নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।

আসিফআহমেদ

মৃত্যুর অপেক্ষায় এখনো চলমান

আসিফআহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বাস-অবিশ্বাস

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২২

আপনি যতই বিশ্বাসী হন না কেন অথবা ঈমানদার হোন না কেন এটা একদমই অস্বাভাবিক নয় যে হুট করে কিছু সময়ের জন্য আপনি অবিশ্বাসী দের মত চিন্তা করা শুরু করলেন । তখন আপনার মনে একটি ভয় কাজ করা শুরু করলো। ভাবতে লাগলেন এ আমি কি ভাবছি? আমি কেন নাস্তিকদের মতো ভাবা শুরু করেছি । হঠাৎ করে আপনার মনে হতে পারে যে, বিজ্ঞানই ধ্রুব সত্য। ধর্ম শুধু একটা শৃংখলে আমাদেরকে বেঁধে রাখছে। মনে আসতে পারে, ধর্ম হয়তো শুধু মানব সৃষ্ট! হয়তো সারা জীবন যে ধর্মের পিছনে এত এত সময় ব্যয় করছি তা মনে হয় ভ্রান্ত! হয়তো সত্যিই পরকাল বলে কিছু নেই!  হয়তো আমার কিছু জিনিস ভুল হচ্ছে! আমি হয়তো ঠিক ভাবে চিন্তা করছিনা। হয়তো আপনি আপনার উত্তর মনের মত খুঁজে পাচ্ছেন না আপনার মনে খুব অশান্তি কাজ করা শুরু করেছে। ভাবছেন হয়তো এভাবেই একজন আগাগোড়া আস্তিক মানুষ অবিশ্বাসী মানুষের মত আচরন করা শুরু করে । যখনই আপনার এরকম একটি স্বাভাবিক চিন্তা আসবে তখনই আপনি একটা জিনিস নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনার মনের মধ্যে যুক্তিবাদী চিন্তাভাবনা নষ্ট হয়ে যায় নি।

একজন মানুষ আস্তিক-নাস্তিক যাই হোক না কেন তাকে অবশ্যই কিছু কিছু ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে । আমি কেন আস্তিক কেন নাস্তিক নই এই ব্যাপারে একটা সুন্দর কিন্তু সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে নিজেকে গুছিয়ে রাখতে পারলে হয়তো কখনো কখনো কিছু অবান্তর মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

একটা শব্দ আছে 'বিশ্বাস' । বিশ্বাস শব্দটার মানেটা উপলব্ধি করতে হবে। আস্তিক আর নাস্তিক এর 'বিশ্বাস' এর অর্থটা অন্যরকম । আপনি যখন কাউকে বলেন যে "আমি একটা মানুষকে বিশ্বাস করি" বা আপনি তার আচার-আচরণ কথাবার্তা কে বিশ্বাস করেন - সে বিশ্বাসটা কিন্তু একদিনে গড়ে ওঠে নাই। অবশ্যই আপনি একটা অপরিচিত মানুষকে হুট করে বিশ্বাস করবেন না, এটা একটা সহজাত প্রবৃত্তি। এমন মানুষকেই সাধারণত অন্য মানুষ বিশ্বাস করে যারা তার সাথে মেলামেশা করে উপলব্ধি করতে পেরেছে যে সেই মানুষটাকে বিশ্বাস করা যায়। আপনার চোখের সামনে যে জিনিসটা ঘটছে বা যা আপনার ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য হয়েছে সেখানে বিশ্বাস করার প্রসঙ্গ না আসাই উচিত । আপনি তখনই কোন জিনিস বিশ্বাস করতে যাবেন যে জিনিসটার মধ্যে অবিশ্বাস করার কারন থাকতে পারে। অবিশ্বাস করার যৌক্তিকতা যত বেশি হবে আপনার বিশ্বাসটা তত উঁচু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি । কথাটা হাস্যকর শোনালেও বিশ্বাস শব্দ টা এভাবেই কাজ করে । একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ এর এটা জোর করে নিশ্চয়ই বিশ্বাস করতে হবে না যে তার হাত অথবা পা দুটি করেই আছে । সে যদি কাউকে এই কথা বলে যে "আমি বিশ্বাস করি, আমার দুটি হাত এবং দুটি পা আছে" - তার এই বিশ্বাসটা হাস্যকর ।
বরং কেউ যদি এরকম কথা বলে যে, সে বিশ্বাস করে যে, তার মৃত বাবার আত্মা তার সাথে কথা বলে - তার সেই বিশ্বাসটা যতই অযৌক্তিক হোক না কেন বিশ্বাস তো বিশ্বাসই।
বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে, শুধু বিশ্বাস করে তা না তারা যে বিশ্বাস করে সেটা ঘোষণা দিয়ে বিশ্বাস করে, একটা মৌখিক বিবৃতি প্রদান করার মাধ্যমে । এই মৌখিক বিবৃতি ততোই জোরালো হবে যতই সে কাজে কর্মে সেই মৌখিক বিবৃতির প্রতিফলন ঘটাবে । কার বিশ্বাস কত শক্ত কার ঈমান কত দৃঢ় -  এভাবেই প্রকাশ পায় । বিশ্বাস কে কখনো যুক্তি দিয়ে মাপতে নেই । যুক্তি দিয়ে প্রমাণিত বিষয়কে 'বিশ্বাস' করার কিছু নেই ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:



ধর্মহীনের দুনিয়ার জান্নাতে মুমিনের কোন আগ্রহ নেই

সূরাঃ ১৮ কাহফ, ১০৭ নং ও ১০৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের আপ্যায়নের জন্য আছে জান্নাতুল ফেরদাউস।
১০৮। সেথায় তারা স্থাযী হবে এবং সেথা হতে তারা স্থানান্তর কামনা করবে না।

