![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘হামানদিস্তা’ সিরিজ-০১
ওহে ওহাবী কওমী হুজুর! ‘আমাদের সন্তানদের ওপর রহম করুন’
-আবছার তৈয়বী
মুহতরম ওহাবী কওমী হুজুরগণ!
আসসালামু আলাইকুম আলা মানিত্তাবায়াল হুদা,
লেখার শুরুতেই যোগ্যতা অনুসারে অধম গুনাহগারের সালাম নিবেন। পর সমাচার হলো- দীর্ঘদিন থেকে আপনাদের উদ্দেশে কিছু লিখবো বলে ভেবে আসছিলাম। কিন্তু সময়ের অভাবে যথাসময়ে লিখতো পারি নাই বলে দুঃখ প্রকাশ করছি। অধমের অলসতা হেতু বিলম্ব হওয়ার অপরাধটুকু আপনারা নিজগুণে ক্ষমা করবেন।
মুহতরম ওহাবী কওমী হুজুরগণ!
দীন শেখানোর জন্য আমাদের কলিজার টুকরা 'মাছুম বাচ্চা'গুলোকে আমরা আপনাদের হাতে তুলে দেই। কিন্তু আপনারা আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করে দিনে কী শেখান জানি না; কিন্তু রাতে যা শেখান- তা তো আমাদের অবুঝ সন্তানগণ সহ্য করতে পারে না। আপনারা সকলেই আমাদের এই সন্তানটির (সংযুক্ত ছবি) দিকে ভালো করে দেখুন! কী হাল করেছেন- আপনারা আমার এই সন্তানের? আপনাদের ইয়া লম্বা ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ ...টি যখন আমাদের এই বেবুঝ সন্তানের শরীরের পশ্চাদদেশে ঢুকান, তখন তার অবস্থা কী হয়- সে জানে, আর জানে যে তাকে সৃষ্টি করেছেন- সেই মহান আল্লাহ্ বাব্বুল আলামীন। তখন খোদার আরশ কত দ্রুত কেঁপে ওঠে- সেটা একমাত্র তিনিই বলতে পারবেন। কিন্তু বিশ্বাস করুন- আমার সন্তানদের নির্মাংশের এই ছেঁড়া-বেড়া অবস্থা দেখে আমাদের কলিজাটা একেবারে ছেঁড়া-বেড়া হয়ে যায়। আপনাদের ‘ইয়া-মোটা’ ডান্ডার আঘাতে আমাদের ছোট-ছোট বাচ্চাদের ততোধিক ছোট রাস্তাটি অসময়ে আপনারা বড়ো করে দেন। কিন্তু আমাদের কলিজায় যে এর চেয়ে ততোদিক বড় বড় শত ফুটো সৃষ্টি হয়! হয়তো একসময় আমাদের সন্তানের পশ্চাৎদেশের রক্ত বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু বিশ্বাস করুন- আমাদের কলিজায় যে রক্তের নহরটি জারি হয়, তা কখনো বন্ধ হয় না। বরং সেখান থেকে চুইয়ে চুইয়ে সারাজীবন রক্তের ফোঁটা ঝরতে থাকে।
মুহতরম ওহাবী কওমী হুজুরগণ!
আচ্ছা আপনারা কী ‘মানুষ’ নাকি ‘জানোয়ার’ বলুন তো? কোন মানুষ কি কোন ‘মাছুম বাচ্চা’দের ওপর এত্তো জুলুম করতে পারে? আচ্ছা- আপনার ঘরে কি আমাদের এই সন্তানের মতো কোন সন্তান নেই? নেই কোন ভাস্তে বা ভাগনে? নেই কোন ছোট ভাই? নেই কোন আদুরে ছোট নাতি? যখন আমাদের সন্তানের পশ্চাৎদেশে আপনার ‘হামানদিস্তার দণ্ড’টি ঢুকান, তখন কি আপনার ঘরে বা পরিবারে থাকা সন্তানটির কথা আপনার মনে পড়ে না? কেউ যদি আপনার সন্তান বা পরিবারের ছোট সদস্যের পশ্চাৎদেশে তার হামানদিস্তার দন্ডটি ঢুকায়, তখন আপনার কেমন লাগবে- শুনি? আপনি যদি 'পাষন্ড পশু' না হন- তো আপনার খারাপ লাগারই তো কথা! কিন্তু আপনি কী কখনো সেটা অনুভব করেছেন? তার মানে আপনি কি 'পশু'? কিন্তু আপনাকে আমরা পশুও বলি কী করে? কারণ- এ পর্যন্ত কোন পশুকেও সম-লিঙ্গের কারো সাথে এ রকম কুকর্মে লিপ্ত হতে দেখিনি। তার মানে আপনারা কী পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট?
