নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যবাক

অাবছার তৈয়বী

আবছার তৈয়বী

অাবছার তৈয়বী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিমণির প্রতি প্রীতিনামা

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩১

‘হামান্দিস্তা’ সিরিজ-০৮ (লেখাটি একটু লম্বা হয়েছে। প্লীজ! তারপরও একবার পড়–ন)
‘পরিমণির প্রতি প্রীতিনামা’!
ঘৃণ্য ওহাবী-জামাতিদের ষড়যন্ত্রের পর্দা ফাঁস
-আবছার তৈয়বী
গত এক সপ্তাহের ফেবু পরিসংখ্যানে দেখলাম বাংলার হাফ পর্ণো নায়িকা ‘পরিমণি’র জনপ্রিয়তার পারদ বেশ উর্দ্ধমুখী। কিন্তু অন্তর্জালের অর্ন্তভেদ করে দেখতে পেলাম- সবাই বেহুদা নাচানাচি করতেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে আমার ওহাবী ও জামাতি বন্ধুদের নাচানাচিটা একটু বেশি। কেন রে ভাই? এই বেটিরে আপনারা এতোই পছন্দ করেন, পেয়ার করেন- তা এমনিতে বললেই আমরা বিশ্বাস করতাম। কারণ, আপনাদের নাড়ি-নক্ষত্রের কিছু খবর আমার জানা আছে। জানা আছে- আপনাদের খুঁদ-কুঁড়ো দিয়ে যারা লালন-পালন করেন- সেই ‘ডাকাত’ বংশের মহাডাকাতদের হাঁকডাকও। সাদা চামড়াওয়ালীদের সাথে তাঁদের ‘ইটিশ-পিটিশ’ও এখন আর কারো অজানা নেই। তাই বলে আপনাদের জানের জান কলিজার আর্ধান ‘পরিমণি’কে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাননীয় ডিজি মুহাতারাম শামীম মোহাম্মদ আফজাল সাহেবের মেয়ে বানাতে গেলেন কেন? আমার মতো গন্ড-মুর্খের নলেজেও ধরা পড়লো যে, এতে আপনাদের কিঞ্চিত ‘মিসটেক’ হয়ে গেছে।
আমার লেখাটি প্রকাশ হওয়ার পর ‘ছাগল সাংবাদিক’দের দ্বারা সম্পাদিত ডেইলি সিলেট.কম এর সংবাদটি অনলাইন থেকে উধাও হয়ে গেছে। আমি তন্ন-তন্ন করে খুঁজেও এই সংবাদটি আর তাঁদের অনলাইন সংস্করনে খুঁজে পাইনি। আমাদের হারুন ভাইয়ের লিঙ্কে গিয়ে ক্লিক করার পর কম্পিউটারের পর্দা জুড়ে লেখা আসে- ৪০৪ হড়ঃ ভড়ঁহফ!
ঝড়ৎৎু, নঁঃ ঃযব ঢ়ধমব ুড়ঁ ধৎব ঃৎুরহম ঃড় ৎবধপয রং ঁহধাধরষধনষব ড়ৎ ফড়বং হড়ঃ বীরংঃ.
এখানে লেখা উচিত ছিল দ্য নিউজ অব ৪২০ নট ফাউন্ড। নেট কর্তৃপক্ষ বা ছাগল সাংবাদিকরা যে নিউজটাকে ৪০৪ বলেছেন তা আসলে ছিল ৪২০ টাইপের নিউজ। কিন্তু আপনারা এখন সেটিও পাবেন না। কারণ আমার বন্ধু হারুন সাহেব আমার অনুরোধে সেটি আজ রাতের প্রথম প্রহরেই ডিলিট করেছেন। কী ছিল নিউজটিতে আসুন একটু দেখে নেই।
‘বাবা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আর মেয়ে পরিমনির একি হাল!
বিনোদন ডেক্স: মাথায় সাদা টুপি গায়ে লম্বা সাদা পাঞ্জাবী মুখে পাঁচ ইঞ্চি লম্বা সাদা দাঁড়ী উনি হচ্ছে আমাদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব শামীম আফজাল... উনার মেয়ের জম্মদিন পালন করতেছেন...বাংলাদেশের সেরা নায়িকা পরিমনি যার প্রথম ছবি অশ্লীলতার কারনে সেন্সর বোড আটকে দিয়ে ছিল...আমাদের শামীম সাহেবে’...