* দুনিয়ার জান্নাত চিরস্থায়ী নয়, অথচ মুমিনের জন্য পরকালে আছে চিরস্থায়ী জান্নাত। সুতরাং মুমিনদের কেউ নেহায়েত বেকুব না হলে চিরস্থায়ী জান্নাত ছেড়ে অস্থায়ী জান্নাত কামনা করবে না। ধর্মহীন বলে মুমিন কেন দুনিয়ায় জাহান্নামের আজাব ভোগ করে? মুমিন বলে অপেক্ষা কর তোমার জন্য আছে চিরস্থায়ী জাহান্নাম।ধর্মহীন বলে, মুমিনের কথা বিশ্বাস করি না। মুমিন বলে একটু অপেক্ষা কর! তোমার অবিশ্বাস চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কিন্তু যখন তুমি মুমিন হবে তখন তোমার মুমিন হওয়া তোমার কোন কাজে লাগবে না। সুতরাং আমরা এখন মুমিন হয়ে তখন জান্নাতে থাকব। তখন তোমার জন্য থাকবে সুধুই আফসুস।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। পৃথিবীতে যা কিছু আছে – সব কিছুই তিনি সৃষ্টি করেছেন; এরপর তিনি আকাশের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন, এরপর সপ্ত আকাশ সুবিন্যস্ত করেন এবং তিনি সর্ববিষয়ে মহাজ্ঞানী।

# সূরাঃ ২ বাকারা, ২৯ নং আয়াতের তাফসির – তাফসিরে ইবনে কাছির
২৯।আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই তোমাদের মহান প্রতিপালক হচ্ছেন সেই আল্লাহ! যিনি আশমান ও জমিনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন।এরপর তিনি স্বীয় আরশের উপর সমাসীন হন। তিনি দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন- যাতে ওরা একে অন্যকে অনুসরন করে চলে ত্বরিত গতিতে; সূর্য চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজী সবই তাঁর হুকুমের অনুগত। জেনে রেখ সৃষ্টির একমাত্র কর্তা তিনিই, মালিক তিনিই। সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ হলেন বরকতময়। -সূরাঃ ৭ আ’রাফ, ৫৪ নং আয়াত। আল্লাহ বলেন, প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কে তাঁর জানা আছে। যেমন তিনি বলেছেন-‘যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি কি জানেন না?-সূরা মূলক, ১৪ নং আয়াত।

সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।

* সৃষ্টির অবস্থা এমন যে এরা হুকুমের অপেক্ষায় থাকে এবং এরা হুকুমের অনুগত হয়। এর কারণ এরা সসীম হয়। এরা সসীম বিধায় এদের আগে এদের সীমা দাতা থাকতে হয়। সীমা দাতা সীমা দেওয়ার পরেও এরা হয় না। হওয়ার জন্য এরা তখন সীমা দাতার হুকুমের অপেক্ষা করে। সীমা দাতা ‘হও’ বললে সকল সৃষ্টি তারপর সৃষ্টি হয়।

আর অসীমের সীমা নেই বিধায় তাঁর সীমা দাতার প্রয়োজন ছিল না। আর যার সীমাদাতারই প্রয়োজন নেই তিনি আর সীমাদাতার হুকুমের অপেক্ষা করবেন কেন? সুতরাং অসীম দেখেছেন তিনি আছেন। তিনি ছাড়া আর কিছু নেই। তো যেহেতু তিনি ছাড়া আর কিছু নেই সেহেতু তাঁর সৃষ্টিকর্তা নেই। এখন বাস্তবতা এই দাঁড়ালো যে অসীমের সৃষ্টিকর্তা নেই, কিন্তু সসীমের সৃষ্টিকর্তা আছে। দুই ক্ষেত্রে দুই রকম হিসাব কেন? কারণ জিনিসও তো একরকম নয়। একজন অসীম এবং আর সবকিছু সসীম।

অসীম সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আছেন বিধায় সসীমকেও সৃষ্টিকরা ছাড়াই থাকতে হবে এটা কোন কথা নয়। কারণ কোন সসীমকেই আমরা নিজে নিজে হতে দেখি না। সসীমের ক্ষেত্রে এটাই বাস্তবতা যে, তাকে সৃষ্টি বা তৈরী করতে হয়। এর সীমার প্রয়োজনীয়তাই এর সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজনীয়তার কারণ। আর অসীমের সীমার অ্রপ্রয়োজনীয়তাই তাঁর সৃষ্টিকর্তার অপ্রয়োজনীয়তার কারণ।এটাই বাস্তব এটাই প্রকৃতি, অসীমের সৃষ্টিকর্তা নেই এবং সসীমের সৃষ্টিকর্তা আছে। কেউ যদি বলে সসীমের সৃষ্টিকর্তা থাকতে হবে না তবে তাকে বলতে হয় তবে তার সীমা কি তোর বাপ দিবে? সে যদি বলে অসীমের সীমা তবে কে দিবে? তখন তাকে বলতে হয় অসীমের কি সীমা আছে যে কেউ সেটা দিতে হবে? সুতরাং সৃষ্টি ও সৃষ্টিকর্তার ভিন্ন অবস্থা সুস্পষ্ট। সৃষ্টির সাথে সৃষ্টিকর্তার কোন মিল নেই। সেজন্য সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ বলেছেন, লাইছা কামিছলিহি সাইউন- তাঁর কোন দৃষ্টান্ত নেই। তিনি দৃষ্টান্ত বিহীন। কিন্তু সকল সৃষ্টির দৃষ্টান্ত হলো তারা সবাই সসীম। সে ছোট হোক আর বড় হোক তার সীমা পরিসীমা আছে।কম হোক আর বেশী হোক তার পরিমাপ আছে। সুতরাং সৃষ্টিকে সৃষ্টিকর্তার হিসাবের সাথে মিল করতে যাওয়া মহাবেকুবী।

সহিহ মুসলিম, ২৪৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৪৯।হযরত আবু হুরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কাছে লোকেরা প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত এও বলবে যে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে সৃষ্টি করেছে কে?

সহিহ মুসলিম, ২৫০ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৫০। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন, তোমার উম্মত হঠাৎ এ ধরনের কথা বলবে। যেমন তারা বলবে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে?

* আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে এমন প্রশ্ন তুলে মানুষ বলতে চায় যেহেতু আল্লাহকে কেউ সৃষ্টি করেনি সুতরাং মানুষকেও কেউ সৃষ্টি করেনি, মানুষ এমনি এমনি হয়েছে। কিন্তু এমনি এমনি কি হবে? আরে এমনি এমনি তো সেটা হবে যার সীমা নেই। যারা সীমা আছে সে এমনি এমনি কেমনে হবে? সীমা তো আর এমনি এমনি এমনি হয় না। যেমন দশ ইঞ্চি ইট। আমরা স্পষ্ট দেখি আগে এর একটা ছাঁছ তৈরী করা হয়। তারপর সে ছাঁছে কাদামাটি ভরে ইট তৈরী করা হয়। কেউ যদি বলে এমন ছাঁছ ছাড়াই সাইজ মত ইট তৈরী করা যাবে, তাহলে সেটা কেউ বিশ্বাস করবে কি? তাহলে ছাঁছ ছাড়া কোন সসীম সৃষ্টি হতে পারে সে এটা কেমন করে দাবী করে? আল্লাহ তো আগে সকল সসীমের ছাঁছ তৈরী করেন, তারপর ছাঁছে ফেলে সব সৃষ্টি করেন। সুতরাং যারা সসীম তাদের সৃষ্টিকর্তা হিসাবে একজন আল্লাহকে লাগবেই। কিন্তু অসীম হওয়ার কারণে একজন আল্লাহর কোন সৃষ্টিকর্তা লাগবে না। সেজন্যই তিনি দেখেছেন তিনি আছেন, তিনি ছাড়া আর কিছু নেই। যেহেতু তিনি দেখেছেন তিনি ছাড়া আর কিছু নেই সেহেতু তাঁর সৃষ্টিকর্তা ছিল না। সংগত কারণে তিনি তাঁর সৃষ্টিকর্তা না থাকার বিষয়টি অস্বীকার করতেই পারেন। কিন্তু কোন সৃষ্টি কি দেখেছে সে ছাড়া আর কিছুই নেই। তাহলে সে তার সৃষ্টিকর্তা না থাকার বিষয়টি কিভাবে অস্বীকার করে? তার সৃষ্টিকর্তার বিষয় অস্বীকার করার পিছনে লজিক কি? আর আল্লাহ কি করতে পারেন তা’ তো আমরা দেখছি। সুতরাং সকল প্রশংসা জগৎ সমূহের রব আল্লাহর।

সূরাঃ ৯৫ তীন, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা মানুষকে সৃষ্টিকরেছি সুন্দরতম গঠনে।

* মানুষের যে অঙ্গ যে স্থানে স্থাপিত সে অঙ্গ সে স্থান বাদ দিয়ে অন্য স্থানে স্থাপন করলে তার গঠন আরো সুন্দর হয় কি? যদি না হয় তাহলে মানুষের গঠন সুন্দরতম কথাটা ঠিক আছে। তো এমন সুন্দর তম গঠনে মানুষ এমনি এমনি হয়ে গেল বিষয়টা যুক্তিতে মিলে কি? তাহলে আল্লাহ এমনি এমনি কি করে হলেন? আল্লাহ কোন গঠন নিয়ে হননি, কারণ তিনি নিরাকার। তাহলে তিনি দেখা দিবেন কিভাবে? নিজের জন্য নিজে আকার বানিয়ে সেই আকারে দেখা দিবেন।তাহলে আল্লাহর হিসাব মানুষের সাথে মিলল কি? সেজন্য আল্লাহ বলেছেন, লাইছা কামিছলিহী সাইউন- তাঁর কোন নমুনা নেই। সুতরাং মানুষের সাথে মিলিয়ে আল্লাহরও একজন সৃষ্টিকর্তা থাকা লাগবে এমন বলার সুযো্গ নেই। সুতরাং বুঝাগেল মানুষ এমনি এমনি হয়নি। আল্লাহই তাকে সৃষ্টি করেছেন। কারণ আল্লাহর মানুষকে সৃষ্টিকতার দাবী তোলার পর দেড় হাজার বছরেও অন্য কেউ এসে বলেনি আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেননি সে আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে। মানুষ এমনি হয়নি, তাঁর সৃষ্টিকরার দাবীদার একজন। সুতরাং সেই তিনিই মানুষের সৃষ্টিকর্তা।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮।কিভাবে তোমরা আল্লাহকে অবিশ্বাস করছো? অথচ তোমরা ছিলে মৃত, পরে তিনিই তোমাদেরকে জীবিত করেছেন, পুনরায় তিনি তোমাদেরকে মৃত্যু দিবেন, পরে আবার জীবন্ত করবেন, অবশেষে তোমাদেরকে তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে।

# সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮ নং আয়াতের তাফসির – তাফসিরে ইবনে কাছির
২৮।ইবনে জুরায়েজ (র.) ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, তোমরা তোমাদের পিতার পৃষ্ঠে নির্জীব ছিলে। অর্থাৎ কিছুই ছিলে না। আল্লাহ তোমাদেরকে (মাতৃগর্ভে) জীবন দান করলেন।আবার তিনি তোমাদেরকে মৃত্যু দিবেন।অর্থাৎ মৃত্যু একদিন অবশ্যই আসবে। আবার তিনি তোমাদেরকে কবর থেকে উঠাবেন। এভাবেই মৃত্যু দু’বার ও জীবন দু’বার।

* আমরা মৃত ছিলাম, জীবিত হওয়ার পর আমরা দেখলাম এত দিন যারা জীবিত ছিল তাদের অনেকে মরে যাচ্ছে। তারপর আমরা জানলাম মৃতদেরকে আবার জীবিত করা হবে। তারপর সবার কাজের হিসাব দিতে সবাইকেকে আল্লাহর দিকে ফিরতে হবে। এমন বাস্তবতা ও সংবাদে আমরা আল্লাহকে অবিশ্বাস করতে পারি কি? আল্লাহ বলছেন, এমন বাস্তবতা ও সংবাদে তাঁকে অবিশ্বাস করা যায় না।

সহিহ মুসলিম, ২৪৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৪৯।হযরত আবু হুরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কাছে লোকেরা প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত এও বলবে যে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে সৃষ্টি করেছে কে?

সহিহ মুসলিম, ২৫০ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৫০। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন, তোমার উম্মত হঠাৎ এ ধরনের কথা বলবে। যেমন তারা বলবে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে?

* আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? এমন প্রশ্ন মানুষ কেন করে? মানুষকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন মানুষ তাঁকে খুশী রাখবে। আল্লাহর সৃষ্টিকর্তা কেউ থাকলে এবং তাকে খুশী করার কোন বিষয় থাকলে আল্লাহ মানুষকে সেটা জানাবেন। আর আগবাড়িয়ে মানুষ দাদা সৃষ্টিকর্তার বিষয়ে জানতে চায় কেন? মানুষের কি খেয়ে দেয়ে কোন কাজ নেই?

মানুষ কি তবে বলতে চায় আল্লাহ এমনি এমনি হতে পারলে তাকে বানাতে কেন আল্লাহকে লাগবে? তবে ঐ গাধাটার রুটি বানাতে গাধাটাকে কেন লাগে? গাধাটা কি নিজেকে এ প্রশ্ন কখনও করেছে? চোখেই তো দেখা যাচ্ছে এমনি এমনি সব কিছু হয় না। মানুষ বরং এটা জানার চেষ্টা করতে পারে যে, বানানো ছাড়া কি হয়েছে এবং বানানো ছাড়া কি হয়নি।

কোন সসীম জিনিস তো আর বানানো ছাড়া হয়নি। কারণ সসীম বলেই ওরআগে ওর সীমা দাতা থাকতে হয়। কিন্তু অসীমের তো সীমাই নেই সুতরাং তার আগে তার সীমা দাতা থাকার দরকার ছিল না। সুতরাং অসীমের আগে কিছুই ছিল না। সুতরাং সবার প্রথম ছিলেন অসীম (আল্লাহ)। তিনি তখন দেখেছেন তিনি আছেন এবং আর কিছু নেই। তারপর তিনি দেখেছেন আর কিছু হচ্ছে না।

সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।

* অসীম আল্লাহ নিজেকে এমন দেখলেন,যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়। তাঁর ক্ষেত্রে এটাই বাস্তবতা। আমার বাস্তবতা হলো আমি হও বললে কিছুই হয় না। সবার যোগ্যতা সমান নয়। মুচি জুতা সেলাই করতে পারে এবং ডাক্তার পেট সেলাই করতে পারে। মুচি পেট সেলাই করতে পারে না এবং ডাক্তার জুতা সেলাই করতে পারে না। কেউ যদি বলে মুচি কেন পেট সেলাই করতে পারে না? তাহলে এটা হবে অর্থহীন প্রশ্ন। আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? আল্লাহ দেখেননি তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে, তিনি দেখেছেন তিনি ছাড়া কেউ নেই। তখন আল্লাহ ছাড়া কেউ ছিল না। তখন কেউ কি করে বলবে, তখন আল্লাহ ছাড়া কেউ ছিল কি ছিল না? সুতরাং আল্লাহ বলেছেন তিনি প্রথম এটা বিশ্বাস করা ছাড়া কারো নিকট কোন বিকল্প নেই। কেউ যদি আল্লাহর কথা বিশ্বাস করতে না পারে, তাহলে সে বলুক সে কিভাবে আল্লাহকে অবিশ্বাস করবে? সে তখন সে কিভাবে আল্লাহকে অবিশ্বাস করেছে এটা বলতে না পারার সাথে সাথে তাকে জাহান্নামে ফেলে দেওয়া হবে। সুতরাং যারা আল্লাহকে অবিশ্বাস করছে তাদেরকে বলতে পারতে হবে তারা কিভাবে আল্লাহকে অবিশ্বাস করছে? যদি তা’ না বলতে পারে তবে সবার দায়িত্ব হলো আল্লাহ যা বলছেন, তা’ নির্বিবাদে বিশ্বাস করা।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।

* আল্লাহ দেখেছেন তিনি ছাড়া আর কিছুই নেই এবং আল্লাহ দেখবেন তিনি ছাড়া আর কিছুই নেই। সেজন্য তিনি প্রথম ও শেষ এবং সেজন্য তিনি চির বিদ্যমাণ। যারা দেখে তাদের সবাই জীব।শুরু থেকে শেষ অবদি দেখার কারণে আল্লাহ চিরঞ্জীব। উক্ত ঘটনার একমাত্র সাক্ষী আল্লাহ। কারণ আল্লাহ ছাড়া কেউ না থাকলে অন্য সাক্ষী কোথায় পাওয়া যাবে? আল্লাহর আগে কিছুই ছিল না এ কথার সাক্ষী আল্লাহ। আল্লাহর আগে কিছু ছিল এ কথার কোন সাক্ষী নেই।সুতরাং সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত যে, আল্লাহর আগে কিছুই ছিল না।

আল্লাহকে কেউ সৃষ্টি করেনি। কারণ যে আল্লাহকে সৃষ্টি করবে তার আল্লাহর আগে থাকা দরকার। আর সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত সত্য হলো, আল্লাহর আগে কিছুই ছিল না।

আল্লাহ কিভাবে হয়েছেন? এ প্রশ্ন সঠিক নয়। কারণ আল্লাহ হয়েছেন ঘটনা এমন নয়, বরং আল্লাহ আছেন ঘটনা এমন। তো যিনি সব সময় আছেন তিনি কিভাবে হয়েছেন, এটা কেমন প্রশ্ন? আমি একদা ছিলাম না বিধায় লোকেরা বলে আমি কিভাবে হয়েছি? আল্লাহ তো সব সময় ছিলেন, তাহলে কিভাবে বলা যায়, তিনি কিভাবে হয়েছেন? আর আল্লাহ কিভাবে হয়েছেন, এ কথা কে বলবে? তার তো আল্লাহর আগে থাকা দরকার। কেউ আল্লাহর আগে না থাকলে কেউ কিভাবে বলবে যে, আল্লাহ কিভাবে হয়েছেন? আর সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত সত্য হলো আল্লাহর আগে কিছুই ছিল না।

সহিহ মুসলিম, ২৪৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৪৯।হযরত আবু হুরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কাছে লোকেরা প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত এও বলবে যে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে সৃষ্টি করেছে কে?

