নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবে তাবেঈ যুগের পর আমির অনুমোদীত ফিকাহ না মেনে লা মাযহাবী, সালাফী বা অন্য মাযহাবের অনুসারী হয়ে থাকলে জাহান্নামে যেতে হবে

২০ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৫:৩১



সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮৬। আল্লাহ কারো উপর এমন কোন কষ্ট দায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। সে মন্দ যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। হে আমাদের প্রতিপালক যদি আমরা ভুলে যাই অথবা আমাদের ত্রুটি হয় তবে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববর্তিগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না।হে আমাদের প্রতিপালক এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।আমাদের পাপ মোছন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।

সহিহ তিরমিযী, ৩৬৬১ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৬৬১। হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন. রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি প্রজ্ঞার ঘর এবং আলী তার দরজা।

সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৫ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৫। হযরত এমরান ইবনে হুছাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা।এমরান বলেন রাছুলুল্লাহ (সা.) তাঁর যামানার পর দু’ যামানার উল্লেখ করেছেন, না তিন যামানার উল্লেখ করেছেন ত’ আমার সঠিকভাবে মনে নেই।এরপর তোমাদের পর এমন কিছু লোকের আবির্ভাব যারা সাক্ষ্য দান করবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। সুতরাং তাদেরকে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না। তারা খুবই মোটা সোটা ও হৃষ্টপুষ্ট দেহের অধিকারী হবে।

সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৬ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম সময হলো আমার সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। তারপর এমন একদল লোকের উদ্ভব ঘটবে যাদের কেউ শপথ করার পূর্বে সাক্ষ্য দিবে এবং সাক্ষ্য দিবার পূর্বে শপথ করবে। ইব্রহীম নখয়ী (র.) বলেন, আমাদের মুরুব্বঈরা আমাদেরকে সাক্ষ্য দিবার জন্য ও ওয়াদা করার জন্য প্রহার করতেন। তখন আমরা ছোট ছিলাম।

* আল্লাহ ফিকাহ দ্বারা ভয় প্রদর্শন ও সাবধান হতে বলেছেন। কিন্তু এর জন্য ফিকাহ সংকলন করার দরকার ছিল। রাসূল (সা.) প্রজ্ঞার ঘর এবং হযরত আলী (রা.) এর দরজা বিধায় ফিকাহ সংকলন রাসূলের (সা.) দায়িত্ব না হয়ে এটি হযরত আলীর (রা.) দায়িত্ব ছিল। হযরত আলী (রা.) ফিকাহ সংকলনের দায়িত্ব পালন না করায় এর মান্যতায় অপারগতা তৈরী হয়। সেজন্য তাবে তাবেঈ যুগ পর্যন্ত ফিকাহ মান্যতায় দায়মুক্তি দেওয়া হয়। তারপরের লোকেরা বিশ্বাস ঘাতক হওয়ায় তাদের মান্যতায় নিষেধাজ্ঞা জারী হয়েছে। সুতরাং তখন থেকে আমির অনুমোদীত ফিকাহের অমান্যতা জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হিসাবে সাব্যস্ত হয়েছে।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। আল্লাহ মানুষের প্রতি কোন অনুগ্রহ অবারিত করলে কেউ তা’ নিবারণকারী নেই। আর তিনি নিবারন করলে কেউ উহার উম্মুক্তকারী নেই।তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১।প্রশংসা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর, যিনি বার্তাবাহক করেন মালাইকাকে (ফেরেশতা) যারা দুই-দুই, তিন-তিন অথবা চার-চার পাখা বিশিষ্ট। তিনি তাঁর সৃষ্টিতে যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।

# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।

সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।

সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।

* হযরত আলী (রা.) ফিকাহ সংকলনের দায়িত্ব পালন না করায় আল্লাহ তিনি, তাঁর পরিবার ও বংশে তাঁর অনুগ্রহ নিবারণ করলেন। সাহাবায়ে কেরামের (রা.) দু’টি দল তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলো এবং তাঁদের একটি দল তাঁর পক্ষে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকলো। তাবেঈদের একটি দল তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কাফের হয়ে গেল। তাবেঈ দের আরেকটি দল তাঁর অতিপক্ষপাতিত্ব করে কাফের হয়ে গেল। অবশেষে ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলেগেল। হযরত আলীর (রা.) পুত্র ইমাম হোসেন (রা.) কারবালায় তাঁর প্রতিপক্ষের কোন লোকের মাঝে ঈমান খুঁজে পেলেন না। তারা তাঁর মাথা কেটে ইয়াজিদকে উপহার হিসাবে পাঠায়। অথচ রাসূলের (সা.) পরে পঞ্চাশ বছরে তাঁর পরিবার যদি ফিকাহ সংকলন করে সমগ্র বিশ্বে এর শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতো তাহলে ইয়াজিদের বিপক্ষে ও তাঁর পক্ষে যুদ্ধ করার মত মুমিনের অভাব হত না।তাতে তাঁর নয় বরং ইয়াজিদ পরাজিত হতো।এমতাবস্থায় নিজের দ্বীন রক্ষায় আল্লাহ পারসিক ইমাম আবু হানিফাকে (র.) একশতবার দিদার প্রদান করে তাঁর দ্বারা পূর্ণাঙ্গ ফিকাহ সংকলন করালে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে ঈমান পৃথিবীতে ফিরে আসে। অবশেষে তাবে তাবেঈ সবচেয়ে পরাক্রান্ত কুরাইশ খলিফা হারুনুর রশিদ ইমাম আবু হানিফার (র.) ফিকাহ পরিশোধন করে অনুমোদন করলে ইসলামের স্বর্ণযুগ শুরু হয়। আর যারাই এ ফিকাহের বিরোধীতা করছে আল্লাহ তাদেরকে শায়েস্তা করছেন।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।

