দশমিক দুই মিলিমিটার

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৭

কষ্টগুলো বেড়ে উঠে প্রাকৃতিক নিয়মে

প্রতিদিন সম্ভবত দশমিক দুই মিলিমিটার করে।



সুখের উচ্চবিত্ত অট্টালিকার পেছনে খেটে যাই-

আমি এক মধ্যবিত্ত দিন মজুর।

সারা দিনভর টপটপ করে ঝরে সামুদ্রিক পানি- মানে ঘাম

তবু ভাবি;

মাস শেষে বেতনটা বাড়বে-প্রোমোশন পাবো

স্ত্রীকে দেব স্বর্ণহার উপহার ;

ছেলেমেয়েদের পড়াতে হবে ইংলিশ মিডিয়ামে

বাবা-মার জন্য কিনে আনতে হবে দৈনন্দিন ওষুধ

ও হ্যাঁ, বোনটার বিয়ে দিতে হবে।



তাই অত সময় আছে কষ্ট নিয়ে ভাবার?



বাড়ুক কষ্ট প্রাকৃতিক নিয়মে

প্রতিদিন সম্ভবত দশমিক দুই মিলিমিটার করে।



একদিন কষ্টগুলো বেশি বড় হয়ে গেলে -

ছেঁটে ফেলে দেব সব মধ্যবিত্ত সুখের কৃত্রিম ক্ষুরধার রেজার দিয়ে

যেমন ভাবে ছেঁটে ফেলি মাস শেষে নাভির নিচের অবাঞ্ছিত চুল।



যদিও জানি, কষ্টগুলো আবার বেড়ে উঠবে,

প্রতিদিন সম্ভবত দশমিক দুই মিলিমিটার করে

যেমন করে অজান্তে বেড়ে উঠে অবাঞ্ছিত চুল;

তবু এটাই তো নিয়তিঃ

যখন মেনেই নিয়েছে সব মানুষ অবাঞ্ছিত চুলের বেপারটা

এমনকি বড়লোকেরাও;

তখন মধ্যবিত্ত হয়ে আমার কষ্টগুলোকে মেনে নেয়াই উচিত।

তাই আপাতত ট্রাউজারের মতন করে সুকৌশলে

ঢেকে রাখি আমার কষ্টগুলো মধ্যবিত্ত ফোকলা হাসি দিয়ে

আর সান্তনা খুজি দিনে ৯৯ বার "আমি ভালো আছি" মন্ত্রটি জপে।



বাড়লে বাড়ুক কষ্ট, কষ্টের ধর্মই তো বেড়ে ওঠা

আবাঞ্ছিত চুলের মত দিনে দশমিক দুই মিলিমিটার করে।

০ টি +০/-০