![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পনেরো হাজার পৃষ্ঠার একটা উপন্যাস লিখব! সেই উপন্যাসে তার নাম কোটিবার থাকবে! সেই উপন্যাসের নায়ক আমি আর নায়িকা সে!
বটতলার চায়ের দোকানে দাঁড়াতে বললাম হাসিবকে। গিয়ে দেখি চায়ের দোকানে একটা বেঞ্চিতে বসে, মাটির দিকে তাকিয়ে আছে। আশেপাশে কি হচ্ছে তাতে তার কোনও খবর নেই। আমি যে এসে ওর দিকে তাকিয়ে আছি, ওদিকেও ওর খেয়াল নেই।
-কিরে মাটির দিকে তাকিয়ে কি করছিস?
-ধুলো গুনছি...
এমন উত্তরে অবাক হইনি। অবশ্য অবাক হওয়ার কথা আপনাদের। হাসিবের এসবের কর্মকান্ডের সাথে আমি পরিচিত।
-কতটা পর্যন্ত গুনলি?
- ১১৫৭ টা...জানিস!
হাসিব একটু দম নিয়ে, দুই আঙুল দিয়ে একটা অদৃশ্য পরিমাণ দেখিয়ে বলল,!-জানিস? এতটুকু জায়গায়, হাজার হাজার ধুলো থাকে!
আমি একটু হেসে বললাম, -আয়, চা খাই...
শেষবার হাসিবের বাসায় গিয়ে দেখি, সে একটা মোটামুটি পাঁচ টাকার কয়েন সাইজের একটা মাকড়সার জন্য ঘর বানাচ্ছে পুষবে বলে। এর আগেও ওর অদ্ভুত ঘটনা সব ঘটিয়েছে। কয়েল দিয়ে সিগারেট ধরিয়েছে, স্পঞ্জের বল রঙের মধ্যে চুবিয়ে ঘরের দেয়ালে ছুঁড়ে মেরে দেয়াল রঙ করেছে! আরও কত কি!
দুজনে চা আর সিগারেট খেয়ে, নয়নের বাসায় গেলাম। নয়ন ডেকেছিল আমাদের। মূলত ঘর থেকে বের হওয়ার কারণই ছিল নয়ন।
নয়ন ডিসকাস করতে ডেকেছে, কে কোন সাবজেক্ট কিংবা কোন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবে।
নয়নের বাসায় যাওয়ার পরে। নয়ন বলল যে ওর বাবা ইঞ্জিনিয়ারিং চায়। আমি হাসলাম। সব বাবাই কি তাঁদের ঘরে ইঞ্জিনিয়ার চান?
হাসিব বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ রইল। শেষে বলল, আমি চারুকলায় পড়ব।
.
আমাদের বাবারা আমাদের উপর বিশ্বাস নেই। শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটি থেকেই না, বেশ কয়টা ইউনিভার্সিটি থেকেও ফর্ম নেওয়া হল। নেওয়া হল, মেডিক্যাল থেকেও।
ভার্সিটিতে ভর্তির আগ পর্যন্ত আমরা তিনজনের খবর নেওয়ার সুযোগ পেলাম না। শেষমেশ আমি আর নয়ন ঢাকার বাইরের ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেলাম। তবে আমাদের সাবজেক্ট অত ভালো না। কিন্তু হাসিবের খবর নিয়ে দেখলাম সে ঢাকা ইউনিভার্সিটির চারুকলায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে।
এটা জেনে ভীষণ অবাক হলাম, হাসিব ঢাকা ইউনিভার্সিটি ছাড়া আর কোনও ইউনিভার্সিটির ফর্মই কিনে নাই। অনেকটা অটিজমের মতো পড়াশোনা করে, টপ করে চান্স পেয়েছে চারুকলা ডিপার্টমেন্টে।
ঢাকা ছাড়ার আগে তিনজনে দেখা করলাম। হাসিবকে একটা প্রশ্ন করেছিলাম,
-যদি দুর্ভাগ্য ক্রমে তুই চারুকলায় চান্স না পেতি?
হাসিব হেসে বলল,
-আমি পড়েছি কেবল, চারুকলায় চান্স পাওয়ার জন্য। তাই না চান্স পাওয়ার কোনও চান্সই ছিল না....
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২৫
দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: খাপছাড়া হলেও আরো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা যেত,হয়ত।