নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যবাক

অাবছার তৈয়বী

আবছার তৈয়বী

অাবছার তৈয়বী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চ্যানেল ‘আই’ এর পরিচালক ও বার্তা-প্রধান জনপ্রিয় ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানের পরিকল্পক ও সঞ্চালক জনাব ‘শাইখ সিরাজ’ সাহেবের প্রতি ‘খোলা চিঠি’

২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৪১

চ্যানেল ‘আই’ এর পরিচালক ও বার্তা-প্রধান জনপ্রিয় ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানের পরিকল্পক ও সঞ্চালক জনাব ‘শাইখ সিরাজ’ সাহেবের প্রতি ‘খোলা চিঠি’
‘চ্যালেন আই পরিবারের সদস্য আল্লামা নূরুল ইসলাম ফারুকীর প্রতি সুবিচার করুন’
-আবছার তৈয়বী

প্রিয় মহোদয়,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু!
শুরুতেই আমার সালাম গ্রহণ করুন। আমি শস্য-শ্যমলা, সুজলা-সুফলা বাংলাদেশের একজন নগন্য প্রবাসী নাগরিক। আমি মুহাম্মদ নূরুল আবছার তৈয়বী ১৯৯৯ সালের ১ লা অক্টোবর থেকে পুরোদমে চালু হওয়া বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল চ্যানেল ‘চ্যানেল আই’ এর একজন প্রবাসী দর্শক। ২০০১ সালের দিকে ইঙ্গ-মার্কিন মিত্রশক্তির ইরাক আগ্রাসনের সময় আমিও হঠাৎ করে চ্যানেল আই- এ ঢুকে যাই। তৎকালীন বার্তা সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা মুহতারাম ‘শাহ আলমগীর’ সাহেব কীভাবে যেন আমার সেল নম্বর জোগাড় করলেন (সম্ভবতঃ আমার বন্ধু সাংবাদিক আনিস আলমগীর সাহেব দিয়েছিলেন) এবং মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যুদ্ধের প্রভাব এর ওপর রিপোর্ট করতে বললেন। তখন আমি দুবাইস্থ প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি (প্রসাস) এর সভাপতি ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম বাংলাপত্রিকা অধুনালুপ্ত ‘মাসিক প্রবাসের আলো’-র সম্পাদক ছিলাম। তখন বাংলা চ্যানেল বলতে প্রবাসে ২টি চ্যানেলই দেখা যেত। ১. চ্যানেল আই ২. এটিএন বাংলা। তবে চ্যানেল আই এর দর্শকপ্রিয়তা ছিল সবচেয়ে বেশি। দুবাইতে সব প্রবাসীর রুমে তখন টিভি ছিল না। ফলে বাঙালি রেষ্টুরেন্টগুলোতে সব সময় ভিড় লেগে থাকতো। বিশেষ করে ‘নিউজ’এর সময়ে প্রতিটি রেষ্টুরেন্টের ভেতরে-বাইরে যেন মানুষের মেলা বসতো। সে সময় রিপোর্ট করতে সাংবাদিক বন্ধু ‘আনিস আলমগীর’ ইরাকে যান। তিনিই একমাত্র বাঙালি সাংবাদিক- যিনি মৃত্যুর ভয় উপেক্ষা করে বিদেশী টেলিভিশনের সহায়তায় ‘চ্যানেল আই’ এর জন্য লাইভ সংবাদ পাঠাতেন। একবার হলো কী- তিনি লাইভ সংবাদ পাঠানোর সময় হঠাৎ করে তার পেছনে বিকট শব্দে একটি গোলা বিস্ফোরিত হলো। তিনি কেঁদে বললেন, ‘আজই বোধহয় তার শেষ দিন’। দর্শকদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার আগেই তার লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সে সময় প্রত্যেক দর্শক এই অকুতোভয় বাঙালি সাংবাদিকের জন্য চোখের জলে প্রাণভরে দোয়া করেছিলেন। স্যার! আমি চ্যানেল আই- এর সেই সময়ের সংবাদদাতা। আমার স্বকন্ঠে তখন বেশ কয়েকটি রিপোর্ট প্রচারিত হয়েছিল। রিপোর্ট চলাকালীন সময়ে পুরো টিভির স্ক্রিনে ভেসে ওঠতো আমার ছবি আর নিচে লেখা থাকতো- 'দুবাই থেকে সাংবাদিক মুহাম্মদ নূরুল আবছার তৈয়বী'। চ্যানেল আই এর নিউজ আর্কাইভে খুঁজলে এখনো আমার রিপোর্টগুলো পাবেন। পুরনো কাঁসুন্দি এই জন্যই বললাম যে, শুরু থেকেই চ্যানেল আই- আমাকে টানতো। চ্যানেল আই-এর সাথে আমার সংযোগ সম্ভবত শহীদে মিল্লাত আল্লামা ফারুকী সাহেবেরও আগে।

