![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেকটা ফেসবুক সেলিব্রেটি, প্রায় প্রত্যেক বুদ্ধিজীবী, প্রায় প্রত্যেক সাংবাদিকগণ বর্তমানে যার দলীয় পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন। প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কেউই জাতীয় ঐক্যের কথা বলছেন না। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ভবিষ্যত কোথায় গিয়ে দাড়াবে তা কি চিন্তা করে দেখেছেন? আমি মনে করি অনেকেই এখন ধীরে হলেও বিষয়টা উপলব্ধি করতে পারছেন প্রতিদিন ৪/৫টি লাশ হওয়ার মাধ্যমে। কিন্তু জীবিতরা হয়তো তেমন বুঝতে পারছেন না। আশা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বুঝতে পারবেন। কিন্তু তখন খুব দেরি হয়ে যাবে। ঐক্যের কথা বলার এখনই সময়। কে আস্তিক, কে নাস্তিক আর কে বামপন্থী কে ডানপন্থী, কে স্বাধীনতা পন্থী আর কে স্বাধীনতা বিরোধী, কে শাহাবাগী কে শাপলা চত্ত্বরী ইত্যাদি প্রশ্ন তুলে ক্রমশ আমরা ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের হওয়ার কথা ছিল আমরা বাংলাদেশ নামক এই স্বাধীন ভূ-খণ্ডের অধিবাসী। আমরা ৯০ শতাংশ মানুষই এখানে ইসলামে বিশ্বাসী। সুতরাং আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ থাকা যাবে না। এক জাতি, এক দেশই হওয়া উচিত আমাদের মূল শ্লোগান। আমার কথায় কারো দ্বিমত থাকতে পারে। তবে সেটা জাতির জন্য ভুল মত। তাই আসুন সকল মত পথ ভুলে গিয়ে আল্লাহর দেওয়া মানদণ্ড দিয়ে নিজেদের জীবন পরিচালনা করি। তবে সেটা ধর্মব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষাকারী বানানো মানদণ্ড নয়। আল্লাহ ও রসুলের দেওয়া প্রকৃত মানদণ্ডের আলোকে।
খেয়াল হবে কী? ঐক্য না হলে পস্তাতে হবে। যে যত আওয়ামী লীগার, যত বিএনপি, যতবড় জামায়াতী, যতবড় চেতনাধারীই হোন না কেন-আগুন প্রত্যেকের ঘরেই লাগবে। কেউ বাচতে পারবেন না। বায়বীয় বিষয় নিয়ে ঐক্য নষ্ট করে নিজের পায়ে নিজেরা আর কুড়াল মারবেন না।
মনে রাখবেন পাকিস্তানপন্থীদের ভাগ্য রচিত হয়ে গেছে ১৯৭১ সালেই। তাদের আত্মসম্মানবোধ থাকলে তাদের উচিত ছিল দেশ ত্যাগ করা নয় যুদ্ধ করতে করতে মরে যাওয়া । কিন্তু এই কাপুরুষের দল হেকমত করে একটি স্বাধীন দেশে বাস করেও দেশের অস্তিত্ব অস্বীকার করছে। আর তারা এতটাই চুনোপুটি ছিল যে ক্রমাগত বড় গলায় যারা স্বাধীনতা পন্থি দাবী করেন তারা এদের বিষয়টিকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে অনেক বড় করে তুলেছে। এ যেন রাজার মেয়ের বিয়ে, তাই সুর্য টেনে এনে চুলো বানানো।
অথচ এই পক্ষটির মনে রাখা উচিত ছিল এরা দিনে দিনে এমনিতেই অস্তিত্বহীন হয়ে পড়তো যদি সবার জাতীয় ঐক্য ধরে রেখে, দলে উপদলে বিভক্ত না হতো। এরা সংখ্যায় কত? খুবই কম।
আর এই স্বাধীনতাপন্থি আবেগী অংশটি ক্রোধোন্মত্ত হয়ে এতটাই বিকারগ্রস্ত হয়ে গেছে যে তাদের চোখে মুখে আগুন দেখে মনে হয় ৭১ এর যুদ্ধ বোধ হয় কোন নীতিহীন যুদ্ধ ছিল। মনে হয় সেখানে কোন যুক্তি ছিল না। আর আধুনিক ছেলেপেলে গুলোর দেশপ্রেম প্রায় মানসিক রোগীর পর্যায়ে চলে গেছে!