সহিহ মুসলিম, ২৫০ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৫০। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন, তোমার উম্মত হঠাৎ এ ধরনের কথা বলবে। যেমন তারা বলবে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে?

* আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন? এটা অবান্তর প্রশ্ন। কারণ যে থাকে তাকে সৃষ্টি করতে হয় না। সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত সত্য আল্লাহ চির বিদ্যমাণ। তো যে থাকে তাঁকে সৃষ্টি করতে হবে কেন? আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু ছিল না বলেই তাদেরকে সৃষ্টি করতে হয়েছে। একদা আল্লাহ ছাড়া কিছুই কেন থাকবে না?

সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।

* সব বিলিন হয়। আল্লাহ বিলিন হন না। সেজন্য আল্লাহ বাকী থাকে। সব বিলিন হওয়ার কারণ সব সসীম। আর সসীম এক সময় ফুরিয়ে গিয়ে বিলিন হয়। কিন্তু আল্লাহ অসীম বলে আল্লাহ ফুরিয়ে যাবেন না।কারণ অসীমের ফুরিয়ে যাওয়া সম্ভব না। আর আল্লাহ অসীম বলে তিনি নিরাকার। কারণ সকল আকার সসীম। এটা আমরা নিজেরাই চোখে দেখি যে সকল আকার সসীম। তবে কোন কোন নিরাকারও সসীম হয়। তবে কোন অসীমের আকার থাকতে পারে না। যারা বলে আল্লাহর আকার আছে তারা তাঁর অসীমত্ব অস্বীকারকারী কাফের।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।

* আল্লাহ বলেছেন তিনি চির বিদ্যমাণ। আপনি এটা অস্বীকার করলে আপনি বলুন অস্তিত্বের জগতের প্রথম তবে কি অথবা কে? উত্তরে আপনি যা বললেন, আমি যদি বলি উহাকে কে সৃষ্টি করেছে? আপনি যদি বলেন, উহা এমনি এমনি হয়েছে। তাহলে আপনি বলুন, আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা কি? এমন কি কোন বিধান আছে যে এমনি এমনি অন্য কিছু হতে পারলেও আল্লাহ এমনি এমনি হতে পারবেন না?

# এমনি এমনি হওয়া বিধান

এমনি এমনি যে হবে সে বা উহা বড় হবে। কারণ কেউ ছোট হতে চায় না। কারো কৃপা ছাড়া কেউ যদি এমনি এমনিই হবে তবে সে বা উহা কেন ছোট হবে? অসীম < সসীম। সুতরাং এমনি এমনি অসীম হবে। অসীম একাধীক হয় না। কারণ অসীমে সীমা থাকে না। আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না, বরং সসীম হয়ে যায়। সুতরাং অসীমের একাধীক হওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং এমনি এমনি যে বা যা হয়েছে সে বা তা সংখ্যায় এক। অন্য কিছু যখন এমনি এমনি হতে পারলো না, তখন সেগুলো হলো কেমন করে? অবশ্যই উহাদেরকে বা তাদেরকে যে এমনি এমনি হয়েছে সে সৃষ্টি করেছে। তাঁর নাম আল্লাহ হলে, তিনি সব কিছুর সৃষ্টি কর্তা।

কোন কিছু যখন ছিল না, তখন সময় ছিল না। সুতরাং আল্লাহর সাথে সময়ের যাত্রা একত্রে শুরু হয়েছে। আল্লাহ অসীম বিধায় তিনি ফুরিয়ে যাবেন না। সময় আল্লাহর সংশ্লিষ্ট বিধায় সময়ও ফুরিয়ে যাবে না। সুতরাং সময়ও অসীম। অসীম একাধীক হয় না বিধায় সকল অসীম মিলে এক আল্লাহ। সুতরাং অসীম সময় আল্লাহর সত্তাগত। সেজন্য তিনি বলেছেন, ‘কুল আনাদ্দাহরু –বল (আল্লাহ সম্পর্কে) আমিই মহাকাল’।সুতরাং আল্লাহ চির বিদ্যমাণ। কথাটি এমনি এমনি হওয়া সূত্রেও প্রমাণ হয়। সুতরাং কোন সূত্রে আল্লাহকে চির বিদ্যমাণ না মেনে উপায় নেই। হাসরে আল্লাহ যখন বলবেন কিভাবে আমাকে অস্বীকার করলে? তখন কেউ কোনভাবে আল্লাহকে অস্বীকার করতে পারবে না।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।

* আল্লাহ চির বিদ্যমাণ। তারমানে তিনি সময়ের সবটা জুড়ে বিদ্যমাণ। তারমানে তাঁর আগে-পরে কিছুই নেই। সুতরাং তাঁর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই।কারণ যার আগে কিছুই নেই, তাঁর আবার সৃষ্টিকর্তা থাকে কেমন করে? তবে কি তিনি নিজে নিজে হয়েছেন? যে বিদ্যমাণ তাঁকে আবার হতে হবে কেন?সুতরাং আল্লাহ বিদ্যমাণ সত্য।
আল্লাহর দাবী যৌক্তিক। এখন কেউ পারলে যৌক্তিকভাবে আল্লাহর দাবী অস্বীকার করূক। যদি কেউ বলে আল্লাহ চির বিদ্যমাণ নন। তাহলে সে বলুক তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে? সে কারো নাম বললে, আবার প্রশ্ন হবে তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে। যতবার সে কোন নাম বলুক, ততবার প্রশ্ন হবে তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে? এ প্রশ্ন থামাতে হলে শেষতক বলতে হবে, তিনি চিরবিদ্যমাণ। তো যে চির বিদ্যমাণ তাঁর নাম ‘আল্লাহ’। যাঁকে স্বীকার না করা অবদি প্রশ্নবান থেকে আত্মরক্ষা করা যায় না। সুতরাং ‘আল্লাহ চিরবিদ্যমাণ’ এ কথাটি অনিবার্য সত্য।

