নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ

সোনালী ঈগল২৭৪

সোনালী ঈগল২৭৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরাইল রাষ্ট্র সম্পর্কিত কিছু চমকপ্রদ তথ্য

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৬


সমগ্র মুসলিম বিশ্বের কাছে ইসরাইলের পরিচয় একটি দখলদারি রাষ্ট্র হিসেবে। ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা বিভিন্ন আঙ্গিকে একটি বিতর্কিত বিষয়। এবং বিশ্ব মিডিয়ায় ইসরাইল রাষ্ট্রটির নামও আসে বিভিন্ন সংঘাত কিংবা সহিংসতার উপলক্ষ হয়ে। এতদসত্ত্বেও ইসরাইল রাষ্ট্রটি পৃথিবীর অনেক উন্নত রাষ্ট্রের কাছে বিভিন্ন দিক দিয়ে ঈর্ষণীয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের প্রভূত অর্জন রয়েছে বিশেষ করে শিক্ষা , গবেষণা , স্বাস্থ কিংবা পরিবেশ রক্ষায়। চলুন জেনে নেয়া যাক ইসরাইল রাষ্ট্রের কিছু ব্যাতিক্রমী দিক সম্পর্কে

১। ইসরাইল হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র দেশ যাদের ৫০ বছর আগেকার তুলনায় এখন বনভূমির পরিমান বেশি। বিশ্বের অন্যসব দেশে যেখানে বনভূমির পরিমান হ্রাস পাচ্ছে সেখানে ইসরাইল তাদের বনজ সম্পদ বৃদ্ধি করে তুলছে যা কিনা পরিবেশ রক্ষায় তাদের দূরদর্শিতার ফসল।

২। ইসরাইলের জনগণের মধ্যে বিশবিদ্যালয় ডিগ্রিধারী লোকজনের সংখ্যা পৃথিবীর অন্য সব দেশ থেকে বেশি। এদেশের শতকরা ৮ ০ ভাগ জনসংখ্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি রয়েছে যা অন্য কোনো দেশের নেই। জনসংখ্যার আনুপাতিক হরে সর্বোচ্চ পিএইচডিধারী জনসংখ্যার দিক থেকেও দেশটি বিশ্বে প্রথম।

৩। বিশ্বের প্রথম ভয়েসমেইল টেকনোলজি সর্বপ্রথম ইসরাইলের তৈরী হয়।

৪। ইসরাইলের মানুষের গড় আয়ুষ্কাল ৮২ বছর যা এবং কয়েকটি উচ্চ আয়ুষ্কালের দেশের মধ্যে ইসরাইল একটি।

৫। ইসরাইলের লোকাল কফি এর সুনাম সারা পৃথিবী জুড়েই রয়েছে , নিত্য নতুন গবেষণার মাধ্যমে তারা তাদের কফির কোয়ালিটি ডেভেলপ করে যাচ্ছে। ইসরাইল হচ্ছে একমাত্র দেশ যেখানে ষ্টার বাকসকে তাদের ব্যাবসায় লোকসান গুনতে হয়েছে এবং ইসরাইলে তাদের কার্যক্রম খুবই সীমিত।

৬। সায়েন্টিফিক জার্নালে প্রকাশনার সংখ্যার দিক দিয়ে ইসরাইলের অবস্থান সবসময় প্রথম দিকেই থাকে ।

৭। ২০১১ সাল থেকে ইসরাইল সর্বপ্রথম তাদের বাসস্টপেজ গুলোতে ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি চালু করে যেখান থেকে মানুষ বিনামূল্যে বই নিয়ে পড়তে পারে। ইসরাইলের দেখাদেখি অন্য অনেক দেশই তাদের বাসস্টপেজ গুলোতে এই ব্যবস্থা চালু করেছে।

৮। ইসরাইলের বিজ্ঞানীরা সর্বপ্রথম ক্যান্সার এবং পরিপাক তন্ত্রের বিভিন্ন রোগ সনাক্তকরণের জন্য indigestable ভিডিও ক্যামেরা প্রযুক্তি আবিষ্কার করে যার দ্বারা ক্যান্সার চিকিৎসায় একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

৯। বন্ধ্যাত্ব সমস্যা নিরসনে in vitro fertilization পদ্ধতির প্রয়োগ অন্যান্য দেশের চেয়ে ইসরাইলে অধিক। এবং এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ ফ্রি।

