নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যবাক

অাবছার তৈয়বী

আবছার তৈয়বী

অাবছার তৈয়বী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবেকের দুয়ারে হানি আঘাত

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

বিবেকের দুয়ারে হানি আঘাত
-আবছার তৈয়বী

আমার আইডির সাথে যুক্ত মওদূদীবাদের পোষ্য, তোষ্য, ম্লেচ্ছদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা যদি সত্যিই দীন আল ইসলামের দাবিদার হয়ে থাকেন, বা হোসাইনী ইসলামের পক্ষের হয়ে থাকেন- তো গালাগালি, কটাক্ষ কিংবা একগুঁয়েমী বাদ দিয়ে আলোচনায় আসুন। তবে ইয়াজিদী ইসলামের লোক হলে আপনাদের সাথে কোন ধরণের আলোচনা করার প্রয়োজন নেই। দেখুন ঘৃণ্য-ভন্ড মওদূদীর ভ্রান্ত আকীদা সমূহ:

১. নবীগণ মা’ছুম বা নিষ্পাপ নন (তাফহীমাত)

২. রাসূলে করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নবুওয়তের ২৩ বছরের দায়িত্ব পালনে অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি করেছেন (তাফহীমুল কোরআন: ১৯ তম খন্ড ২৯০ পৃষ্ঠা, আবদুল মান্নান তালিব অনুদিত)

৩. রাসূল না অতিমানব না মানবীয় দুর্বলতা থেকে মুক্ত। তিনি যেমন খোদার ধনভান্ডারের মালিক নন, তেমনি খোদার অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী নন বলে সর্বজ্ঞও নন। তিনি অপরের কল্যাণ বা অকল্যাণ সাধন তো দূরে, নিজের কোন কল্যাণ বা অকল্যাণ করতেও অক্ষম। (নাঊজুবিল্লাহ) সূত্র: লন্ডনের ভাষণ: সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী, মুদ্রণে: অরিয়েন্টাল প্রেস, ১৩, কারকুনবাড়ি লেন, ঢাকা। প্রথম মুদ্রণ ১১ অক্টোবর, ১৯৭৬ ইং)

৪. আল্লাহ তায়ালা কখনো নবীগণের উপর থেকে হেফাজত বা রক্ষণের দৃষ্টি উঠিয়ে নেন, যাতে তাঁদের দ্বারা কোন গুনাহ্ (ত্রুটি-বিচ্যুতি প্রকাশ পায় এবং এ কথাও প্রমাণিত হয় যে, তাঁরা মানুষ ছিলেন, খোদা নন। (তাফহীমুল কোরআন)

৫. দাজ্জাল কখন কোথায় আবির্ভূত হবে হযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানানো হয়নি। তিনি দাজ্জাল সম্পর্কে যা বলেছেন- প্রকৃতপক্ষে তা তাঁর কাল্পনিক ও অনুমান মাত্র। এ ব্যাপারে তিনি নিজেও সন্দিহান ছিলেন। (নাঊজুবিল্লাহ): সূত্র তরজুমানুল কোরআন- পৃষ্ঠা ৪৬)

৬. রাসূলে খোদা ব্যতিত কোন মানুষকে সত্যের মাপকাঠি মানা যাবে না। কাউকে সমালোচনার উধ্বে মনে করা যাবে না। (দস্তুরে জামায়াতে ইসলামী, পৃষ্ঠা ৭৪ )

৭. আলেম ব্যক্তির জন্য ‘তাক্বলীদ’ বা মাযহাব গ্রহণ কবীরা গুনাহ; বরং তার চেয়েও জঘন্য। (ইসলামী রেনেঁসা আন্দোলন)

৮. নবীগণ ‘মাসুম’ বা গুনাহ থেকে পবিত্র নন। হযরত মূসা (আ.) নবুওয়্ত লাভের পূর্বে এক মিশরীকে হত্যা করে কবীরা গুনাহ করেছেন। (রাসায়েল ও মাসায়েল)

৯. কোরআনুল করীম নাজাতের জন্য নয়; নিছক হেদায়াতের জন্য (তাফহীমুল কোরআন ১ম খন্ড, ৩২১ পৃষ্ঠা)

১০. মোরাকাবা, মোশাহাদা, কাশফ ও ওজীফা পাঠ ইত্যাদি তরীকতের কার্যাদি শিরক। (ইসলামী রেনেঁসা আন্দোলন)