অভিজিৎ রায় ‘শূণ্য থেকে মহাবিশ্ব’ নামক একখানা বই লিখেছিল। যা সোজামিল না হয়ে গোঁজামিল হয়েছিল। আর গোঁজামিলকে কেউ সত্য বলে স্বীকার করে না। শূণ্য থেকে কোন কিছু হওয়ার প্রত্যক্ষ কোন সাক্ষ্য নেই। কিন্তু ‘আল্লাহ চির বিদ্যমাণ’ এ কথার একজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী আছেন আল্লাহ। তো আপনি বিচারক হিসাবে আপনার রায় কি হবে? একটি বিষয়ে কোন সাক্ষী নেই, কিন্তু একটি বিষয়ে একজন সাক্ষী আছেন। যে সাক্ষী বলছেন তাঁর কিতাবে কোন ভুল নেই।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। ঐ কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা হেদায়েত মোত্তাকীদের জন্য।

* মানুষের ভুল থাকার পরেও মানুষের দু’টি সাক্ষ্যে যদি কোন সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। তাহলে যাঁর কোন ভুল নেই তাঁর একটি সাক্ষ্যে কেন কোন সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে না? তা’ ছাড়া প্রতিপক্ষে কোন সাক্ষ্য থাকলে না হয় আল্লাহর সাক্ষ্য বাতিল হতে পারতো। তাতো নেই। সুতরাং আল্লাহর সাক্ষ্যই প্রতিষ্ঠিত সত্য। অর্থাৎ তিনি চির বিদ্যমাণ এবং মহাবিশ্বের সৃষ্টি কর্তা। ‘শূণ্য থেকে মহাবিশ্ব’ কথাটি সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে।
‘মুক্তমনা বাংলা ব্লগ’ আমি অনেক অনুসন্ধান করে বুঝেছি তারা আসলে বুদ্ধিমুক্ত মনা। তারা বিবর্তনের কথা বলে। তো শূণ্য থেকে বিবর্তন কি করে হলো? আর বিবর্তন না বলে এটাও তো বলা যায়, আল্লাহ কাছাকাছি আকৃতির বস্তু ও প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। আরেকটি কথায় বলা হয় এমনি এমনি সব হয়েছে। তো এমনি এমনি তবে আল্লাহ হতে অসুবিধা কি? এমনি এমনির মধ্যে তো এ কথা নেই যে অমুক এমনি এমনি হয়েছে তমুক এমনি এমনি হয়নি।

সাধারণ সাত্য হলো এমনি এমনি কেউ কোন দিন কিছু হতে দেখেনি। তাহলে তো ঘটনা এমন আল্লাহ এমনি হয়ে আর সব কিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন। আর কেউ নিজে হতে সে দেখে না। কারো হওয়া অন্য কেউ দেখে। সেজন্য আল্লাহ তাঁর এমনি এমনি হওয়া দেখেননি।আর অন্য কেউ না থাকায় আল্লাহর এমনি এমনি হওয়া অন্য কেউ দেখেনি।সরল সত্য হলো, আল্লাহ দেখেছেন তিনি আছেন।তিনি দেখেছেন তিনি ছাড়া আর কিছু নেই। তিনি আরো দেখেছেন এমনি এমনি কিছু হচ্ছে না।বহুকাল একা থেকে তিনি বুঝলেন তাঁর বিনাশ নেই।সেজন্যই তিনি বুঝলেন তিনি চির বিদ্যমাণ। তো তাঁর এ বুঝায় কোন ভুল আছে কি? আমরা কি এমনি এমনি কিছু হতে দেখি? তাহলে আল্লাহর বুঝায় কি ভুল আছে বলে আমরা মনে করতে পারি? সুতরাং আল্লাহর দাবী অনস্বীকার্য।

কিছু লোক বলে নিজে নিজে সব কিছু হয়েছে? কিন্তু নিজে নিজে কি হয়েছে সসীম না অসীম? সসীমের আগে তো এর সীমাদাতা থাকতেই হবে। কারণ সীমা না দিয়ে হতে দিলে তো অসীম হবে। আর অসীমের সীমা নেই বিধায় এর আগে এর সীমা দাতা থাকার দরকার নেই। সুতরাং নিজে নিজে অসীম হয়েছেন। তিনি সীমা দিয়ে সকল সসীম সৃষ্টি করেছেন। নিজে নিজে হওয়ার ক্ষেত্রে এটাই হতে পারে পরম সত্য।

সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের বাংলা উচ্চারণ ও অনুবাদ-
১১৭। বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়া ইযা কাযা আমরান ফাইন্নামা ইয়াকুলু লাহু কুন, ফা ইয়াকুন
- আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর বাদী (দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা) এবং যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।

* তিনি লিমিট বা সীমা দেওয়ার পর কোন কিছু এর পরিচয় লাভ করে, তারপর তিনি হও বললে তা হয়ে যায়। এটা তাঁর ক্ষমতা। আমরা হও বললে কিছুই হয় না। আমাদেরকে বরং কোন কিছু বানাতে হয়। এখন রিক্সা চালক কেন উড়ো জাহাজ চালাতে পারে না, রিক্সা চালককে এমন কথা বলে লাভ কি? আল্লাহর অনেক কাজ কেউ করতে পারে না, এটা তাঁর ক্ষমতার বিষয়।

সংক্ষেপে আল্লাহর কাজ হলো সীমাদান ও আদেশ দান। এটুকুর জন্যই সসীম কিছু নিজে নিজে হতে পারেনি। আল্লাহ আনলিমিটেড বিধায় তাঁর ক্ষেত্রে এমন সমস্যা ছিল না। তবে এককালে আল্লাহ দেখেছেন তিনি একা বিদ্যমাণ। এটাই তাঁর নিকট সত্য। আমরাও যদি এটাই বিশ্বাস করি তাহলে আমরা তাঁর প্রিয় পাত্র হিসাবে পুরস্কারযোগ্য হব।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।