সূরাঃ ৬ আনআম, আয়াত নং ১৫৯ এর অনুবাদ-
১৫৯। যারা দ্বীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন শিয়ায় (দল) বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়। তাদের ব্যবস্থ্যা করার দায়িত্ব আল্লাহর।আল্লাহ তাদেরকে তাদের কাজ সম্পর্কে জানিয়ে দিবেন।

সূরাঃ ১০ ইউনুস, ১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৯। মানুষ ছিল একই উম্মত। পরে উহারা মতভেদ সৃষ্টি করে।তোমার প্রতিপালকের পূর্ব-ঘোষণা না থাকলে তারা যে বিষয়ে মতভেদ ঘটায় তার মিমাংসাতো হয়েই যেত।

সূরাঃ ২৩ মুমিনূন, ৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৩। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দীনকে বহুভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।

সূরাঃ ৩০ রূম, ৩২ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩২। যারা নিজেদের দীনে মতভেদ সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে। প্রত্যেক দল নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উৎফুল্ল।

সূরাঃ ৪৩ যুখরুফ, ৬৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। অতঃপর তাদের বিভিন্ন দল মতানৈক্য সৃষ্টি করলো, সুতরাং যালিমদের জন্য দূর্ভোগ ভয়ংকর শাস্তির দিনে।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।

সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।

সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।

* মতভেদ, বিভেদ বিভেদ, বিভিন্ন দল হওয়া আল্লাহর একদম পছন্দ নয়। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) এ অকাজ করায় তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয়ে হাজারে হাজারে নিহত হলেন। জান্নাতের যুব নেতার মাথা কেটে ইয়াজিদকে উপহার দেওয়া হলো। তারপর আল্লাহ পারসিক ইমাম আবু হানিফাকে (রা.) একশতবার দিদার প্রদান করে তাঁকে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ ফিকাহ সংকলন করালেন। আমির হারুনকে দিয়ে সেই ফিকাহ পরিশোধন ও অনুমোদন করালেন। তারপর যারা সেই ফিকাহ অমান্য করলো তাদেরকে আল্লাহ জাহান্নামে দগ্ধ করবেন। কালেমার কারণে তারা জান্নাতে গেলেও চিরকাল তাদের প্রকাশ্য অঙ্গে জাহান্নামের চিহ্ন থেকে যাবে। হানাফী ফিকাহের সাথে যারা মতভেদ করে তাদের কোন লোককে আল্লাহ দিদার প্রদান করেননি এবং তাদের মতভেদ কোন মুসলিম বিশ্ব আমির অনুমোদন করেননি। তাহলে তারা কোন শর্তে হানাফী ফিকাহের সাথে মতভেদে লিপ্ত হয়? সঙ্গত কারণে তাদেরও জাহান্নামের নিবারন হবে না।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।

সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

* আল্লাহর সুন্নাত হলো হিকমাত। কারণ এটা দিয়ে আল্লাহ তাঁর পথে ডাকতে বলেছেন। ইবাদতের নিয়মের ক্ষেত্রে এটা ফিকাহ।কারণ ফিকাহ দিয়ে আল্লাহ ভয় দেখাতে ও সাবধান হতে বলেছেন। ফিকাহের পরিবর্তে কোরআন মানসুখ এবং হাদিস বাতিল।বাতিল হাদিস সহিহ বা সহিহ নয় এটা জানা কোন বিষয় নয়। সবচেয়ে জঘণ্য বিষয় হলো বাতিল হাদিস দিয়ে আল্লাহর সুন্নাত ফিকাহের সাথে মতভেদে লিপ্ত হওয়া। আর যেসব ফিকাহ আমির অনুমোদীত নয় সেসব ফিকাহ মোটে ফিকাহ নয়। মোট কথা যে ফিকাহ আল্লাহর সুন্নাত সে ফিকাহের অমান্যতা জনিত কারণে জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষার কোন পথ নাই। সুতরাং সেই ফিকাহ না মেনে লা মাযহাবী, সালাফী বা অন্য মাযহাবের অনুসারী হয়ে থাকলে জাহান্নামে যেতেই হবে। তারপর জান্নাতে যাওয়া যাবে প্রকাশ্য অঙ্গে একটি চিরস্থায়ী জাহান্নামে থাকার চিহ্ন সহকারে।
-

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৬:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: মুসলমানরাতো দুনিয়ার সবাইকে জাহান্নামি বানিয়েই রেখেছে।এখন নিজেদের লোকদেরও জাহান্নামি বানাচ্ছে।অথছ সাতটা দোজখ আটটা বেহেস্ত।তবে কি এসব গাজাখুরি গল্প।

২০ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:০৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মুসলিমদের প্রতি নির্দেশ তারা বিভেদে জড়াবে না। তথাপি তারা বিভেদে জড়ালে এর শাস্তিতো তাদেরকে পেতেই হবে।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:১০

বিজন রয় বলেছেন: শুভসকাল।
কেমন আছেন?

এত নিয়ম কানুন মানুষের দ্বারা কি পালন করা সম্ভব?

২০ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:০৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিভেদে না জড়ানোর নিয়ম না মানা মানে বিভিদে জড়িয়ে অশান্তি সৃষ্টি করা। ইসলাম যেহেতু শান্তি সেহেতু অশান্তি সৃষ্টি করা ইসলাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.