![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবিলম্বে ফারুকী হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন!
- আবছার তৈয়বী
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
শুরুতেই এই অধমের সালাম গ্রহণ করুন। বাঙালি জাতির গর্বের ধন, সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত বাঙালি জাতির জনক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, যাঁকে আমি ‘বাংলাদেশের আত্মা’ বলি- সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর স্মৃতিবাহী এই শোকের মাসে আপনার প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। ১৫ আগস্ট’৭৫ সালে পাষন্ড ঘাতকের গুলিতে শাহাদাত বরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ তাঁদের সবাইকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন। আমিন! আশা করছি- আপনি ভালো আছেন। শোককে শক্তিতে পরিণত করে তিন তিনবার রাস্ট্র-ক্ষমতায় আসীন হয়ে আপনি দেখিয়ে দিয়েছেন- আপনি কতোটা জনপ্রিয়। শত-প্রতিকূলতার হিমালয় পরিমাণ বাঁধার বিন্ধাচল ডিঙিয়ে আপনি প্রমাণ করেছেন- লক্ষ্য যদি অটুট থাকে, পরিকল্পনা যদি নিঁখুত হয়, আর সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিবেদিতপ্রাণ কর্মীবাহিনী যদি সৃষ্টি করা যায়- তাহলে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে পৃথিবীর কোন শক্তিই বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। এক্ষেত্রে আপনি বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন- যুগ যুগ ধরে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
ঠিক ছয়মাস পূর্বে গত ফ্রেব্রুয়ারি মাসে আমি আপনার কাছে প্রথম চিঠি লিখি- কুখ্যাত ‘রোদেলা প্রকাশনী’ বন্ধ করে তাদের ‘নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর’ শিরোনামে প্রকাশিত চরম ইসলামী বিদ্বেষী বইটি বাজেয়াপ্ত করার জন্য এবং ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের দমন করার জন্য। আমার সেই লেখাটি শুধু আমার আইডি থেকেই ২৮৫ বার শেয়ার হয়। অন্যান্য আইডি ও গ্রুপে শেয়ার হয় শত শত বার। আমি আশ্চর্য হয়ে দেখলাম- আমার এই লেখা প্রকাশের ১২ ঘন্টার মধ্যেই বাংলা একাডেমী ওই কুখ্যাত রোদেলা প্রকাশনীর স্টলটি বন্ধ করে দেয়। এই জন্য আপনার সরকারের একটি ‘ধন্যবাদ’ প্রাপ্য ছিল। এ ক্ষণে আমি আপনাকে সেই ‘ধন্যবাদ’টি দিতে চাই। কিন্তু রোদেলা প্রকাশনীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা কেন এখনো নেয়া হয়নি এবং ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নিলেন- জাতি সেটা জানতে চায়। বিশেষতঃ ব্যক্তিগতভাবে আপনি ধর্মপ্রাণ হওয়া সত্ত্বেও কোন্ খুঁটির জোরে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের আস্ফালন আপনার সরকারের আমলে এতো বেড়ে যায়- তার দিকে আপনাকে একটু কড়া নজর দেয়ার জন্য অনুরোধ করবো। মনে রাখবেন- ওই খোদাদ্রোহী, নবী (দরুদ) বিদ্বেষী, অলি-আওলিয়ার চেতনা বিরোধী তথা ইসলাম বিদ্বেষী হাতে গোনা নাস্তিকগুলো আপনার নিজের, আপনার দলের ও আপনার সরকারের জন্য ‘প্লাস পয়েন্ট’ নয়। তাদের এ অপকর্মগুলো আপনার ও আপনার সরকারের সকল সুনাম নষ্ট করে দেয়ার জন্য যথেষ্ঠ। ইসলামের অপব্যখ্যাকারী ওহাবী, মওদূদী ও সালাফীজম তথা ‘জঙ্গী প্রোডাকশনের কারখানা’র পাশাপাশি ইসলাম বিদ্বেষী ‘নাস্তিকদের আঁতুড়ঘরের' দিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখবেন- বাংলাদেশের সকল ধর্মের অনুসারী শান্তিপ্রিয় জনগণের এটাই প্রত্যাশা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
ভিন্ন এক প্রসঙ্গ নিয়ে সুদূর সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী 'আবুধাবি' থেকে আপনার খেদমতে হাজির হয়েছি। আপনি যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধামন্ত্রী এবং যেহেতু আমি বাংলাদেশের একজন নগণ্য প্রবাসী নাগরিক- সে হিসেবে আমার সমস্ত দুঃখ-বেদনা ও দাবি-দাওয়া আপনার কাছে পেশ করার 'অধিকার' আমার আছে বলে আমি মনে করি। কিন্তু, আমার দাবিটি আমার একার নয়। দল-মত নির্বিশেষে প্রবাসে ও বাংলাদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের এক বৃহৎ জনগোষ্ঠির প্রাণের দাবি এটি। সেই দাবিটি হলো- বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব 'মাওলানা নূরুল ইসলাম ফারুকী হত্যার বিচার করা'। বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠির এ দাবির প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশা করছি- আমাদের এই দাবির প্রতি আপনি সদয় নজর দেবেন। যেহেতু আপনি শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন; বাংলাদেশের স্বরাস্ট্রমন্ত্রকও আপনার হাতে আছে। সুতরাং আপনার কাছে 'ফারুকী হত্যার' বিচার চাইবার নাগরিক অধিকারটি আমাদের আছে- কী বলেন?