প্রিয় স্যার!
তখন ‘চ্যানেল আই’-এ নিয়মিত কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রচারিত হতো না। কিন্তু এটিএন বাংলায় জনাব আরকান উল্লাহ্ হারুনীর উপস্থাপনায় সাপ্তাহিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে বাতিল মতবাদের প্রচার চলতো এবং বাংলাদেশের জনমানুষের ঈমান-আকিদাও আবহমান বাংলাদেশের জনগোষ্ঠির আচরিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোকে নিয়ে চিহ্নিত কিছু মৌলভী দিয়ে বিষোদগার করানো হতো। আমি সে সব অনুষ্ঠান দেখতাম এবং ‘বাতিলদের মিডিয়া প্রীতি’ আর ‘সুন্নীদের মিডিয়া ভীতি’ দেখে আত্মগ্লানিতে ভুগতাম। পরবর্তীতে আমার প্রিয় উস্তাদ জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার ফিকাহ বিভাগের প্রধান আল্লামা অছিয়র রহমান আলকাদেরী সাহেব দুবাই আসলে তাঁকে আমি বিষয়টি সবিস্তারে তুলে ধরলাম এবং আমাদের এ দৈন্যতা ঘুচানোর জন্য বললাম। তাঁর সাথে চ্যানেল আই এর তৎকালীন বার্তা সম্পাদক জনাব শাহ আলমগীর সাহেবের সাথে কথা বলিয়ে দিলাম। পরবর্তীতে আমার আরেক শ্রদ্ধেয় উস্তাদ জামেয়ার শায়খুল হাদীস শেরে মিল্লাত মুফতি ওবায়দুল হক নঈমী সাহেব এদেশে আসলে তাঁকেও বিষয়টির গুরত্ব বুঝিয়ে বললাম। আল্লামা অছিয়র রহমান আলকাদেরী দেশে গিয়ে ‘চ্যানেল আই’ কার্যালয়ে যান এবং জনাব শাহ আলমগীর ও আপনার সাথে দেখা করেন। আপনাদেরকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বুঝাতে সক্ষম হন এবং পরবর্তীতে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হন। শুরু হয় আমাদের স্বপ্নের অনুষ্ঠান ‘সত্যের সন্ধানে’। তখন এই অনুষ্ঠানের স্পন্সর করতো- বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারী দ্বীনি সংস্থা 'আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া'। আন্জুমান কর্মকর্তাদের রাজী করাতে তাঁরা উভয়ে কতো কষ্ট করেছেন- তা বলার মতো নয়।

স্থানীয় এক ইমাম সাহেবের মাধমে আপনি দেশের এই রত্ন, সুন্নিয়তের 'হীরা-মানিক' আল্লামা নূরুল ইসলাম ফারুকী সাহেবের সন্ধান পান। ফারুকী সাহেব সেই ‘সত্যের সন্ধানে’ অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে লাগলেন। এর আগে ফারুকী সাহেবকে আমরা কেউই চিনতাম না। ‘চ্যালেন আই’ তাঁকে শত্রু-মিত্র প্রতিটি বাঙালির কাছে পরিচয় করিয়ে দিল। তিনি তাঁর প্রাণবন্ত উপস্থাপনা, ধর্মের খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রাঞ্জল বর্ণনা ও অসাধারণ ‘বডি ল্যাঙ্গুয়েজ’ ব্যবহার করে ‘চ্যানেল আই’ কে নিয়ে গেলেন জনপ্রিয়তার অনেক উচ্চমার্গে। যারা এক সময় টিভি দেখা হারাম ফতোয়া দিয়েছিল, ঘরে টিভি রাখা পাপ মনে করতো- তারাও সকল কাজ ফেলে দল বেঁধে নিয়মিতভাবে ‘সত্যের সন্ধানে’ দেখতে লাগলেন। এমনকি ঘরের মা-বোনেরাও ফারুকী সাহেবের অনুষ্ঠান দেখে তাঁর ভক্ত হয়ে গিয়েছিল। একসময় বাংলাদেশে অনেক চ্যানেল আসল। ফারুকী সাহেব শুরু করলেন- তাঁর বিখ্যাত অনুষ্ঠান ‘কাফেলা’। তিনি বিভিন্ন দেশ ঘুরে ঘুরে আল্লাহর প্রিয় রাসূল (দ.), সাহাবী, তাবেঈন, তাবয়ে তাবেঈন ও আওলিয়ায়ে কেরামদের স্মৃতি বিজড়িত স্থান ও নিদর্শনাবলী তুলে ধরতে লাগলেন। বাঙালি মুসলমানরা ইসলামের এসব নিদর্শনাবলী চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করে ধন্য হলেন এবং ফারুকী পৌঁছে গেলেন নবী-প্রেমিক, অলি-প্রেমিক প্রতিটি মানুষের অন্তরে।

