![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিছানায় শুয়ে,টেবিলে বা মেঝেতে বসে,ডায়েরীতে যেটা লেখেন, সেটা নিজের জন্য ইচ্ছেমত লেখা। যখনই অন্যকে দেখাতে যাবেন,সেটা অন্যের জন্য লেখা, যেক্ষেত্রে অন্যের রুচিটাকে প্রাধান্য দিতে হয়।
- বুঝেছো তো? আমি ঘটনা নির্ভর পাঠক, চরিত্রে আমার যায় আসে না। একটা মানুষকে বাঘ কচকচ্ করে চিবিয়ে খেলো-এটা আমার কাছে নেহাৎ প্রাকৃতিক নিয়ম-মৃত্যুদৃশ্য। যে মরলো সে ব্যাটার আকার-দর্শন-আচার জানতে আমার আগ্রহ নেই মোটেও।
- তাই বটে! আচ্ছা স্যার, আজ উঠি-একটু কাজ আছে।
- বেকারের আবার কাজ কিসের? ও,বুঝেছি- কঠিন সাহিত্যকষ তোমার হজম হচ্ছে না। তা বলো-কীসে রস পাও তুমি? বিজ্ঞান-দর্শন-ধর্মতত্ব?
- মহামারী কোন তত্ব?
- বেশ বুঝেছি! অর্থশাস্ত্রেই তোমার রুচি!
- কেনো কেনো?
- মহামারীর এক বছর মানুষ রোগে পড়ে মরে -পরের দশ বছর না খেতে পেয়ে যায় পরপারে ।
- আরে কী সর্বনাশ! স্যার, আামি কি তাহলে চাকরি না পেয়ে -মরবো হঠাৎ বেকার হয়ে ?
- সেটা অবশ্য মহামারী না হলেও হতো। তা যা বলছিলাম- আগামী দশ বছর যদি ভাগ্যের দয়ায় বাঁচতে পারো- কতো অদ্ভুত কাণ্ড দেখবে--
- স্যার আপনি সরকারি চাকুরী-ওয়ালা, আপনি পারবেন। আমি বেঘোরে মারা পড়বো।
- তা যা বলেছ- আলবাত খাঁটি। তা মরবার আগে দু'চার জ্ঞানামৃত শুনেই মরো। রাতের খাবারটা একসঙ্গে খাবো।
- বলে ধন্য করুন স্যার!
- শোনো তাহলে- কতো লোক চাকরি খোয়াবে-কত বেকার বখে যাবে-মাস্তানময় হবে দেশটা। সুপার জায়ান্ট কোম্পানি গুলো দ্রুম দ্রুম করে ধ্বসে পড়বে।
- কোথায়?
- কর্তাদের মাথায়।
- তা বটে! ভেবেছিলাম আমার ঘাড়ে।
- মন্দ হতোনা তেমনটি হলে। তা শুনে যাও- শ্রেণী বৈষম্য প্রকাণ্ড মূর্তি ধারণ করেই মূহুর্তে স্তব্ধ হয়ে যাবে, নিম্ন-মধ্য-উচ্চবিত্ত সবাই রাস্তায় নেমে একটা জগাখিচুড়ি পাকাবে - যত রাজ্যের রাজারা ভেসে যাবে খিচুড়িবন্যায়।
- কী ভয়ংকর! ফের গণঅভ্যুত্থান!
- তবে বন-জঙ্গল-নদী-সাগর আর বেবাক উদ্ভিদ-প্রাণীদের ওপর যে অত্যাচার চলেছে, তার একটা প্রতিশোধ হবে।
- ইকোলজিকাল ব্যালেন্স! তবে স্যার যাই বলুন, সুন্দর একটা পৃথিবীর সূচনা হবে- বাজি ধরতে পারি। আবার আগের দিনের মতো বৃষ্টি হবে-গাছপালা বেড়ে জঙ্গল হবে- পাখির চেঁচামেচিতে ঝালাপালা হবে কানটা- নতুন আকাশে জ্বলজ্বল করবে চাঁদটা-
- হ্যা হ্যা, তা বলেছ বেশ, তবে সেদিন আসতে ঢেড় দেরী - তার আগেই তোমরা মরবে না খেয়ে! যাকে বলে-মরে শেষ।
- তাই বুঝি? মানুষ দু'চার হপ্তা শুধু পানি খেয়েই চলে- ভারতের কোন এক জাতি সেটা উৎসব করে - সোজা কথায় ওয়াটার ফাস্ট যাকে বলে।
- খাসা উপায়! দিনে একবেলা খেয়ে - উপোসের অভ্যাস করো। অবশ্য আমাকেও সেটা করতে হবে মাস কয়েক। লিভার-ধমনী-পাকস্থলী- সব কিছু ফ্যাট জমে একাকার।
হোক বা না হোক- যদি অর্থনৈতিক মন্দার চূড়ান্ত হয়ে দুর্ভিক্ষ হয়ে সামাজিক বিশৃঙ্খলা চরমে ওঠে? তাহলে কী হবে?
কি আর হবে? হয়তোবা গরীব দেশের মানুষ কষ্টে মরবে। তাতে কী? সবাই যদি দিন কাটায় মহানন্দে - আর আমি হতভাগা বিছানায় শুয়ে মরার জন্য দিন গুনছি- কেমন মজা হবে?
আর চারপাশে যদি তাকিয়ে দেখি সবাই মহাকষ্টে- তখন যদি ডাক্তারবাবু এসে আমায় বলেন - "আর বেশী দিন নেইকো বাপু - হয়েছে ব্লাড ক্যানসার- আছো বড়জোড় মাস তিনেক"
- " দূর ছাই মাস তিনেক - করবোটা কি এদ্দিন ধরে এই পচা পৃথিবী তে? জলদি যাবার উপায় থাকলে বাতলে দিন- চট্ জলদি।"
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:২৩
যায়েদ আল হাসান বলেছেন: পরামর্শের জন্য হয়েছি ব্যাগ্র-করছি অপেক্ষা-'আসবে কখন?'
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: আর একটু সুন্দর করে, গুছিয়ে লেখা কি সম্ভব?