![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাঙ্গালী জাতি শেষ কবে এক মতে এক পথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো এর খোঁজে যদি আমরা ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব বরাবরই এদেশের মানুষ ঐক্যহীনতার অভাবে শক্তিহীন হয়ে বিভিন্ন শক্তির দাসত্ব করেছে। দিগি¦জয়ী বীর কিংবা পরধনলোভী লুটেরারা এদেশের শস্য ও সম্পদের দিকে তাদের লোলুপ দৃষ্টি দিয়েছে। এদেশের জনগোষ্ঠীর পূর্ব পুরুষরা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নানা জাত-পাত, সামাজিক দৃষ্টিতে উঁচু-নিচু, ধনী-গরীবের পার্থক্য তুলে সমাজকে বিভক্ত করে রেখেছিল। কিন্তু সর্বশেষ ১৯৭১ সালেই একমাত্র জাতিটি একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছিল। তাদের সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানের তথাকথিত মুসলমান ভাইদের বৈষম্যমূলক আচরণ ও নির্যাতনই তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে বাধ্য করেছিল।
এই ঐক্যবদ্ধকরণের পেছনে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দেশের বুদ্ধিজীবী, কবি-সাহিত্যিক, ছাত্র-শিক্ষক, ডাক্তার, আইনজীবীসহ সকল পেশাদার ও প্রশাসনিক, সামরিক-আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য ইত্যাদি সকল শ্রেণীর মানুষের সার্বিক ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এরা সবাই মিলে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে তাদের নিজেদের দৃষ্টিকে নিবদ্ধ করতে পেরেছিল। নিরপেক্ষ দৃষ্টি বিবেচনা করলে এবং সত্য স্বীকার করে নিলে একথা মানতেই হবে যে, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি সংগ্রামের দিকে পরিচালনা করার পেছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ছিল সর্বাধিক। তার কথা, কাজ ও নির্দেশনা মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। যার ফলে মাত্র নয় মাসের একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের শক্তিশালী ও প্রশিক্ষিত বাহিনীকে পরাজিত করে তারা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম দেয়।
কিন্তু নিয়তির পরিহাস হচ্ছে এই যে, স্বাধীনতার মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই জাতিটি আবারো পূর্বের চেয়ে বেশি ঐক্যহীন ও বিভক্ত হয়ে পড়ে। এতদিন তাদের শত্র“ ছিল বিদেশিগণ আর এবারে নিজেদের শত্র“ হলো নিজেরাই। নতুন বাংলাদেশ গড়া কিংবা পাকিস্তানী শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর যোগ্যতা ও ভূমিকা ছিল অসামান্য, কিন্তু শাসনকার্য তথা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে পারেন নি। এর পেছনে বড় কারণ ছিল তৎকালে বিশ্বব্যাপী চলমান বাম আদর্শের একটি প্রভাব যা বাস্তবে একটি ব্যর্থতম তত্ত্ব। সদা-সর্বদা এই ধারার পারিষদবর্গ তাকে জনগণ থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল। কেবল তাই নয়, শাসনকার্য পরিচালনার জন্য তিনি যাদের উপর নির্ভর করতেন তারাও জাতির স্বার্থ থেকে নিজেদের স্বার্থকেই বেশি গুরুত্ব দিতেন। যার ফলশ্র“তিতে বঙ্গবন্ধু একাত্তরের সংগঠক হিসাবে যতটা অবিসংবাদী ছিলেন, রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে সেই অবস্থানটি তার ছিল না। তিনি ছিলেন