নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আইন মানুষের জন্যে,মানুষ আইনের জন্যে নয়

আশরাফুল সুমন

আশরাফুল সুমন

লেখালেখি আমার পেশান। এটা ছাড়া আমার বেঁচে থাকা হয়তো সম্ভব নয়। স্বপ্ন দেখি এমন এক দিনের যেদিন বিশেষ কিছু বই বের হলে মানুষ পাবলিশারের সামনে ভীড় করবে, লাইন ধরে, উৎসব করতে করতে বই কিনবে। প্রথম দিনেই বিক্রি হবে এক লাখের চেয়ে বেশি। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় সেই বইগুলো অনুবাদ করা হবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই বইগুলো নিয়ে আলোচনা চলবে। হয়তো আজ হবে না। কিন্তু, আজ থেকে ১০ বছর পরে হয়তো তেমনই একটা দিন আসবে। সেই দিনের প্রতিক্ষায় আছি।

আশরাফুল সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবলি মামা

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

-"দেখতো সামনের মেয়েটা অনেক সুন্দরী না?" বাবলি ভাইয়ের আহ্লাদি গলা শুনা ঘাড় বেকা করে তাকিয়ে দেখলাম। আসলেই, রুপ লাবন্য উপচে উপচে পড়ছে।

-"দেখছিস...কিভাবে সবসময় ঠোঁট চুখা করে কথা বলে...যাই বলুক...ঠোঁট সব সময় বেকা...আই মিন চুখা..."
আসলেই তো...কিভাবে পারছে এ মেয়ে! সত্যি এ এক আশ্চর্য বিদ্যা! অনেক মেয়েকেই দেখেছি কথা বলার সময় ঠোঁট বাঁকাই কথা বলে...দেখতেও যা সুন্দর লাগে...

যাই হোক,বাবলি ভাই ধির পদক্ষেপে এগিয়ে গেলেন মেয়ের দিকে। কিসব গুন গুন করতে লাগলেন, "তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সানাম..." জাতীয়। দূর থেকে কিছুক্ষণ দেখলাম তাদের কথা বার্তা। মেয়েটা পাত্তা দিচ্ছেনা বাবলি ভাইকে। কিন্তু উনি আমাদেরকে একটা কথা প্রায়ই বলতেন, "পারিবনা এই কথাটি বলিওনা আর, একবার না পারিলে দেখো শতবার," উনিও ওই তত্ত্বেই বিশ্বাসী। তাই মেয়ের পাত্তা না থাকা সত্তেও দূর্বার লড়ে যাচ্ছেন।

ঠিক তখুনি রনাঙ্গনে বাবলি ভাইয়ের খালার আগমন। কি যেন বললেন উনাকে...উনারও দেখি মুখ পাংশু হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মেয়ের মুখ উজ্জ্বল থেকে উজ্জলতর হচ্ছে। মেয়ে উনাকে কি যেন বলল আর উনি জবাব না দিয়ে সুরসুর করে কেটে পড়লেন। কাছে আসতেই ধরলাম উনাকে।

-"কি ভাই? এরকম পলায়নপর বীর কবে হলেন?" খোঁচা দিয়ে বললাম।

-"প্রকৃত বীরেরাই জানে কখন পলায়ন করতে হয়," আড়চোখে এদিক সেদিক তাকিয়ে বললেন বাবলি ভাই।

-"তা হয়েছেটা কি, বলবেতো?"

-"ধুর বলিস না!! খালা বলল ওই মেয়ে নাকি আমার দূরসম্পর্কের এক আপুর বড় মেয়ে। মানে সে আমার ভাগ্নি হয়!! আমি তো আর ওকে আগে কখনো দেখিনি। আর মেয়েটাও খুব পাজি। ব্যাপারটা বুঝতে পেরেই আমাকে "মামা...মামা" ডাকা শুরু করে দিয়েছে। মেয়ে পটাইতে গেলাম...আর মামা হয়ে ফিরে এলাম," পাংশু মুখে জবাব দিলেন বাবলি দ্যা গ্রেট।

মেয়েটা আসলেই পাজি। বাবলি ভাইয়ের পিছু নিয়ে নিয়ে দেখছি এ পর্যন্ত চলে এসেছে। বাবলি ভাই ওকে দেখে ভুত দেখার মত চমকে উঠলেন।

-"মাম্মা...তুমি না এই এত্তগুলা পচা পচা পচা...আমাকে একা রেখে চলে এলে কেন?" চমৎকার কিন্নরি গলা শোনা গেলো। মেয়ে চেপে ধরেছে। আজকে মামাকে ছাড়বেই না। মামাকে ভাগ্নির কাছে গচ্ছিত রেখে আমি ভেগে এলাম ঐ স্থান থেকে।

বেচারা মামার জন্যে আসলেই মায়া হচ্ছে। আহা!! একটি সম্পর্কের অপমৃত্যু হল। তাও ভ্রুনিও অবস্থায়।
মেয়েরা আসলেই অনেক পাজি হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.