সাব্বির বাংলাদেশের ম্যাক্সওয়েল!

২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

দামি মার্বেল পাথরের ন্যায় টানা টানা চোখ। হাসিমাখা চেহারা। বলা চলে হাসি যেন তার উপচে পড়ছে মুখ মন্ডল বেয়ে। ব্যাট-বল দু’য়ে সমান দাপট তার খেলার মাঠে। বলছি বাংলাদেশ জাতীয় দলের তরুণ উদীয়মান অলরাউন্ডার সাব্বির রহমান রুম্মনের কথা।

বলা চলে বর্তমান জাতীয় দলে নির্ভরতার প্রতীক সাব্বির রহমান রুম্মন। সাব্বির-সৌম্যদের আগমনের বদৌলতে আগের মতো এখন আর কেউ ‘এক সাকিবের’ ওপর আশার ফাল তুলে বসে থাকে না ।

‘ক্যাটস আই’য়ের ছেলেটি প্রথম নজর কেড়েছিল সেই এশিয়া গেমসের ফাইনালে। বিশ্বকাপে তো রীতিমতো সেলিব্রিটি বনে যান লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে রোজ ঝড় তুলে।

২০১৪ সালর ১৪ ফেব্রুয়ারি সফরকারী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাব্বিরের। এর পর ২০১৪ সালের ২১ নভেম্বর সফরকারী জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভেষক ঘটে তার। তখন নাসির হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হয়ে নিজস্ব ২৩তম জন্মদিনে অভিষিক্ত সাব্বির আক্রমণধর্মী ব্যাটিং করে মাত্র ২৫ বলে ৪৪ রান সংগ্রহ করেন।

তার এ ইনিংসে তিনটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কার মার ছিল। তার এ অসামান্য ক্রীড়ানৈপুণ্যে বাংলাদেশ দল ৮৭ রানে জয়লাভ করে ও ৫-ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

সর্বশেষ দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়া কাপে প্রতিটি ম্যাচে ঝড় তুলছেন বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত ৩টি ম্যাচে মোট ১৩০ রান সংগ্রহ করেন এই অলরাউন্ডার। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের ম্যাচে ৮০ রানের তাক লাগানো ইনিংসটি ছিল চোখে পড়ার মত।

আর সাব্বিরকে বাংলার ম্যাক্সওয়েল বলার অন্যতম কারণ হচ্ছে তার পেশীবহুল হাত আর অনেকটা ম্যাক্সওয়েলের মতো। ৫.৮ ইঞ্চি সাব্বিরের শারীরিক গঠন দেখে যে কেউ বলে দেবে আরে এই তো আমাদের ম্যাক্সওয়েল। সাব্বির ইচ্ছে চাইলেই ভালো বলেও নিখুঁত ছক্কা মারতে পারেন।

প্রসঙ্গত, সাব্বির সর্বশেষ বিশ্বকাপে অসাধরণ চমক দেখাচ্ছেন। প্রতিটা ম্যাচে ব্যাট হাতে নিজের সেরাটা দিচ্ছেন। বলা যায় বর্তমান বাংলাদেশ দলের মধ্যমনি এই সাব্বির রহমান।

৪ টি +০/-০