প্রিয় স্যার!
আপনি ধারণাও করতে পারবেন না যে, বাংলাদেশের মানুষের কাছে ‘ফারুকী সাহেব’ কতটা জনপ্রিয়! ঠিক কিছু মানুষ- যারা পবিত্র ইসলাম ধর্ম নিয়ে বেসাতি করতে চায়, যারা চায়- এই সহজ সরল অসাম্প্রদায়িক দ্বীনের মধ্যে বিভিন্ন মতবাদ ঢুকিয়ে ধর্মটার বর্ম খুলে নিতে, তারা ফারুকীর বিরুদ্ধে ওঠে পড়ে লাগলেন। এক্ষেত্রে তারা সংখ্যাগুরু, ফারুকী সংখ্যালঘু। তারা সভা ডেকে প্রকাশ্যে ফারুকীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার প্লান করলেন। এক পর্যায়ে ঘনিয়ে আসল সেই নির্মম কালো সাঁঝ! ফারুকীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় তার নিজ ঘরেই জবাই করা হলো। আপনি ফারুকীর মরদেহ ‘চ্যানেল আই’ অফিসের সামনে এনে জানাযা পড়লেন। হাত তুলে দোয়া করলেন। টিভি ক্যামেরার সামনে কমেন্ট দিলেন। ব্যস্, ওই পর্যন্তই। কিন্তু সিরাজ ভাই! বুকে হাত দিয়ে বলুন তো- আপনার দায়িত্ব কি এতে শেষ হয়ে গেছে? না, শেষ হয়নি। কারণ, আপনি চাইলে ফারুকীর খুনীদের পাকড়াও করতে বিশেষ ভুমিকা পালন করতে পারতেন। কিন্তু আপনি করেন নি। আমি মনে করি- আপনি যে ফারুকীকে বিকশিত করেছিলেন, আর যে ফারুকী আপনার ‘চ্যানেল আই’কে বিকশিত করেছেন, সেই ফারুকীর প্রতি আপনি 'সুবিচার' করেন নি? প্লীজ! এই চিঠির সাথে সংযুক্ত ফারুকীর 'গলাকাটা' দেহটার দিকে একটু দেখুন। এবার বলুন- কী অপরাধে এমন সাদাসিধে মানুষটাকে, ইসলামের এই খাদিমটাকে জবাই করা হলো? বলুন, চুপ করে থাকবেন না- প্লীজ!

মাটির মানুষ সিরাজ ভাই!
আপনার ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ বাংলার কৃষক সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ‘মাটি ও মানুষ’ নিয়ে আপনার খেলা। জানি- মাটি ও মানুষকে বড়ই ভালোবাসেন- আমাদের ‘মাটির মানুষ’ শাইখ সিরাজ। বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান- যারা মাটি নিয়ে খেলা করেন, রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে আমাদের মতো অকর্মাদের জন্য ফসল ফলান, যে সমস্ত অশিক্ষিত- অল্প শিক্ষিত ‘সহজ সরল বিজ্ঞানী’ মাটির বুক ছিঁড়ে আমাদের জন্য অন্ন সংস্থান করেন, তাদেরকে ‘লাইম লাইটে’ নিয়ে আসার জন্য আপনার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা সর্বমহলে প্রশংসিত। এজন্য আপনি ‘একুশে পদক’ ছাড়াও জাতিসংঘের ‘ফাও’(FAO) পুরস্কারও পেয়েছেন। আপনার মতো এমন নির্লোভ ও নিরলস দেশপ্রেমিক ব্যক্তি আমাদের দেশে খুব বেশি নেই। আমরা বাংলাদেশের জনগণ আপনাকে নিয়ে রীতিমতো গর্ব করি।