সরলপ্রাণ ও আবেগী। রাজনীতি করতেন মানুষের জন্য। কিন্তু স্বাধীনতা উত্তর বিবর্তিত কলুষিত রাজনৈতিক পরিবেশে তার সরলতা ও আবেগ সময়োপযোগী ছিল না, তার প্রমাণ তার শাসন আমলে সংঘটিত আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি, দুর্ভিক্ষ ও দেশের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়া। তিনি মানুষকে এতটাই বিশ্বাস করতেন যে, অপরাধী অপরাধ করে বিপদে পড়ে তার কাছে সহযোগিতা চাইলে তিনি প্রকৃত ঘটনা না জেনেই তাকে সাহায্য করতে দ্বিধাবোধ করতেন না।
বঙ্গবন্ধু বলতে যারা অজ্ঞান তারা হয়তো একে উদারতা বলে আখ্যায়িত করবেন, কিন্তু শাসনদণ্ড হাতে নিয়ে এই উদারতাকে তার অনেক শুভাকাক্সক্ষী সমালোচকগণও দুর্বলতা বলেই গণ্য করেন। এই দুর্বলতার ফল বাস্তবেও ফলেছে। স্বাধীনতার মাত্র কিছুদিন পরেই বাংলাদেশের অভ্যুদয়কারী আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা একেবারে তলানিতে নেমে যায়। অপরদিকে স্তাবকের দল অনবরত বঙ্গবন্ধুকে ফুসলিয়ে, ভুল তথ্য দিয়ে তাদের সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নিতে থাকে। এমনকি তাকে দিয়ে তথাকথিত বামপন্থীরা বাকশালও কায়েম করাতে সক্ষম হয়। ফলে মাত্র কয়েক বছর আগে যে জনতা এই অবিসংবাদিত নেতার ডাকে সাড়া দিয়ে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করার মানসে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তারা নিদারুণভাবে হতাশ হয়ে পড়ে।
সুবিধাবাদীদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর নমনীয় অবস্থান বুমেরাং হয়ে দাঁড়িয়েছিল, ফলে তার অতি ঘনিষ্ঠ ও চিরপরিচিত ব্যক্তিরাই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটায়, তাকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করে।
এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে শুধু যে সামরিক বাহিনীর দ্রোহই ছিল তা নয়, এর পেছনে সেই বৈদেশিক শত্র“দেরও যোগসাজস ছিল, যারা চায় নি এদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমৃদ্ধি অর্জন করুক, শক্তিশালী জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। ’৭৫ এর এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এই জাতি আবারো ঐক্যহীনতার পুরনো ধারায় ফিরে যায়। আর যারা চায় না এ জাতি ঐক্যবদ্ধ হোক, যারা চায় তারা তাদের গোলামীর শিকল স্থায়ীভাবে এ জাতিকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখুক তারা এদেশের মানুষের উপর গণতন্ত্র নামক এক স্থায়ী অনৈক্যের বীজ রোপণ করে দিয়েছে। নানা উত্থান-পতনের মাধ্যমে সর্বশেষ রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে জেনারেল জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করে, যার পরিণামে এদেশে স্থায়ী রাজনৈতিক বিবাদ ও অনৈক্য প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। যদিও তার এই কাজ ঐ সময় ব্যাপক সাধুবাদ পেয়েছিল এবং তিনি সাময়িক জনপ্রিয়তাও লাভ করেন। এ সময় বহুদলীয় গণতন্ত্র না নিয়ে আর কোন পথও জিয়াউর রহমানের সামনে তুলে ধরা হয় নি, আর পশ্চিমারা তো চায়ই গণতন্ত্রের বেড়ি পরিয়ে সকল জাতিকে তাদের গোলাম বানিয়ে রাখতে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর পর কয়েকটি সামরিক অভুত্থানের মাধ্যমে জাতি পুরোপুরি উদ্দেশ্যহীন এবং ঐক্যহীন হয়ে পড়ে। বাকশাল এবং সামরিক আইনের কারণে প্রায় সবকটি রাজনৈতিক দল আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গিয়ে তারা দেশে অরাজকতার বিস্তার ঘটায়। এই অরাজকতা দূর করার জন্য মেজর জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে তাদেরকে রাজনীতি করার বৈধতা দিয়ে স্বাভাবিক পথে নিয়ে আসেন।