১১. ফাতেহা, জেয়ারত, নজর নেওয়াজ ও ওরস ইত্যাদি শিরক। (ইসলামী রেনেঁসা আন্দোলন)

১২. কোন নবী বা অলীর মাজার জেয়ারত করার উদ্দেশ্যে সফর করা হারাম ( ইবনে তাইমিয়া, মওদুদী ও মৌং আবদুর রহীম)

১৩. কোরআন বুঝার জন্য কোন তাফসীরের প্রয়োজন নেই। একজন দক্ষ প্রফেসরই যথেষ্ট। (তানক্বীহাত, পৃষ্ঠা ৩১২)

১৪. নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আরবের মধ্যে যে বিশেষ সফলতা অর্জিত হয়েছে, তার কারণ এটাই ছিল যে, তাঁর ভাগ্যে আরবের উত্তম মানবীয় পূঁজি জোটে ছিল। তিনি যদি সাহসহীন, দুর্বল ইচ্ছা শক্তি সম্পন্ন অযোগ্য মানুষের দল পেতেন তারপরও কি এ সফলতা অর্জন হতো? (তাহরীকে ইসলামী কি আখলাকী বুনিয়াদী, পৃষ্ঠা: ১৭)

১৫. ইসলাম কোন ধর্ম নয়, বরং জিহাদের নাম। নামায কোন ইবাদাত নয় বরং জিহাদের ট্রেনিং মাত্র। (নামাযের হাকীকত: মওদুদী)

প্রিয় পাঠক /পাঠিকা! এবার আপনারাই বিচার করুন- মওদূদী মতবাদ ইসলামের জন্য কত বড় ‘বিষফোঁড়া’। আমার গবেষণায় ঘৃণ্য-কুখ্যাত মওদূদীর ১০০ টিরও বেশি জঘন্য আকিদা ধরা পড়েছে। যার কিছু সরাসরি কুফরী। কিছু সম্পূর্ণ হারাম ও কিছু ফ্যাসাদ সৃষ্টির নামান্তর। এই জঘন্য ঘৃণ্য আকিদা লিখতে ও ব্যাখ্যা করতে গেলে একটি বড় আকারের বই হয়ে যাবে। আমি গবেষণা করে বুঝেছি- মূলতঃ ‘মওদূদী মতবাদ’ কোন নতুন মতবাদ নয়। বরং ইসলামের প্রাথমিক যুগের ঘৃণ্য খারেজী, শিয়া ও মো’তাজিলা মতবাদের নতুন সংস্করণ। মিস্টার মওদূদী যেহেতু প্রাতিষ্ঠানিক কোন আলেম ছিলেন না, সেহেতু তিনি আলোচনায় আসার জন্য সেই সব পূঁতিগন্ধময় ঘৃণ্য আকীদাসমূহ কাটছাঁট নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন। এবং তিনি শুধু আলোচিত ও সমালোচিতই হননি, তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের মাঝে স্থায়ী বিভেদ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। তার লিখিত বইসমূহ পর্যালোচনা করে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন চিন্তাধারার আলেমগণ প্রায় পাঁচ শতাধিক বই ও প্রবন্ধ লিখেছেন। আমি আশ্চর্য হয়ে ভাবি- আখের মওদূদীর বিরুদ্ধে সুন্নী ও দেওবন্দী আলেমগণ উঠে পড়ে লাগবেন কেন? আর জামায়াতে ইসলামী, ছাত্র শিবির ও ছাত্রী সংস্থার ভাই-বোনেরা অন্ধের মতো মওদূদীর অনুসরণ করবেন কেন? তাঁরা দুনিয়ার সব বিষয়ে গবেষণা করতে পারলে ঘৃণ্য মওদূদীকে নিয়ে গবেষণা করছেন না কেন? আমি দুবাই জামাতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা ও বিকাশকারী (যিনি একাই দুবাইতে জামাতের ৮ টি শাখা করেছিলেন) মরহুম আবদুল আজীজ ভাইকে জিজ্ঞাসা করেও এর কোন সদুত্তর পাইনি। তিনি আমার প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে আমার প্রশ্নটি এড়িয়ে গিয়ে আমাকে বলেছিলেন, তৈয়বী ভাই! ‘আমরা মওদূদীকে আকীদার ইমাম মনে করি না’। আমার আইডির সাথে যুক্ত জামাতে ইসলামী, ছাত্র শিবির ও ছাত্রী সংস্থার ভাই-বোনদের বিবেকের দুয়ারে আমার বিনীত আবেদন থাকবে- আপনারা দয়া করে ‘মিলাওট ইসলাম’ বাদ দিয়ে হোসাইনী (রা.) ইসলামের অনুবর্তী হোন।

