নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যবাক

অাবছার তৈয়বী

আবছার তৈয়বী

অাবছার তৈয়বী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহা সম্মানিত পীর-মাশায়েখ ও গদীনশীনদের খেদমতে ‘খোলা চিঠি’

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৪

মহা সম্মানিত পীর-মাশায়েখ ও গদীনশীনদের খেদমতে ‘খোলা চিঠি’
আপনাপন মুরীদদের নিয়ে ফারুকী হত্যাকান্ডের বিচারের দাবীতে সোচ্চার হোন
-আবছার তৈয়বী

মহা সম্মানিত হযরাতে কেরাম!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ!
শুরুতেই অধমের সালাম গ্রহণ করুন। আশা করি আপনারা সকলেই আপনাপন গদীতে ভক্ত-মুরিদ বেষ্টিত হয়ে ‘মহাসূখে’ দিনাতিপাত করছেন। আমি অধম গুনাহগার কোনভাবেই আপনাদের ‘চরণধুলি’র মর্যাদাও রাখি না। কিন্তু আল্লাহ্-রাসূল (দরুদ) সাক্ষী আছেন- আমি অধম আপনাদের খুবই ‘মুহাব্বত’ করি। আমি গরীব হওয়ায় আপনাদের দরবারে টাকা-পয়সা ও গরু-মহিষের হাদিয়া নিতে পারি না। যদি নিতে পারতাম- তাহলে বাজারের সবচেয়ে ‘মোটা মোষ’টা, গো-হাটের সবচেয়ে ‘বড় গরু’টা আমি ‘আবছার তৈয়বী’ নিজে গিয়ে আপনাদের শ্রী চরণে ‘অর্ঘ্য’ দিতাম! কিন্তু বিশ্বাস করুন- আপনাদের দেয়ার মতো আমার কাছে কোন সম্পদ নেই। জানি- আমার মতো দীনহীন ‘ফকিরা বেটা’র সর্বস্ব দিয়েও আপনাদের এক বেলার আহার সংস্থান করার সামর্থ নেই। মাশাআল্লাহ্! আপনাদের যে সম্পদ আছে- তাতে আমার মতো গরীবের কিছু না দিলেও আপনাদের সম্পদের কিছুই হেরফের হবার নয়। আপনাদের কিছু হযরতের সম্পদের পরিমাণের খবর আমি জানি। যে সম্পদ আপনাদের আছে- তা দিয়ে বাংলাদেশের পুরো ১৬ কোটি জনগণের ৩২ কোটি হাত দিয়ে আহরণ করলেও পুরোবে না। তারপরও আপনাদের সম্পদ লিপ্সা যায় না কেন- সে বিষয়ে ড. আবদুল করিম বা গবেষক আবদুল হকের মতো মনীষীদের আজীবন গবেষণা করতে হবে। আমার মতো নাদান-মূর্খ এ বিষয়ে কথা না বললেও চলবে। আমার মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয়- অনেকগুলো টাকা দিয়ে আপনাদের ‘হুজরা’ বা ‘শয়নকক্ষ’ ভর্তি করে দেই। আর আপনাদের কাউকে কাউকে সে হুজরা বা শয়নকক্ষের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে তালা মেরে দেই। কিন্তু আমি জানি- আমার এ আশা কখনো পুরণ হবার নয়। কারণ ‘আলাদীনের চেরাগ’ আমি কখনো পাবো না। ওই ব্যটার সাথে যেন আমার আজম্ম দুষমনি। সে আমার ধারেও আসে না, কাছেও আসে না। কত মানুষকে চোখের সামনে ‘আঙুল ফোলে কলাগাছ’ নয়; ‘বটগাছ’ হতে দেখেছি! কিন্তু আমি যেই ‘খালি আবদুল্লাহ্’ ছিলাম, সেই খালি আবদুল্লাহই রয়ে গেছি। অনেককে সময় মতো এবং জায়গামতো ‘তেল মেরে’ প্রকান্ড ‘পয়সাওয়ালা’ হতেও দেখেছি। মাফ করবেন- ওই ‘বদ-খাসলত’টি আমার কোন কালেই ছিল না, এখনো নেই। শুরু থেকেই আমি বরং একটু ‘ঠোঁটকাটা’ টাইপের লোক- যা বলি সামনে বলি। তারপরও যদি কোনদিন নসিব খুলে যায়- তো ‘বদনসিব’ এই আমি আমার ইচ্ছাটা পুরণে কিঞ্চিতমাত্র দ্বিধা করবো না। কিন্তু যতোদিন সেই ‘খোশ নসিব’ এই অধমের না হচ্ছে, ততোদিন এই হতভাগ্য নগণ্য ভক্তটির জন্য আপনাদের ‘নেগাহে করম’ কামনা করছি।

