নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গান শুনতে ভালবাসি কিন্তু গান গাইলে সবাই পালায়। প্রেম করি কিন্তু প্রেমিকা নাই। লেখালেখি করি কিন্তু পাঠক নাই। আমি আছি কিন্তু কেউ নাই...

আসিফ বিন হোসেন

পনেরো হাজার পৃষ্ঠার একটা উপন্যাস লিখব! সেই উপন্যাসে তার নাম কোটিবার থাকবে! সেই উপন্যাসের নায়ক আমি আর নায়িকা সে!

আসিফ বিন হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্ধকার

১৭ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

অন্ধকার ভালোবাসার প্রতীক হয়ে রইল। মোমবাতি জ্বালিয়ে ক্যান্ডেল-লাইট ডিনার করার মতো ইচ্ছে নেই। আলসেমি ধরে গেছে। এমনটা করলে হয়তো, রুনা ভীষণ খুশি হতো কিন্তু আলসেমির কাছে হার মানলাম।

নাহ, ট্রান্সমিটার ব্লাস্ট হয়েছে। এত রাতে এই বৃষ্টিতে ঠিক করতে লোক আসবে না হয়তো। বৃষ্টি থামলে আসবে। ভাত খেয়ে শুয়ে যেতে হবে, সকালে আবার অফিস। রুনাই মোমবাতি জ্বালিয়ে দিল। একটা ডাইনিং টেবিলের উপর রাখল অন্যটা হাতে নিয়ে ঘুরছে, রান্না ঘর থেকে খাবার আনছে।

আমাকে "খেতে আসো" বলে তাগাদা দিয়ে গেল। একটা রোমান্টিক গান গেয়ে রুনাকে জড়িয়ে ধরা উচিত, ভীষণ খুশি হবে। এটাতেও আলসেমি ধরে গেল। আড়মড়ি দিয়ে সোফা থেকে উঠে বসলাম টেবিলে। মোমবাতির হলুদ আলোয়, রুনার চেহারা হলুদ লাগছে। আমি উঠে দাঁড়ালাম। রুনা বলে উঠল,"উঠে গেলে যে? খাবে না?"
কিছু না বলে ওর কাছে গিয়ে হাত ধরে উঠিয়ে নিলাম। "কি করছো তুমি!"

আমি আমার পচা বেসুরো গলা দিয়ে গেয়ে উঠলাম,
"কতবারো ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, তোমারো চরণে দিব হৃদয়খানি খুলিয়া.. "
দুজনে প্রাণ প্রণে নাচার চেষ্টা করছি। রুনা প্রথমে ভীষণ অবাক হল, কিন্তু ঠিক পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিল নিজেকে। রুনা ভালো নাচে, আমাকে দেখিয়ে দিচ্ছে কিভাবে নাচতে হয়। হাতটা তার কোমরে নিয়ে ধরে রাখল। পুরো গানটা শেষ করতে পারলাম না। ভুলে গিয়েছি! শেষমেশ কিছু না পেরে রুনাকে সর্বশক্তিতে জড়িয়ে ধরলাম। রুনার আপত্তি ছিল না। আমরা অনেকক্ষণ পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে ছিলাম..
হাঠাত্ রুনা বলে উঠল,"অনেক হয়েছে, এবার আমাদের খেতে বসা উচিত... "

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

শরীফ বিন ঈসমাইল বলেছেন: দৈনন্দিন জীবন যাপন

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

হৃৎ কোমল বলেছেন: ভালো লাগলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.