পুরো নিউজটি আমি কপি করতে পারিনি। প্রথম লিঙ্কে ক্লিক না করে যেটি শিরোনামের সাথে হারুন ভায়ের লিঙ্কে শো করছিল সেটি আপনাদের সামনে হুবহু উপস্থাপন করলাম। শিরোনামসহ সাড়ে চার লাইনে মোট ৫৫ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। এই ৫৫ শব্দের মধ্যে ৭ টি শব্দই ভুল বানান। ৩ টি ভুল তথ্য আছে। আর লেখার ছিরি! মাশাআল্লাহ্! ছাগল সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দিতেই হয়। কোন পত্রিকায় এ ধরণের সাংবাদিক ও সংবাদ থাকলে সেটিকে সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্র বলা চলে না। বলা যায় যথাক্রমে ওহাবী মওদুদীবাদের পা-চাটা কুকুর ও টয়লেট পেপার। আরে ব্যাটা! পয়সা থাকলেই যে সংবাদপত্র প্রকাশ করা যায় না তা তোমাদের কে বুঝাবে। বাংলাদেশে কি ব্যবসার অভাব আছে? তোমরা এই ব্যবসা ছাইড়া অন্য ব্যবসায় নেমে পড় না কেন? আর তোমাদের ছাগল সাংবাদিকগুলো একটা প্রমিত বাংলা অভিধান তো অন্তত কিনে দিতে পারো। ঢাকা যাওয়ার গাড়িভাড়া জোগাড় করতে পারলে ওই ছাগলগুলোকে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের বারান্দা থেকে একবার ঘুরিয়েও আনতে পারো। ফলে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ রচনা করলেও অন্তত বাংলাভাষাটা তোমাদের হাতে ধর্ষিত হতো না। ‘ছাগল’ কোথাকার!
এই নিউজটাতে ডিজি সাহেবের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতে গিয়ে তোমরা মিথ্যার আশ্রয় তো নিয়েছোই ইসলামেরও অবমাননা করেছো। আমি মুখস্ত বলে দিতে পারি- তোমাদের কারো ঈমান নেই। কারণ তোমরা দাঁড়ি, টুপি তথা ইসলামী বিধান ও পোষাকের অবমাননা করেছো? আমাদের হেফাজতি মোল্লারা সব গেলো কোথায়? আপনারা সবাই নিউজটি একবার পড়–ন- আপনারা কি মনে করেন এই নিউজে ইসলামের অবমাননা হয়েছে? কেউ যদি দাঁড়ি-টুপি নিয়ে মশকরা করে- তার ঈমান থাকবে বলে কি আপনারা মনে করেন? যদি মনে করেন তো একটা আন্দোলনের ডাক দেন। নাকি ৩০ কোটি টাকার জায়গাটিতে আপনাদের আন্দোলনকে দাফন করে দিয়েছেন? ‘জানিবার বড়ই মুঞ্চায়’।
আমাদের ওহাবী বন্ধুদের কেউ কেউ বলছেন- ভাই এটা একটা ‘মিসটেক’ হয়ে গেছে। ভালো। আপনারা এ রকম মিসটেক করে করে ইসলামকে বাঁশ দিতে থাকেন। আর মুখে ইসলামের কথা ভালোই উচ্চারণ করেন। তাঁরা বলছেন- চেহারার মিল থাকায় এ রকম ‘মিসটেক’ হতেই পারে! তো কারো চেহারার সাথে আপনার পিতার চেহারার সাথে মিল থাকলে তাকে আপনি ‘আব্বা’ বোলাইবেন? লা জওয়াব। পরিমণির নানা বৃদ্ধ ‘আবুল কাশেম’ এর সাথে ইফা ডিজি মুহতারাম শামীম মোহাম্মদ আফজাল সাহেবের সাথে বিস্তর ‘অমিল’ আছে। পৃথিবীতে এর চেয়েও বেশি মিলের মানুষ আমি নিজ চোখে অনেক