প্রিয় জননেত্রী!
আপনি বাংলাদেশের এক বৃহৎ দলের সভানেত্রী হিসেবে ভালো করেই জানেন যে, প্রত্যেক মানুষের কিছু গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। সে অধিকার বলেই বাংলাদেশে অহিংস ছাত্র আন্দোলের মডেল ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা’ আগামী ২৭ আগস্ট ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও’ এর কর্মসূচী দিয়েছে। এক্ষেত্রে আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, তারা 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেত্রীর কার্যালয় ঘেরাও' করার কর্মসূচী দেয়নি- দিয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের। আপনার কাছে সবিনয় আবেদন- সেদিন যদি আপনি দেশে থাকেন, সম্ভব হলে আপনি নিজেই আমার সেনানী ভাইদের একটি প্রতিনিধি দলকে ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে’ স্বাগত জানাবেন এবং আপনি নিজেই তাদের কাছ থেকে স্মারকলিপি খানা গ্রহণ করার সৌজন্যতা দেখাবেন। যদি একান্তই আপনার পক্ষে তা গ্রহণ করা সম্ভব না হয়- তাহলে আপনার কার্যালয়ের ‘প্রধান কর্মকর্তা’কে দিয়ে সেই স্মারকলিপি গ্রহণ করাবেন। এর আগে রাস্ট্রের সকল এজেন্সীকে নির্দেশ দেবেন- যাতে আমার সেনানী ভাইদের ওপর কোন প্রকার জোর-জুলুম ও হয়রানিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ না করে। কারণ, স্বাধীনতা বিরোধী দলটির ছাত্র সংগঠনের মতো ছাত্রসেনার কর্মীদের হাতে পেট্রোল বোমা থাকে না, পকেটে বোমা বা গ্রেনেড জাতীয় ধ্বংসকারী কোন বস্তু থাকে না। মুখে থাকবে না সরকার উৎখাতের কোন জ্বালাময়ী স্লোগান। হ্যাঁ, তাদের পকেট কিন্ত খালি থাকবে না। তাদের পকেটে কলম পাবেন, হাতে তাসবীহর ছড়া পাবেন। তাদের মুখে শোভা পাবে দরুদ-সালামের সূর লহরী। এ এক অনিন্দ্য-সুন্দর রূপ শোভা- যা আপনি বাংলাদেশের কোন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে দেখতে পাবেন না। প্রিয় নেত্রী! ছাত্রসেনার নেতা-কর্মীদের প্রত্যেকের হৃদয়ে আঁকা থাকে- মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তস্নাত লাল-সবুজের একটি মনোরম, সুন্দর, সহনশীল ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। সেই স্বপ্নের দেশটার সাথে বর্তমান বাংলদেশের কোনভাবেই মেলে না, মেলে বাঙালির মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলার’ সাথে।
প্রিয় বঙ্গবন্ধু কন্যা!
