নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ

সোনালী ঈগল২৭৪

সোনালী ঈগল২৭৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইসরাইল কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৬



সমসাময়িক বিশ্ব রাজনীতির ব্যাপারে ন্যূনতম ধারণাও যাদের রয়েছে, তাদের যদি জিজ্ঞাসা করা হয় ইসরাইলের সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু কে তাহলে এক কথায় সবার উত্তর হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইল সৃষ্টির পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক সাহায্য দিয়েছে। পাশাপাশি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ওঠা যেকোনো নিন্দা অথবা শাস্তির প্রস্তাব আটকে দিতেও বরাবরই তৎপর যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র যতবার ভেটো দিয়েছে, তার অর্ধেকই ইসরাইলের জন্য! কিন্তু , এত ছোট একটি দেশ ইসরাইল, যার জনসংখ্যা দশ মিলিয়নেরও কম, সেই দেশটির প্রতি আমেরিকার মত বিশ্বের সর্বোচ্চ পরাশক্তির এতটা ভালোবাসার কারণ কী? এর পেছনে প্রকৃত কারণ কী হতে পারে? কী করেই বা এই দুই দেশের মধ্যে এমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সৃষ্টি হলো? তার আগে চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে এই বন্ধুত্বের সূত্রপাত হলো :

যুক্তরাষ্ট্র -ইসরাইল বন্ধুত্বের সূত্রপাত
ইসরাইলের সৃষ্টি হয় ১৯৪৮ সালের ১৪ মে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান তখন প্রথম বিশ্বনেতা হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেন। কিন্তু এরপরও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের সুসম্পর্ক ছিল, তেমন নয়। রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ারের সময়ে ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি তো ছিল খুবই শত্রুভাবাপন্ন। বিশেষত ১৯৫৬ সালে যখন সুয়েজ যুদ্ধ হয়, যেখানে মিশরের বিপক্ষে লড়াই করে ইসরায়েল, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। ইজরায়েল মিশরের সিনাই উপদ্বীপ ও গাজার একটি অংশ দখল করলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেওয়া আর্থিক সহায়তা বাতিল করার হুমকি দেয়। এরপর দীর্ঘদিন ইজরায়েলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র।কিন্তু ১৯৬৭ সালের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েলের মধ্যকার সম্পর্ক দ্রুতগতিতে ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর হতে থাকে। ১৯৭৩ সালে আরব-ইজরায়েল যুদ্ধের সময় মার্কিনীরা ইজরায়েলের পক্ষ নেয়। এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্কের মজবুত ভিত্তি রচনা করে। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও কূটনীতিকরা বুঝতে পেরেছিলেন যে, মধ্যপ্রাচ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব কমাতে ইজরায়েল তাদের কার্যকরী এক অস্ত্র হতে পারে। সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকেই ইজরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র আরো ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। এই যুদ্ধে মার্কিনরা বেশ সফলতাও অর্জন করে এবং নিজেদের বিশ্বের একমাত্র সুপারপাওয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়। যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পারে, মধ্যপ্রাচ্যে তাদের এমন একটি মিত্র দরকার, যারা তাদের প্রতিরূপ হিসেবে কাজ করবে। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ভৌগোলিক দূরত্বের একটি বিষয় ছিল। সেই সমস্যা নিরসনে শক্ত ঘাঁটি বিনির্মাণের জন্যই তারা বেছে নেয় ইজরায়েলকে। যুক্তরাষ্ট্র তখন ইজরায়েলের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির জন্য তাদের হয়ে ফিলিস্তিনের সাথে দেনদরবার করার দায়িত্ব গ্রহণ করে। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের আশ্বাসের কারণেই এখনো ইজরায়েল যেকোনো শান্তি আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়। বিগত তিন মার্কিন প্রেসিডেন্টই চেষ্টা করেছেন ফিলিস্তিনের সাথে ইজরায়েলের একটি সুরাহা করার। তবে এক্ষেত্রে তাদের সমর্থনের পাল্লা তেল আবিবের দিকেই বেশি থেকেছে। যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই ইজরায়েলের অনেক অপরাধ দেখেও না দেখার ভান করে থেকেছে, যা অব্যাহত রয়েছে বর্তমানেও। কিন্তু এর পেছনের রহস্য কী? শুধু মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য তারা ইজরায়েলকে সমর্থন করে, নাকি আরো কোনো কারণ রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েলের সম্পর্ককে বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল কূটনৈতিক সম্পর্কও বলা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাব সৃষ্টির জন্য ইজরায়েল যেমন প্রচুর অর্থ ব্যয় করে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রও তাদের বড় অঙ্কের আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। তবে এরপরও দুই দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, যেখান থেকে লাভবান হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৮৫ সালে ইজরায়েলের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের হার অনেক বেড়েছে। ইজরায়েলে থাকা মার্কিন দূতাবাসের তথ্যমতে, ২০১৬ সালে দুই দেশ প্রায় ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করেছে, যা থেকে সিংহভাগ লাভবান হয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে ইজরায়েল।যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ইজরায়েল বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বাজার। দেশটির বিভিন্ন রাজ্য ইহুদিপ্রধান দেশটির সাথে বিভিন্ন ব্যবসা করে আসছে, যা থেকে সামগ্রিকভাবে মার্কিন অর্থনীতি লাভবান হচ্ছে। বলা হয়ে থেকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে ইজরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে তার কল্পনার চেয়েও অনেক বেশি দিয়েছে। এর প্রতিদান অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রও কম দিচ্ছে না! এছাড়াও আরো গভীরে গেলে দেখা যায় যে , আমেরিকার রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে মূলতঃ কর্পোরেট হাউজগুলো। তারা প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত বানাতে পারে, সরাতে পারে। এসব কর্পোরেট হাউজগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় এদের মালিক কিংবা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কম্পানিগুলোর মূল দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা চীফ এক্সজিকিউটিভ অফিসার, সিইও হলেন জুইশ কমিউনিটির মানুষ। এ কথা মাইক্রোসফটের ক্ষেত্রে যেমন সত্য তেমনি জাপানিজ কোম্পানি সনির আমেরিকান অফিসের জন্যও সত্য।

