নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যবাক

অাবছার তৈয়বী

আবছার তৈয়বী

অাবছার তৈয়বী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওহে ওহাবী-কওমী জালিম সম্প্রদায়! আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হও

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২৮

ওহে ওহাবী-কওমী জালিম সম্প্রদায়!
আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হও
-আবছার তৈয়বী
বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে, সকলপ্রকার নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে, পাঠ্যপূস্তক না পড়িয়ে বেআইনি ভাবে দেশদ্রোহী, জাতিদ্রোহী ও নবীদ্রোহী জঙ্গিবাদী ওহাবী-কওমী মাদ্রাসার সর্বশেষ সনদকে মাস্টার্স এর সমমান দেয়া পুরো বাঙালি জাতির সাথে মশকরা করার শামিল। বাংলাদেশের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি 'জুলুমে আকবর'। সময় এসেছে- শান্তিপূর্ণভাবে সেই অন্যায়, অবিচার ও জোর-জুলুমকে রুখে দাঁড়ানোর।

দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধতার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সম্মান রক্ষার্থে ইসলামের অবিকৃত রূপরেখা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনাধারী, এদেশের শান্তিপ্রিয় মুসলিম জনতার পক্ষে 'আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত সমন্বয় কমিটি' ইতোমধ্যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। আমরা এ জন্য দেশ ও প্রবাসের সকল বাঙালির পক্ষ থেকে সুন্নী শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা! আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, আলহামদু লিল্লাহ! বাংলাদেশের শীর্ষ সুন্নী নেতৃবৃন্দ এই অগণতান্ত্রিক, বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণার বিরুদ্ধে অাইনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সবাই বলুন- মারহাবা। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, এটি এমন একটি ইস্যু- যেটিতে সাংবিধানিক সাপোর্ট, দল-মত নির্বিশেষে শিক্ষিত সমাজের পর্যবেক্ষণ এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সকল জনমানুষের সমর্থন পাওয়া যাবে।

এখন যেটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেটি হলো- বাংলাদেশের সকল পেশাজীবি সংগঠন বিশেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষকদের সংগঠন 'বাংলাদেশ জমিয়তুল মোদাররসীন' ও সকল প্রকার শিক্ষক সংগঠনগুলোর সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে জাগিয়ে তোলা, সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং দেশবাসীকে সচেতন করে তোলা। আমাদের সকলকেই মনে রাখতে হবে যে, ওহাবী-কওমী জঙ্গি-দোসর নেতৃবৃন্দের অন্যায় আবদার এবং ওহাবী-কওমীদের অন্যায্য প্রাপ্তিটি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ধ্বস নামাবে। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া আহলে সুন্নাতের একার দায়িত্ব নয়; বরং দল-মত ও জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের নাগরিক দায়িত্ব।

আর এই দায়িত্ববোধ থেকেই আমি "কওমী সনদের স্বীকৃতি: লাভ কি এবং ক্ষতি কী?" শিরোনামে একটি সিরিজ লেখা লিখছি। আজ এ বিষয়ে 'অভিনব প্রতিবাদের পদ্ধতি ও কলা-কৌশল' কী হতে পারে- সে বিষয়ে বিস্তারিত লিখবো- ইনশাআল্লাহ। যে প্রতিবাদ সহজেই করা যাবে এবং তা শুধু বাংলাদেশের মিডিয়ায় নয়, আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়ও আলোড়ন সৃষ্টি করবে। কোন প্রকার আইনি জটিলতায়ও পড়বে না এবং সর্বমহলে প্রশংসিত হবে। এমনকি খোদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও প্রশংসা করতে বাধ্য হবেন।

আপনাদের কাজ কী? আপনাদের কাজ হলো- এ বিষয়টিকে সিরিয়াসলি নিয়ে এ বিষয়ে কলম চালনা করা এবং 'আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত সমন্বয় কমিটি'র ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল কর্মসূচীকে সফল করে তোলা। আর সময় পেলে এই ক্ষুদ্র লেখকের জন্য প্রাণভরে একটু দোয়া করা এবং আমার লেখাগুলো কপি করে অবিকৃতভাবে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া। বিশেষ করে নিজেদের টাইমলাইন, ফেবুর সকল গ্রুপ ও পেইজ, ওয়াটসাপ ও ইমো গ্রুপ, গুগল প্লাস ও ব্লগ এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আইডির কমেন্ট বক্সে ও ইনবক্সে ছড়িয়ে দেয়া। তবে নিজেদের টাইমলাইনে পোস্ট করার সময় ওপর থেকে আমার নামটি কেটে দিয়ে নিচে কার্টসী- Absar Taiyobi অবশ্যই লিখবেন। সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠায় আল্লাহ আমাদেরকে সবসময় নিয়োজিত রাখুন। আমীন! বিজাহিন নাবিয়্যিল আমীন (দরুদ)। ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ। সকলেই ভালো থাকুন, সুখে থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং আনন্দে থাকুন- সারাক্ষণ, সবসময়।

তারিখ:১৭ এপ্রিল, ২০১৭ খৃ.
আবুধাবি, ইউ.এ.ই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪৮

আবেদ আল ইসলাম বলেছেন: একমত। মাস্টার্সের সনদ হরিলুটের বাতাসা নাকি!

২| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১:১৭

অাবছার তৈয়বী বলেছেন: সনদ পাওয়ার বন্দোবস্ত হয়ে গেছে- ভাইজান!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.