আকীদার কথা বাদ দিলেও জামায়াতে ইসলামী এমন একটি অভিশপ্ত দল- যারা অবিভক্ত ভারতে খোদ ভারতের বিরোধিতা করেছে। পাকিস্তান কায়েম আন্দোলনে পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছে। পাকিস্তান কায়েম হওয়ার পর মিস্টার মওদূদী পাকিস্তানে গিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধিয়েছে। আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সময় সর্বতোভাবে সর্বস্ব দিয়ে বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের জনগণের জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। যা প্রকৃত ইসলাম আদৌ সমর্থন করে না। মনে রাখবেন, আপনাদের সাথে আমাদের বৈষয়িক কোন বিরোধ নেই। বিশ্বাস করুন- আপনারা নবী, সাহাবী, মাযহাবের ইমামগণ ও আওলিয়ায়ে কিরামদের বাদ দিয়ে যে ঘৃণ্য ‘আবুল আ’লা মওদুদী’র অনুসরণ করছেন- তাঁর নামটিও কিন্তু শুদ্ধ নয়; বরং তার নামটি শিরক এবং গ্রামার অনুযায়ী ‘জামায়াতে ইসলামী’ নামটিও শুদ্ধ নয়। তাই বলছিলাম কি- ঘৃণ্য মওদূদীর ইসলাম বিরোধী ভ্রান্ত আকিদাসমূহ ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলুন এবং বাংলাদেশকে মনে-প্রাণে ভালবাসুন। ’৭১ সালে আপনাদের ঘৃণিত ভুমিকার জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করুন। দেশও জনগণের জান-মালের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকুন। বিশ্বাস করুন- একজনের অপরাধের জন্য আরেকজনের ক্ষতি সাধন করা- ইসলাম সমর্থন করে না। এ নিয়ে প্রকাশ্যে একটি ঘোষণা দিন। সাফল্য আপনাদের পদচুম্বন করবে। আমার কথাগুলো বিবেক দিয়ে নয়, বরং হৃদয় দিয়ে বুঝার চেষ্টা করুন। একাকী, নির্জনে বসে একটু ভাবুন। আখের বাংলাদেশের জনগণের সাথে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীদের সাথে আপনাদের দুষমনিটা কোথায়?

প্রিয় ভাই, বোন ও বন্ধুগণ! আমাদের মাঝে কোন বিরোধ থাকলে আমরা নিজেরা বসে আলোচনার মাধ্যমে কি সমাধান করতে পারি না? আহা! ‘মাথা গরম’ করার দরকার কী? চট-জলদি উত্তর দেয়ার দরকার নেই তো! প্লিজ! শান্ত হোন। দয়া করে আগে অন্ততঃ আমার কথাগুলো হৃদয় দিয়ে একবার ভাবুন! তারপর না হয় আমাকে ‘তুলোধুনা’ করবেন। আমি তো আর কোথাও পালিয়ে যাচ্ছি না- তাই না? আমি আমার দীনি ভাইদের, দীনি বোনদের সার্বিক মঙ্গল কামনা করি। মা’আস সালাম। ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ।

আল্লাহ মোহাফেজ,

আপনাদের এক নগণ্য দীনি ভাই,

আবছার তৈয়বী
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি (প্রসাস)- দুবাই, ইউ.এ.ই।
প্রতিষ্ঠাতা: আদর্শ লিখক ফোরাম (আলিফ), চট্টগ্রাম।
নির্বাহী সদস্য: আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন, ইউ.এ.ই কেন্দ্রীয় পরিষদ, আবুধাবি।

তারিখ: ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
আবুধাবি, ইউ.এ.ই।

ছবি পরিচিতি: রঙিলা মওদূদীর যৌবন ও বৃদ্ধকালের ছবি। সূত্র: ইন্টারনেট

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.