নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

অর্ক

...

অর্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামালপুরে একদিন

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২১



খুব সকালে জনৈক স্কুলগামী শিশু। জামালপুর।

জামালপুর শহরে যেয়ে আমি যারপরনাই বিস্মিত হয়েছিলাম- শহরে রিক্সা প্রায় নেই বললেই চলে! চারিদিকে শুধু অটো অটো আর অটো। ভাড়ায় চালিত শেয়ারের অটো। ছয় জন বসা যায় একটিতে। ভাড়াও তুলনামূলক বেশ কম। পাঁচ টাকাতেই মোটামুটি অনেকটা দূরত্ব পর্যন্ত যাওয়া যায়। মাঝরাত অবধি শহরের সর্বত্র দাপিয়ে বেড়ায় অটোগুলো। এসব অটোতে করেই পুরো জামালপুর শহর চসে বেড়িয়েছিলাম। সত্যি দারুণ বিস্ময়কর লেগেছে যে, অনেকটাই রিক্সাহীন একটি শহর জামালপুর। হাতে গোনা যে দুয়েকটি আছে সেগুলোও মেশিনচালিত। আর বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা শহরের তুলনায় বেশ সাজানো গোছানো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জামালপুর মূল শহরটি। ওখানকার রাস্তাঘাটে যত্রতত্র সেভাবে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখিনি। আর তেমন ঘনবসতিও নয়। একতালা দোতালা তিনতালা ছোটো ছোটো বাড়িঘর চারপাশে, বিস্তর গাছপালা, ছোটোবড়ো সবুজ ঘাশের মাঠ এদিক সেদিক। সবমিলিয়েই জামালপুর শহর আমাকে মুগ্ধ করেছে। ছিমছাম নিরিবিলি পরিচ্ছন্ন পরিকল্পিত একটি শহর। অন্যান্য অনেক শহরের থেকে ভালো। বিকেল অবধি ছিলাম সেখানে। জামালপুর শহরে দর্শনীয় কিছু সেভাবে দেখা হয়নি (হয়তো তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু নেইও), শুধু মা কালি বা জয় কালি নামের বহু প্রাচীন একটি মন্দির চলার পথে দেখার সুযোগ হয়েছিল। অধুনা অবশ্য ভেঙে চুরে আধুনিক করা হয়েছে সু্প্রাচীন মন্দিরটিকে। নিঃসন্দেহে শতবর্ষেরও অধিক পূর্বের শুরুর মূল স্থাপনাটা এখনকার মতো কিছুতেই ছিল না। মন্দিরের পাশে ছোটো একটি হোটেলে পরোটা ভাজি খেয়েছিলাম। দুটো পরোটা আর ভাজি’র দাম রেখেছিল মাত্র পনের টাকা। জামালপুরে খাবারদাবারের দাম ঢাকার তুলনায় বেশ কম। ওখানকার খাবার খেতে সুস্বাদু এবং হোটেলগুলোও তুলনামূলক বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। অনুমিত যে রান্নাও সেখানে যথাসম্ভব স্বাস্থ্যকরভাবে করা হয়ে থাকে। সড়কের পাশে ছোটো ছোটো চায়ের দোকানে গরুর খাটি দুধের চা পাওয়া যায়, মূল্য পাঁচ টাকা। এই চা প্রাণভরে খেয়েছি সারাদিন। হা হা হা। এছাড়া জামালপুরের মানুষদেরকেও আমার কাছে খুব ভালো, মিশুক, হাসিখুশি ও সহযোগিতাপরায়ন মনে হয়েছে। শহরের মতোই সুন্দর তাদের মন। বিভিন্ন প্রয়োজনে উদাত্ত সহযোগিতা পেয়েছি বিভিন্ন জনের কাছে। সবমিলিয়েই আমি মুগ্ধ! জামালপুর ঢাকা বেশ কয়েকটি ট্রেন নিয়মিত আসা যাওয়া করে, ভায়া ময়মনসিংহ। অগণিত মানুষ নিত্য গমনাগমন করে এসব ট্রেনে। বেশিরভাগই শ্রমজীবী, মেহনতি দরিদ্র মানুষ। অল্প কয়েক ঘণ্টাই ছিলাম জামালপুর শহরে। আমার দারুণ ভালো লেগেছে। আমি বলবো, বাংলাদেশের অন্যান্য জেলাশহরগুলোর জন্য মডেল হতে পারে জামালপুর শহর। ওখানে দেখলাম, জামালপুর জেলা তাদের কীসের যেন শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন করছে। তারই নানারকম পোস্টার ব্যনার বিলবোর্ড শহরের বিভিন্ন জায়গায়; ১৯১৮ থেকে ২০১৮। সম্ভবত ১৯১৮ তে ময়মনসিংহ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র জেলার স্বীকৃতি লাভ করেছিল জামালপুর! যাই হোক, বেশ মধুর অভিজ্ঞতা নিয়ে ঢাকায় ফিরেছিলাম সেবার। সময় সুযোগ মতো আরেকবার জামালপুরে যাবার ইচ্ছে আছে, এবং তা হাতে সময় নিয়ে। আরও ভালো করে দেখবো শহরটিকে।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২৭

