![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফারুকী কাব্য (৭)
কাঁদো মানবতা কাঁদো
-আবছার তৈয়বী
কাঁদো মানবতা ফের একবার
কাঁদো হৃদে আজ তুমি,
খঞ্জর হাতে এসেছে সীমার
নাপাক করিতে ভুমি।
মেহমান বেশে আসিল ক’জন
নাপাক এজিদ সেনা,
দ্বীনটা আমাদের এমনি আসেনি
রক্ত দিয়ে যে কেনা।
ফারুকীর ঘরে ঢুকিয়া তাহারা
আলাপ জুড়িল বেশ,
ফারুকীর মাথায় অস্ত্র ধরিল
করিতে তাহারে শেষ।
হুসাইনী তেজে বলিল ফারুকী
কী দোষ আমার ভাই?
আমার খুনের পিয়াসী কেন
জানিতে আমি চাই।
বলিল তাহারা কর্কশ ভাষায়-
তুমি বেদাতীর ছাঁই,
মাজার পূঁজার কারণে তোমায়
জবাই করিতে চাই।
ফারুকী বলিল বেদ্বীন ওরে!
বলি তোমাদের শোন,
দ্বীনের যাহারা পতাকাবাহী
তাহাদের পথ গোন।
বাতিল মতবাদ ছেড়ে দাও আজ
রাসূল (দ.) প্রেমে মজো,
আল্লারে ভয় কর হে পাষাণ!
হও নতজানু- ঋজু।
এজিদ সন্তান শুনিল না কথা
গলায় ধরিল ছুরি,
কারবালা রূপ হতে চলেছে
দুনিয়া দেখুক ঘুরি।
নব্য সীমার চড়িয়া বসিল
হুসাইনী সেনার বুকে,
কাঁদিল আকাশ কাঁদিল বাতাস
কাঁদিল তাহার দুঃখে।
সেই ছুরি দিয়া পাষান হৃদয়
করিল তাহারে জবাই,
জ্বীন-পরী কাঁদে, কাঁদে ফেরশতা
কাঁদে মানবতা, সবাই।
হায় হায় রব করে আজি সব
এ কেমন অবিচার,
কোন অপরাধে পাষান জনের
ফারুকী আজ শিকার।
ফারুকী ছিল না মাজার পূঁজারী
ছিল না বেদাতী কভু,
সুন্নাতে ভরা অবয়ব তাহার
ছাড়িল না তারে তবুও।
তোমরা যাহা বেদাত বল
দ্বীনের তাহা মূল,
নবীপ্রেম ছাড়া হয় নাকো মুমিন
সকলি তোদের ভুল।
ফারুকীর দীলে নবীপ্রেম ছিল
ছিলো অন্তর জুড়ে,
তাই বলে কি পাঠালে তাহারে
সেই সে অচিনপূরে?
দ্বীনের সেনা কোরবান হলো
সেই সে কারবালায়,
সেই পথের এক সেনা হলো আজ
কোরবান এ বাংলায়।
তাই কাঁদো আজ অঝোর নয়নে
ঝড়ুক অশ্রুধারা,
তোমরা সকলে রাসূল (দ.) প্রেমে
হও রে পাগলপারা।
বাংলার আকাশ জল ঢালো আজ
সব নদী যাক ভরে,
সব চোখে জল ভরিয়া উঠুক
ফারুকী তোমায় স্মরে।
তারিখ: ২৭ আগস্ট, ২০১৫
সময়: ১১.৩০ টা
আবুধাবি, ইউ.এ.ই।
©somewhere in net ltd.