নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ

সোনালী ঈগল২৭৪

সোনালী ঈগল২৭৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৩


আজ ৩০ শে অগাস্ট। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হোন
ক্র্যাক প্লাটুন গেরিলাদলের অকুতোভয় যোদ্ধা শফি ইমাম রুমি , আজাদ , বদিউল হক , হাফিজ সহ অনেক গেরিলা যোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে পাকিস্তানী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান কতৃক মুক্তিযোদ্ধাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয় যা ১লা সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু কার্যকরের মাত্র একদিন আগেই ৩০ শে অগাস্ট রাতে এই অকুতোভয় গেরিলা যোদ্ধাদের নির্মম ভাবে শহীদ করা হয়। ক্র্যাক প্লাটুন গেরিলা দল ঢাকা শহরে বেশকটি সফল অভিযান পরিচালনা করে পাকিস্তানী বাহিনীর মনোবল একদম ভেঙে দিয়েছিলো । সেকারণেই এই গেরিলা দলের সদস্যদের প্রতি পাক আর্মির ছিল চরম ক্ষোভ। পাকিস্তানী ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি থাকা অবস্থায় মৃত্যুর আগে শহীদ রুমি তার সহবন্দীদের বলেছিলেন ,
" ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে আমার বয়স ২০ বছর। আজ যে শিশুটি জন্মাবে ২০ বছর পর তার বয়স হবে ২০ বছর। ওই শিশুটি যেন একটা স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে বড় হতে পারে তার জন্য আমি আমার এই ২০ বছরের জীবন উৎসর্গ করে গেলাম। "

আজকের এই দিনে শহীদ রুমি ও শহীদ আজাদ সহ ক্র্যাক প্লাটুন গেরিলা দলের আত্মৎসর্গকারী সকল বীর যোদ্ধাদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। জানিনা এ জাতি তোমাদের এই আত্মদান কতটুকু রেখেছে , কিন্তু এ দেশের প্রতিটি ধূলিকণা , রোদ্র , ছায়ায় তোমরা মিশে আছো, থাকবে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: বীর শহীদের শ্রদ্ধা জানাই।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের এইসব অকুতোভয় বীর শহীদের আমাদের গর্ব আর অহংকার। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫১

শোভন শামস বলেছেন: বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাই।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৮

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


এঁদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, এঁদের প্রতি কৃতজ্ঞা।

তবে, ততকালীন মেজর খালেদ মোশারফ ও ক্যা: হারুন এঁদেরকে সঠিকভাবে প্রস্তুত না করে অবরুদ্ধ ঢাকায় পাঠিয়েছিলেন।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য । যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব তো ছিলই সাথে সাথে ইতিহাস ঘটলে দেখা যায় যে এদের অনেকেরই কাছের বন্ধুরা বিশ্বাসভঙ্গ করে তাদের পাক আর্মির কাছে ধরিয়ে দিয়েছিলো । বিশেষ করে যাদের কাছে আশ্রয় পাবার ভরসায় তারা ঢাকাতে অভিযান পরিচালনা করতে এসেছিলো তারা সবসময় বিশ্বাসযোগ্যতার পরিচয় দিতে পারেনি । শহীদ বদিকে তারই বন্ধু ধরিয়ে দিয়েছিলো পাক আর্মির কাছে ।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১০

রাকু হাসান বলেছেন:



পাট ও বস্ত্র মন্ত্রীও নাকি এটার সদস্য ছিলেন।শ্রদ্ধা রইল।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য । সম্ভবত ছিলেন । তবে বিষয়টি আমার জানা নেই।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব তো ছিলই সাথে সাথে ইতিহাস ঘটলে দেখা যায় যে এদের অনেকেরই কাছের বন্ধুরা বিশ্বাসভঙ্গ করে তাদের পাক আর্মির কাছে ধরিয়ে দিয়েছিলো । "

-একজন গেরিলা ধরা পড়লে, নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য অন্যকে দেখায়ে দিতে পারে; এজন্য, গেরিলাযুদ্ধ কঠিন, বিশেষ করে অবরুদ্ধ এলাকায়; এগুলো বুঝে সেখানে অপারেশন করতে হয়। ক্রেক প্লাটুনের দরকারী প্রস্তুতি ছিলো না বললেই চলে।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: গেরিলা যোদ্ধাদের অনেকের বন্ধু কিংবা বন্ধুদের অভিভাবক তৎকালীন সময়ের মুসলিম লীগের ছাত্র সংঘটন এন এস এফ এর সাথে যুক্ত ছিল। তারা পরে অনেক গেরিলা যোদ্ধাকেই ধরিয়ে দেয়।

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাই।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:৩৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধোদের প্রতি জাতির বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ থাকলে দেশের শোচনীয় পরিণতি হতোনা।
তারা নিজেরাই নিজেদের দেশের ক্ষতি করতো না
চাঁদগাজী বলেছেন:তবে, ততকালীন মেজর খালেদ মোশারফ ও ক্যা: হারুন এঁদেরকে সঠিকভাবে প্রস্তুত না করে অবরুদ্ধ ঢাকায় পাঠিয়েছিলেন।
- পৃধিবীর কোনে দেশে সাধারণ জনগণ কি সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধ করে?
আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তো কোনো প্রস্ততিই ছিলো না। থাকলে কি আর পাকিরা ২৫ মার্চের এক রাতেই প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মারতে পারে?
মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করতে করতেই যুদ্ধ শিখেছেন।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। পাকিস্তানী প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা ছিল সম্পূর্ণ আনাড়ি। শুধু মাত্র দেশপ্রেমের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে তারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:০০

রাশিয়া বলেছেন: মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া - ক্রাক প্লাটুনের অন্যতম বীর সেনানী। সেইদিন যদি শহীদ হত, তবে জাতি একদিকে তাকে নিয়ে গর্ব করত, অন্য দিকে তার ও তার পরিবারের অপকর্মের হাত থেকে রেহাই পেত। তবে তার অপকর্ম অন্যন্য শহীদদের বীরত্বকে কোনভাবেই খাটো করবেনা। হীরার টুকরো মানুষগুলো আওয়ামী লীগের তথা নোংরা রাজনীতির সংস্পর্শে এসে কিভাবে পচে যায়, মায়া তার উজ্জ্বল নিদর্শন।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। মানুষ চিরকাল একরকম থাকে না। মুক্তিযুদ্ধকালে তার সেই ভুমিকাটুকুর জন্য তিনি শ্রদ্ধার পাত্র। পরবর্তী ঘটনাবলি মানুষ তার নিজের বিচার বুদ্ধি দিয়েই বিবেচনা করবে। তবে বাংলাদেশে একজন মুক্তিযোদ্ধা চিরকাল মুক্তিযোদ্ধার সেই নীতি আর আদর্শ নিয়ে থাকেনি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.