আইপ্যাকের শক্তিশালী অবস্থান



যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পেছনে আমেরিকান ইজরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি (আইপ্যাক)-এর অবদানকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আইপ্যাক কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। কিন্তু এরপর তাদের যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণের উপর বড় প্রভাব রয়েছে। মার্কিন সরকারের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিভিন্ন সিদ্ধান্তে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে থাকে। কিন্তু তারা এই কাজ করে কীভাবে? 'কংগ্রেশনাল ক্লাব' নামে আইপ্যাকের বিশেষ একটি দল আছে। এই দলের প্রত্যেক সদস্য প্রতি নির্বাচনে সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার ডলার চাঁদা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর এই অর্থ ইজরায়েলপন্থী রাজনীতিবিদদের নির্বাচনে ব্যয় করা হয়। পরবর্তীতের এদের মধ্যে যারা জয়লাভ করে, তাদের মাধ্যমে সিনেট এবং হাউজে প্রভাব বিস্তার করে নিজেদের নীতির বাস্তবায়ন করে। তবে আইপ্যাক সামগ্রিকভাবে কত অর্থ ব্যয় করে, সেই সম্পর্কে জানা যায় না। তবে তাদের এমন কিছু সদস্য আছে, যারা এক মিলিয়ন থেকে শত মিলিয়ন পর্যন্ত অর্থ সাহায্য দিয়ে থাকে। আর এই সকল দাতাদের ধ্যান-ধারণা সবই ইজরায়েলকে ঘিরে। তারা যেকোনো মূল্যে মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েলকে টিকিয়ে রাখতে চান। শুধুমাত্র ট্রাম্পের শাসনামলেই আইপ্যাক অনেকগুলো সফলতা অর্জন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী ঘোষণা, ইরানের সাথে করা পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে আসা এবং ফিলিস্তিনকে দেওয়া সাহায্য বন্ধ করা।

