![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।
আমি মার্ক্সবাদ, লেনিনবাদ, মাওবাদ পড়ে বুঝে সম্পূর্ণ গুলে খেয়ে মুজিববাদের উপর ঈমান কেনো এনেছি সেটাই আইজ লিখতে বসছি। আমার দেশ বাঙলাদেশ। আর এই দেশের মাটি, মানুষ, রাজনীতি, ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি, চেতনা এগুলার সাথে সবচেয়ে গভীরভাবে যে চিন্তাধারা মিশে আছে, তা হইলো; মুজিববাদ। দেশ স্বাধীনের পরপর যে শ্লোগানটা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিলো সেটি হইলো, বিশ্বে এলো নতুনবাদ; মুজিববাদ মুজিববাদ।
- তাই আমি এই লেখায় যুক্তির মাধ্যমে বুঝাইতে চাচ্ছি বাঙলাদেশের রাজনীতিতে কোন ইজম বা বাদ আসলেই কার্যকর। আর কেন মুজিববাদই হইতে পারে একমাত্র মুক্তির পথ?
১. মার্ক্সবাদ:
-বইয়ের ভাষায় বিপ্লব- যেটাতে এইদেশের লক্ষ মানুষের রক্তেভেজা পলিমাটির গন্ধ নাই।
মার্ক্সবাদের উৎপত্তি ইউরোপে ; একেবারে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে। ওখানে শ্রমিক-ধনী কনফ্লিক্ট, ফ্যাক্টরি বনাম ফিউডালিস্ট, শ্রেণিসংগ্রাম- এইসবের উপর গড়া। কিন্তু বাঙলাদেশের বাস্তবতা হইলো, গরিব ধনী নয়; শহর-গ্রাম-বঞ্চনা আর জাতিগত বৈষম্যই মূল দ্বন্দ্ব।
মার্ক্স যেই সমাজতন্ত্র বলেন, সেটা বইয়ের ভিতরে বন্দি। কিন্তু মুজিব বলছে "বাঙলার অর্থনীতি হবে সমাজতান্ত্রিক ভিত্তিতে গড়া।" মানে একদল কোটিপতি, আরেক দল পান্তাভাতে জীবন- এইটা হবে না। সমাজতন্ত্র মানে বণ্টনের ন্যায্যতা, ভাত কাপড়ের নিশ্চয়তা।
আমরা চাই বাঙলার সমাজতন্ত্র; যেইখানে কেউ কাউরেই শোষণ করবে না, সবাই সম্পদ এবং ক্ষমতার ভাগ পাবে সমানে সমান।
২. লেনিনবাদ:
রাশিয়ার ঠাণ্ডা মাথার বিপ্লব।
লেনিন বলছে, "প্রলেতারিয়েত নেতৃত্বে রাষ্ট্র বদলাবে।"-ঠিক আছে, রাশিয়ার জন্য খাপে খাপে লাগছে। কিন্তু আমরা? আমাদের রাষ্ট্র গড়ার চিন্তা কি এইভাবেই চলবে? যেখানে প্রলেতারিয়েতের শব্দের আভিধানিক অর্থই বাঙলার মানুষ জানে না বুঝে না!