* আল্লাহ চির বিদ্যমাণ। মানে আল্লাহ সময়ের শুরু শেষ সর্বত্র বিরাজ মান। আল্লাহ বলেছেন, ‘ইয়াসআলুনা আনিদ্দাহার, কুল আনাদ্দাহার – (হে নবি!) তারা আপনাকে মহাকাল সম্পর্কে জিজ্ঞাস করে, বলুন- আমিই (আল্লাহ) মহাকাল’।তারমানে আল্লাহ মহাকালের সবটা জুড়ে বিদ্যামাণ বিধায় তাঁর আগে ও পরে কিছুই নেই। তারমানে আল্লাহ অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতে একসঙ্গে বিদ্যমাণ। মেরাজের রাতে আল্লাহ মহানবিকে (সা.) ভবিষ্যতে পাঠিয়েছেন বলে তিনি জাহান্নামের শাস্তি দেখতে পেয়েছেন। সুতরাং সৃষ্টির পূর্বেই আল্লাহ জানেন তাঁর কোন সৃষ্টি কখন কি করবে।

রুহের জগতে আল্লাহ সকল সৃষ্টিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আলাসতু বি রাব্বিকুম? কালু বালা- আমি কি তোমাদের প্রভু নই? তারা বলল, হ্যাঁ’। তারমানে রহের জগতেই সকল রুহ আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে অবগত ছিল। সেজন্যই প্রশ্ন করার সাথে সাথেই তারা স্বীকার করেছে যে আল্লাহ তাদের প্রভু। তারপর সেই ঘটনা সবার স্মৃতি থেকে মুছে দেওয়ায় আমাদের আর সেই ঘটনা মনে নেই। তবে সেই ঘটনার আলোকে আল্লাহ বুঝতে পেরেছেন তাঁর কোন সৃষ্টি কি হওয়ার যোগ্য। যেমন কে মানুষ হবে আর কে গরু হবে। কার পরীক্ষা কঠিন হবে আর কার পরীক্ষা সহজ হবে ইত্যাদি। সৃষ্টির আগেই এটা জানায় আল্লাহ কারো ভাগ্যে মানুষ হওয়া আর কারো ভাগ্যে গরু হওয়া লিখে দিলেন। নিশ্চয়ই প্রভুত্বের স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মানুষ ও গরুর অভিব্যাক্তি এক রকম ছিল না।

সূরাঃ ৯৫ তীন, ৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮। আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট বিচারক নন?

* সর্বশ্রেষ্ট বিচারক অকারণে কোন সৃষ্টিকে মানুষ বানাবেন, কোন সৃষ্টিকে গরু বানাবেন, কোন সৃষ্টিকে পাথর বানাবেন এটা হতে পারে না। আল্লাহ বলেছেন, ‘লাইছা লিল ইনসানে ইল্লা মা সায়া – মানুষের জন্য তার উপার্জন ভিন্ন কিছুই নেই’।সুতরাং মানুষের সকল প্রাপ্তি তার উপার্জনের ফল হওয়াই স্বাভাবিক। আল্লাহ বলেছেন, ‘আল্লাজি কাদ্দারা ফাহাদা –যিনি তাকদীন নির্ধারণ করে হেদায়াত প্রদান করেছেন’। তারমানে পরের কাজের ভিত্তিতে তাকদীর আগেই লেখা হয়েছে।সুতরাং এখন সব তাকদীর অনুযায়ী সংঘটিত হচ্ছে। তথাপি এরজন্য প্রত্যেকে নিজেই দায়ী। তাকদীর আগে লেখা হয়েছে বিধায় কেউ এর দায় এড়াতে পারবে না। মহানবি (সা.) বলেছেন, `আদ দোয়াউ ইয়ারুদ্দুল কাদার -দোয়া তাকদীর বদলাতে পারে’। তারমানে প্রভুত্বের স্বীকৃতির অবস্থাভেদে কেউ আয়ু পেল পঞ্চাশ বছর। তারপর লোকের দোয়ার বরকতে তা’ আরো দু’বছর বাড়িয়ে দেওয়া হলো। তেমনি প্রভুত্বের স্বীকৃতির অবস্থা ভেদে কেউ রিযিক বেশী পেল, কিন্তু তার অকাজের ফলে তার রিযিক কমিয়ে দেওয়া হলো। তাকদীর মানে বরাদ্ধ। একঅবস্থার জন্য প্রাপ্ত বরাদ্ধ অন্য অবস্থার জন্য রদ-বদল হতেই পারে। তবে তাকদীর যেমটাই হোক এর জন্য মানুষ দায়ী নয় এমটা বলার সুযোগ নেই। কারণ আল্লাহ ন্যায় বিচারী। তিনি অহেতুক কোন লোককে জান্নাতি বানাবেন, আর অহেতুক তিনি কোন ব্যক্তিকে জাহান্নামী বানাবেন, তাঁর সম্পর্কে এমন ধারণা নিচক ভুল ধারণা। সুতরাং কার তাকদীরে কি লেখা আছে সেই চিন্তা না করে সবার সাধ্যমত নেক কাজ করা উচিৎ।

সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৩০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩০। যারা কুফুরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশেছিল ওতপ্রতভাবে। অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিয়েছি। আর প্রাণবান সব কিছু সৃষ্টি করেছি পানি হতে। তথাপি কি তারা ঈমান আনবে না?

* বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ শব্দটি স্থূল অর্থে প্রাচীনতম একটি বিন্দুর অতি শক্তিশালী বিস্ফোরণকে বোঝায় যার মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল। এই তত্ত্ব অনুযায়ী আজ থেকে প্রায় ১ হাজার ৩৭৫ কোটি বছর পূর্বে এই মহাবিশ্ব একটি অতি ঘন এবং উত্তপ্ত অবস্থা থেকে সৃষ্টি হয়েছিল। তার মানে সব কিছু ঘন অবস্থায় ছিল, বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে সব কিছু আলাদা করা হয়েছে। আল্লাহর দাবী একত্রে মিশে থাকা সব কিছুকে তিনিই আলাদা করেছেন। সুতরাং বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ হয়ে থাকলে সেটাও তাঁর কাজ।

সূরাঃ ৭৬ দাহর, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। কাল প্রবাহে মানুষের উপর তো এমন এক সময় এসেছিল যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না।