সাধারণ আমেরিকানদের মধ্যে ইসরাইলের প্রতি সহানুভূতিশীলতা

আশির দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ইজরায়েল বড় এক ইস্যু। কারণ অধিকাংশ আমেরিকান ইজরায়েলিদের প্রতি সহানুভূতিশীল। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে যারা ইজরায়েলকে সমর্থন করে, তাদেরকে ভালো চোখে দেখা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, মার্কিন নাগরিকদের প্রায় ৭০ ভাগই ইজরায়েলকে সমর্থন করেন এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করতে ইচ্ছুক। বিপরীতে মার্কিন মুলুকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি দিনকে দিন আরো কমছে। মার্কিন জরিপকারী সংস্থা 'গ্যালাপ' ১৯৮৮ সাল থেকে মার্কিন নাগরিকদের ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনি নাগরিকদের প্রতি মার্কিনিদের সমর্থনের তুলনামূলক তথ্য সংগ্রহ করছে। আশির দশকের শেষভাগে ফিলিস্তিনিদের প্রতি মাত্র ১৫ শতাংশ মার্কিন নাগরিক সহানুভূতিশীল ছিলেন। সেই হার কমতে কমতে সর্বশেষ ১২ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে ইজরায়েলের ইহুদিদের প্রতি সমর্থন আগের চেয়েও বেড়েছে।


ইজরায়েলও ফিলিস্তিনের পক্ষে আমেরিকার জনগণের সমর্থনের একটি তুলনামূলক চিত্র © Gallup

যে কারণে মার্কিন রাজনীতিবিদদের বড় একটি অংশ কট্টরভাবে ইজরায়েলকে সমর্থন করেন। কিন্তু মার্কিন নাগরিকরা কেন ইজরায়েলকে এত বেশি সমর্থন করে? সেটি হলো, ইজরায়েলে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের খ্রিস্টান, ইহুদি ও উদারচিন্তার নাগরিকদের সম্মিলিত সমর্থন পাচ্ছে ইজরায়েল, যা তাদের মধ্যপ্রাচ্যে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

সাম্প্রতিক ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করে সবশেষে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে , অদূর ভবিষ্যতে ইসরাইলের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খারাপ হবার কোনো কারণ এখনো দেখা যাচ্ছে না এমনকি এই সম্পর্ক উত্তোরত্তর শক্তিশালী হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এই সম্পর্ক এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের একক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এর মতে হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মত এতো বড় বন্ধু ইসরাইলের আর কখনোই আসেনি। সবমিলিয়ে আমেরিকা-ইসরায়েলের সম্পর্ক এখন স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ সময় পার করছে। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষের কাছে তাদের এই সম্পর্ক যতই দৃষ্টিকটু কিংবা বাড়াবাড়ি মনে হোক না কেন, অদূর ভবিষ্যতে এ সম্পর্কের ছন্দপতনের কোন সম্ভাবনাই নেই।


মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২০

শাহ আজিজ বলেছেন: একটা জাতি সাড়ে তিন হাজার বছর মার খেয়েছে নানা দেশে । সবচে বেশি অত্যাচার হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় । বিপরীত মুখি জার্মান এবং রাশিয়া উভয়ের হলকাসটে ইহুদিরা খুন হয়েছে । ইহুদিদের বিজ্ঞানভিত্তিক কর্মকাণ্ড ব্যাপক । ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে এর আভাস পেতে শুরু করে পৃথিবী । সেই থেকে আজ পর্যন্ত ইসরায়েল শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি তৈরি করেছে , করেছে নিজেদের প্রতিরোধ ব্যাবস্থা উন্নত । আর্থিক দিক দিয়ে বলিয়ান লোকের বন্ধুত্ব সবাই চায় । এখন আরবিয়রা ঝাপিয়ে পড়েছে ইসরায়েলের পদতলে । সামনের ডিসেম্বরে একটা যুদ্ধের সুচনা আন্দাজ করছি গোটা এলাকা জুড়ে ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুলিখিত মন্তব্যের জন্য। ইসরাইলের উন্নতি বিস্ময়কর। মিডল ইস্ট এর দেশ বিশেষ করে সৌদি আরব খুব ভালোভাবেই বুঝেছে একমাত্র তেলের উপর নির্ভর করে সামনের দিনগুলোতে টিকে থাকা সম্ভব নয় আর তেল সম্পদ ও ফুরিয়ে আসছে অন্যদিকে ঘরের কাছে শত্রু হয়ে দাঁড়াচ্ছে ইরান। এই সুযোগটি কাজে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সে আরব দেশ গুলোকে ইরানের জুজুর ভয় বুঝিয়ে ইসরাইলের ছায়াতলে নিয়ে আসছে। তবে আরব দেশ গুলো অবশ্য এটা বুঝতে পারছে যে গতানুগতিক উপায়ে ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তাই একপ্রকার জেনে বুঝেই ইসরাইলের সাথে এই মিত্রতা। একথাও সত্য আরব বিশ্বের নতুন প্রজন্ম ইসরাইলের প্রতি এতো বৈরী কিংবা ফিলিস্তিনের প্রতি এতটা উদার নয় যা কিনা সেসব দেশগুলোর পূর্ববর্তী শাসকবৃন্দ ছিল। তবে লেভার পাল্লা সবচেয়ে ভারী হবে ট্রাম্পের। ইসরাইলের প্রতি তার গৃহীত নীতি সামনের নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে তার জন্য ম্যাজিকের মত কাজ দেবে।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এক সময় আমেরিকার প্রধান শত্রু ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন।তখন মুসলিম দেশগুল আমেরিকার মিত্রছিল।সোভেত ভেঙ্গে যাবার পর ইসলামীক জঙ্গিরা হয়ে যায় প্রথান শত্রু।মধ্যপ্রাচ্যকে নিয়ন্ত্রনের জন্য ইসরায়েল তার একমাত্র হাতুড়ি।