বাংলাদেশে আপনার আগেও অনেক প্রধানমন্ত্রী গত হয়েছেন এবং আপনার পরেও অনেকেই হবেন। কিন্তু কোন প্রধানমন্ত্রীর ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা’ হবার বিরল যোগ্যতাটি হবে না। তাই আপনার কাছে আমাদের দাবীটাও একটু বেশি বৈকি। বঙ্গবন্ধু প্রটোকল ও সিকিউরিটির তোয়াক্কা না করেই অনেক সময় সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যেতেন এবং তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনতেন। আমি আপনার মাঝেও সেই সরলতার অনিন্দ্য-সুন্দর রূপটি দেখতে পাই। রাস্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে আপনার সন্তানের জম্মদিনে আপনার নিজ হাতে ‘স্পেশাল রন্ধনের’ যে ছবিটি প্রকাশ পেয়েছে, বিশ্বাস করুন- তা দেখে আমারও আপনার সন্তান হওয়ার সাধ জাগে। ইচ্ছে করে- আপনাকে একবার ‘মা’ বলে ডাকার। আমাকে কি সেই অনুমতি দেবেন?
মা! মাগো!
আপনাকে সন্তান হিসেবে বলবো- আপনি ২৭ তারিখ বা তার আগে নিজ দায়িত্বে ফারুকী সাহেবের পরিবার-পরিজনকে আপনার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে একবার তাঁদের সাথে কথা বলুন। জানি- তাঁরা ফারুকী সাহেবকে আর ফিরে পাবেন না। কিন্তু তাঁদের অশান্ত মনটি আপনি মায়ের আদরে ভরিয়ে দিতে পারেন। এবং এতে আপনার ‘ঐতিহ্যের ডানা’য় আরেকটি ‘পালক’ যুক্ত হবে বলে আমি মনে করি। মনে পড়ে- আপনি কুখ্যাত ‘থাবা বাবা’ (রাজীব হায়দার)’র নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তার বাসায় গিয়েছিলে অশান্ত মা-কে শান্তনা দিতে। কিন্তু আপনি ‘থাবা বাবার’ লিখনিগুলো পড়েন নি। আমার মতো কঠোর অন্তরের মানুষও তার সেই লেখা ৩ লাইনের বেশি পড়তে পারি নি। আমার বিশ্বাস- আপনার মতো ‘নরম দিলের মানুষ’ ১ লাইনও স্থির চিত্তে পড়তে পারবেন না। কারণ- সে আল্লাহ্-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পরিবার পরিজন এবং ইসলামের বিধি-বিধান সম্পর্কে সেরকম গর্হিত ভাষায় আক্রমন করেছিল। কোন মুসলমান তাঁর লেখাগুলো ধারবাহিক ভাবে পড়ে যেতে পারবে না। কিন্তু আপনি করলেন কী? আপনি সমবেদনা জানাতে চিপাগলির ভেতর দিয়ে তার বাসায় গেলেন। কিন্তু মা! আমরা অবাক চোখে দেখলাম- আপনি ফারুকী সাহেবের বাসায় যাওয়ার গুরুত্ব অনুধাবন করলেন না! সেই প্রশ্ন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষের আপামর ইসলামপ্রিয় জনতার। অথচ ফারুকী সাহেবের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালে আপনার ‘মান’ কমতো না। কারণ তিনি ‘বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট’র নেতা হলেও তিনি নিজ গুণে দল-মতের উর্ধ্বে অবস্থান করছিলেন। আমি আপনাকে আহ্বান জানাবো- যদি সময় পান কষ্ট করে ফারুকী সাহেবের ‘কাফেলা’ অনুষ্ঠানটি একবার দেখবেন। আমি জানি- মা! এই অনুষ্ঠান দেখার পর আপনার ‘চোখের পানি’ ধরে রাখা সম্ভব হবে না।
মাগো!
ফারুকী সাহেব শুধু ইসলামী মিডিয়া ব্যক্তিত্বই ছিলেন না, তিনি মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী মামলার একজন রাজসাক্ষীও ছিলেন। ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বোধহয় তার সাক্ষ্যও গ্রহণ করেছিলেন। ফারুকী সাহেব বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ভরসা ও আস্থার স্থান সুপ্রিম কোর্ট মসজিদের খতিব ছিলেন। তাঁর পেছনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মাননীয় বিচারপতিগণ নামাজ আদায় করতেন। আপনিই বলুন- বহুমুখী ও বিরল প্রতিভার অধিকারী এ মানুষটিকে যারা নির্মমভাবে নিজ বাসায় হত্যা করলো- তাঁদের বিচার হওয়ার কি প্রয়োজন নেই? বলুন মা- প্রয়োজন নেই???