প্রিয় সিরাজ ভাই!
কিন্তু যেই ব্যক্তি আমাদের হৃদ-জমিনের চাষী, যে ব্যক্তি বাংলার জনমানুষের হৃদ-ভূমিতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া আলিহী ওয়া সাহবিহী ওয়া সাল্লাম) প্রেমের বীজ বুনেছেন, মনের অলিন্দে বেড়ে ওঠা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া আলিহী ওয়া সাহবিহী ওয়া সাল্লাম) প্রেমের চারাটিকে নিয়মিত প্রাকৃতিক সার ও কীটনাশক (দলিল ভিত্তিক আলোচনা) দিয়ে ‘ওহাবী, মওদূদী, সালাফী, শিয়া, ও কাদিয়ানী’ নামক রোগ-বালাই দমন করেছেন, অন্তর ভূমিতে অযাচিত ও অপ্রত্যাশিত ভাবে বেড়ে ওঠা আগাছাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করে হৃদ-জমিনের পরিচর্যা করেছেন- তাঁর নাম ‘মাওলানা নূরুল ইসলাম ফারুকী’। আর তাঁকে হৃদ-জমিনের ‘উত্তম চাষী’ বানিয়েছেন- আপনি নিজেই। তাই আমরা মনে করি- বাংলা ভাষা-ভাষী জনগোষ্ঠির হৃদ-জমিনের এই চাষীকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করলো- তাদের সনাক্ত করে 'কোমরে দড়ি' আর হাতে 'হাত-কড়া' পরিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে আপনি বিশেষ ভুমিকা পালন করতে পারেন। আমি জানি- আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রিয় মানুষদের মধ্যে আপনি এবং আমাদের প্রিয় ‘ফরিদুর রেজা সাগর’ স্যার অন্যতম। আপনারা উভয়ে এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে পারেন- প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। সিরাজ ভাই! আপনার অফিস থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কি খুব বেশি দূরে? আপনি পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরেন। কৃষকের জন্য কোন ফসলটি উত্তম, কোন ফসলের চাষ কীভাবে করতে হয়- তা হাতে-কলমে কৃষকদের শিক্ষা দেন। কিন্তু আপনার অফিস থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যেতে পারেন না- আমাদের এই ‘হৃদ-চাষী’ ফারুকীর জন্য, এই দুঃখ কাকে বলি!

শুনেছি ২৭ আগস্ট ফারুকীকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করবেন। অনুষ্ঠান করবেন ভালো কথা। কিন্তু তারচেয়েও যেটা বেশি প্রয়োজন, সেটা হলো- আপনার ‘ক্রাইম রিপোর্টার’কে দিয়ে ‘ফারুকী হত্যাকান্ড’ বিষয়ে একটি ধারবাহিক রিপোর্ট করান। এই রিপোর্টই বরং ফারুকী সাহেবের খুনিদের সন্ধান পেতে সাহায্য করবে বলে আমি মনে করি। প্লীজ সিরাজ ভাই! ফারুকী হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচনে আমরা ‘চ্যানেল আই’ এর দেশী-প্রবাসী দর্শকরা আপনার সহযোগিতা চাই। আশাকরি আমাদের নিরাশ করবেন না। আমি অধম গোনাহগার কথা দিলাম- আপনি যেভাবে ফারুকী সাহেবের হাত ধরে তাঁকে ‘চ্যানেল আই’ তে নিয়ে এসেছিলেন; ঠিক সেভাবে ফারুকী সাহেবও জান্নাতে যাওয়ার সময় আপনার হাত ধরে আপনাকে তাঁর সাথে জান্নাতে নিয়ে যাবেন। আল্লাহর কসম! ওয়াল্লাহ্-বিল্লাহ্-তাল্লাহ্! এর ব্যতিক্রম হবে না। যদি এর ব্যতিক্রম হয়, তো কাল হাশরের ময়দানে সবার সামনে আপনি আমার গলা চেপে ধরতে পারবেন। সিরাজ ভাই! এ ক্ষণে আমি আর লিখতে পারছি না। আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার চিঠিখানা পড়ার জন্য ফারুকী সাহেব ও তাঁর অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীদের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার ও ‘চ্যানেল আই’ এর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও সাফল্য কামনা করছি। আপনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, সুখে থাকুন এবং আনন্দে থাকুন- সারাক্ষণ, সবসময়। আল্লাহ্-রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া আলিহী ওয়া সাহবিহী ওয়া সাল্লাম) আপনার সহায় হোন। আমিন। ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ।
আল্লাহ মোহাফেজ।

আপনার গুণমুগ্ধ
আবছার তৈয়বী
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি (প্রসাস)- দুবাই, ইউ.এ.ই।
প্রতিষ্ঠাতা: আদর্শ লিখক ফোরাম (আলিফ), চট্টগ্রাম।
নির্বাহী সদস্য: আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন, ইউ.এ.ই কেন্দ্রীয় পরিষদ, আবুধাবি।

আবুধাবি, ইউ.এ.ই
তারিখ: ২২ আগস্ট ২০১৫

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.