* বিবর্তন বা অভিব্যক্তি হলো এমন একটি জীববৈজ্ঞানিক ধারণা যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জীবের গাঠনিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ক্রমপরির্তনকে বুঝায়। আল্লাহও মানুষের অবস্থার পরিবর্তনের কথা বলেছেন। সুতরাং বিবর্তনের কাজটি আল্লাহর। তবে ডারউইন যে দৃষ্টান্ত দিয়েছে সে বিষয়ে আল্লাহ কিছু বলেননি।

বিবর্তন সব কিছুতেই হতে পারে। যেমন ক্ষুদ্র শক্তি থেকে বৃহৎ শক্তি, তার থেকে মহাশক্তি, তার থেকে সর্বশক্তিমান।বাতাসের নিম্নচাপে আমরা শূণ্যস্থানের প্রভাব লক্ষ্য করি। তো মহাশূণ্যের প্রভাবে প্রথমে বস্তু না হয়ে শক্তি হবে। কারণ আমরা জানি আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে একলক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল। যা বস্তু থেকে অনেক বেশী গতি সম্পন্ন।সুতরাং মহাশূণ্যের প্রবল টানে ক্ষুদ্র শক্তি থেকে বৃহৎ শক্তি, তার থেকে মহাশক্তি, তার থেকে সর্বশক্তিমান হয়ে বসে ছিলেন। তাঁর মধ্যে প্রাণ শক্তি থাকায় তিনি দেখেছেন তিনি আছেন এবং আর কিছুই নেই। অনেক কাল তিনি দেখেছেন আর কিছু হয় না। হবে কেমন করে? আর সব কিছু তো সসীম। সমীমের তো সীমা দিতে হয়। সেগুলো তো হওয়ার জন্য সীমার অপেক্ষায় ছিল। সীমা প্রাপ্ত হওয়ার পর সেগুলো আবার সীমা দাতার আদেশের অপেক্ষায় ছিল। কারণ সর্বশক্তিমানকে অমান্য করার শক্তি তাদের ছিল না।

সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা এবং যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।

* আল্লাহ সকল সসীমের সীমা দিয়ে তাদেরকে হও আদেশ দেওয়ার পর তারা হয়েছে। এ ছাড়া সর্বশক্তিমানের ক্ষমতা লংঘন করে কেউ আর হতে পারেনি।

যে উত্তপ্ত ঘণবস্তুতে মহাবিস্ফোরণ হলো উহা ছিল আল্লাহর সৃষ্টি। উহাতে মহাবিস্ফোরণ ঘটিয়ে আল্লাহ মহাবিশ্ব সৃষ্টি করলেন। এরপর মহাবিশ্বে যত রকম বিবর্তন হয়েছে তা’ মূলত আল্লাহর কাজ।

এখন যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে তারা বলুক মহাশূণ্যের প্রবল টানে শক্তির আগে বস্তু হতে পারে কি? শূণ্যস্থান নিম্ন চাপে বাতাসকে যে হারে টানে তাতে প্রবল ঝড়ে আমাদের গাছের ডাল ভেঙ্গে যেতে আমরা দেখি। যখন সবটাই শূণ্যস্থান ছিল তখন এক শূণ্যস্থান অন্য শূণ্যস্থানকে যে হারে টানাটানি করেছে। তাতে শূণ্যস্থানের সাথে শূণ্যস্থানের ঘর্ষণে কোন বস্তু নয়, বরং শক্তি উৎপন্ন হয়েছে। তারপর এখন বস্তু ও বস্তুর ঘর্ষণে বস্তু নয় বরং শক্তি উৎপন্ন হতে আমরা দেখি। আপনি পাথরে পাথরে ঘষে পানি নয় বরং আগুন পাবেন। আর আগুন কিন্তু শক্তি। সুতরাং আমাদের প

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোন কোন বিশ্বাসকে যুক্তি দিয়েও মাপা যায়, সেইটা বুঝানোর জন্য আমি ‘আল্লাহর অকাট্য প্রমাণ’ বই খানা লিখেছি। এটি রকমারিতে পাবেন। সুতরাং সব কিছুকে এক পাল্লায় মাপবেন না।

০১ লা মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৫২

আসিফআহমেদ বলেছেন: বিশ্বাসকে যুক্তি দিয়ে মাপা যায় অবশ্যই৷ এমনকি অধিকাংশ বিশ্বাসকে আমরা যুক্তি দিয়েই মাপি৷ আমি এখানে শুধু বিশেষ ধরণের বিশ্বাসএর কথাই বলেছি, যে বিশ্বাস গুলো বিশ্বাস করার আগে কিছু স্বীকার্য কে আগে আমরা স্বীকার করে নিই৷ স্বীকার্য ছাড়া বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু কন্ট্রাডিকশন কাজ করে৷ যেমন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ আগে স্বীকার করে নিলেই বাকি নিয়ম কানুন গুলো বিশ্বাস করা সহজ৷ এমনকি ক্বালিমা আগে স্বীকার না করে বাকি সব বিশ্বাস করলেও সে বিশ্বাস ইসলাম বিশ্বাস হিসেবে স্বীকার করে না৷

০১ লা মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:১৮

আসিফআহমেদ বলেছেন: আপনার কমেন্টটি অনেক তথ্যবহুল৷ ধন্যবাদ আপনাকে৷ বিশাল কমেন্ট দেখে ব্যস্ততায় এড়িয়ে গিয়েছিলাম৷ কিন্তু, ভিতরের কিছু লেখা চোখে পড়াতে ভালো লাগলো। ক্ষমাপ্রার্থী এখনও আমি পুরোটা পড়ি নি। মনে হচ্ছে ফ্রি সময় বের করে পুরোটা মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে৷

৩| ০১ লা মার্চ, ২০২২ রাত ১:৪১

সোবুজ বলেছেন: বিশ্বাস করতে হবে যুক্তি প্রমান ও তথ্যের উপর নির্ভর করে।কিছু লোক প্রমানের অভাবে সৃষ্টি কর্তায় অবিশ্বাস করে ,তাছাড়া আস্তিক আর নাস্তিকের মাঝে কোন প্রভেদ নাই।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০২২ রাত ১:৫৭

অধীতি বলেছেন: ভালো বলেছেন।

৫| ০১ লা মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: বিজ্ঞানকে বিশ্বাস করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.