হযরত পীর কেবলাজানগণ!
আমি আজ তনু-মন কম্পিত এক ‘হৃদ-কান্না’ নিয়ে আপনাদের খিদমতে হাজির হয়েছি। আপনারা জানেন- আজ থেকে ঠিক এক বছর পূর্বে জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সুন্নী জনতার নয়নমণি, দ্বীনের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হযরতুল আল্লামা নূরুল ইসলাম ফারুকী (রহ.) কে নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা করেছে। আমি আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্ক দিয়ে গবেষণা করার পর আমার এই ধারণা জম্মেছে যে, এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পেছনে তিন শ্রেণীর অসাধু চক্র কাজ করেছে। ১. আলেম নামধারী কিছু খারেজী ও মওদুদীবাবাদী খবিসের নিঁখুত হত্যা পরিকল্পনা ২. জঙ্গী নামধারী ঘৃণিত ওহাবী ও সালাফী আকিদার অনুসারী কিছু মস্তিষ্ক বিকৃত পাষানদের মাধ্যমে সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ৩. সরকারের ভেতর ঘাঁপটি মেরে থাকা একটি মহলের সেই পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন পরবর্তী সার্বিক সহায়তা প্রদান। এই তিনচক্স পরস্পর পরস্পরের দোসর। ঠিক ‘চোরে চোরে মাসতুতু ভাই’ এর মতো এদের মধ্যে পরস্পর যোগসাজস রয়েছে। তাই ফারুকী হত্যাকাণ্ডের বিচার আলোর মুখ দেখছে না।

মুহতারাম গদীনশীনগণ!
কিন্তু আপনাদের ‘ফুল কদমে’ অধম আমি আরজ করি- দয়া করে বলুন তো শহীদে মিল্লাত আল্লামা নূরুল ইসলাম ফারুকীর দোষটা কি ছিল? তিনি তো আর ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক ব্লগারদের মতো আল্লাহ্ -রাসূল, সাহাবী ও আওলিয়াদের বিরুদ্ধে বলেন নি! তা হলে কেন তাঁকে এ রকম নির্মমভাবে খুন হতে হলো? প্লিজ! চুপ থাকবেন না, দয়া করে আমার প্রশ্নের জবাব দিন। হ্যাঁ, ফারুকীর একটা দোষ তো অবশ্যই ছিল। তিনি আপনাদের মতো গদীধারীদের গদী রক্ষায় বাতিলদের সম্মুখে ডাল হিসেবে ব্যবহার হয়েছিলেন নিজ দায়িত্বে। সেই জন্য ওই বাতিল খবিসগুলো তাঁকে কী নামে ডাকতো জানেন? তাঁকে ডাকতো- ‘মাজার পুজারী’ বলে! আচ্ছা বলুন তো- তিনি কি কোন মাজারে পুঁজা দিতে গিয়েছিলেন? কোন সুন্নী আলেমদের কি মাজারে পুঁজা দিতে কেউ কখনো দেখেছেন? তারপরও কেন তাঁকে এই অভিযোগে অভিযুক্ত হতে হলো জানেন? কারণ, তিনি জনসমক্ষে, মিডিয়াতে আপনাদের পক্ষে কথা বলতেন। তাঁর আকিদা সুন্নী, তাঁর চরিত্র ও আমল আখলাক সুন্নাতি হলেও ওই বাতিলরা তাঁকে বলতো ‘বেদাতী’। তো যিনি আপনাদের মনের কথাগুলো মিডিয়ায় প্রচার করছেন, আপনাদের পক্ষ হয়ে বাতিলদের বিরুদ্ধে একাই লড়েছেন- সেই সাদা-সিধে মানুষটিকে নিজঘরে নির্মমভাবে গলায় ছুরি চালিয়ে জবাই করে দিলো- তো আপনাদের কি করার কিছুই নেই?

