নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যবাক

অাবছার তৈয়বী

আবছার তৈয়বী

অাবছার তৈয়বী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরত্ন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে খোলা চিঠি- (৪) \'শান্তিপ্রিয় সুন্নী জনতার প্রতি সদয় হোন\'

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরত্ন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে খোলা চিঠি- (৪)
'শান্তিপ্রিয় সুন্নী জনতার প্রতি সদয় হোন'
-আবছার তৈয়বী

বরাবর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

মহাত্মন,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্!
লিপির শুরুতে আপনি আমার সশ্রদ্ধ সালাম ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা গ্রহণ করুন। বড় ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে সুদূর এক মরুদেশে বসে আমি চতুর্থ বারের মতো আপনাকে সম্বোধন করে কিছু লিখতে বসলাম। এর আগে আপনাকে ৩টি চিঠি লিখেছি। প্রথমটির কাজ ১২ ঘন্টার মধ্যে হয়েছে। শেষ দু'টির কাজ হয়নি। প্রথম চিঠি ছিল- বাংলা একাডেমির বইমেলায় কুখ্যাত 'রোদেলা প্রকাশনী'র 'নবি মুহাম্মদের ২৩ বছর' বইটি নিয়ে। আমার দ্বিতীয় চিঠিটি ছিল- নাস্তিক নামে কুখ্যাত কিছু ইসলাম বিদ্বেষী নরকের কীটদের আস্ফালন নিয়ে। আর তৃতীয় চিঠিটি ছিল বিশিষ্ট আশেকে রাসূল (দরুদ), এদেশের লাখো-কোটি সুন্নী জনতার প্রাণস্পন্দন, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, শহীদে মিল্লাত, আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম ফারুকী (রহ.) কে নিয়ে। দ্বিতীয় চিঠি লেখার অনেক পরে আপনি নাস্তিকদের ব্যাপারে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন। বলেছেন, "ইসলাম এবং নবীকে নিয়ে কেউ কটূক্তি করলে আপনার 'হৃদয়ে আঘাত' লাগে"। আপনার এই কথাটি আমার চমৎকার লেগেছে। আপনার বক্তব্যকে সমর্থন করে এবং আপনাকে সাধুবাদ জানিয়ে আমি পর পর দু'টি লেখা লিখি। একটিতে আপনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দীন আপনাকে যে চ্যালেঞ্জ দিয়েছে- তা গ্রহণ করার জন্য আপনার কাছে আবেদন জানিয়েছি। বলেছি- 'চারজন নয়, আপনি ওই কুখ্যাত নাস্তিকের সাথে আমার মতো মূর্খকেও যদি বসিয়ে দেন, তাহলে আমি তর্কযুদ্ধে তাকে পরাজিত করবো- ইনশাআল্লাহ'। কিন্তু আপনি না আসিফ মহিউদ্দীনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন, না আমার আবেদন। বলেছি- আসিফ মহিউদ্দীনের মতো নরকের কীটের এতো দুঃসাহস কীভাবে হলো যে, সে আসমানের নিচে জমিনের ওপরে আপনার মতো ক্ষমতাবান ব্যক্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ দেয়ার সাহস পায়? আমি জানি না- কোন সে 'ভয়' আপনাকে তাড়া করলো, তার চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করতে? আমি জানিনা- কোন সে 'ভালোবাসা' আপনাকে আচ্ছন্ন করলো, এই ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকটাকে প্রশ্রয় দিতে? কিন্তু আপনি জেনে রাখুন- বাংলাদেশে এমন রাসূল (দরুদ) প্রেমিক হাজারও মানুষ আছেন- যারা এই নরকের কীটটাকে তর্কের টেবিলে প্রথম রাউন্ডেই 'বোবা' করে দিতে সক্ষম। আমি নিশ্চিত- ওই একটি কাজ করতে পারলে বাংলার জমিনে আর কোন নাস্তিক মাথা তুলে দাঁড়াতে সাহস করতো না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
যেমনটি বলেছিলাম- বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, শহীদে মিল্লাত আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম ফারুকী (রহ.) কে নিয়ে। আপনার জীবনের সবচেয়ে বেশি বেদনার মাস আগস্টেই তাঁকে তাঁর নিজ বাসভবনে শহীদ করা হয়েছে। আমরা দেখেছি- অন্যায় ভাবে কেউ খুন হলে আপনার মন বিচলিত হয়ে পড়ে। একজন মানবতাবাদী সুস্থ মানুষকে যে কোন 'অন্যায় খুন' বিচলিত করবেই। আপনি যেহেতু সংবেদনশীল মনের মানুষ- আপনাকে আরও বেশি বিচলিত করাই স্বাভাবিক। এজন্যই আমরা দেখেছি- বিগত দিনে ইসলাম বিদ্বেষী কিছু ‘ব্লগার’ খুন হলে আপনি কারো কারো বাসায় গিয়ে তাদের শোকাহত পরিবারকে শান্তনা দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন। অথচ আপনি বিশ্বের একটি অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক মুসলিম দেশের সরকার প্রধান হয়েও একজন বরেণ্য ইসলামী ব্যক্তিত্বের শোকাহত পরিবারকে শান্তনা দিতে তাঁর বাসায় যাওয়ার প্রয়োজনবোধ করলেন না। এমনকি দেশের একজন বিশিষ্ট নাগরিকের নির্মম হত্যাকান্ডের পর শোক প্রকাশও করলেন না। সেটাও আমরা অতীব কষ্টের সাথে হৃদয়ে রক্তস্রোত বইয়ে, চোখের লোনাজন ঝড়িয়ে মেনে নিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত আপনি তাঁর হত্যাকাণ্ডের বিচার করা দূরে থাক, শহীদ ফারুকীর নামটি পর্যন্ত মুখে নেননি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! বিষয়টি কি আপনার মতো সংবেদনশীল মনের মানুষের সাথে যায়? কিংবা আপনার সুবিচার ও সুশাসনের সাথে যায়? বলুন- যায়? আমি ২০১৫ সালের আগস্ট মাসেই আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া ট্রাজেডিক ঘটনাগুলোর কথা স্মরণ করে উল্লেখ করেছি যে, "এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে খুনীদের সাহস, সামর্থ ও আস্ফালন বেড়ে যাবে। আমরা আশঙ্কা করছি- এর ফলে দেশ-জাতি তার আরো সূর্যসন্তানদের হারাতে পারে। দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া খুবই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আমরা বলবো- ‘জাস্টিস ডিলেড জাস্টিস ডিনাইড’।" আমার আশঙ্কা কীভাবে সত্যে পরিণত হয়েছে এবং বাংলাদেশে কীভাবে জঙ্গি হামলা হয়েছে, কারা করেছে, কীভাবে করছে- তা যে কারো চেয়ে আপনি বেশি জানেন। এর পর অনেক জঙ্গি হামলা হয়েছে। দেশি-বিদেশী অনেক মানুষের জান-মালের ক্ষতি হয়েছে। সেই জঙ্গি দমনে আপনার সরকারের তড়িৎ কার্যকরী পদক্ষেপ দেশে-বিদেশে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
আপনার সরকার জঙ্গিদের দমনে সম্ভব সবরকম প্রচারণা চালিয়েছে। মসজিদে মসজিদে খোতবা পড়া হয়েছে। আলেম-উলামাদের সাথে ম্যারাথন বৈঠক করা হয়েছে। যাদের সাথে কোন কালেই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সাখে কোনই সম্পর্ক নেই, সেই সব মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের দিয়ে আপনার সরকার মিছিল, মিটিং ও মানববন্ধন করিয়েছে। জঙ্গিবাদ বিষয়ে জনগণ সচেতন হয়েছে। কিন্তু আপনি অনুমতি দিলে আমি যে প্রশ্নটি করতাম, তা হলো- 'জঙ্গিবাদের প্রজননক্ষেত্র' ওহাবী (কওমী) মাদ্রাসাগুলোতে কেন এই কর্মসূচী পালিত হয়নি? তাহলে কি আমরা ধরে নেবো যে, সেই ওহাবী-খারেজী মাদ্রাসাগুলোতে আপনার 'হুকুমাত' চলে না? যদি তার উত্তর 'হ্যাঁ' হয়ে থাকে, তো আমাদের বলার কিছুই নেই। আর যদি এর উত্তর 'না' হয়ে থাকে, তো বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণ হিসেবে আমরা কি এ দাবি করতে পারি না যে, 'অবিলম্বে ওহাবী কওমী হেফাজতি মাদ্রাসাগুলোকেও একযোগে জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণায় নামানো হোক। কারণ, সারা বাংলাদেশে 'ব্যাঙের ছাতা'র মতো তাদের হাজার হাজার মাদ্রাসা রয়েছে- যে গুলোর কোন কোনটিতে জঙ্গিবাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এই বিষয়টি লুকানোর কিছুই নেই। কারণ, তা দেশ এবং বিদেশের সকলেই জানেন, যেমনি জানেন- আপনার সরকারের সকল গোয়েন্দা সংস্থা এবং আপনি নিজেও। তাহলে আপনিই বলুন- 'জঙ্গিবাদের প্রজনন কেন্দ্র'গুলোকে এই প্রচারণার বাইরে রাখাটা কি ঠিক হবে? যদি ঠিক হয়, তাহলে আমাদের বলার কিছুই নেই।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
আপনি বাংলাদেশের সর্বাধিক নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীই শুধু নন- আপনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। আর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সাংবিধানিক ভাবে শুধু 'জাতির জনক'ই নন- 'বঙ্গবন্ধু বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান'। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভীষণ ভালোবাসি। বঙ্গবন্ধুকে আমি 'বাংলাদেশের আত্মা' জানি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমার অনেক কবিতার মাঝে এই শিরোনামে একটি কবিতাও লিখেছি। কেউ মানুক বা না মানুক, আমি মানি- 'বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু'। বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশের মানচিত্র ভাবা যায় না। বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। বাংলাদেশের প্রতিটি ধুলোকণায় আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখতে পাই। পত পত করে উড়া বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি লুকিয়ে আছে। আপনি সেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা। অন্য সবার চেয়ে আপনার মান, মর্যাদা ও প্রভাব আমার হৃদয়ে বেশি। সেই হিসেবে আপনি শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, আপনি আমাদের বড় বোনও। আপনি আমাদের মা। আমরা আপনার সন্তানতুল্য ছোট ভাই অথবা আপনার সন্তান। তো সন্তান হিসেবে আমি একটি বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই।