দেখেছি। তারপরও আমি আর কথা বাড়াইনি। কোন মানুষ ভুল স্বীকার করলে তাকে আর ভর্ৎসনা করা যায় না। কিন্তু যে মোটা বুদ্ধির ‘ছাগল সাংবাদিক’গুলো এই নির্জলা একটা মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করলো- তারা তো নিউজটি সরিয়ে প্রমাণ করলেন যে, তারা মিথ্যা সংবাদ ছেপেছেন। তারা তো নিজেদের ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করতে পারতেন। কিন্তু তাও করলেন না। কারণ তারা সংবাদটি ভুলে নয়, ইচ্ছাকৃত ভাবে ছেপেছেন এবং বাংলাভাষী তাবৎ ওহাবী, জামাতি, লা-মাযহাবী ও সালাফী খবিসগুলো এই নির্জলা মিথ্যা সংবাদটিকে শেয়ার করে, কমেন্ট করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। ‘জার্নালিজম এথিকস’ বলে একটা কথা আছে- ‘ডেইলি সিলেট.কম’র ছাগল সাংবাদিকরা সেটাও জানেন না। এ রকম নগ্ন ছবি তো সিনেমার পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারেও দেয়া যায় না। আপনাদের গান্ধা চিন্তাধারা আপনাদের কোথায় নামিয়েছে- তা কি খেয়াল করেছেন।
এই ফটোটি আমি আমার টাইমলাইনে দিতে কোন রকমে শংকোচবোধ করছিলাম। ফটোশপে গিয়ে অনেক চেষ্টা করেছি পরিমণির নগ্ন বুকের ওপর একটা কালো স্টেপ দিতে। কিন্তু অজ্ঞতার কারণে বার বার ব্যর্থ হচ্ছিলাম। কিন্তু আমার বন্ধুদের মধ্যে যারা ফটোশপের কাজ জানেন-তাদের কাছে দিতেও ইতস্ততবোধ করছিলাম। শেষ পর্যন্ত লাজ শরমের মাথা খেয়ে আমার অদেখা বন্ধু সিলেটেরই গুণী সন্তান কবি লুৎফর রহমানের সাহায্যপ্রার্থী হলাম। আমি মাঝে মাঝে আমার এই বন্ধুটিকে এ রকম কষ্ট দিয়ে থাকি। তিনি হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও আমার আবদার পুরণ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। বললাম ভাই পরিমণির বুকের মধ্যে একটা ‘কালো স্টেপ’ দেন। কিন্তু তিনি কবি মানুষ। রসের হাঁড়ি। তিনি কালো না দিয়ে ‘এশ্’ কালারের ‘ওড়না’ পড়িয়ে দিলেন। বুঝলাম- নারীর প্রতি কবিদের আলাদা একটা ‘মমত্ববোধ’ আছে!
কিন্তু কথা হলো- ‘পরিমণি’ তার নিজের ঘরে ময়-মুরুব্বিদের সামনে ‘বিকিনি’ টাইপের কাপড় পড়ে কেন ছবি তুলবেন? বিকিনি পড়লেও ‘ও’ দু’টো ঢাকার কথা। কিন্তু তার ফটো দু’টিতে ‘ও’ দু’টো ঢাকেনি। আরে নটি মেয়ে! তুমি জম্মদিন পালন করছো ঠিক আছে। তাই বলে জম্মদিনে ‘জম্মদিনের পোষাক’ পড়তে হবে কেন? তুমি সামান্য মডেলিং করে চিত্র পরিচালকদের মাথা ঘুড়িয়ে দিয়েছো ঠিক আছে। তুমি অর্ধনগ্ন হয়ে দু’য়েকটি ছবি করে বাংলাদেশের উঠতি বয়েসি ছোকড়াদের মাথা খারাপ করে দিয়েছো তাও মানলাম। কিন্তু তোমার জম্মদিনে তোমার ‘ও’ দু’টো দেখিয়ে আমাদের দেশের তাবৎ ওহাবীদের মাথা ঘুরিয়ে দেয়ার অধিকার তোমাকে কে দিয়েছে? তার তোমার ছবিটি দেখে তারা চোখের অন্ধ হয়েছে। আকলের কানা হয়েছে। তাদের