নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাগো বাহে

আমারও বলার ছিল

বলতে চাই

আমারও বলার ছিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফল-সবজি টাটকা রাখার সহজ প্রযুক্তি

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩



বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) উদ্যানতত্ত্বের গবেষক ফারুক বিন হোসেন ইয়ামিন এবার উদ্ভাবন করেছেন ফল ও সবজি টাটকা রাখার প্রযুক্তি।



এ প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা ছাড়া মাটির প্রকোষ্ঠে বাষ্প-তাপ ব্যবহার করে ফল ও সবজি শোধনের পর সংরক্ষণ করা যায়।



এর আগে এক টাকা খরচে মাছ ও ফলে ফরমালিন পরীক্ষার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন এই তরুণ বিজ্ঞানী।



দেশের সুবিধাবঞ্চিত ও বিদ্যুৎহীন এলাকার মানুষের কথা ভেবে এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বলে জানান তিনি।



ফারুক বিন হোসেন ইয়ামিন (৩২) বলেন, এ প্রযুক্তিতে মান ও গুণ ঠিক রেখে ১৫ দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত ফল ও সবজি টাটকা রাখা যায়।



তরুণ এই বিজ্ঞানী জানান, এটি হল বাস্প-তাপ দিয়ে সবজি ও ফল শোধন তথা সংরক্ষণ যন্ত্র। মাটি ছাড়াও কাঠ, টিন বা ইট দিয়েও এর মূল প্রকোষ্ঠ তৈরি করা যায়।



এ যন্ত্রের তিনটি অংশ হল: বাস্প উৎপাদক যন্ত্র, সঞ্চালন নল ও নিয়ন্ত্রণ বাল্ব এবং শোধন বাক্স।



শোধন বাক্স: শোধন বাক্স বা প্রকোষ্ঠটি প্রয়োজন মতো ছোট বড় করে তৈরি করা যায়। ৪-৬ ঘনফুট আয়তনের প্রকোষ্ঠই একটি পরিবারের জন্য যথেষ্ট।



মাটি, কাঠ, টিন ও ইট-বালি-সিমেন্ট দিয়ে শোধন প্রকোষ্ঠ বা বাক্সের বাইরের স্তর তৈরি করা যায়। এরপর ভেতরের দিকে থাকে এক ইঞ্চি পুরুত্বের কর্কশিট। কর্কসিটটি একটি পাতলা রেক্সিন বা শক্ত পলিথিন শিট দিয়ে আবৃত করে দেয়া হয়, যাতে ভেতর থেকে তাপ এবং বাষ্প বাইরে যেতে না পারে।



বাষ্প উৎপাদন যন্ত্র: ঢাকনাসহ ভাত রান্না করার হাঁড়ি ও তাতে পরিমাণ মতো পানির প্রয়োজন হবে। হাঁড়ির ঢাকনার ওপরের দিকে একটি ছিদ্র থাকে, এ ছিদ্র পথে একটি বাল্বযুক্ত সঞ্চালন লাইন সংযোজন করে তা শোধন বক্সে ঢোকানো হয়, যাতে হাঁড়ির পানি থেকে উৎপাদিত বাষ্প শোধন বাক্সে স্থানান্তর করা যায়।



এ বাস্প শোধন বাক্সে ঢুকে প্রকোষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে। তবে সঞ্চালন লাইনের একটি বাল্বের মাধ্যমে প্রয়োজন মতো শোধন বক্সের জলীয়বাষ্প ঢুকিয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।



আম, লিচু, পেঁপে, কলা, আনারসসহ বিভিন্ন ফল এবং টমেটো, আলু, মিষ্টি কুমড়া, পিঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, রসুনসহ বিভিন্ন সবজি এই প্রকোষ্ঠে বিভিন্ন তাপমাত্রায় নির্ধারিত সময় শোধন করে তা কক্ষ তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা পানিতে চুবিয়ে বা ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে ১৫দিন থেকে এক মাস টাটকা রাখা যায়।



ইয়ামিন জানান, এভাবে সংরক্ষণ করলে আলু-পিঁয়াজের অঙ্কুরোদগম রোধ করে তিন মাস পর্যন্ত ভাল রাখা যায়।



এছাড়া এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফল ও সবজির পচনের জন্য দায়ী ক্ষতিকারক ছত্রাক, ব্যাক্টেরিয়া এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভাইরাসের কার্যক্ষমতা রোধ করা সম্ভব হয়।



যেসব এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছেনি এবং কোল্ড স্টোরেজ নেই , সেসব এলাকার কৃষকরা ফরমালিন ও কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াই দীর্ঘদিন ফল ও সবজি এ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে পারবেন।



ইয়ামিন আরো জানান, দুই বছর আগে তিনি এর উদ্ভাবন কাজ শুরু করেন। এখন শুধু কৃষকদের মাঝে কাছে পৌঁছানোর অপেক্ষা।



মাটি দিয়ে তৈরি শোধন বক্সটি দেখতে অনেকটাই ডিপ ফ্রিজের মতো বলে অনেকেই একে মাটির ফ্রিজ বলেও আখ্যা দিয়েছেন, বলেন ইয়ামিন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

বটের ফল বলেছেন: স্যালুট আপনাকে শ্রদ্ধেও ইয়ামিন। আপনার উত্তোরোত্তোর সাফল্য কামনা করি।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৭

আমারও বলার ছিল বলেছেন: হা আপনার উত্তোরোত্তোর সাফল্য কামনা করি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.