এখন জঙ্গিরা আর তার প্রধান শত্রু না।প্রধান শত্রু অর্থনৈতিক প্রতিদন্ধী চীন। চীনের মোকাবিলার জন্য ইসরাইলের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যকে ঐক্যবদ্ধ করতে চায় আমেরিকা।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। হুম আপনার কথায় যুক্তি আছে। তবে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে মিডল ইস্ট এর দেশ গুলোর ব্যাপক আগ্রহ ইসরাইলের সাথে দোস্তি করার।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: কে যে কার বন্ধু। কে যে কি চায়- বুঝা মুশকিল।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই। আসলে আন্তর্জাতিক রাজনীতি এমনি। এখানে পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে সব সম্পর্ক চলে। দু একটি দেশ ছাড়া নিঃস্বার্থভাবে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসার দেশ খুবই স্বল্প।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৩

শোভন শামস বলেছেন: তথ্য বহুল, ইন্টারেস্টিং

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ভালো থাকবেন।

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫০

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লাগল লেখা...

অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হলে বন্ধুর অভাব হয় না.........

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া কমেন্টের জন্য। আর্থিকভাবে শক্তিশালী বন্ধু সবাই চায়। সেটা মানুষের সাথে মানুষের বন্ধুত্ব হোক কিংবা এক দেশের সাথে আরেক দেশের বন্ধুত্ব।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে নেই কোন ঐক্য বা বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা ওরা আছে ক্যামনে ৭/১০ বিয়ে করা যাবে, গন্ডা গন্ডা সন্তান পয়দা করা যাবে সে চিন্তায় মগ্ন সেই সংগে রয়েছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা ধরে রাখা। আর এই রাষ্ট্রিয় ক্ষমতার কব্জায় রাখতে যা করা দরকার তাই করছে এতে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই। :(

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনি হয়তো বাস্তব দিকটাই তুলে ধরেছেন। মধ্যপ্রাচের দেশ গুলোকে এখন শিক্ষা ও বিজ্ঞান চর্চার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

একাল-সেকাল বলেছেন:
২য় বিশ্ব যুদ্ধে জার্মান -রাশিয়ার বিরূপ আচরন আর ভৌগোলিক অবস্থান ওদের সাড়ে তিন হাজার বছরের নিপীড়ন থেকে মুক্তি দিয়েছে। মধ্য প্রাচ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের আধিপত্য ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইস্রায়েল গুরুত্তপুর্ন হয়ে ওঠে । পাশাপাশি ইস্রাইলের জন্যও দরকার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মত একটা শক্তিশালী সমর্থনের। দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ রক্ষার মাধ্যমেই মূলত সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে।
ভারত বাংলাদেশের বেলায় ও এমনটা হতে পারত, কিন্ত ভারতের একচোখা মনোভাবের জন্য তা হবার নয়।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার ইত্যাদি আরো অনেক কারণে ইসরাইল আর যুক্তরাষ্ট্র একে ওপরের পরিপূরক। ভারত আর বাংলাদেশ খুব কাছাকাছি দেশ হলেও বাংলাদেশ ভারতের ভেতরের রাজনীতিতে ততটা প্রভাব ফেলে না। আর ভারতীয় মিডিয়াতেও বাংলাদেশ অনেকটাই উপেক্ষিত।

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৫

নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: খুব ভালো লাগলো পোস্ট। তথ্য বহুল।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো লাগলো জেনে খুশি হলাম। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.