প্রচুর ‘লালা’ও ঝড়েছে। নাহ্, তুমি কাজটি মোটেও ঠিক করো নি। তোমার মেধা নেই- তা জানি। তো মেধা না থাকলে এই লাইনে যারা আছে- তাদের ‘গতর’ই একমাত্র ভরসা। এফডিসির সাথে সম্পর্কিত আমার এক সাংবাদিক বন্ধু থেকে জেনেছি- কিছু ‘বজ্জাত’ পরিচালক শুট্যিং চলার সময় কাঁচি হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন- নায়িকাদের ‘বুকের কাপড়’ কাটার জন্য। একবার এক নায়িকার বুকের কাপড় কাটতে গিয়ে ‘ও’ দুটিতে গিয়ে কাঁচি আঘাত করে! রক্তারক্তি অবস্থা! অবশেষে ভুড়িওয়ালা পরিচালক নায়িকার পায়ে পড়ে নিস্কৃতি লাভ! আমি বলি- কী হচ্ছে এসব? এসব দেখার কি কেউ নেই। ভারতের পর্ণো নায়িকা সানি লিউন পর্যন্ত যখন তার পর্নো মুভি ছেড়ে দিয়ে নিয়মিত ছবিতে অভিনয় করছে, সে সময়ে তোমরা পর্নো জগতে নিজেদের দেহ-মন ডুবিয়ে দিচ্ছো। তোমরা তো জাহান্নামে যাচ্ছোই। পুরো বাংলাদেশটাকেও জাহান্নাম বানিয়ে দিচ্ছো। তোমার কি মৃত্যু ভয় নেই? তুমি কি হ্যাপীর হাল, প্রভার ভাল আর তিন্নির তাল দেখোনি? তোমার চেয়েও হাস্যময়ী লাস্যময়ী নায়িকা এখন ঢাকার রাস্তায় ভিক্ষা করে। তুমি কেন বুঝ না- ওরা তোমার দেহটাকে লুটে-পুটে চেটে একসময় তোমাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। তুমি জাহান্নামে যেতে চাও তো যাও- প্লীজ! আমাদের বোনদের, বউদের আর মেয়েদের নগ্নতার দিকে আহ্বান করো না। কারণ, বাংলাদেশের আধুনিক মেয়েরা মোল্লাদের বয়ান শুনে না, কোরআন-হাদীসের বাণী পড়ে না, আল্লাহ্-রাসূলের (দরুদ) বিধান মানে না। তারা তোমাদেরকেই ‘ফলো’ করে। তো- তোমরা একটু শালীনভাবে চললে আমাদের জাতিটা রক্ষা পাবে। প্লীজ! তুমি অন্ততঃ আমাদের জাতিটার ওপর এই দয়াটা করো। একজন ভাই হিসেবে অন্ততঃ আমার অনুরোধটুকু রাখো। আল্লাহ্-রাসূল (দরুদ) তোমার ওপর রহম করুন।
বি.দ্র. লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

বি.দ্র: ‘সচেতনতাই নিরাপত্তা’। তাই প্রিয় বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় সহজ-সরল মানুষদের সতেচন করতে জনস্বার্থে এই লেখাটি সর্বোচ্চ শেয়ার করুন। দল-মত নির্বিশেষে সকলেই নিজেদের টাইমলাইনে, পেইজে ও গ্রুপে অবিকৃতভাবে কপি পেইস্ট করুন। সকলকে ধন্যবাদ।

তারিখ: ০৪ নভেম্বর, ২০১৫
আবুধাবি, ইউএই।

আবছার তৈয়বী: প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়ক,‘উজ্জীবন’ সাংস্কৃৃতিক সংস্থা (উসাস)।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি (প্রসাস), দুবাই, ইউ.এ.ই।
প্রতিষ্ঠাতা: আদর্শ লিখক ফোরাম (আলিফ), চট্টগ্রাম।
নির্বাহী সদস্য: আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন, ইউ.এ.ই কেন্দ্রীয় পরিষদ, আবুধাবি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.