১০। ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব ১৯৯৮ সাল থেকেই বিশ্বের ১০ টি সিটির তালিকায় থাকছে।

১১। যুক্তরাষ্ট্রের পরে ইসরাইল হচ্ছে একমাত্র দেশ যাদের সবচেয়ে উন্নত হাইটেক সেন্টার রয়েছে।

১২। জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে যদি নোবেল বিজয়ী দেশ হিসেবে গণনা করা হয় তাহলে ইসরাইলের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে উপরে। ইসরাইলের জনসংখ্যা অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় খুবই নগন্য। সেই হিসেবে তাদের ভালো সংখ্যায় নোবেল বিজয়ী রয়েছে।

১৩। ইসরাইল হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র দেশ যার কোনো নির্ধিষ্ট জনসংখ্যা নেই। পৃথিবীর সমস্ত ইহুদি জনগণ ইসরাইলের নাগরিক। যেমন বাংলাদেশে যদি কোনো ইহুদি ব্যাক্তি থেকে থাকে তাহলে সেও ইসরাইলের সংবিধান অনুসারে সেদেশের নাগরিক।

এসব বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায় যে ইসরাইল শিক্ষা, দীক্ষা ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে ঈর্ষণীয়ভাবে সফল এক দেশ। ইসরাইলের বিরুদ্ধে টিকতে হলে মুসলিম বিশ্বকে ইসরাইলের মতোই শিক্ষা , দীক্ষা ও প্রযুক্তিতে উন্নত হতে হবে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একেবারে শুরুর দিকে স্বীকৃতিদানকারী দেশ হচ্ছে ইসরাইল , কিন্তু তৎকালীন প্রবাসী বাংলাদেশী সরকার ইসরাইলের স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পাঠানো সামরিক সরঞ্জাম নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের পর ইসরাইল আবার চেষ্টা চালায় বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানের ও আর্থিকভাবে সহযোগিতার। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন, "ইসরায়েলের বিপক্ষে টিকতে হলে মুসলিম বিশ্বকে শিক্ষা ... হবে।"

-ব্লগের লেখান মান দেখলে কি মনে হয়?

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৪

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য , আমি নবীন এবং নিতান্তই ক্ষুদ্র একজন ব্লগার। এখানকার ব্লগারদের লেখার ম্যান নিয়ে মন্তব্য করার দুঃসাহস আমার নেই। তবে প্রযুক্তিগত দিক থেকে অগ্রগতি অর্জন ছাড়া মুসলিমরা কখনোই সামনের দিকে এসিয়ে যেতে পারবে না।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭১ সালে, ও পরে বাংলাদেশ সরকারের যারা ইসরায়েলের "স্বীকৃতি ও সাহায্য" প্রত্যাখান করেছে, তারা গাধা ও লিলিপুটিয়ান ছিলো।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: সম্ভবত তৎকালীন আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্ব্রিদ্ধ দেশ গুলো থেকে আর্থিক সহায়তা লাভের আশায় সেসময়ের সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২১

কানিজ রিনা বলেছেন: পৃথিবীতে অনেক উন্নত জাতি আছে অথবা দেশ আছে কিন্তু ইহুদিদের মত অহংকারী যাতি খুব কমই আছে। তাদের অহংকার এর জন্য তারা একসময় ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছিল।
যতই তারা উন্নত জাতি হোক না কেন তাদের উন্নতি কে
বেশিরভাগ দেশ ঘৃণা করে।
যত উন্নত জাতি হোক তারা, তারা দখলদারি নামের কলঙ্ক বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫২

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এটা সত্যি ইসরাইলের উপর দখলদারিত্বের কালিমা রয়েছে এবং দেশটি সবসময় সহিংসতার জন্য বেশির ভাগ সময় শিরোনাম হয়েছে। এ বিষয়টিকে আমরা কেউ অস্বীকার করছি না। কিন্তু এর বিপরীতে শিক্ষা , গবেষণা আর প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার যে ইসরাইল আমি সেটাকেই ব্যাখ্যা করতে চেয়েছি।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সকল মুসলিম দেশের উচিত ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা । যেটা সংযুক্ত আরব আমিরাত করেছে ।
আশা করা যায় খুব দ্রুতই সৌদি আরব ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৮

