নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যবাক

অাবছার তৈয়বী

আবছার তৈয়বী

অাবছার তৈয়বী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিলবিল করছে খুফিয়া শিয়ারা: সুন্নী জনতা সাবধান

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৪৩

কিলবিল করছে খুফিয়া শিয়ারা: সুন্নী জনতা সাবধান
-আবছার তৈয়বী

ইসলামে প্রবিষ্ট বাতিল মতবাদগুলোর মধ্যে শিয়া মতবাদ অন্যতম। এটা আমরা সবাই জানি। শিয়াদের একটি প্রতিষ্ঠিত ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র ইরান। সাদ্দাম পরবর্তী ইরাকেও তাদের অবস্থান শক্ত। লেবাননে শিয়ারা অন্যতম প্রধান দল। বাহরাইনে শিয়ারা প্রধান বিরোধী দল। ইয়েমেনে গোলযোগ পাকিয়ে যুদ্ধ করছে হোতি শিয়ারা। আফ্রিকার কয়েকটি দেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশগুলোতেও শিয়াদের অবস্থান পোক্ত। পাকিস্তানে শিয়াদের অবস্থান চোখে পড়ার মতো। ভারত এবং বাংলাদেশেও প্রচুর শিয়া সম্প্রদায়ের লোক আছেন। বাংলাদেশের মূল শিয়ারা প্রকাশ্য। তারা রাখঢাক না করেই তাদের 'শিয়া মতবাদ' প্রচার করে। এক্ষেত্রে ইরান দূতাবাসের কালচারাল সেন্টারগুলো প্রধান ভুমিকা রাখে।তারা অন্যান্য বাতিল ফেরকাগুলোর মতো ইসলামের ছদ্মাবরণে 'শিয়াবাদ' প্রচার করছে। তবে তারাও 'খুফিয়া শিয়া'দের মতো এতো জঘন্য নয়।

কিন্তু বর্তমানে মাথা-ব্যাথার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে- সুন্নী দরবারসমূহে 'খুপিয়া শিয়া'দের অনুপ্রবেশ। তাদের সহজে ধরা যায় না। মূল শিয়ারা ৩ ওয়াক্ত নামায পড়লেও 'খুফিয়া শিয়া'রা সুন্নিদের সাথে মিশে ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ে। সুন্নিদের মতো মিলাদ-কিয়ামও করে। মাজার ও আউলিয়া ভক্তিও তাদের প্রচুর। ফলে সহজেই তাদের ধরা যায় না। অনেক সুন্নী দরবার এখন শিয়াদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। আপনি খোঁজ নিলে দেখবেন- উম্মতের হেদায়তের তারকাতুল্য সাহাবীদের নিয়ে তারা সমানে বিষোদগারে লিপ্ত। হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (রা.) তাদের প্রধান টার্গেট। পরবর্তী টার্গেট খোলাফায়ে রাশেদীনের ৩ জন সাহাবী সায়্যিদুনা আবু বকর সিদ্দীক, সায়্যিদুনা ফারুকে আজম এবং সায়্যিদুনা উসমান জুন্নুরাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম। মু'মিন জননী হযরত মা আয়িশা সিদ্দীকা (রা.)ও তাদের অপপ্রচারের লক্ষ্যবস্তু। এ লক্ষ্য বস্তুতে আছেন হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদসহ ৫০ জনেরও বেশি জলিলুল কদর সাহাবী।

কিন্তু খুপিয়া শিয়ারা খুবই চালাক। তারা মুহাব্বতে আহলে বায়তের (রা.) ছদ্মাবরণে সুন্নী মুসলমানদের ঈমান হরণে নেমেছে। তারা হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (রা.) দিয়েই সুন্নী মুসলমানদের ঈমানের ঘরে প্রবেশ করে। জঙ্গে জামাল ও জঙ্গে সিফফিনের দুঃখজনক ঘটনাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বর্ণনা করে তারা সুন্নী মুসলমানদের মন জয় করার অপচেষ্টা চালায়। তারা মুয়াবিয়াকে্ (রা.) ঈমানের কষ্টিপাথরে নয়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাহবিহী ওয়া সাল্লামের ফরমান মোতাবেক নয়, তারা বিচার করে ইতিহাসের আলোকে। আর তখনই তাদের বেঈমানী ধরা পড়ে।

হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (রা.) তারা 'টেস্ট কেস' হিসেবে নিয়েছে। এতে তারা সফল হলে ধরবে- নবীর পর সর্বোত্তম ব্যক্তি হযরত সায়্যিদুনা সিদ্দীকে আকবর (রা.) কে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের। সুন্নী মুসলমানদের ঈমান কেড়ে নিচ্ছে কমবখত 'খুপিয়া শিয়ারা'। এর মধ্যে এগিয়ে আছে- 'মুচুন্ডু পীর' বে-ঈমান জাহাঙ্গীরের ভক্ত-মুরিদ, ভণ্ড দেওয়ানবাগীর ভক্ত-মুরীদগণ। তাদের সাথে বির্তকে লিপ্ত হলে তারা সমানে গালিগালাজ করে এবং অপবাদ দেয়। বিভিন্ন বিষয়ে তাদের আকিদায় কুফরি পর্যন্ত প্রকাশ পায়। তারা তাদের মুচুন্ডু ও ভণ্ডপীরদের ব্যাপারে এমন আকিদা রাখে- যা একজন ঈমানদার মুসলমান আল্লাহ-রাসূল (দরুদ) সম্পর্কে রাখেন। এই খবিসদের সাথে জুটেছে 'মাইজভাণ্ডারী' পরিচয় দানকারী কিছু কুলাঙ্গার। অথচ 'মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ' হেদায়ত ও ঈমান-ইসলামের 'মরকজ' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সেই মরকজের নাম ভাঙিয়ে কারা সুন্নী পরিমণ্ডলে শিয়াবাদ প্রচার করছে- তা সকলেরই জানা প্রয়োজন। সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মাইজভাণ্ডারী তরিকার দরবারসমূহ থেকে আজ এবং এখনই এই কুলাঙ্গারদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করা প্রয়োজন। নতুবা তারা ধীরে ধীরে আমাদের গৌরব ও সম্মানের তীর্থস্থান 'মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ'কে কলঙ্কিত করবে। এজন্য আমি প্রতিটি সুন্নী দরবারের আউলাদ/গদ্দীনশীন/সাজ্জাদানশীন এবং পরিচালকদের অনুরোধ করবো- তারা যেন আপনাপন ভক্ত-মুরিদের প্রতি 'খুফিয়া শিয়া'দের ব্যাপারে সতর্কবার্তা জারি করেন।

'খুফিয়া শিয়া' চেনার উপায় হলো- তাদের সামনে হযরত আমীরে মুয়াবিয়ার (রা.) নাম নেবেন। এরপর আমীরে মুয়াবিয়া (রা.) সম্পর্কে তার মন্তব্য চাইবেন। সে যদি আমীরে মুয়াবিয়া (রা.) সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করে, বুঝবেন- সে 'খুফিয়া শিয়া'। মনে রাখবেন- এক্ষেত্রে সে কোন 'দরবারের মুরিদ' বা কোন 'বাবার ভক্ত' কিংবা কোন আলেমের ছেলে বা জামাই- তা দেখার কোন দরকার নেই। তার একমাত্র পরিচয়- সে 'খুফিয়া শিয়া'। মনে রাখবেন- 'খুফিয়া শিয়া'রা মূল শিয়া থেকেও মারাত্মক এবং ঈমানহরণকারী। গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী হযরত আহমদ উল্লাহ্ (ক.) কেবলা ও গাউছুল আজম বিল বেরাসত বাবা ভাণ্ডারী (ক.) কেবলা এর আকীদা ও আদর্শের বিপরীতে কেউই 'মাইজভাণ্ডারী' দাবি করতে পারে না। যদি কেউ দাবি করে- সেটা হবে বাতুলতা মাত্র। হযরত আমীরে মুয়াবিয়া সম্পর্কে মাযহাবের সম্মাণিত বরেণ্য ইমামগণ এবং গাউছুল আলামীন হয়রত সায়্যিদুনা আবদুল কাদের জিলানী (রা.) ও সুলতানুল হিন্দ হযরত খাজা গরীবে নওয়াজ (রা.)সহ সমস্ত আউলিয়ায়ে কিরামের আকিদাই বিশুদ্ধ আকিদা। সর্বোপরি শাহেন শাহে বেলায়ত মওলা আলী (রা.)সহ আহলে বায়তের সমস্ত ইমামগণের আকিদা ও আমলই বিশুদ্ধ আকিদা ও অামল। মনে রাখবেন- তাঁদের বাইরে কোন ইসলাম নেই। হতে পারে না। এই সমস্ত মহান ব্যক্তিত্বদের বিপরীতে যতো আকিদা ও আমল ছিল, আছে এবং থাকবে- সবই এক কথায় বাতিল ও পরিত্যাজ্য।