জানি, আপনারা বলবেন- আপনারা দরবার নিয়ে আছেন, দরবার ছেড়ে আপনারা কোথাও যেতে পারবেন না। কিন্তু আপনাদের কতো ক্ষমতা আছে তা আপনারা নিজেই জানেন না। হ্যাঁ, আপনাদের রূহানী ক্ষমতা আছে কি-না সেটা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে বৈকি? কিন্তু আপনাদের জাগতিক ক্ষমতা ও প্রভাব যে অনেক বেশি , সে সম্পর্কে আমার কোনই সন্দেহ নেই। আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনারা দশ দরবারের ‘দশ গদীনশীন’ একজোট হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান, দেখুন অবস্থাটা কী হয়? খোদ প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আপনাদের যদি স্বাগত না জানায়- তো আমার নামটা বদলে দিয়েন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- আপনাদের সেই ‘জাগতিক ক্ষমতা’ সম্পর্কে আপনাদের নিজেদেরই কোন ধারণা নেই। আপনারা একেকজন ‘সার্কাসের হাতি’ হয়ে বসে আছেন- যার কোন তেজ নেই, গ্লানি নেই, সচেতনতা নেই, ‘আত্মসম্মান’ নেই। আন্দোলন কীভাবে করতে হয়, কীভাবে বাংলাদেশের রাজধানী ‘ঢাকা’কে অচল করে দিতে হয় ‘বুইড়া শফি’ থেকে শিখতে পারেন। আমি তো অবাক হয়ে ভাবি- ওই বুইড়ার লাঠির যে ক্ষমতা আপনাদের আলীশান দালানেরও সেই ক্ষমতা নেই। অথবা ‘চোরমোনাইর পীর’ এর দিকে তাকান- যে কিনা বরিশালে পেটে গ্যাস উদ্গত হলে- সে সেই গ্যাস পেছনের দরোজায় ডেলিভারি না দিয়ে কোন মতে চাইপ্পা চুইপ্পা ‘স্পীড বোটে’ ঢাকায় এসে মতিঝিল চত্বরে, শাপলা চত্বরে বা প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় এসে ‘ডেলিভারি’ দেন। আর আপনারা? আপনার ঢাকা ছেড়ে দেশের বড় বড় পাহাড়গুলো দখল করে ওখানে ‘আখড়া’ বানান, দেশের ‘সোনাফলা’ ধানি জমিগুলো দখল করে ভক্ত-মুরিদের পকেট কেটে আলীশান অট্টালিকা বানান। ঢাকা দখল করে রাখে সুন্নী নামধারি কিছু সাক্ষাৎ শয়তান- দেওয়ানবাগী, রাজারবাগী ও কুতুববাগীরা। যাদের কারণে সুন্নীরা প্রতিনিয়ত গালি শুনছে।