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। স্বীকৃতি নিয়ে মুসলিম দেশ গুলোর মধ্যে বিভক্তি রয়েছে। তুরস্ক এবং মিশর তো অনেক
আগেই স্বীকৃতি দিয়ে রেখেছে। এখন সংযুক্ত আরব ও আমিরাত ও দিলো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বীকৃতি তাৎপর্যবহ। কিন্তু সৌদি আরবের স্বীকৃতিদান সম্ভবত এতো সহজ হবে না। তবে সৌদি আরব স্বীকৃতি দিলে সেটা একটা অভাবনীয় বিষয় হবে। তখন দেখা যাবে স্বীকৃতি নিয়ে অন্যান্য মুসলিম দেশ কি উদ্যোগ নেয়।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ইজরায়েলের সাথে বাংলাদেশের শত্রুতার কারণটা কি একটু ব্যাখ্যা করবেন?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৬

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: বাংলাদেশের সাথে ইসরাইলের কোনো শত্রুতা নেই দ্বিপাক্ষিক কোনো ইস্যু নিয়ে। আসলে দুটো দেশই দুজনের কাছে অপরিচিত। বাংলাদেশের কোনো আন্তর্জাতিক কার্যতালিকায় কখনো ইসরাইল ছিলোনা। এটি একটি অপরিচিত দেশ হিসেবেই পরিগণিত হয়ে আসছে। ফিলিস্তিনি জাতির প্র্রতি সহমর্মিতা এবং ওআইসির সদস্য দেশ হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি ইস্যু সবসময় বাংলাদেশ এড়িয়েই গেছে। তবে জানা যায় যে বাংলাদেশ সম্পর্কে ইসরাইল ইতিবাচক এবং তাদের মিডিয়াতেও বাংলাদেশকে তারা ইতিবাচক হিসেবেই তুলে ধরে। বোধয় তারা বাংলাদেশের স্বীকৃতি ও সমর্থন লাভের প্রত্যাশী এখনো আছে।

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: আরো রয়েছে..........

- জিডিপি'র শতকরা হিসেবে গবেষণা ও উন্নয়নে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা দেশ ঈসরাইল। এমনিতে এতটা উন্নত হয় নি।
-ড্রোন টেকনোলজিতেও তারা পাইওনিয়ার।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৩

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় যারা এর নেতৃস্থানীয় ছিল তারা সকলেই ছিল উক্ত সময়কালের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী , অর্থনীতিবিদ , প্রকৌশলী। আন্তর্জাতিকভাবে তাদের সুনাম ছিল ব্যাপক। স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়যে তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল মানব সম্পদের উন্নয়ন। তাদের পরবর্তী শাসকবৃন্দ পূর্বতনদের সেই নীতি এখনো অব্যাহত রেখেছে।

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৭

শাহ আজিজ বলেছেন: মেধার বড় অংশ ইহুদি ধর্মে বিশ্বাসীদের মাথায় । পৃথিবীর ৭০ শতাংশ আবিস্কার ইহুদিদের দ্বারা হয় । এরা প্রকাশ্য নয় বলেই জানা যায় না । একটি আবিস্কার সফল বাজারজাত করেই এর সত্ত্ব বিক্রি করে দেয় তারা কারন এদের শত্রু প্রচুর । আরবিয়রা কার্যত ইসরায়েলের বিরোধিতা করেনা । আর তাই আরবিয়রা এখন এক এক করে পা বাড়াচ্ছে ইসরায়েলের দিকে । আমার ধারনা আমেরিকান লুণ্ঠন থেকে বাচতে তারা ইসরায়েলকে পাশে চাইছে । তার সৈন্য , পারমানবিক ক্ষমতা অনেক বেশি । কিছু একটা ঘটছে ভেতরে ভেতরে । ফিলিস্তিনি ইহুদিরা বোমা মেরে ব্রিটিশদের খেদিয়েছিল প্রবাসী ইহুদিদের জন্য রাষ্ট্র গঠন কল্পে ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৭

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। আপনার ধারণা সঠিক হলেও হতে পারে। সাম্প্রতিককালে একের পর এক আরব রাষ্ট্র সমূহের ইসরাইলের প্রতি নমনীয় হবার পেছনে নিশ্চই কোনো কারণ থাকতে পারে। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শাসনামলে বিশ্বরাজনীতিতে বেশ কিছু চোখে পড়ার মত পরিবর্তন এসেছে যা একসময় ধারণাতে ছিল না।

৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

রাশিয়া বলেছেন: বেহেশতি খাবার মান্না সালওয়া খাওয়ার কারণে তাদের বুদ্ধি স্বভাবতই বিশ্বের অন্যসব মানুষের তুলনায় অনেক বেশি। সেই কারণেই তারা রোমান সাম্রাজ্যে বড় বড় পদ দখল করে ছিল এবং রোমান সম্রাটদের অনেক বড় বড় সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তার করেছিল। তাদের বুদ্ধির সবচেয়ে বড় নিদর্শন হচ্ছে ইউরোপে বিশেষ করে বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল ভেনিস ও লিভারপুলে ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সামগ্রিক পুঁজি ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়া। প্রভাবশালী অটোমান সাম্রাজ্যকে দুর্বল করতে এবং বিশ্বব্যাপী মুসলিম শক্তিকে হীনবল করলে এই পুঁজির বড় অংশ তারা বিনিয়োগ করেছে। বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে। এজন্যে জাতিসঙ্ঘে ইস্রাইলের বিরুদ্ধে কোন প্রস্তাব আনা হলে চীন বা ফ্রান্স ছাড়া খুব কম দেশই আছে, যারা বিপক্ষে ভোট দিতে সাহস করবে, কারণ পরাশক্তিদের মধ্যে এই দুই দেশেই ইহুদীদের প্রতিপত্তি খুব কম।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুলিখিত এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য। দেরিতে উত্তর প্রদানের জন্য দুঃখিত। ফ্রান্স ইসরাইল রাষ্ট্রের শুরু থেকেই এর বিপক্ষে এবং ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ছিল। আপনি নিশ্চই শেক্সপিয়ারের মার্চেন্ট অফ ভেনিস উপন্যাসটি পরে থাকবেন , তাহলেই বুঝতে পারবেন সুপ্রাচীনকাল থেকেই ইহুদিদের প্রভাব এবং প্রতিপত্তি কত ব্যাপক ছিল। তবে এটা সত্য যে ইহুদিদের কোনো নির্ধিষ্ট আবাসস্থল ছিল না। তারা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করতো। আর ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যদি দেখি তাহলে ইসরাইলিরা বনি ইসরাইল জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্গত। এবং আল্লাহ তায়ালা বনি ইসরাইল জাতিকে মহান হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন। যদিও বনি ইসরাইল জাতি সবসময় বাধ্যগত ছিলোনা। এরাও সৃষ্টিকর্তার অবাধ্য হয়েছে বারবার। এজন্যই এই জাতির জন্য সবচেয়ে বেশি নবী ও রাসূল প্রেরিত হয়েছে। আর আপনি স্বর্গীয় খাবার মান্না সালওয়া এর কথা বলেছেন , এটাও আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তাদের জন্য রহমত হিসেবে এসেছিলো। কিন্তু তারা সেই অবাধ্যতা ওরেই গেছে। এর ফল হিসেবে সৃষ্টিকর্তা তাদের দেশহীন করে দিয়েছিলেন।

৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২০

বিবেকহীন জ্ঞানি বলেছেন: ইজরাইল টেকনোলজি তে পৃথিবীর উন্নত সব দেশের তুলনায় অনেকাংশ এগিয়ে।
অজানা তথ্য জেনে খুব ই ভালো লাগলো।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৮

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। দেরিতে উত্তর প্রদানের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ইসরাইল তাদের গবেষণা ও প্রযুক্তিখাতে পৃথিবীর অন্যসব দেশের তুলনায় বেশি বাজেট বরাদ্দ রাখে। এজন্যই প্রযুক্তিগত দিক থেকে তারা পৃথিবীতে শীর্ষস্থান দখল করে আছে।

১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: ট্রান্স-পু-শন নামে চিকিৎসাবিদ্যায় একটা পদ্ধতি আছে, সোজা বাংলায় বললে যেটা দাঁড়ায় 'গু-চিকিৎসা'। খুবই ঘৃণা উদ্রেককারী একটা পদ্ধতি, এজন্য বেশি বলতে চাচ্ছি না, বিস্তারিত গুগল করলেই জানা যাবে।

এই পদ্ধতির ফলে দেখা যাচ্ছে মানুষের 'গু' এর কিছু ভালো দিকও রয়েছে কিন্তু তার মানে তো আর সেটা মিষ্টি বা দর্শনীয় ও সুস্বাদু কিছুতে পরিবর্তিত হয়ে গেলো না.... ইজরাইলের বিষয়ে একই কথা প্রযোজ্য।