তাই কেউ মওলা আলী ও আহলে বায়তের মুহাব্বত দেখাতে গিয়ে যদি কোন সাহাবায়ে কিরামের শানে গোস্তাখী করে, যাদেরকে মওলা আলী (রা.) ও আহলে বায়তের সম্মানিত ইমামগণ (রা.) মুসলমান মনে করেছেন- তাদেরকে অমুসলমান মনে করে, যাদেরকে মওলা আলী (রা.) ও আহলে বায়তের সম্মানিত ইমামগণ (রা.) সম্মান করেছেন- তাদেরকে অসম্মান করে, যাদের সাথে মওলা আলী ও আহলে বায়তের সম্মানিত ইমামগণ (রা.) সদ্ব্যবহার করেছেন- তাদের শানে গোস্তাখী করে, তাহলে বুঝে নেবেন- সে নিজেই অমুসলমান ও গোস্তাখ। এর চাইতে আর কোন বড় দলিলের প্রয়োজন নেই। এর জন্য কোন ইতিহাসের কেচ্ছা-কাহিনী শোনারও প্রয়োজন নেই। খুফিয়া শিয়ারা এক্ষেত্রে আপনাকে কোরআনের আয়াত ও সিহাহ সিত্তার হাদীস থেকে মনগড়া অনুবাদ শুনিয়ে গোমরাহ করার চেষ্টা করবে। তাদের সেই মনগড়া অনুবাদ তাদের চোখে-মুখে ছুঁড়ে ফেলে বলবেন- "কোরআন হাদীস আমার-আপনার চেয়ে আহলে বায়তের সম্মানীত ইমামগণ, মাযহাবের সম্মানিত ইমামগণ, জগদ্বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও মুফাসসিরগণ এবং হযরাতে আউলিয়ায়ে কেরাম বেশি বুঝেছেন। সুতরাং হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (রা.) সম্পর্কে তাঁদের আকিদাই আপনার আকিদা"। দেখবেন- আপনার এই জবাব শুনে খুফিয়া শিয়াদের ফোতা মুখ ভোঁতা হয়ে যাবে এবং লেজ তুলে পলায়ন করবে। সুন্নী দরবারের সাজ্জাদানশীন, সুন্নী উলামায়ে কিরাম ও সুন্নী সংগঠকদের নিয়ে অবিলম্বে একটি 'শিয়া প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি' গঠন করে একটি যৌথ ঘোষণা দেয়ার জন্য করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানাবো।কথা মুখতাছার। পরিশেষে আমার গুরু বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পংক্তি উদ্ধৃত করে বলবো-
'ইসলাম সেতো পরশমণি কে পেয়েছে তারে খুঁজি
পরশে তাহার সোনা হল যারা তাদেরই মোর বুঝি'।

https://www.facebook.com/AbsarTaiyabi/posts/1852386674982307

তারিখ: ৩১ জুলাই, ২০১৬ খৃ.
আবুধাবী, ইউ.এ.ই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.