নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহান সৃষ্টিকর্তার নশ্বর পৃথিবীতে আমি একজন ঠুনকো ছায়া। হয়তো একদিন চলে যাবো,চলে যাবে আমার সব চাওয়া-পাওয়া কিংবা পদরেখা। তবে, রেখে যেতে চাই নিজের তৈরী করা কিছু কীর্তি। যাতে, আমার প্রতি ভালোবাসা কারো কমে না যায়। ভালোবাসুন ভালো থাকুন....

মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র)

Do u know what is success.\nWhen ur signature becomes an autograph that\'s call success.

মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) › বিস্তারিত পোস্টঃ

একুশ আমার অহংকার

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১১

১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে যারা বাংলা ভাষার জন্য
জীবন দিয়েছিলেন সেই সকল ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র
শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট।
.
একুশের প্রথম শহীদ রফিকউদ্দিন আহমদ। তিনি ছিলেন
মানিকগঞ্জের আবদুল লতিফের বড় ছেলে। তাঁর মায়ের নাম
রাফিজা খাতুন। সিংগাইর উপজেলার পারিল গ্রামে ছিল
তাঁদের বাড়ি।
ঘটনার সময় শহীদ রফিকের বয়স হয়েছিল ২৬ বছর। পুলিশের
লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের কারণে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়
ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল
কলেজ ব্যারাকে আশ্রয় নেওয়ার সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন
রফিক। গুলিতে তাঁর মাথার খুলি উড়ে যায়।
মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তখনই মারা যান তিনি।
.
আমি গর্বিত আমি মানিকগঞ্জেরর ছেলে বলে, আমি গর্বিত
তাদের জন্য,আমি গর্বিত বাংলাদেশী বলে। আজকে আমরা মন
খুলে বাংলা বলছি, লিখছি কাদের ত্যাগে.....??
.
সেদিন যদি সালাম,বরকত,রফিক ভায়েরা আন্দোলন
না করতো আমরা কখনোই বিশ্বের ইতিহাসে
নাম লিখাতে পারতাম না। তাদের জন্যই আজ ২১
শে ফেব্রুয়ারি দিনটি স্বীকৃতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবসের সম্মানের কৃতিত্ব। সারা বিশ্বই দিনটি স্মরণ
করে। যার কারণেই ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের বাঙ্গালিদের
জন্য একটি গৌরব
উজ্জ্বল দিন।
.
# ইতিহাস
কানাডার ভ্যানকুভার
শহরে বসবাসরত দুই বাঙ্গালী রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস
সালাম প্রাথমিক
উদ্যোক্তা এবং পরে অ্যানা মারিয়া নামে ভদ্রমহিলার
সাহায্যে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন
জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ সালে।
.
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস
অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের
২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসঙ্ঘের
সদস্য দেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।
.
# বর্তমান_অবস্থা
কিন্তু এ কি যাদের এত কষ্টের অর্জিত ভাষা তার
অবস্থা আমরা কি করেছি.....?
.
‘একটা ফাটাফাটি মুভি দেখলাম। সেইরাম ব্যাপুক feeling
বিনুদুন। ’ সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম
ফেসবুকে ঠিক এভাবেই স্ট্যাটাস দিয়েছে # অভ্র ( ছদ্মনাম)।
.
‘কাইলকা পরীক্ষা , কিছুই পড়িনাইক্যা। হে আল্লাহ আমাকে
তুইল্যা নাও, নয়তো উপ্রে থেইক্যা দড়ি ফেলাও আমি উইঠ্যা
যাই।’ পরীক্ষার আগের রাতে এই ছিল # রাফসান( ছদ্মনাম)