তাদের ডেডিকেশন ভালো ফলে তারা জ্ঞান বিজ্ঞানসহ বিবিধ বিষয়ে উন্নতি করেছে। তবে তাদের এই উন্নয়ন পুরোটাই নিজেদের সুপ্রিমেসি প্রতিষ্ঠার জন্যই তারা করেছে। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশ্ব এই উন্নয়নের সুফল পেয়েছে, কিন্তু বৈশ্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণের কোনো বিষয় এখানে ছিলো না।

একটা জাতি, জোরপূর্বক এবং সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে অন্য একটা দেশে গিয়ে সেখানকার মানুষকে বের করে দিয়ে জবরদখল করে বসে আছে- কোন উন্নয়ন, জ্ঞান-বিজ্ঞান বা অন্য কোনো কিছু দিয়েই এটাকে জাস্টিফাই করা যায় না বলেই আমি মনে করি।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। একথা সত্যি যে সমস্ত মুসলিম বিশ্বসহ অনেক দেশের কাছেই ইসরাইলের পরিচয় একটি দখলদার রাষ্ট্র হিসেবে। দীর্ঘসময় ধরে তারা ফিলিস্তিনিদের উপর দমন পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। এটা ইসরাইলের রাজনৈতিক দিক। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে ইসরাইলের যে উন্নয়ন , তাদের উদ্ভাবন কিংবা সৃজনশীলতা সেটা তো সত্য। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সব বিশাল বিশাল আবিস্কারই তো কোন না কোনো প্রয়োজনকে সামনে রেখে হয়েছিল। যেমন আমরা যদি মহাকাশ গবেষণার কথা চিন্তা করি তাহলে দেখা যাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধত্তোরকালে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাকাশ গবেষণা নিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় নেমেছিল। কিন্তু এটি প্রতিযোগিতা হলেও এর দ্বারা সমগ্র বিশ্ব কিন্তু উপকৃত হয়েছিল। এই যে সাম্প্রতিক করোনা মহামারী , এখানেও কিন্তু ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বের তাবৎ উন্নত দেশের মধ্যে একটা পরোক্ষ প্রতিযোগিতা চলছে, তারা চায় সবার আগে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে তাদের জাতির শ্রেষ্ঠত্ব কিংবা সুপ্রিমেসি প্রতিষ্ঠা করতে। ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে সবারই তো লাভ।
আমার আলোচনা সেখানেই। যদি ইসরাইল তাদের সুপ্রিমেসি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে যাবার মত কিছু দে তার সুফল তো সবাই ভোগ করবে। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে প্রায় সত্তর বছরের বেশি বয়সী রাষ্ট্র ইসরাইলের মোকাবেলায় মুসলিম দেশ গুলো ইসরাইলের সমান্তরালে কতটুকু উন্নত করেছে তাদের ??? কতটুকু মনোযোগ তারা দিয়েছে দক্ষ মানবসম্পদ ব্যাবস্থাপনায় ???

১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৯

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট, মন্তব্য গুলোও চমৎকার। এখন ইসরায়েলের বিরোধিতা করাটা সময় উপযোগী নয় মনে হয়। ইসরাইলের প্রতি আরব বিশ্বের নমনীয় হওয়ার পেছনের কারণটা কি হতে পারে ?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩০

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। দেরিতে উত্তর প্রদানের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আরব বিশ্ব মূলত তাদের ব্যাবসায়িক স্বার্থে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করছে। কারণ শুধু তেলের উপর নির্ভর করে অনেকদিন হয়তো আর টিকে থাকা যাবে না। এছাড়া ইসরাইলের সাথে ইরানের দা -কুমড়া সম্পর্ক। আবার সৌদিআরবসহ আরববিশ্বের তেলসম্ব্রিদ্ধ দেশের সাথে ইরানের আবার খারাপ সম্পর্ক। সুতরাং , শত্রুর শত্রু , আমার বন্ধু।

১২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এক ইসরাইল রাষ্ট্র সন্ত্রাস কায়েম করে পৃথিবীতে যতো অশান্তির সূত্রপাত করে রেখেছে। ''দূর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য'' কথাটা এই রাষ্ট্রটার জন্য খুবই যুৎসই।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। দেরিতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত। ফিলিস্তিনিদের সাথে ইসরাইলের যে সংঘাত , আর নৃশংসতা সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

১৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৪

জুন বলেছেন: আজকেই ইসরায়েলের ফ্লাইট সৌদির আকাশসীমা অতিক্রম করে আমিরাতে নামলো সোনালী ঈগল। এই শুভেচ্ছা সফরে ট্রাম্পের মেয়ের জামাইও আছে। ইসরায়েল সাথে মিডলইস্টের নেতাদেরও শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এই প্রত্যাশা রইলো।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২০

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। দেরিতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত। ফিলিস্তিনিদের সাথে ইসরাইলের যে সংঘাত , আর নৃশংসতা সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। দেরিতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত। আরববিশ্ব ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক করতেই পারে কিন্তু ফিলিস্তিনিদের দুঃখ আর দুর্দশাও মাথায় রাখা উচিত।

১৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট, মন্তব্য গুলোও চমৎকার। এখন ইসরায়েলের বিরোধিতা করাটা সময় উপযোগী নয় মনে হয়। ইসরাইলের প্রতি আরব বিশ্বের নমনীয় হওয়ার পেছনের কারণটা কি হতে পারে ?

সহমত।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২২

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। দেরিতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত। আমার মনে হয় আর কিছু না হলেও শুধু ইরানকে ঠেকানোর জন্য আরব দেশ গুলো ইসরাইলের দ্বারস্থ হয়েছে।

১৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এত কিছুতে ইসরাইল বিশ্বের অন্য দেশ হতে উপরে । কেন একটা মুসলিম রাষ্ট্রও সমপর্যায় নেই। দখলদারি হলেও নিজের দেশ উন্নত করতেছে ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৪

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। দেরিতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত। মুসলিম দেশ গুলো কখনোই শিক্ষা , সংস্কৃতি , বিজ্ঞান চর্চা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার দিকে মনোযোগ দেয়নি। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় শুধু খনিজ সম্পদের উপর ভিত্তি করে একটি দেশের টিকে থাকা অসম্ভব।

১৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ইংরেজ রা একসময় সারা পৃথিবীতে উপনিবেশ স্থাপন করে সারা দুনিয়া শোষন করে নিজেদের উন্নয়ন করেছে তাই বলে উন্নয়নের দৌহাই দিয়ে তারা যেমন তাদের অন্যায় কাজের বৈধতা পায়নি কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে অনেকেই বৃটিশদের মেনে নিয়েছে ঠিক তেমনি ইজরাইল যার জন্মই অবৈধ এবং বর্তমান দুনিয়ার বেশীরভাগ ঘটনা- দূর্ঘটনায় তাদের (ভাল-খারাপ দুভাবেই) ভূমিকা মুসলমানদের মেনে নেওয়া বেদনাদায়ক হলেও একসময়/সময়ের প্রয়োজনে হয়ত অনেকেই মেনে নিবে বা নিচছে ,তাই বলে তাদের
অবৈধতা কিন্তু বৈধতা পাচছেনা ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। দেরিতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত। দেখুন প্রায় সত্তর বছরের সহিংসতা থেকে ফিলিস্তিন কিছুই পায়নি। স্বাধীনতা পায়নি , দেশ পায়নি , এমনকি সত্তর বছরেও পুরো মুসলিম বিশ্বের নিরন্তর সমর্থনও পেয়ে উঠা আর সম্ভব হচ্ছে না। এক প্রজন্ম সহিংসতার মধ্যে শেষ হয়েছে , আরেক প্রজন্ম শেষ হবার দ্বারপ্রান্তে। এখন সময় এসেছে সত্যিকার সমাধানের দিকে যাওয়া। ইসরাইলকে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। এই বাস্তবতা মেনে নিতেই হবে। ইয়াসির আরাফাত ও কিন্তু মেনে নিয়েছিলেন। তিনি কিন্তু ইসরাইল রাষ্ট্রের পাশেই আরেকটি ফিলিস্তিন চেয়েছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো স্বাধীন ফিলিস্তিন হয়ে যেত। এখন সময় সহিংসতামুক্ত একটি ফিলিস্তিন তৈরী এবং তার ভবিষৎ বিনির্মাণ। এর জন্য আপোষ করা লাগলেও তা করা উচিত। কিছু কিছু সময় একটা চিরস্থায়ী শান্তির জন্য কিছু পরাজয় মেনে নিতে হয়।

১৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: ইসরাইল আমাকে অবাক করেছে !