সনেট কবি বলেছেন: জানিনা আমার কখনো জামালপুর দেখা হবে কিনা, তবে আমার কলিগ জামালকে প্রায় প্রতি দিন দেখি। আপাতত এতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। কি আর করা!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪০

অর্ক বলেছেন: আরে বড় ভাই জামালপুরই তো জ্যামাইকা নয়। কোনও ছুটিছাটায় প্ল্যান করে বন্ধু জামালসহই ঘুরে বেড়িয়ে আসুন। ভালো লাগবে। আর এইসব নগর ভ্রমণ মনকে উদার করে তোলে। আমি তো মুম্বাইয়ে প্রায় অর্ধ নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩২

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: কিছু ছবি শেয়ার করলে আমরাও সচক্ষে দেখতে পারতাম!

প্রত্যেক এলাকা জামালপুরের মত গড়ে উঠুক

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

অর্ক বলেছেন: এই যে আপনার জন্য আরেকটা ছবি। এবার সম্ভবত দুই সহোদর স্কুলে যাচ্ছে। ফোনে চার্জ ছিল না। দশ বারোটা ছবিই কোনওরকমে তুলতে পেরেছি। বিরাট কিছু ভেবে বসবেন না আবার, অনেক জায়গার থেকে তুলনামূলক ভালো। ভিড়ভাট্টা বেশ কম।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

অর্ক বলেছেন: ছবিটা রোটেট হয়ে এসেছে। সরি তাজুল ভাই। এরপর কখনও গেলে প্রস্তুতি নিয়ে যাবো।

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: শহর জামালপুর। পড়ে ভাল লাগল।
শুভেচ্ছা নিন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০৪

অর্ক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভাল লাগল।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:২৭

অর্ক বলেছেন: জি ধন্যবাদ।

৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩১

ঢাকার লোক বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো পড়ে.
পাকিস্তান আমলে জামালপুর ময়মনসিহ জেলার ভিতর ছিল. সম্ভবত ১৯৭৮ একে স্বতন্ত্র জেলার মর্যাদা দেয়া হয়।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৯

অর্ক বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ। ১৯১৮ সালেও বিশেষ কিছু ঘটেছিল... আপনার ভালো লাগাতেই লেখার সার্থকতা। শুভকামনা।

৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: প্রথম শিশুকি আসলেই স্কুলগামী, মানে ড্রেস নাই তো!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১১

অর্ক বলেছেন: নিশ্চিত। ড্রেস কোড অতো কঠোর নয় সম্ভবত... অতো ঘুম চোখে ব্যাগ নিয়ে স্কুলেই যাচ্ছিল।

৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

munzur morshed বলেছেন: জামালপুর আমি যাইনি কখনও। বাট জামালপুর আমার বন্ধুর বাড়ি। যারে আমি দোস্ত ডাকি। দোস্তরে অনেক আপন মনে হয়। দোস্তরে যেমন আপন মনে হয় তেমনি জামালপুরকেও কেনজানি আপন মনে হয়। কল্পনায় জামালপুরকে অপরূপ মনে হয়।কোন একদিন যাব ইনশাআল্লাহ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১২

অর্ক বলেছেন: ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিভাগীয় শহরগুলোর বাইরে জেলা শহরগুলো এখনো তুলনামূলক ভাবি নিরিবিলী আছে। তবে জনসংখ্যার চাপে এক সময় পুরো বাংলাদেশই হয়তো ঢাকার মত হয়ে যাবে...

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৭

অর্ক বলেছেন: তাই হতে চলেছে। সর্বত্র মানুষ গিজগিজ করে। অনেক জেলাতেও এখন খুব ভিড়। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এখন আগের মতো প্রচারও দেখি না। দেশের রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল ইত্যাদিতে শুধু মানুষ আর মানুষ!

১০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫৮

তাওহিদ হিমু বলেছেন: আমার জিএফ'র গ্রামের বাড়ি জামালপুর। যদিও আমার যাওয়া হয় নি কোনোদিন। আরো ছবি দিতে পারতেন ব্লগে। সুন্দর হত।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

অর্ক বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.