| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টম হ্যাংস। নামই যার বড় বিজ্ঞাপন। টম হ্যাংস ছবিতে আছেন -এ ছবি অবশ্যই দেখতে হবে।এই বসের ছবি দেখে আপনি কখোনই ঠকবেন না ।আর পরিচালকরা ও না তার জন্য দারুন সব পার্ট রাখেন। যাক বসকে নিয়া অন্য একদিন হবে -এখন হোক তার সর্বশেষ মুভি ক্যাপ্টেন ফিলিপস নিয়ে।
গত অক্টোবরের ১১ তারিখে মুক্তি পাওয়ার পরই মনটা আনচান আনচান করতেছিল যে কবে দেখবো
। গতকালই দেখার সুযোগ মিললো
।চলুন শুরু করি-
শুরু করার আগে প্রসঙ্গ ক্রনম দু-একটা কথা না বললেই নয়-- আপনাদের হয়তো অনেকেরই মনে আছে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’র কথা । যেটি ২০১০ সালে ৫ ডিসেম্বর সোমালিয়ার জলদস্যুদের দ্বারা ২৬ জন নাবিক সহ অপহৃত হয়েছিল। ছবির গল্প ঠিক এমন একটি সত্যি ঘটনাকে কেন্দ্র করেই। তবে এখানে শেষদৃশ্য ভিন্ন।
২০০৯ সালের ৮ই এপ্রিল।ওমানের সালালাহ পোর্ট থেকে "এমভি Maersk আলাবামা" বিপুল খাদ্যদ্রব্য নিয়ে কেনিয়ার মোমবাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। জাহাজের ক্যাপ্টেন রিচার্ড ফিলিপস যিনি এই রুটে সমূহ বিপদ সম্পর্কে অবগত।কিন্তু তারপরও তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ততটা সমৃদ্ধ নয়।ক্যাপ্টেন ফিলিপসের মনে তাই অজানা আশঙ্কা।আশঙ্কা সত্যি হয়ে উঠে যখন ক্যাপ্টেন দেখেন দুটা নৌকা তাদের দিকে ধেয়ে আসছে।
ক্যপ্টেনের বুঝতে সময় লাগে না যে এরা কারা।কিছু দূর আসার পর একটা নৌকা বিকল হয়ে গেলে জলদসু্্যরা থামতে বাধ্য হয়।কিন্তু পরের বার তারা সফল ।
৪ সদস্যের স্বশস্ত্র সোমালি দস্যুর দল ২০ ক্রু র "Maersk আলাবামাকে" আক্রমন করে।
জাহাজের হোস পাইপ ও খুব একটা কাজ করলো না।দস্যুরা ঠিকই জাহাজে উঠে পড়ে।দখলে নেয় নেভিগেশন । ১০ মিলিয়ন ডলার চায় তারা।কিন্তু জাহাজের সেফে আছে মাত্র ৩০ হাজার ।
এরপর ক্যাপ্টেন ফিলিপস কিছুটা কৌশলে দস্যুনেতা মুসকে আলাদা করে ফেলে।মুসকে জাহাজের ক্রু রা ইন্জিন রুমে পাকড়াও করে ।কিন্তু ক্যাপ্টেন নিজে অন্য দস্যুদের চিপায় পড়ে।সমঝোতা হয় জাহাজে থাকা ৩০ হাজার ডলার নিয়েই দস্যুরা চলে যাবে এবং উভয় দল পরস্পরের নেতাদের ছেড়ে দেবে। অন্য দস্যুরা ক্যাপ্টেনকে নিয়ে লাইফ বোটে উঠে ।অস্ত্রের কারনে ক্রু রা মুসকে আগে ছাড়তে বাধ্য হয়।মুস লাইফ বোটে উঠলেও ক্যাপ্টেনকে দস্যুরা বের হতে দেয় না।কারন ক্যাপ্টেনই তাদের ১০ মিলিয়ন ডলার!
ছবির মূল সাসপেন্স এরপর থেকেই ।নানা নাটকীয়তায় এগিয়ে যায় কাহীনি।হোয়াইট হাইজ থেকে বলা হয় ক্যাপ্টেন ফিলিপসকে যেমনকরেই হোক যেন অক্ষত উদ্ধার করা হয়।চরম উতকন্ঠায় কাটে ৪ দিন। ১২ এপ্রিল ঘটনা স্থলে পৌছে দুদ্ধর্ষ Navy SEAL।উদ্ধার হয় ক্যাপ্টেন।অক্ষত।কোন মুক্তিপণ ছাড়াই!!
কিন্তু কিভাবে??
জানতে হলে দেখতে হবে
।
২|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
মশিকুর বলেছেন:
দেখি নাই
দেখতে হবে ![]()
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৮
ভষ্ম মানব বলেছেন: দেখে ফেলেন। ভাল লাগবে অবশ্যই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:১৯
পুরোনো পাপী বলেছেন: সত্য ঘটনা দিয়েও অনেক সত্যকে ধামাচাপা দেয়া যায়, তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই সিনেমা