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। দেরিতে উত্তর প্রদানের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।ইসরাইলের অগ্রগতি সত্যি বিস্ময়কর।

১৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলো পড়লাম। ভালো লাগলো।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই। ভালো থাকবেন।

১৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ স্যার। মূলত আপনার পোস্ট নিয়ে কোনো কথা নেই। একটা দেশ-জাতি তাদের নিজস্ব উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবে, এটাই তো হওয়ার কথা। ইজরাইলও সেটাই করছে। কিন্তু পোস্টের নিচে অনেকের আদেখলেপনা দেখে ওরকম মন্তব্য করেছি।

১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত পাকিস্তান যেমন আমাদের উপর জগদ্দল পাথরের মত চেপে আমাদের মানবতা হরণ করে যাচ্ছিলো, যে কারণে দেশ হিসেবে আমরা পাকিস্তানকে ঘৃণা করি, ঠিক একই কারণে ইজরাইলও দেশ হিসেবে ঘৃণ্য, পরিত্যাজ্য। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব যে ইজরাইলের সহায়তা প্রত্যাখ্যান করেছিলো, তা যথার্থ ছিলো বলেই আমি মনে করি। ক্রমাগত মানবতা হত্যাকারী একটা দেশের উন্নয়ন দেখে আপ্লুত হওয়ার কিছু নেই।

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এক ইসরাইল রাষ্ট্র সন্ত্রাস কায়েম করে পৃথিবীতে যতো অশান্তির সূত্রপাত করে রেখেছে। ''দূর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য'' কথাটা এই রাষ্ট্রটার জন্য খুবই যুৎসই।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাই মন্তব্যের জন্য। দখলদার ও মানবতাবিরোধী হিসেবে ইসরাইলের দুর্নাম অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে সত্তর বছরের বেশি পার হয়ে গেছে। আর কত দিন ফিলিস্তিন অপেক্ষা করবে তাদের স্বাধীনতার জন্য ??? আমার মনে হয় কিছু সমঝোতা করে এবং ছাড় দিয়ে হলেও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করা উচিত। ইসরাইল তো সত্তর বছর যাবৎ মিডল ইস্ট এ একঘরে , অসামাজিক হয়ে আছে। এখন যদি আরববিশ্বের স্বীকৃতির খাতিরে ফিলিস্তিনের ব্যাপারে একটু নমনীয় হয় তাতে ক্ষতি তো দেখি না। ইয়াসির আরাফাত কিন্তু তাই চাইতেন। উনি কিন্তু যেকোনো শর্তের বিনিময়েই শুধুই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চাইতেন। উনি বেঁচে থাকলে হয়তো স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র এতদিনে হয়ে যেত। কারণ উনি কিন্তু সেই সময়েই রাষ্ট্রের সমান্তরাল পি এল ও করেছিলেন যা ছিল এযাবৎকালে দখলদারিত্বের মধ্যে থেকেও ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে বড় অর্জন। তার মৃত্যুর পর কেউ কিন্তু সেরকম বড় কিছু অর্জন করতে পারেনি। এমনকি ফিলিস্তিনিদের আইকনিক লিডার ও হয়ে উঠেতে পারেননি।

২০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

জুন বলেছেন: আমি হয়তো আপনাদের মত অনেক কিছুই জানি না সোনালী ইগল। তবে আপনাকে একজন সহ ব্লগার হিসেবেই বলি ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করে ঈসরায়েল প্রতিষ্ঠা করেছে এটা হয়তো সাধারণ ফিলিস্তিনি যারা প্রচুর রক্ত দিয়েছে তাদের হয়তো মানতে কষ্ট হবে। কিন্ত নেতারা যখন পারস্পরিক স্বার্থে একীভূত হবে তখন জনগন মানতে বাধ্য হবে। জীবন এগিয়ে যাবে একসময়।
কারন এটা জানি রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। এক সময়ে বৃটেন আর ফ্রান্স পরস্পরের মাঝে চুড়ান্ত শত্রুতা ছিল। নেপলিয়ন বৃটিশ জাতিকে "নেশন অভ শপ কিপার" বলে তাচ্ছিল্য করতো। সেই ইংল্যান্ড ফ্রান্স জার্মানির সাথে যুদ্ধে নেমে চরম মিত্র হয়ে গেল। ইতিহাসে এমন ভুরিভুরি উদাহরণ আছে।
আশাকরি আমার মন্তব্যে কিছু মনে করবেন না। এটা পুরোই আমার ব্যক্তিগত মতামত।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৬