স্ট্যাটাস।
.
কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে লাইক, কমেন্ট, স্ট্যাটাস
শব্দগুলোর এত বিপুল ব্যবহার ছিল না। আর এখন
এগুলো হরহামেশাই উচ্চারিত হচ্ছে। যেন নিজস্ব শব্দ,
একেবারে বাংলা ভাষার মতোই ব্যবহার হচ্ছে। এ তো গেল
ইংরেজি শব্দ। বাংলা শব্দেরও বিচিত্র ব্যবহার রয়েছে,
যা অভ্র কিংবা রাফসানের স্ট্যাটাসেও কিছু আছে।
.
বাংলাদেশে ফেসবুক ও ব্লগ এখন ব্যাপক জনপ্রিয়। অনেকদিন
ধরেই ব্যবহার বাড়ছে ইউটিউবের,গুগল প্লাস
ধীরে ধীরে জনপ্রিয়
হচ্ছে টুইটারও। তবে এগুলোর কোনোটিই ফেসবুকের
মতো জনপ্রিয় নয়। ফেসবুকে বাংলা লেখার ধরনও অদ্ভুত।
.
আগে কেবল রোমান হরফে বাংলা লেখা হলেও
বাংলা ইউনিকোডের আর ইউনিজয়ের
কল্যাণে বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার
করে লেখার হার বাড়ছে ক্রমশ। পাশাপাশি রোমান হরফ
তো আছেই। লেখার ধরন সম্পর্কে দুয়েকটা উদাহরণ
দেওয়া যেতে পারে।
.
-- ইংরেজি বাক্য বা শব্দকে সংক্ষিপ্ত করে ব্যবহার যেমন-
OMG (Oh My God),
HBD ( Happy Birth Day ), BTW ( By The Way), congratz, (congrats),
r8 ( right) LOL (Laughing Out Loud বা Laugh Out Loud) ইত্যাদি।
.
-- শব্দের বিকৃত বানান ও উচ্চারণ। যেমন- বেসম্ভব (অসম্ভব),
নাইচ (নাইস), কিন্যা (কিনে), গেসে (গেছে) দ্যাশ (দেশ)। এ
রকম অসংখ্য বিকৃত ব্যবহার চলছে সব সময়ই।
.
-- বাক্য বা শব্দগুচ্ছ একত্র ও সংক্ষিপ্ত করার প্রবণতা—
ভাল্লাগসে (ভালো লেগেছে), মুঞ্চায় (মন চায়)
মাইরালা (মেরে ফেলো) ইত্যাদি।
.
-- বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি মিলিয়ে বহুভাষিক
পরিস্থিতি তৈরি করা— মাগার, টাস্কিভূত, ও I was feeling
হতভম্ব, সম্ভাবিলিটি, বিন্দাস। প্রভৃতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত
শব্দ।
.
আর এখন হিন্দি ভাষা ইদানীং নতুন কিছু গরু ছাগলের
আমদানী বাড়ছে যারা নিজেদের ফেসবুক,টুইটারের
নামেও হিন্দি অক্ষর ব্যবহার করছে । কেন
যে ওরা বাংলাদেশে থাকে সেটাই বুঝি না.
বর্তমানে যে অবস্হা চলছে তাতে আমরা প্রায়ই বলি "বাংলিশ
ভাষার" ব্যবহার
তবে সেদিন মনে হয় খুব বেশি দূরে নয় যেদিন
"বাঙিন্দি ভাষা" শব্দটা আমাদের মুখে মুখে থাকবে ।
.
বাংলা ভাষা সম্পর্কে জানতে একটু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
কিংবা একটু উচ্চমানের স্কুলে গেলে বোঝা যায়।
ওনাদের সাথে কথা বলে মনে হয় কেউ
বাংলা জানেনা। বাংলা ভাষার এ করুণ
পরিণতি কিভাবে হলো....?
.
আজকাল প্রত্যেক ঘরে ঘরে চলে হিন্দি কিংবা ইংরেজী গান,
অনেকে তো আবার ছদ্দনামও ব্যাবহার করে মাইক,ডেভিড।
সম্বোধনের ক্ষেত্রেও আলাদা, হ্যালো...... Bro, What's
up..!!,Hey....Dude
.
কিন্তু ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে এদের সাজ-গোঁজ, অনুষ্ঠানের
কমতি থাকেনা।
এরাই আসে ফুল দিতে শহীদ মিনারে যেখানটায় বসে একসময়
সিগারেট আর আড্ডা দেয়ার কাজ করতো । মজার ব্যাপার
এরা খালি পায়ে আসে আর এরপর সেলফি কিংবা দেশপ্রেমের
স্ট্যাটাস আর প্রোফাইল বদলিয়ে দিনটি উদযাপন
করে এরপরদিন থেকে আবার সব আগের মত
.
যে বাংলার মানুষেরা মায়ের
ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন শত বছর আগে,
সে বাংলা ভাষার আজ এই করুণ পরিণতি ।
এখন আর কিছুই করার নেই। এখন শুধু রয়েছে দীর্ঘশ্বাস।
.
--------
অন্ধকার আকাশ্
----------
.
#অভ্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.