কিন্তু গণতন্ত্র মানেই অনৈক্য। অনৈক্যের সেই সুপ্ত বীজ অঙ্কুরিত হয়ে ডালপালার বিস্তার ঘটিয়ে আমাদের দৃশ্যমান আকাশকে কালো মেঘে ঢেকে দিয়েছে। সামগ্রিক বিষয়টাকে যদি এক কথায় বা কোন উপমা দিয়ে বোঝাতে হয় তাহলে বলতে হয় কোন গ্যাস চ্যাম্বারে প্রবল চাপে বিষাক্ত গ্যাসকে আটকে রাখা হয়েছিল, সেখানে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার পরিবেশ ছিল না। কিন্তু জিয়াউর রহমান এই গ্যাস চ্যাম্বার উন্মুক্ত করে দিলেন যা মুক্ত আকাশে ছড়িয়ে পড়ে সকলকে বিষাক্রান্ত করে ফেলল। যদিও তার উদ্দেশ্য সৎ ও উদার ছিল, কিন্তু এই প্রচলিত রাজনৈতিক সিস্টেম আরেকটি দুঃখজনক ঘটনার জন্ম দেয়, সামরিক বিদ্রোহের দ্বারা সূচিত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেও আশ্রয় নেন ইতিহাসের পাতায়। প্রকৃতপক্ষে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু বাকশাল নামক কঠোর নীতি অবলম্বন করেছিলেন অপরদিকে মেজর জিয়া সবার বাঁধন খুলে দিয়ে সবাইকে রাজনৈতিক বৈধতা দিয়ে দিলেন। এভাবে উভয়েই রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যর্থ হলেন।
এই বহুদলীয় গণতন্ত্রের কারণেই জাতির মধ্যে স্বার্থান্বেষী রাজনীতিকরা যখন যার যা ইচ্ছা, যেমন ইচ্ছা কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ফলশ্র“তিতে জাতি আজকের এই স্বাধীনতার পক্ষশক্তি বনাম স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি, আস্তিক বনাম নাস্তিক, বামপন্থী বনাম ডানপন্থী, ধর্মাশ্রিত দল বনাম সেক্যুলার দল, সাম্রাজ্যবাদী বনাম সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ইত্যাদি মত পথ প্রকট হয়ে উঠেছে। প্রতিটি দলের মধ্যে আছে উপদলীয় অন্তর্কোন্দল। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মত কোন সুযোগ তাদের সামনে নেই। মাকড়সার জালের মত তারা আজ অনৈক্যের জালে আটকা পড়েছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ধর্মজীবী শ্রেণির ধর্মের অপব্যাখ্যার দ্বারা সৃষ্ট বহু রাজনৈতিক শক্তি, যারা ইসলাম ধর্মকে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে চলেছে। এরাও জাতির ঐক্যকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দিল। এই অনৈক্যের অবধারিত ফল হিসেবে যা হওয়াটা স্বাভাবিক তাই হচ্ছে। কিন্তু বিবদমান দলগুলোর বলির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দেশে চলছে বর্তমানে একপ্রকারের গৃহযুদ্ধ। গণতন্ত্র নামক এই বিষবৃক্ষের বিষফলে প্রতিবার ক্ষমতার পালাবদলের সময় মোটামুটি একই অবস্থারই সৃষ্টি হয়। ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়-ক্ষতির মাধ্যমে একটা নতুন সরকার আসলেও বিরোধী দল নামক ঐক্যবিনাশী অপশক্তি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে থেকে রাষ্ট্রের উন্নতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বাকী পাঁচটি বছর। এটাই যেন সিস্টেম। সরকারী দল আর বিরোধী দল নামক এই অদ্ভুত ব্যবস্থা আমাদেরকে আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। অতীতে কোন একটা বাইপাসের মাধ্যমে জাতির চালিকা শক্তি পুনরায় চালু করতে পারলেও এখন এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে এ থেকে উত্তরণের কোন পথ সামনে খোলা নেই। নিজেরা তো সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেনই, সাথে বিদেশি শক্তিগুলো এমনকি জাতিসংঘও ব্যর্থ হয়েছে। এখন অবস্থাটা দাঁড়িয়েছে এই যে, এভাবে চলতে থাকলে আর কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য যুদ্ধাক্রান্ত দেশের কোন পার্থক্য থাকবে না।
এই অবস্থার ব্যত্যয় ঘটতে পারে একমাত্র যদি ’৭১ এর মত করে জাতিকে আবারও একটি মাত্র লক্ষ্য ও একটি মাত্র উদ্দেশ্যের প্রতি মুখ নিবদ্ধ করে দেওয়া যায়। আর এ জন্য মূলমন্ত্র কোন তত্ত্ব, কোন মত-পথ নয়, শুধুমাত্র দরকার একটি শ্লোগান। আর তা হচ্ছে আমরা একজাতি, আমরা বাংলাদেশের অধিবাসী। আমরা অন্য কোন তন্ত্র-মন্ত্র চিনি না, জানি না, বুঝি না, আমরা বিশ্বাস করি স্রষ্টা মানুষের চেয়ে জ্ঞানী, সুতরাং তিনি যে বিধান দিয়েছেন সেটাই মানুষকে শান্তি দিতে সক্ষম। বিদেশিদের প্রেসক্রাইব করা কোন জীবন পদ্ধতি এখানে চলতে পারে না, সেগুলি এদেশের মানুষের চিন্তা, চেতনা, বিশ্বাস, সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না তা প্রমাণিত হয়ে গেছে। আল্লাহর দেওয়া মানদণ্ডই হতে হবে আমাদের একমাত্র মানদণ্ড।
নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই আমরা আমাদের অতীত নিয়ে প্রশ্ন তুলব না, জানতে চাইব না আজকের পরিস্থিতির জন্য কে কতটা দায়ী। কে স্বাধীনতাবিরোধী আর স্বাধীনতাপন্থী তাও আর সামনে এনে লাভ নেই। সে সিদ্ধান্ত ৭১ সালেই হয়ে গেছে। এ ভূ-খণ্ডে বসবাস করে কারও আর দেশবিরোধী হওয়ার সুযোগ নেই। কেউ আর আমাদেরকে পাকিস্তানি শাসনাধীন করতে পারবে না, ভারতের অধীনেও নিয়ে যেতে পারবে না। জবর-দখলের দিন শেষ, এখন মানুষ দেশ দখল করে না। দখল করে দেশের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, বিস্তার করে কূটনৈতিক প্রভাববলয়। এখন রাজনৈতিক বাগবিতণ্ডা ত্যাগ করে আমাদেরকে কথা ও কাজে সত্যনিষ্ঠ হতে হবে। জাতি যদি এই কথার উপর ভিত্তি করে একটি কেন্দ্রীয় হুকুমে ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে বিদেশি শক্তির মোকাবেলা করা কোন ব্যাপারই নয়।
কারণ, প্রাকৃতিক নিয়মই হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ শক্তির সামনে কোন শক্তিই টিকতে পারে না। এটা হাজার বছর আগেও যেমন সত্য ছিল তেমনি হাজার লক্ষ বছর পরেও সত্যই থাকবে। এই নিয়মের উপর ভিত্তি করেই সমস্ত সৃষ্টি তাদের অস্তিত্ব বজায় রেখেছে। তাই সব বিভেদ, অহঙ্কার ভুলে এখন ঐকবদ্ধ হওয়ার ডাকে সাড়া দেওয়া ছাড়া জাতির সামনে অন্য কোন বিকল্প নেই। হেযবুত তওহীদ জাতির সকলকে এই ঐক্যের আহ্বান করছে। আসুন আমরা ১৬ কোটি মানুষ শপথ নেই আমরা এক জাতি, আমাদের এক দেশ, আমাদের এক মত। আমরা একমত যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এবং ন্যায়ের পক্ষে, সত্যের পক্ষে, হকের পক্ষে। ১৬ কোটি মানুষ এক হলে পৃথিবীর কোন শক্তি নাই আমাদের উপর মাথা তুলে দাঁড়ায়।
©somewhere in net ltd.