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুলিখিত মন্তব্যের জন্য। আমিও নিজেও কিন্তু ব্যাক্তিগতভাবে তাই মনে করি যে এখন সবকিছু মেনে নিয়েই একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে যাওয়া উচিত। কোনো দেশকে ধ্বংস করে ফেলার শপথ নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ঠিক নয়। ইসরাইলের বাস্তবতাকে কোনোভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই। বাস্তবসম্মত চিন্তা করেই , সমঝোতা আর সহনশীলতার নীতি নিয়েই উচিত হবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বাধীনতা আদায় করা। আমি কিন্তু এই পোস্টে অনেক মন্তব্যকারীর উত্তরেও একই কথা বলেছি। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

২১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ইসরাইল দেশটা দেখা দরকার।
তাদের কাজ কর্ম দেখা দরকার।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৪

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: বাংলাদেশের সাথে ইসরাইলের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই

২২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনি তো চাচ্ছেন বাংলাদেশ এই বর্বর রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিক, তাই না?
চাঁদগাজী বলেছেন: ১৯৭১ সালে, ও পরে বাংলাদেশ সরকারের যারা ইসরায়েলের "স্বীকৃতি ও সাহায্য" প্রত্যাখান করেছে, তারা গাধা ও লিলিপুটিয়ান ছিলো আপনার প্রভূ এ্যামেরিকাও তো বাংলাদেশের স্বাধীনতার সম্পূর্ণ বিরোধী ছিলো।নিজের দেশে ইহুদীদের থাকতে না দিয়ে তারা আরবদের তেল লুটের জন্য এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলো।
চোরে চোর শুধু মাসতুতো ভাই হয় না, আজকাল খুনীর সাথে খুনীর বিয়েও হয় !!!!
ভারত-ইসরাইল সম্পর্ক ‘স্বর্গে লেখা বিবাহ’

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৭

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। দেখুন আমি শুধু ইসরাইলের উন্নতি আর অগ্রগতির কথা বলতে চেয়েছি আমার এই লেখায়। আর বোঝাতে চেয়েছি মুসলিম বিশ্বের জন্য টেকনোলজিতে ডেভেলপ হওয়া কতটা জরুরি। আমি স্বীকৃতি দানের ব্যাপারে কিছু বলিনি। চাঁদগাজী সাহেব তার নিজস্ব ভাবনা থেকে মন্তব্য করেছে। এটা একান্তই তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।

২৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০১

অনল চৌধুরী বলেছেন: আরেকটা কথা, ইসরাইলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের যোদ্ধারা সরাসরি যুদ্ধ করেছে।অনেকেই মারা গেছেন , অঙ্গহানি হয়েছে অনেকের।
সবকিছু এই বর্বর বিশ্বাসঘাতকদের জন্য।সুতরাং এদের সাথে কোনো সম্পর্ক অসম্ভব।
ফিলিস্তিনে বাংলাদেশি যোদ্ধা

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৯

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: আমি কখনোই বলিনি যে বাংলাদেশের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক হওয়া উচিত। আমি শুধু তাদের উন্নতি থেকে শিক্ষা নিতে বলেছি। আমার লেখায় কোথাও ইসরাইলকে স্বীকৃতিদানের কোনো আহ্বান নেই।

২৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: পরোক্ষভাবে সেটাই বলেছেন। না হলে লেখার এতো বিষয় থাকতে এদের নিয়ে এইসময় লিখতেন না। এরকম আরেকটা ক : উল্লাহ ২০০৮ সালেও এই চেষ্টা করেছিলো।
ইসরাইল থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা নিতে হবে না।
দেশ দখলকারী রক্তচোষা সুদখোর ইহুদী খুণীগুলিকে ছাড়াই প্রাচীন কাল থেকে ইংরেজরা লুপটাট করার আগে পর্যন্ত বাংলা ধন-সম্পদ-সামরিক শক্তি-সবদিক দিয়েই অত্যন্ত শক্তিশালী ছিলো। দুর্নীতি বন্ধ হলে এখনো সবদিকে দিয়ে উন্নত হতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.