মুজিব বলছে, "গণতন্ত্রই মানুষের মুক্তি দিবে।"
তবে এই গণতন্ত্র হবে না ধনিক শ্রেণির গণতন্ত্র। যেইখানে ভোটে টাকা চলে, গদিতে যায় মিথ্যুকরা। এই গণতন্ত্র হবে শোষিতের গণতন্ত্র।
ভোটে দাঁড়াবে গরিবের সন্তান, ভাত পাবে মেহনতি মানুষ, বাকস্বাধীনতা থাকবে মানুষের।
লেনিনের ডিক্টেটরশিপ অফ প্রলেতারিয়েত চাই না আমরা। আমরা চাই গণতন্ত্র, যেইটা মুজিববাদে গড়ার কথা বলা আছে।
৩. মাওবাদ:
-বন্দুকের মুখে দুনিয়া বদলানো।
মাও বলছে, রাজনীতি এবং ক্ষমতা আসে বন্দুকের নল থিকা। আমরা মুক্তিযুদ্ধে বন্দুক ধরছি ঠিকই, কিন্তু সেইটা ছিলো আত্মরক্ষার এবং মুক্তির জন্য; ক্ষমতা লুটপাটের জন্য না।
মাওবাদে ধর্ম নাই, জাতীয়তা নাই। আছে শুধু বিপ্লব আর গেরিলা যুদ্ধ। কিন্তু আমরা বাঙালি, আমাদের জাতীয়তা আছে, আমাদের ভাষা আছে, আমাদের সংস্কৃতি আছে আমাদের আছে ধর্ম।
মুজিববাদের চার স্তম্ভের এক স্তম্ভ হইল "বাঙালি জাতীয়তাবাদ"- মানে আমরা বাঙালি জাতি হিসাবে রাষ্ট্র গড়ব। পাকিস্তান হইছিল ধর্মের ভিত্তিতে কিন্তু বাঙলাদেশ গড়ছিলাম আমরা জাতির ভিত্তিতে- আর এইটাই মুজিববাদ।
৪. ধর্মনিরপেক্ষতা:
রাজনীতি রাষ্ট্রের, ধর্ম মানুষের।
- মার্ক্স'তো ধর্মরে কইছে ‘আফিম’। লেনিন ধর্মরে নিষিদ্ধ করছে। মাও'তো মন্দির, মসজিদ সব ডিনামাইট দিয়া উড়াইয়া দিছে। কিন্তু মুজিব বলছে, ধর্ম তোমার, রাষ্ট্র সবার।
মুজিববাদে-
রাষ্ট্র থাকবে ধর্মনিরপেক্ষ;- এর মানে এই না রাষ্ট্র ধর্মবিরোধী হবে এর মানে এই রাষ্ট্র হবে সব ধর্মের। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলের। কেউ কারও ওপর সওয়ার হবে না, জুলুম হবে না, ভয়ের জীবন যাপন করতে হবে না। এই ধর্মনিরপেক্ষতা ইহুদি রাষ্ট্র কিংবা ইসলামি রাষ্ট্রের মতন একক ধর্মের রাষ্ট্র না, এইটা একটা মানবিক রাষ্ট্র; এইটাই মুজিববাদ।
৫. মুজিববাদ:
এই মাটির ভাষা, এই মাটির মানুষের স্বপ্ন।
মুজিববাদ মানে চারটা স্তম্ভে দাঁড়ানো রাষ্ট্রীয় চিন্তা।
১. শোষিতের গণতন্ত্র
২. ন্যায্য সমাজতন্ত্র
৩. মানবিক ধর্মনিরপেক্ষতা
৪. বাঙালি জাতীয়তাবাদ
এই চারটা মিলে একটা দেশ গড়ার ব্লুপ্রিন্ট। এই চিন্তা কপি-পেস্ট না; এইটা জন্ম লইছে এই মাটির ভিতর থিকা। এইটা কোন বিদেশি তত্ত্ব না- এইটা আমার বাপের মতো আপন।
৬. বাঙলাদেশের প্রেক্ষাপটে কেন মুজিববাদই শেষ সত্য?
কারণ আমরা একটা বিভ্রান্ত সময়ের ভিতর আছি। কেউ কয় ইসলামি রাষ্ট্র, কেউ কয় মার্ক্সবাদ, কেউ মাওবাদ! কিন্তু আমার প্রশ্ন, এইগুলা দিয়া কী এই দেশের কোন সমস্যার সমাধান হইছে কখনো? হইতে পারে ভবিষ্যতেও?
শুধু শেখ মুজিব বলছে, "তোমাদের যা কিছু আছে, দাও- আর তৈরি হও, একটা দেশ বানানোর জন্য।"তিনি বলেন নাই, তার নামে রাষ্ট্র বানাও। তিনি বলছে, "মানুষরে ভালোবাসো, তবেই রাষ্ট্র গড়তে পারবা।"
মার্ক্সবাদে শোষণবাদ ধইরা রাখা হয় বইয়ের ভিতর। লেনিনবাদে বিপ্লব হয় বন্দুকের ছায়ায়।
মাওবাদে মানুষ নাই, আছে বন্দুক আর গেরিলা পলিটিক্স। কিন্তু মুজিববাদে মানুষ আগে, মতবাদ পরে। আর এইটাই বাঙালির পথ। এইটাই বাঙালির ঈমান। এইটাতেই বাঙালির মুক্তি।
জয় বাঙলা।
জয় বঙ্গবন্ধু ।
জয় মুজিববাদ।
২| ০৬ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৩৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার কথা সত্য হলে জনগণ তাদেরকে তাড়ি দেয় কেন?
৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৩৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মুজিববাদ আমাদেরকে ভোট প্রদান করা থেকে মুক্তি দিয়েছে।
৪| ০৬ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯
আমি নই বলেছেন: এনারা ঠিক কি খেয়ে লেখা গুলো লেখেন আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে।
৫| ০৬ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
লেনিন,মাও,মার্ক্স কেউ মুজিবকে চিনেনা।
৬| ০৬ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:১১
তানভীর_আহম্মেদ বলেছেন: প্রতি পোস্টের বিনিময়ে ৫০ টাকা।
মন্তব্যের জন্য অর্থ বরাদ্দ না থাকায় মুজিববাদি ভাইটি কোন রিপ্লাই দেন না।
৭| ০৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:১৪
ওমর খাইয়াম বলেছেন:
শেখ মুজিব কিছু সময়ের জন্য জাতির আস্হা অর্জন করেছিলেন ৬ দফা দিয়ে; কিন্তু দেশের সরকার প্রধান হয়ে নিজের ৬ দফাকে অর্থনৈতিক রুপ দি্তে পারেননি। বাকশাল চিন্তাটাও সরঠিক ছিলো; কিন্তু সেটাকে কার্যকরী করলে কোথা হতে, কি বাধা আসতে পারে, সেটা বুঝতে না পেরে প্রাণ হারালেন।
আওয়ামী লীগে উনার পর রাজনীতিবিদ ছিলো না; এখন দল পালিয়ে গেছে।
৮| ০৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:২৮
কামাল১৮ বলেছেন: জাতির মুক্তি গনতন্ত্রে কোন বাদে নয়।
৯| ০৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:০০
ধূসর সন্ধ্যা বলেছেন: মুজিববাদের মূলনীতি - স্বৈশাসন, দুর্নীতি, ভোটচুরি, অর্থপাচার, হত্যা, ধর্ষণ।
১০| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: শেখ মুজিব গ্রেট।
১১| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯
নীল আকাশ বলেছেন: পুরান পাগলে ভাত পায় না, দল বেঁধে রেন্ডীয়ায়ে পালায় আছে আর আরেক নতুন পাগলে আসছে
শেখ মুজিব হচ্ছে ভারতীয় 'র' এর এজেন্ট। এর পুরো বংশই 'র' এর এজেন্ট।
স্বাধীন বাংলাদেশে 'র' এর এজেন্টদের কোনো জায়গা নাই।
স্বাধীনতা যুদ্ধে শেখ মুজিবের কোনো অবদান নাই। সে পাকিস্থানে জেলে বসে হালুয়া রুটি খেত আরাম করে।
১২| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: রক্ষীবাহিনীর অত্যাচারে মানুষ কেন অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল সেটা নিয়ে লিখুন না মশাই? রক্ষীবাহিনীর ডান্ডায় যাদের পাছা লাল হয়েছিল তাদের কাছে বলে দেখেন এইসব বাদের কথা উত্তমমধ্যম ছাড়া ফিরতে পারবেন না কিন্তু বলে দিলাম
১৩| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:২০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা, পলাতক লীগের ছানা পোনাদের জন্য এখন ব্লগ হল সবচেয়ে আরামের জায়গা! মুজিববাদ, শেখ হাসিনাবাদ, এগুলো সব বাদ হয়ে গেছে ভাই বাংলাদেশে। এসব আর চলবে না, শান্তিতে রেস্ট নেন!
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:১৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: অবশ্যই ভাই, মুজিববাদই তো মুক্তির পথ—তাই তো ৫০ বছরে আমরা পেয়েছি বিনা ভোটের গনতন্ত্র, প্রশ্নফাঁস নির্ভর শিক্ষা, দলীয়করণে পচা প্রশাসন আর পরিবারের ছবি ছাড়া ভবিষ্যত নেই এমন পাঠ্যপুস্তক ! মার্ক্স-লেনিন-মাও তো শুধু বিপ্লব করেই ভুল করেছে, জাতির পিতার ছবি ছাপালে তো মানুষের পেট ভরে এটাই তো মুক্তি ।