প্রিয় গদীননশীনগণ!
আপনারাই পারেন- সুন্নী নামধারী ওই ‘অমঙ্গলের দূত’গুলোকে ঢাকা থেকে তাড়িয়ে দিতে। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে আপনারা তাদের বিরুদ্ধে মুখে কুলূপ এঁটে আছেন। আপনারা ভাবছেন- সুন্নী নাম নিয়ে যে যেমন ইচ্ছা করুক, তাতে আপনাদের কিছুই যায় আসে না। কিন্তু দেখবেন- যদি এই সব ভন্ডদের বিরুদ্ধে মুখ না খোলেন, তাহলে এমন একদিন আসবে- লোহার সিন্দুকে লুকিয়েও আপনারা নিস্তার পাবেন না। খারেজী, সালাফী ও মওদুদীপন্থীরা আপনাদের সেই সিন্দুক থেকে বের করে ‘কচুকাটা’ করবে। কোন ‘বাবার কেরামতি’ আপনাদের রক্ষা করতে পারবে না। গরীবের ঘামে ও শ্রমে নির্মিত আপনাদের আলীশান ইমারতগুলো আইএসআইএস এর মতো জঙ্গীদের বোমার আঘাতে ধ্বসে পড়বে। আমার কথা বিশ্বাস না হলে- আপনারা পবিত্র হিজাযভুমির মাজারগুলোর দিকে দেখুন। জান্নাতুল মোয়াল্লা ও জান্নাতুল বাকির দিকে একবার তাকান। দেখুন ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ার দিকে। সেখানকার সূফিরা মানে-গুণে ধনে-জনে আপনাদের চেয়ে ঢের বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন ছিলো। তাদের অসচেতনার কারণে ওসব দেশে কী দুর্যোগ নেমে এসেছে! ইঙ্গ-মার্কিন মদদপুষ্ট ‘অকল্যাণের প্লাবন’ যদি সে সব দেশে আসতে পারে, তো আমাদের দেশেও আসতে পারে। আমি আপনাদের করজোড়ে আবেদন করি- হে আমার ছেরতাজগণ! সেই ‘অলক্ষুণে সময়’ আসার আগে আপনারা সচেতন হোন। ঐক্যবদ্ধ হোন। ঢাকাকে কেন্দ্র করে আপনাদের যাবতীয় আধ্যাত্মিক ও জাগতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করুন।

কিন্তু ঐক্যবদ্ধ আপনারা হবেন কীভাবে? গরু-মহিষ আর দানবাক্সের টাকা নিয়ে আপনারা নিজেরা ভাইয়ে ভাইয়ে যেভাবে মারামারি, গালাগালি করেন- তা দেখে আমার মতো নাদান মুর্খেরও লজ্জা লাগে। আহা! অমর কবি শেখ মুসলেহউদ্দীন সা’দী (রহ) কত আশা করেই না বলেছিলেন, ‘একটি কম্বল গায়ে দিয়ে ১০ জন দরবেশ রাত কাটাতে পারে, কিন্তু একটি দেশে দু’জন রাজা থাকতে পারেন না’। কিন্তু দরবেশ কবি স’াদী যদি আজ বেঁচে থাকতেন- আপনাদের এই গুতোগুতি দেখে কী লিখতেন- তা ভেবেই আমি পুলকিত হচ্ছি!

হে পবিত্র শোণিতধারার ওয়ারিশগণ!
আপনাদের এ হাল কেন হলো- দয়া করে একটু বলুন! অসঙ্গতিটা কোথায় আছে তা নির্ণয় করুন! কোন ‘পবিত্র আত্মা’র বদদোয়ায় আপনাদের এই ‘যিল্লতি হাল’ হলো- তা ভেবে দেখুন। খোদার কসম! আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কোন কর্মসূচী দিলে কতলোক জমায়েত হবে আমি জানি না, তবে এতটুকু জানি যে, ‘লালা শফি’র চেয়ে কমপক্ষে ৫০ গুণ বেশি লোক জমায়েত হবে। বিশ্বাস করুন- সুন্নীয়ত ভিত্তিক ইসলামী আন্দোলনের জন্য শস্য-শ্যমলা, সুজলা-সুফলা এদেশের জমিনটার মতো উর্বর জমি পৃথিবীর কোথাও নেই। কারণ, এদেশের মানুষগুলো খুব সহজ-সরল। এদেশের মানুষের অন্তরে রয়েছে আল্লাহর ওলিগণের প্রতি অগাধ ভক্তি-বিশ্বাস-ভালবাসা। আল্লাহর অলিদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমাদের পূর্বপুরুষগণ ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। জঙ্গীদের তলোয়ারে নয়, মওদুদীবাদের বোমার আঘাতে নয়, ওহাবীদের পেট্রোডলারের বদৌলতে নয়, সালাফীদের ঈমান বিধ্বংসী বয়ানে নয়- এদেশে ইসলাম এসেছে ওলীআল্লাহ গণের ভালবাসায়, উদারতায়, প্রেমে ও মহত্ত্বে।