মুহতরম ওহাবী কওমী হুজুরগণ!
ঠিক আছে মানলাম- আপনারা সম লিঙ্গের সাথে কুকর্ম করতে চান, তো করুন। কিন্তু তাই বলে আমাদের 'মাছুম বাচ্চা'গুলোকে আপনাদের কুকর্মের শিকার বানাবেন কেন? কী দোষ করেছে- আমাদের মা’ছুম সন্তানেরা? আমাদের সন্তানদের নরম তুলতুলে নাদুস-নুদুস শরীরটাই কি আপনার এই কুকর্মের জন্য, কুদৃষ্টি নিবদ্ধের এবং আপনার মনে কু-খেয়াল উদ্রেক হবার কারণ? তো কী করতাম- আপনারাই বলুন! আপনাদের কুদৃষ্টি থেকে বাাঁচার জন্য আমাদের সন্তানগুলিকে জম্মের পরে কি সারা গায়ে ‘আলকাতরা’ মেখে দিতাম? আমাদের ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে বেহেশতের লোভ দেখিয়ে আর কতো ‘বলাৎকার’ করবেন আপনারা? আমাদের এক সন্তান এক হুজুরের বলাৎকারের নালিশ দিতে গিয়ে খোদ ‘মোতম’ ছাব কর্তৃক পুনরায় ‘বলৎকৃত’ (শব্দটি কি ঠিক বলেছি?) হলো। এ লজ্জা আমরা অভিভাবকরা কোথায় রাখি? আমাদের আরেক সন্তান তার অভিভাবককে এ পাশবিক অত্যাচারের কথা বলে দিবে বলায় আপনারা তাকে হত্যা করেছেন।
মুহতরম ওহাবী কওমী হুজুরগণ!
এ পর্যন্ত আমাদের সন্তানদের ওপর বলাৎকারের এবং বলাৎকার পরবর্তী অত্যাচারের কিংবা খুনের কোন বিচার আমরা পাই নাই। বাংলার মাটিতে আপনাদের বিচার করবে কে? আপনাদের ধরলে যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেহেশতপ্রাপ্তি বন্ধ হয়ে যায়? আপনাদের বিচার করবে কে? বিচার করলে সংশ্লিষ্ট বিচারপতি যদি হাশরের মাঠে ঠেকে যায়? আপনাদের বিরদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করবে কে? আপনাদের মাদ্রাসার পার্শবর্তী রাজনৈতিক নেতাটির ধর্মের ভয় ভালোই আছে। রাজনৈতিক নেতাদের বদ্ধমূল ধারণা- আপনাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে গেলে তার ধর্ম নষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া ভোট পাবার আশাও তো আছে। আপনাদের ওহাবী কওমী মাদ্রাসায় কিছু চরিত্রবান প্রতিবাদী ছাত্র যে নেই, তা কিন্তু নয়। কিন্তু তারাও ফাও খানা বন্ধ হয়ে যাবে, কিংবা পরীক্ষায় নম্বর কম পাবে কিংবা মাদ্রাসা থেকে নাম কেটে যাবে- সেই ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারে না। আমরা অভিভাবকরাও কী কম দোষী? লোকে শুনলে আমাদের ‘ইজ্জত’ যাবে- ভয়ে আমরাও এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করি না। চুপচে গিয়ে ডাক্তারের কানে কানে বলি- ‘ডাক্তার সাব! আমার বাচ্চার ফুটোটা একটু সেলাই কইরা দ্যান’। আপনারা কিন্তু একটা ভীতি, একটা আতঙ্ক, একটা আশা ঠিকই ছড়িয়ে রেখেছেন। সব খানে একটা একটা মূলাও আপনারা ঠিকই ঝুলিয়ে রেখেছেন। ভাবি- আমার তো আর তেমন ক্ষতি হয় নাই। ক্ষতি সামান্য হলেও বাচ্চার পশ্চাৎদেশের হয়েছে- কিন্তু বেহেশতপ্রাপ্তির সামনে সামান্য ক্ষতি কিছুই না।
মুহতরম ওহাবী কওমী হুজুরগণ!
