নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আইন মানুষের জন্যে,মানুষ আইনের জন্যে নয়

আশরাফুল সুমন

আশরাফুল সুমন

লেখালেখি আমার পেশান। এটা ছাড়া আমার বেঁচে থাকা হয়তো সম্ভব নয়। স্বপ্ন দেখি এমন এক দিনের যেদিন বিশেষ কিছু বই বের হলে মানুষ পাবলিশারের সামনে ভীড় করবে, লাইন ধরে, উৎসব করতে করতে বই কিনবে। প্রথম দিনেই বিক্রি হবে এক লাখের চেয়ে বেশি। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় সেই বইগুলো অনুবাদ করা হবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই বইগুলো নিয়ে আলোচনা চলবে। হয়তো আজ হবে না। কিন্তু, আজ থেকে ১০ বছর পরে হয়তো তেমনই একটা দিন আসবে। সেই দিনের প্রতিক্ষায় আছি।

আশরাফুল সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিচয় সঙ্কট

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৫

পরিচয় সঙ্কটে পরেছি আমি। আমি আমার জাত খুজে পাচ্ছি না। ওটা অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি। এখন মাইক্রোস্কোপ দিয়েও খুজে পাচ্ছি না। কোই যে গেলো......

এ সমস্যা আমার আজকের না। বহুদিন আগের। আজ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ব্লগ এবং সোশাল নেটওয়ার্কে মানুষজনের কমেন্ট পড়ে পড়ে আমি কনফিউজড।

আচ্ছা, আমি কে? একজন পাকিস্তানি??? নাকি আমি একজন ইন্ডিয়ান?

প্রথম পসিবলিটি, আমি একজন সাচ্চা পাকিস্তানি। কেন? যুক্তিসমুহঃ

১/আমি একজন মুসলিম, পাকিস্তানও মুসলিম। আর তাই মনে প্রাণে আমিও পাকিস্তানি। মালাউনদের ইন্ডিয়াকে কেন আমি সাপোর্ট করবো? একজন মুসলিম মাত্রই পাকিস্তানি। কারণ একমাত্র পাকিস্তানিরাই সাচ্চা মুসলমান, এরাই ইসলামের ধারক এবং বাহক, আর কেউ নয়।

২/আমার গায়ের রঙ সাদা। আমি লম্বা। পাকিস্তানিদের সাথে আমার আকার আকৃতি আর গায়ের রঙ মিলে যাওয়ায় আমি পাকিস্তানি। মালাউনদের সাথে আমার মিলে না।

আমি একজন ইন্ডিয়ান। কারণঃ

১/আমি একজন হিন্দু। আর হিন্দু বলেই আমার কর্তব্য ইন্ডীয়াকে সাপোর্ট করা।

২/আমি একজন স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি। আর সে সুত্রে ইন্ডিয়াকে সাপোর্ট করা আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য।

তারমানে ওপশান শুধু এই দুইটাই!! হয় আমি পাকিস্তানি, আর নয়তো আমি ইন্ডিয়ান।

বাই দ্যা ওয়ে, আজকাল নাকি বাঙালি অথবা বাংলাদেশি বলে তৃতীয় একটা শক্তি জাগ্রত হচ্ছে? কে এরা? এই ধর শালাদের, পিডায়া ছাতু কইরা দে। কত বড় সাহস, মুসলিম হইয়া পাকিস্তান সাপোর্ট করবিনা/স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি হইয়া ইন্ডিয়া সাপোর্ট করবি না?

উপরের কথাগুলো আমার ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। সেখানে “আমি” বলতে “আমজনতা” কে বুঝানো হয়েছে।

পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে থ্রেট দেয়ায় আমাদের দেশের অসংখ্য অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে, তারা তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

হোয়াই ডুড? হোয়াই?

পাকিস্তানের হাই কমিশনারকে বাঁশ একটা না, ১০০টা দিলেও আমরা আওয়াজ করবো কেন? আমাদের কি লাগে সে? ইনফ্যাক্ট, পাকিস্তান আমাদের কি লাগে? পাকিস্তানকে বাঁশ দিলে আমাদের এত জ্বলে কেন? ক্যান এনিবডি এক্সপ্লেইন মি?

ঠিক তেমনি ভারতীয় হাইকমিশানরকে ডেকে ইজ্জত হরন করলেও তুমি আওয়াজ দিবা ক্যান? তোমার বাপ লাগে সে?

আমাদের দেশে এখন দুই ধরনের মানুষ আছে। এক শ্রেণির মানুষ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু বললেই লুঙ্গি গোছ মেরে “তবে রে......” বলে তেড়ে আসে, আর আরেক শ্রেণির মানুষ ইন্ডিয়াকে নিয়ে কিছু বললেই হাতের বাইসেফ আর ট্রাইসেফ দেখানো শুরু করে দেয়।

কেন?

ওরা কি পাকিস্তানি? এই কারণেই কি পাকিস্তান নিয়ে কেউ কিছু বললে ওরা ক্ষ্যাপে?

নাকি ওরা ইন্ডীয়ান? এই কারণেই কি ইন্ডীয়াকে নিয়ে কেউ কিছু বললে ওরা ক্ষ্যাপে?

আমার কথা সিম্পল। ভাই তুমি একজন বাঙালি/ বাংলাদেশি। বাংলাদেশ তোমার দেশ, বাংলা তোমার ভাষা। তুমি তোমার নিজের দেশের অপমানে গর্জে উঠবা, প্রতিবাদ করবা, লুঙ্গিতে গোছ মারবা, কেউ নিষেধ করবে না। এটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু কোথাকার কোন পাকিস্তান আর ইন্ডীয়ার অপমানে তোমার কেন গায়ে লাগবে এটার কি কোন ব্যাখ্যা তোমার কাছে আছে?

আছে ব্যাখাটা কারও কাছে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.