হে আমার মাথার মুকুটগণ!
আমি ভেবে পাই না- ওলীআল্লাহ গণের পবিত্র পদধুলিতে ধন্য এই পবিত্র ভুমিতে কীভাবে মওদূদীবাদের এরকম রমরমা অবস্থা হয়? কীভাবে ঘৃণ্য ওহাবীদের ম্রিয়মাণ শুকনো চারাটা এতো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে? সালাফীবাদের শুকনো বীজটা কীভাবে পত্রপল্লবে অঙ্কুরিত ও বিকশিত হয়? বুঝে আসে না- আমার কিছুই বুঝে আসে না। শুধু এটা বুঝি যে, কোথাও আপনাদের ‘গলদ’ আছে। কোথাও আপনাদের ‘ভুল’ আছে। আমি জানি-‘খতায়ে বুযর্গ গেরেফতন খতাস্ত’। তাই সেই গলদটা আপনারা নিজেরাই চিন্নিত করুন! সেই ভুলটা আপনারাই নির্ণয় করুন। দেখবেন- ওই মওদুদীর চেলাগুলো, ওই ওহাবী জঙ্গীদের পান্ডাগুলো, ওই সালাফীদের গোমটাওয়ালা মৌ-লোভী খবিসগুলো পালাবার পথ পাবে না। শহীদে মিল্লাত মাওলানা নূরুল ইসলাম ফারুকী (রহ.) এর খুনীদের পাকড়াও করার জন্য আমাদের আর তড়পাতে হবে না। এদেশের আকাশ-বাতাস, এদেশের বৃক্ষ-লতা, এদেশের মাটি ও মানুষ ওই পাষণ্ড খুনীদের ধরিয়ে দিয়ে বলবে- ‘নাও, ফারুকীর খুনীদের তোমার সামনে এনে দিলাম। এবার তোমরা এই হারামীদের বিচার করো’। প্রিয় ছেরতাজগণ! খোদার কসম! সেই দিন আর বেশি দূরে নয়। এক্ষেত্রে আপনাদের সক্রিয় ভুমিকা প্রত্যাশা করে- এদেশের লক্ষ-কোটি ভাগ্য বিড়ম্বিত সুন্নী জনতা। আমি সেই পোড়া কপাইল্লা সুন্নী জনতার পক্ষ হয়ে আপনাদের পবিত্র কদমে নিবেদন করছি- প্লীজ! এবার একটু সচেতন হোন। এবার একটু জেগে ওঠুন। এবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঢাকাকেন্দ্রীক কর্মসূচী ঘোষনা করুন- এদেশের নবীপ্রেমিক ওলীপ্রেমিক সুন্নী জনতা নিজেদের বুকের তাজাখুন ঢেলে দিয়ে আপনাদের ঘোষিত কর্মসূচী পালন করবে।

পরিশেষে মহান-আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত ও তাঁর প্রিয় হাবীবে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাহবিহী ওয়াসাল্লামের আলীশান দরবারে আপনাদের সুমতি প্রার্থনা করে আজকের মতো বিদায় নিলাম। আপনারা সকলেই সুস্থ থাকুন। সুখে থাকুন। আনন্দে থাকুন- কান্নাভেজা চোখে আর রক্তভেজা হৃদে এই কামনা করছি। ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ।

বিনয়াবনত
আপনাদের গুণমুগ্ধ

অধম, নাখান্দা, নাদান, নালায়েক
আবছার তৈয়বী
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি (প্রসাস)- দুবাই, ইউ.এ.ই।
প্রতিষ্ঠাতা: আদর্শ লিখক ফোরাম (আলিফ), চট্টগ্রাম।
নির্বাহী সদস্য: আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন, ইউ.এ.ই কেন্দ্রীয় পরিষদ, আবুধাবি।

আবুধাবি, ইউ.এ.ই
তারিখ: ২৬ আগস্ট ২০১৫ ঈসাব্দ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.