![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পনেরো হাজার পৃষ্ঠার একটা উপন্যাস লিখব! সেই উপন্যাসে তার নাম কোটিবার থাকবে! সেই উপন্যাসের নায়ক আমি আর নায়িকা সে!
ছোট বেলায় স্কুলে একবার আমাকে ইংরেজিতে "school" বানান লিখতে দেওয়া হল। আমি সুন্দর মতো "schol" লিখে দিয়ে চলে এলাম। ক্লাস টুর একটা বাচ্চা "school" বানান পারে না! এ কেমন কথা? ম্যাডাম আমার আম্মাকে ডাকালেন। সেদিন আম্মা ভীষণ লজ্জা পেয়েছিল আমাকে নিয়ে। তাঁর চোখে মুখের সেই লজ্জা এখনও আমার চোখে ভেসে ওঠে যে, তাঁর ছেলে "school" বানান পারে না!
আসলে সেই সময় আমার এমন একটা সমস্যা ছিল না। আমি "b", "L", "k" এমন কয়েকটা অক্ষর নিয়ে আমি ভীষণ বিভ্রান্তে থাকতাম। "b" কে "d" এবং "d" কে "b" লিখে দিয়ে আসতাম। "k" আর বড় হাতের "L" কে আমি উল্টো দিকে লিখে দিয়ে আসতাম। আমি "f" আর "t" এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতাম না।
আমার জন্য শিক্ষক রাখা হল, আম্মা পড়াতে শুরু করল, স্কুল তো ছিলোই! কিন্তু আমি প্রতিবারই ব্যর্থ হলাম, এগুলো শিখতে। নিজের উপর আমার বিশ্বাসই ছিল না। অক্ষর গুলো দেখলেই ভীষণ ভয় হতো। ভীষণ দিশেহারা হয়ে যেতাম। যেন অক্ষর গুলো আমার সামনে নাচানাচি করছে!
কারও কিছু জিনিস শিখতে সময় লাগে পারে। তার মানে এই না যে সে পারে না। এজন্যই তুখোড় ইংরেজি পারা ছেলেটা গনিতে হয়তো একটু কাঁচা। আবার গনিতে একশো তে একশো পাওয়া ছেলেটা হয়তো বাংলা পারে না। নিজের উপর বিশ্বাস রেখে একটু চেষ্টা করলেই পারা যায়! সেটা অঙ্ক হোক আর ইংরেজি!
অবশ্য একটা সময় না একটা সময় আমি শিখেই গিয়েছি "school" বানান।
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তারে জামনি পর হিনইদ ছবিটাতে এই টপিকটাতে ভাল কাজ করছে।ে দখেছেন কি?
না দখেলে দেখতে পারেন।
চাইল্ড সাইকোলজির উপর আমাদের তো ছবি নেইই!!!!
++++
৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬
সুমন কর বলেছেন: এমন হতেই পারে। ব্যাপার না। লেখা ভালো লাগল।
৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির এই সমস্যা ছিল। এটার নাম dyslexia
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:১৯
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আমার ছোট ভাইয়েরও এমন সমস্যা ছিল। সমস্যা দিয়েই শুরু হয়। সমস্যা না থাকলে শেখার টান থাকবে নাকি?
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮
বর্ষন হোমস বলেছেন: মিস্টি খাওয়ান কারন School বানান শিখে গেছেন