কিন্তু মা! আমরা কী দেখলাম? আমরা দেখলাম- এক্ষেত্রে আপনার সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চরম ব্যর্থতা। তাঁরা ফারুকীর খুনিদের খুঁজে বের করা দূরে থাক- এজাহারভুক্ত আসামী ও দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার হুমকিদাতা, কুখ্যাত স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের পালের গোদা, পবিত্র কলেমার লিখন পরিবর্তনের দাবীদার, ধর্মদ্রোহী ‘তারেক মনোয়ার’ এবং ফারুকীকে হত্যার আরেক প্রকাশ্য হুমকিদাতা ‘মুজাফফর বিন মহসিন’কে জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করেনি! আপনিই বলুন- তাঁদের এই ব্যর্থতা কি বরদাশত করা যায়?! আমাদের দেশের পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কী এতোই অথর্ব?!!! বিশ্বাস হয় না মা- আমার মোটেও বিশ্বাস হয় না। বরং আমার যেটা বিশ্বাস হয়- ফারুকীর হত্যা পরিকল্পনা করেছে কুখ্যাত ওই দুইজন এবং ইসলামী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব নামধারী তাদের কিছু দোসর, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে চিহ্নিত জঙ্গীগোষ্টি আর তাদের নিরাপদে সরিয়ে দিয়েছে আপনার সরকারের কিছু অসাধু ব্যক্তিবর্গ। একবার ভাবুন তো মা- রক্তমাংসের মোটাতাজা এ জঙ্গী মানুষগুলো এ রকম নির্মম হত্যাকান্ড ঘটিয়ে হাওয়া হয়ে যেতে পারে?। মা! মাগো! নিশ্চয়ই এখানে কোন ‘ঘাপলা’ আছে। যেই ‘ঘাপলা’ আপনার অথর্ব স্বরাস্ট্রপ্রতিমন্ত্রী বিগত এক বছরে বের করতে পারেন নি। এক বছর নয়- এই 'আমড়া কাঠের ঢেকিঁ' কে আপনি কিয়ামত পর্যন্ত সময় দিলেও তিনি পারবেন বলে মনে হয় না। আপনার প্রতি বিনীত নিবেদন- এই ‘রদ্দি মাল’কে তাড়াতাড়ি বিদায় দিয়ে আপনার দলের ক্যারিশম্যাটিক নেতা ‘জনাব ওবায়দুল কাদের’ বা সর্বজন প্রিয় জনাব পলক ভাইয়ের মতো নেতাকে দায়িত্ব দিন। আমি জানি- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার মতো ‘কঠিন-কোমল’ হৃদয়ের অধিকারী নেতার অভাব নেই। মোচের ফাঁকে মিউঁ মিউঁ করা- এই ‘ভেজা বেড়ালের’ চেয়ে আমাদের শ্রদ্ধেয়া খালা ‘সাহারা খাতুন’ ঢের ভালো ছিলেন। তিনি লাঠিতে ভর দিয়ে কী অসম সাহসিকতার সাথে বিডিআর হত্যাকান্ড পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছিলেন- ভাবতেও অবাক লাগে! তবে আমরা আপনার সন্তানগণ সবাই মিলে আপনার পায়ে ধরে আবেদন করছি- দয়া করে ফারুকী হত্যা মামলাটি আপনি নিজেই তত্ত্বাবধান করুন। এবং খুনী অপরাধী চক্রকে আবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ প্রতাপশালী প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কৃপা দৃষ্টি কামনা করছি। আল্লাহ-রাসূল (দরুদ) আপনার সহায় হোন। আমিন! আমার বেয়াদবি ও ভাষাগত ত্রুটির জন্য আপনার ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টি কামনা করছি।
বিনয়াবনত
আপনার গুণমুগ্ধ
আবছার তৈয়বী
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি (প্রসাস)- দুবাই, ইউ.এ.ই।
প্রতিষ্ঠাতা: আদর্শ লিখক ফোরাম (আলিফ), চট্টগ্রাম।
নির্বাহী সদস্য: আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন, ইউ.এ.ই কেন্দ্রীয় পরিষদ, আবুধাবি।
তারিখ: ১৭ আগস্ট, ২০১৫ইং
আবুধাবি, ইউ.এ.ই।
©somewhere in net ltd.