আমি আপনাদেরকে একটা পরামর্শ দেই। না, কোন 'কনসালটেন্সি ফি' দিতে হবে না। একেবারে ‘মুফতে’ পরামর্শ। তা হলো- বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন ‘সমকামী’ আইন পাশ হয়েছে। খবরে প্রকাশ- তারা সমকামীতার ব্যপারে আগ্রহ সৃষ্টি ও উৎসাহ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচীও হাতে নিয়েছে। আপনারা এক কাজ করুন- সবাই মিলে ‘বারাক ওবামা’ বরাবরে দরখাস্ত করুন। ৪ বছর থেকে বাঙালিদের জন্য আমেরিকার 'ডিভি ভিসা' বন্ধ। কিন্তু আপনাদের সমকামীতার খবর যদি আমেরিকান কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, ঠিকই ঢাকাস্থ রাস্ট্রদূতকে আপনাদের মাদ্রাসায় পাঠিয়ে ‘মুফতে’ আমেরিকা যাওয়ার প্রস্তাব দিবেন। তখন আপনাদের ‘রথ দেখা ও কলা বেচা’ (সমকামীতার অবাধ সুযোগ ও লাল পাসপোর্ট) দু’টো কাজই সুসম্পন্ন হবে। তো আর দেরী কেন? হেলায় সুযোগ হাতছাড়া করা কী বুদ্ধিমানের কাজ হবে? আমাদের ছোট ছোট ছেলেদের পশ্চাৎদেশেরও আর বারোটা বাজবে না।
মুহতরম ওহাবী কওমী হুজুরগণ!
আমাদের মাছুম বাচ্চাদের ওপর আপনাদের এ জুলুমটাকে ধর্মীয় দৃষ্টিতে ঠিক কী যেন বলে.. .. .. .. ? অবশ্য কোরআন, হাদীস ও ফিকাহর কিতাবে এর কী শাস্তি বর্ণিত আছে- তা আপনারা আমার চেয়ে ভালো জানেন। তারপরও কেন আপনারা এই কাজে লিপ্ত হন- বুঝি না। আপনাদের ভাগ্য ভালো- বাংলাদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েম নাই। থাকলে আপনাদের সঙ্গীনটি দাঁড়ানো দূরে থাক, ভয়ে কুচকে যেতো। ‘খওফে খোদা’ তো আপনাদের কোন কালেই ছিলো না- আজও নেই। যে কোন প্রাণীর বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু আমার মাথায় ঢুকে না- কী করে সম-লিঙ্গের প্রতি আপনাদের কু খেয়াল যায়! চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে- এটা বিকৃত রুচি ও বিকৃত মানসিকতার পরিচায়ক। যুগ যুগ ধরে আপনারা সেটা করে যাচ্ছেন- কোনপ্রকার বাঁধা-বিপত্তি ছাড়া। আমাদের সন্তানরা কখনো তার ওপরের ক্লাসের বড় ভাই কর্তৃক, কখনো তার হজুর কর্তৃক, কখনো হোস্টেল সুপার কর্তৃক, কখনো খোদ ‘মোতম’ কর্তৃক. এমনকি রান্নাধ্যক্ষ ‘বাবুর্চি’ কর্তৃক পর্যন্ত আমাদের সন্তানেরা বলাৎকারের শিকার হয়েছে। কেন রে ওহাবী কওমী হুজুরগণ! আখের, আমাদের সন্তানদের ওই রাস্তাটি আর কতো বড় করলে আপনাদের শখ মিটবে- শুনি?
পুনশ্চ: ওহাবী কওমী মাদ্রাসায় পড়লে আপনার সন্তানটি নিশ্চিত দুষমনে রাসূল (দরুদ) হবে। দুষমনে রাসূল (দরুদ) মানে আপনার ‘বেহশতপ্রাপ্তি’ থেকে বঞ্চিত হওয়া। তাই ওহাবী কওমী মাদ্রাসায় আপনার সন্তানটিকে ভর্তি করানোর আগে। আরেকবার চিন্তা করুন- প্লিজ! তারপরও যদি কেউ নিজ সন্তানকে ওহাবী-কওমী মাদ্রসায় ভর্তি করাতে মন চায়- তো তার সাথে একটি ধারালো ‘ব্লেড’ দিবেন। যাতে সে সঠিক সময়ে, সঠিক কাজটি সুচারুরূপে আদায় করতে পারে। হুজুর হলে হোক- কেউ যদি ‘হুজুরের আলখেল্লা’ পড়ে ‘বদমাসি’ করতে আসে- তো শুধু তার ডান্ডা কেন পুরো থোকাটিই কেটে ফেলা হোক
https://www.facebook.com/AbsarTaiyobi/posts/10206703431357716
http://banglamail24.com/news/105358
তারিখ: ২৬ অক্টোবর, ২০১৫
আবুধাবি, ইউএই।
আবছার তৈয়বী: প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়ক,‘উজ্জীবন’ সাংস্কৃৃতিক সংস্থা (উসাস)।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি (প্রসাস), দুবাই, ইউ.এ.ই।
প্রতিষ্ঠাতা: আদর্শ লিখক ফোরাম (আলিফ), চট্টগ্রাম।
নির্বাহী সদস্য: আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন, ইউ.এ.ই কেন্দ্রীয় পরিষদ, আবুধাবি।
©somewhere in net ltd.