এই অংশটি কি মনে করে তারা কোনভাবে দেশকে আবার পাকিস্তানের সাথে জুড়ে দিতে পারবে? তাহলে কেন তাদের পেছনে লাগা। ছুচোর পেছনে কুকুরও তো দৌড়ায় না। কারণ তাদের গায়ে দুর্গন্ধ। তাদেরকে ছেড়ে দিলেই বরং তাদের তাদের পক্ষ হয়ে লড়াইকারী নতুন প্রজন্মটি কোন ইস্যু পেতনা বিক্ষুব্ধ হওয়ার। এই নতুন প্রজন্মটি দেশপ্রেম নিয়ে বড় হয়ে উঠতে পারত।
তাই বলি, দেশের অস্তিত্ব বিরোধীরা এদেশে থেকে রাজনীতি করতে চাওয়া এবং স্বাধীনতা দাবিদারসহ সকল পক্ষকে যার যার অবস্থান থেকে সরে এসে সুদৃঢ় ঐক্যের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশে গড়তে হবে। নতুবা আমরা সব পক্ষেরই সত্যতা, উভয়পক্ষেরই দেশপ্রেম নিয়ে নিয়ে লড়াই করে করে শেষ হয়ে যাব। তখন দেশপ্রেম আর মাটির উপরে থাকবে না। কবরে চলে যাবে।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০১
বোকার হদ্দ বলেছেন: একতাবদ্ধ হ্ওয়ার কোন বিকল্প নেই।
২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৭
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: জাতীয় ঐক্যর জন্য সবার কমন উদ্দেশ্য থাকতে হবে; সেটা নেই।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
বোকার হদ্দ বলেছেন: কমন উদ্দেশ্য শান্তি। নিজের স্বার্থ উদ্ধার, কামনা বাসনা বাস্তবায়ন, আবেগ অনুভূতিকে জলাঞ্জলি দিতে হবে বৃতত্তর স্বার্থ উদ্ধারের জন্য্।
৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৫
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: জাতীয় ঐক্য তখনই সম্ভব হবে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাঃ ও বিরোধী দলের নেত্রী বেগম জিয়া রাজনীতি থেকে অবসরে যাবেন আর ধর্ম নেয়ে রাজনীতি কোনো মতই অনুমতি দেওয়া উচিত নয় ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১০
বোকার হদ্দ বলেছেন: শেখ হাসিনা খালেদা জিয়া অবসরে গেলে কিছু হবে না। তা্দের চেলাপেলার আছে। তারেক আছে, জয় আছে। দরকার তাদের জীবন্ত অবস্থায় উপেক্ষা করে নতুন সিস্টেমের অভ্ভূদয়। আর রাজনীতি থেকে ধর্ম বাদ দেওয়ার মতটা এসেছে বিদেশী চোখ, বিদেশী মগজের ব্যবহার থেকে। বরং ধর্ম ছাড়া অন্যকোন মানুষ রচিত জীবন ব্যবস্থা ব্যর্থ হতে বাধ্য। মানুষের জ্ঞান সীমিত। অন্যদিকে স্রষ্টার দেওয়া জীবন ব্যবস্থা প্রাকৃতিক নিয়মের উপর ভিত্তি করে রচিত।
যে দিন মানুষের মধ্যে ঐক্য আসবে, একটি জাতিতে রূপান্তরিত হবে সেদিন স্রষ্টার দেওয়া জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করেই হবে।
মানুষের তৈরি ব্যবস্থা শুধু বিভক্তিই বাড়ায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২১
নীল জানালা বলেছেন: হাজার হাজার ইস্যুতে হাজার হাজার ভাগে বিভক্ত বাংলাদেশের বাংগালীরা আজ। আর এই সুযোগে মাফিয়া চক্রগুলা রাজনিতির নামে সশস্ত্র গুন্ডা বাহিনীর সাহায্যে ভেড়া বানিয়ে রেখেছে ২০ কোটি মানুষকে। আমাদের প্রধান সমস্যা আমাদের ৪/৫ হাজার রাজনৈতিক নেতা কর্মী নামের দুর্বৃত্ত। এরা দেশটাকে চুষে খাচ্ছে। বিশ কোটি মানুষ ভার্সাস ৪ কি ৫ হাজার দুর্বৃত্ত। মানুষগুলা যদি হাজারো ইস্যুতে বিভক্ত না থাইকা একতাবদ্ধ হয়া যায় তাইলে ঐ ৪ কি ৫ হাজারের কি অবস্থা হবে? তাইতো এতোসব বিভক্তির অবতারনা।