নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I know my writing sucks. I know my creation is Stupid as fuck. But, that\'s a good thing, \'cause it\'s the only thing am good at ( being a shitty writer ).

যায়েদ আল হাসান

বিছানায় শুয়ে,টেবিলে বা মেঝেতে বসে,ডায়েরীতে যেটা লেখেন, সেটা নিজের জন্য ইচ্ছেমত লেখা। যখনই অন্যকে দেখাতে যাবেন,সেটা অন্যের জন্য লেখা, যেক্ষেত্রে অন্যের রুচিটাকে প্রাধান্য দিতে হয়।

যায়েদ আল হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্বস্তি

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০২




বন্ধুকে নিয়ে প্রথম যেবার রেস্টুরেন্টে গেলাম, অস্বস্তি বোধ করলাম। এখানকার নিয়ম কানুন আলাদা। খাবার হোটেলের কায়দা এখানে চলবেনা। অস্বস্তি হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রথম বারে প্রায় প্রতিটি কাজেই অস্বস্তি লাগে। যে সপ্তাহে চারদিন রেস্টুরেন্টে হাজার টাকা ঢালে,তার জন্য রেস্টুরেন্ট বড়ই স্বস্তির। আমার পক্ষে পছন্দের তরুনীকে ' দৃষ্টি আকর্ষণ ' জাতীয় কিছু করা অস্বস্তিকর। ভাবতেই বুক করে ধড়ফড়, করব কিভাবে? কিন্তু যে ছেলেটা প্রতি মাসে সম্পর্ক পরিবর্তন করছে, তার কাছে ব্যাপার টা কেমন?


কেউ যদি তার সুস্থ চিন্তা গুলো প্রকাশ করতে চায়, সেটা কি দোষের কিছু? তবে জীবনের প্রথম লেখাগুলো প্রকাশিত করাতে অস্বস্তি কাজ করে। হয়তো সম্পাদক সাহেব লেখা পড়ে, সময় নষ্টের অনুশোচনায় ভুগবেন।


এর কারণ গুলো হতে পারে-

১) বিষয়বস্তু অস্পষ্ট

-সুস্পষ্ট করে কীভাবে লিখতে হয়, জানা নেই তাই। হয়ত চিন্তা অস্পষ্ট, তাই লেখার অস্পষ্ট দশা। একটু সময় দিন, চেষ্টায় আছি।

২) প্রকাশের অযোগ্য

- কেন? লেখার আবার অযোগ্যতা কী? কারো মানহানি করে তো কিছু লিখিনি। প্রশ্নই ওঠে না। কল্পকাহিনি লিখি। সেখানে সবই কল্পনা।

৩) লেখা মাণহীন

- দয়া করে জানতে পারি মাণদণ্ডটা কে বানিয়েছেন ? তার কাছ থেকে লেখার মাণদন্ড বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করতাম। এছাড়া, সোনাকে যাচাই করতে কষ্টিপাথর লাগে। আপনি কি কষ্টিপাথর?
-শেষ দুটি লাইনের জন্য ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি প্রার্থনা করছি।

৪) এটা লেখার কোনো ধারার মধ্যে পড়েনা

-তাহলে তো ভালোই। লেখালেখির জগতে নতুন ধারা তৈরি হবে। এতো হইচইপূর্ণ খুশির সংবাদ।

৫) লেখাটি বাজে, কেউ পড়বে না

-পাঠককে পড়াতেই হবে, এমন কঠিন প্রতিজ্ঞাবাক্য পড়ে লিখিনা। শিক্ষক নই। পড়বেন কি পড়বেন না, এটা পাঠকের ব্যাক্তিগত ইচ্ছে। তবে না পড়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। সময় অতি মূল্যবান।


কষ্ট করে লিখে ফেলার পর প্রকাশিত করাবার চেষ্টা দোষের কিছু না। সংকোচ করা নিষ্প্রয়োজন। পাঠিয়ে দিন। ছাপিয়ে দিলে ভালো, নইলে আরেকটা লেখা পাঠান। প্রথম বারে না পারলে দ্বিতীয় বার দেখুন। কিংবা হাল ছেড়ে দিন। হুমায়ূন আহমেদ একটা সময় 'অগ্রহনযোগ্য লেখক ' খেতাব পেয়েছিলেন। তিনিও ২০০ টির বেশী বই এর স্রষ্টা। হয়ত আপনার লেখাটাও অগ্রহণযোগ্য হবে। ক্ষতি কী ?

এক্ষেত্রে অস্বস্তি ভাবটাকে পাত্তা না দিলে হয়না?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৭

যায়েদ আল হাসান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.