নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ

সোনালী ঈগল২৭৪

সোনালী ঈগল২৭৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাপিত জীবনের কথকতা-৯

১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১৫

১। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এ আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীই মধ্যম এবং তীব্র মাত্রার করোনা আক্রান্ত এবং এদের প্রায় সবারই এক্সটার্নাল অক্সিজেন নেবার প্রয়োজন পরে । কিন্তু এই মুহূর্তে হাসপাতাল গুলোতে অক্সিজেন নিয়ে চলছে কাড়াকাড়ি !!! চিকিৎসকরা বলছেন, আক্রান্ত হয়ে যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলে যান তাদের বেশিরভাগেরই দরকার হচ্ছে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন। এর জন্য দরকার হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা দিয়ে ৮০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন দেওয়া যায়। অন্যদিকে নরমাল অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে মিনিটে মাত্র ১৫ লিটার অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব। কিন্তু , দ্বিতীয় ঢেউ এ তীব্র মাত্রার করোনা আক্রান্ত রোগীদের সাধারণ অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে অক্সিজেন ঘাটতি পূরণ করা যাচ্ছে না এবং একারণে মৃত্যুর হার দিন দিন বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব মতে সারাদেশে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা রয়েছে মাত্র ১১৫৮টি। প্রশ্ন হচ্ছে করোনা সংক্রমণের এক বছরের বেশি সময় পরে ও কেন এই অত্যাবশ্যকীয় ডিভাইসের স্বল্পতা থাকবে ?? এখানে বলা হচ্ছে যে ক্যানুলা চালানোর মত দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। কিন্তু আমরা সবাই জানি গেলো বছর করোনা সংক্রমণের পর বিশেষ ব্যাবস্থায় স্বাস্থ্য ক্যাডারে করোনা দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য ডাক্তার নিয়োগ করা হয়েছিল। এছাড়াও , মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও নার্স নিয়োগ করা হয়েছিল। এসব জনবলকে কেন এক বছরের বেশি সময় পরেও করোনা চিকিৎসার জন্য ন্যূনতম দক্ষ করা গেলোনা ???

২। লোভ , লালসা , হিংসা , বিদ্বেষে মত্ত মানুষদের জন্য খুব ভালো হতো যদি তারা কিছু সময়ের জন্য ঢাকার হাসপাতাল গুলোর করোনা ওয়ার্ড এ ঘুরে আসতেন। সে এক হৃদয়বিদারক অবস্থা। রোগী ভর্তির জন্য আসা লোকগুলো অপেক্ষায় আছে কখন কেউ মারা যাবেন আর একটা আইসিইউ বেড খালি হবে। এ এক হৃদয় বিদীর্ণ করা অবস্থা !!! বুক ভরে একটু নিশ্বাস নেবার জন্য মানুষের যে কি আকুতি তা কাছ থেকে না দেখলে বোঝার উপায় নেই। সর্বশক্তিমান আমাদের এ কোন পরীক্ষায় ফেললেন !!

৩।
গ্লাভস এর ভেতরে হাল্কা গরম পানি দিয়ে অর্ধচেতন রোগীর হাতে এভাবেই আটকে দেয়া হয়, তাকে বোঝানোটা জরুরি যে শেষ যাত্রায় কেউ তার হাত ধরে আছে এখনো।
পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে অনেকের কাছে এটা অনেক বড় প্রাপ্তি। যারা সহজ সরল আর একটু বোকা সোকা ধরণের, তারা শেষ বারের মত হেসেও দেন মুচকি করে। জীবনে তো তেমন কিছু পাওয়া হয়নি, যদি পরের যাত্রায় কিছু পাওয়া যায় হয়ত এই কথা ভেবেই মুচকি হাসি। যেটাকে আসলে পুরোপুরি ব্যখ্যা করা পৃথিবীর কোন চিকিৎসক এর পক্ষেই সম্ভব নয়।

ব্যান্ড অর্থহীনের একটা গানের লাইন ছিল না?
"পারবে আমায় এনে দিতে,
নিঃস্ব কোন মানুষের
শেষ যাত্রায় হাসিমুখ..."
হয়ত তার ই কিছুটা প্রয়াস এই ছবিটা!

ছবিটি সংগৃহীত, ব্রাজিলের কোন এক আই সি ইউ থেকে।


৪ । অসুস্থতার ধর্ম নেই। করোনারও ধর্ম নেই। হাসপাতালের দেয়াল যত প্রার্থনা শোনে, গির্জা-মন্দিরের দেয়াল তার একাংশ ও শুনতে পায়না। সচেতন মানবিক মানুষ হন। মানুষকে মানুষ হিসেবে বিচার করুন ধর্ম দিয়ে নয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ৩ নং পয়েন্ট টা খুবই মর্মান্তিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.