুলে ধরা । আমাদের দেশে সরকারের উচিত বিভিন্ন সেক্টরে যখন প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে সেই সাথে গবেষকদের কাজ করার জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা , কারণ পর্যাপ্ত বাজেটের নিয়মিত প্রবাহ ছাড়া বাধাহীনভাবে গবেষণাকে এগিয়ে নেয়া যায়না। 
 
    বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা ব্যাপক পরিমানে আত্ত্বকেন্দ্রিক , তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে তারা একে অপরের সাথে বিদ্বেষপূর্ণ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে , যার ফলে গ্রুপ করে কিংবা একটি টিমের সাথে থেকে কাজ করার সংস্কৃতিও আমাদের দেশে গড়ে ওঠেনি , কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞান গবেষণার মূলতত্বই হচ্ছে একটি টিমওয়ার্ক ও শক্তিশালী রিসার্চ গ্রুপ, আশা করি বর্তমান পরিস্থিতি অনুধাবন করে আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরাও কার্যকরী রিসার্চ টিম গঠনের দিকে মনোযোগ দিবেন।
 ৬ টি
    	৬ টি    	 +০/-০
    	+০/-০  ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০  সকাল ১১:২৫
১৫ ই এপ্রিল, ২০২০  সকাল ১১:২৫
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: তারা সবসময় এই কাজে ব্যাস্ত ছিলেন , এজন্যই দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন নি
২|  ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০  দুপুর ২:০৫
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০  দুপুর ২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: বিজ্ঞানীদের অনেক দায়িত্ব। তারা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সন্তান।
  ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০  সকাল ১১:২৫
১৫ ই এপ্রিল, ২০২০  সকাল ১১:২৫
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: এসময় বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য স্থির করে সঠিক পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে হবে 
৩|  ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০  বিকাল ৫:৫৮
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০  বিকাল ৫:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন: 
সুবিধা হতো দেশের প্রেসিডেন্ট যদি এটাকে অর্গেনাইজ করতো; বুড়া কি মাউন্ট এলিজাবেথে গিয়ে পালিয়ে আছে?
  ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০  সকাল ১১:২৫
১৫ ই এপ্রিল, ২০২০  সকাল ১১:২৫
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: আমার মনে হয় বিজ্ঞানীরা নিজেরাই সমন্বয় করতে পারে , তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দরকার আছে
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০  দুপুর ১:৪১
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০  দুপুর ১:৪১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: তারা সাদা নীল গবেষণা নিয়ে ব্যস্ত