প্রিয় বঙ্গবন্ধু কন্যা!
আপনি জানেন, 'আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত সমন্বয় কমিটি' ৩টি সুনির্দিষ্ট দাবি নিয়ে আজ ১২ই নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে মহাসমাবেশ আহ্বান করেছিল। আপনার সরকার এক 'ঠুনকো অজুহাতে' সেই সমাবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। সেই সমাবেশের দাবি ছিল- ৩টি। ১. বিশ্বব্যাপী মুসলিম গণহত্যা বন্ধ ২. সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরী ৩. ইসলামের শান্তির বাণী সর্বস্তরের জনতার নিকট পৌঁছে দেয়া। এই ৩টি দাবির ঠিক কোনটি আপনার সরকারের পছন্দ হয়নি- দয়া করে সেটা বলবেন কি? যদি অপছন্দ না হয়ে থাকে তো- কেন আমাদের সমাবেশ বন্ধ হবে? এতো আবেগ, এতো ভালোবাসা এতো পরিশ্রম- আপনার পুলিশ প্রশাসন কেন 'নোটিশ বোমা' মেরে উড়িয়ে দিল? শ্রদ্ধেয়া আপু! বলুন- আমাদের অপরাধটা কী? পরম সম্মানিতা মা! বলুন- আমাদের দোষটা কোথায়? আপনার বিচারে যদি আমাদের অপরাধ প্রমাণিত হয়, তো আমরা কোনদিন ঢাকায় সমাবেশ করবো না। আর যদি অপরাধ প্রমাণিত না হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের 'মৌলিক অধিকার' আপনার পুলিশ প্রশাসন কেড়ে নেবে কেন?

পরম সম্মানিতা মা আমার!
যে ঢাকায় ইসলাম বিরোধী নাস্তিকরা সমাবেশ করতে পারে, যে ঢাকায় হেফাজতিরা সমাবেশের নামে 'তাণ্ডব' চালাতে পারে, যে ঢাকায় জটলা করে কুৎসিত কাকেরা কা কা করে জনগণের কানের পর্দা ফাটিয়ে দিতে পারে- সেই ঢাকায় আমাদের সমাবেশ করার অধিকার থাকবে না কেন? বাংলাদেশে এখনকার মতো শান্ত পরিবেশ আর কখনো বিরাজ করেনি। সেই শান্ত পরিবেশে পবিত্র কা'বা শরীফকে বেইজ্জত করলো কারা? মসজিদের দেয়ালে হিন্দু-দেবদেবীর ছবি সম্বলিত ব্যানার টাঙালো কারা? প্রশাসনের উপস্থিতিতে নীরিহ-হিন্দু নাগরিকের বাড়ি-ঘরে আগুন দিল কারা? স্থানীয় জনসাধারণকে উত্তেজিত করলো কারা? তারা কি স্বাধীনতা বিরোধীরা নয়? তারা কি হেফাজতিরা নয়? তারা কি আপনার দলের হোমড়া-চোমড়া নয়?

পরম সম্মানিতা মা আমার!
আপনার একজন প্রবাসী সন্তান হিসেবে আমার কি এ অধিকার আছে যে, এই মহাসমাবেশ বন্ধ করার জন্য কারা আপনাকে কু-পরামর্শ দিয়েছে- তা জানার? তাদের মধ্যে একজন কি আপনার দলের সদস্যপদ লাভ করা অন্য আরেকটি জনসম্পৃক্তহীন ভঙ্গুর অথর্ব রাজনৈতিক দলের 'সহ-সভাপতি' নয়? তিনি কি আপনার খুঁদ-কুঁড়ো খেয়ে অন্যদলের খোঁয়ারে ডিম পাড়েন না? এই ষড়যন্ত্রকারীদের আরেকজন কি গিরগিটির মতো রং বদলানো আপনার দয়ায় সংসদ অধিবেশনে যোগদান করার অধিকার পাওয়া ব্যক্তিটি নয়? রাজনীতির অঙ্গনে যার কোন দু'পয়সার মূল্য নেই, লোকবলহীন তথাকথিত ফেডারেশনের সর্বেসর্বা ব্যক্তিটি নয়? তাদের আরেকজন কি মাত্র এক সপ্তাহ আগে এদেশের সুন্নী পীর-মাশায়েখ এবং আলেম-উলামাদের দুয়ারে দুয়ারে ধাক্কা খাওয়া ব্যক্তিটি নয়? তাদের ষড়যন্ত্রে যারা ভাড়া খাটলো- সেই ভাঁড়গুলো কি তথাকথিত উলামা লীগের ব্যানারে সংঘবদ্ধ কিছু 'টাউট-বাটপার' নয়? তাদের আকীদা কি হেফাজতিদের সাথে মেলে না? আমি জানি- আপনি আওলিয়া ভক্ত, মাজার ভক্ত একজন ধার্মিক মুসলমান। আপনি মাজারে হাদিয়া দেন। মাজার থেকে আপনার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। তো এইসব ভাঁড়গুলোকে জিজ্ঞেস করুন- তারা জীবনে কখনও মাজারে গিয়েছে কি-না? অথবা মাজার সম্পর্কে তারা কী আকিদা রাখে? অন্যের হয়ে ভাড়া খাটা এই ভাঁড়গুলোর হাতে আহলে সুন্নাতের ব্যানার তুলে দিল কারা? মাগো! আপনি কি এদের প্রত্যেকের গত একসপ্তাহের কল লিস্ট চেক করবেন? তাহলেই আপনি আসল সত্যটি বুঝতে পারবেন।

আমি কী আর লিখবো? কী আর বলবো? আপনি সবই জানেন এবং বুঝেন। 'আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত সমন্বয় কমিটি' প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আবার ১১ মার্চ ২০১৭ সালে সমাবেশের তারিখ ঘোষনা করেছে। এই সমাবেশটি সফল হতে দিন। আপনি সকল দলকে বছরের ৩৬৪ দিন ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যান দিয়ে দিন। আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদেরকে মাত্র ১টি দিন বরাদ্ধ দিন। ১২ নভেম্বর আমাদের সমাবেশটি না হওয়ায় আমাদের হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হয়েছে, আমাদের যে অর্থ জলে গেছে এবং যে পরিশ্রম ও শ্রমঘন্টা নষ্ট হয়েছে, আমাদের মুখের কথা, বুকের ব্যাথা, চোখের অশ্রু, মনের ভাষা এবং আমাদের সকল প্রয়াস আমরা সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ্ তায়ালার সমীপে নিবেদন করলাম। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক। তাঁর কাছেই আমরা বিচার দিলাম। আপনার কাছে আমরা 'দয়া' চাই। আপনার কাছ থেকে 'সুবিচার' পেলাম না- তাতে কী? কিন্তু আপনার 'দয়া' বঞ্চিত হবো- কেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! সম্মানিতা মা! আপনার সাম্রাজ্যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় কি ১১ মার্চ এদেশের শান্তিপ্রিয় সুন্নী জনতার খানিকক্ষণ নির্বিঘ্নে বসার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত অসাম্প্রদায়িক দরবারসমূহের সম্মানিত পীর-মাশায়েখ ও আলিম-উলামাদের মুখে শান্তির বাণী শোনার সুযোগটি শান্তিপ্রিয় সুন্নী জনতাকে দেবেন? বলুন- দেবেন?

পরিশেষে আপনার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। ভুল-ত্রুটি ও বেয়াদবি হলে নিজগুণে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য সবিনয়ে আবেদন জানালাম। 'অধমের গোস্তাখী মাফ হোক'। মা'আস সালাম।

বিনয়াবনত
আবছার তৈয়বী
আবুধাবি, ইউ.এ.ই।
তারিখ: ১২ নভেম্বর, ২০১৬ খৃ.

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.