নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহান সৃষ্টিকর্তার নশ্বর পৃথিবীতে আমি একজন ঠুনকো ছায়া। হয়তো একদিন চলে যাবো,চলে যাবে আমার সব চাওয়া-পাওয়া কিংবা পদরেখা। তবে, রেখে যেতে চাই নিজের তৈরী করা কিছু কীর্তি। যাতে, আমার প্রতি ভালোবাসা কারো কমে না যায়। ভালোবাসুন ভালো থাকুন....

মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র)

Do u know what is success.\nWhen ur signature becomes an autograph that\'s call success.

মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধিক্কার ঐসব একদিনের বাঙ্গালিদের

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৪

আজব!
শুধু এতো এতো টাকার ফুল কিনে শহীদ মিনারে দিলেই বুঝি সেই
সকল মহৎ ব্যাক্তিদের প্রতি সম্মান জানানো হয়ে যায়? তাদের
সেই মহান বলিদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়ে যায়?
দেশকে আর ভাষাকে ভালোবাসা হয়ে যায়?

এ আবার কেমন ভালোবাসা যে সারা বছর
ইংরেজিতে কথা বলে, অন্যদের সৃষ্টিকে নিজের মাঝে বহন
করে বেড়িয়ে হঠাৎ একদিন ভোরবেলা উঠে ভালোবাসার
প্রতি খুব সচেতন হয়ে পকেট থেকে কিছু টাকা দিয়ে ফুল
কিনে কংক্রিটের তৈরি স্তম্ভর সম্মুখে প্রদান করলেই
ভালবাসা সম্পর্কিত সকল দায়িত্ব পালন করা হয়ে যায়!!!

এরপরে বন্ধুদের সাথে নিয়ে কোন চাইনিজ বা থাই রেস্তোরাঁয়
গিয়ে হিন্দি বা ইংরেজি গান শুনতে শুনতে খাবার খাওয়া.
কানে হেডফোন দিয়ে কোন বিদেশী সঙ্গীত
শুনতে শুনতে বাড়িতে ফেরা. এবং তারপরে আবারো আগের
দিনের মতো কাজে ফেরত যাওয়া যেখানে দেশের-দেশীয়
পদ্ধতিতে কাজ করা মানুষের করা কাজকর্ম কে খ্যাত
বলে পারদর্শীতার সাথে পশ্চিমাদের মতন চাল-চলন বজায়
রাখা হয়!

বড়ই অবাক লাগে যখন ওই সকল
মানুষদেরকে খালি পায়ে শহীদমিনারে যেতে দেখি যাদের
সামনে অন্য দিন বাংলায় একটানা কথা বললে তারা অবাক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে আর সেই
ব্যাক্তি সরে গেলে বলে যে ওই
বাংলাভাষী বালিকা বা বালক কতটা খ্যাত যে এসব বিরক্তির
কঠিন কঠিন বাংলা শব্দ এখনো হাই সোসাইটিতে ব্যাবহার
করে এছাড়াও,আরো অনেক কিছু যার ব্যাপারে এই একটি দিনের জন্য
তারা যেনো ভুলেই যায়. হঠাৎ একদিনের, না না, সম্পূর্ণ দিন
বললেও ভুল হবে, শুধুমাত্র কিছুক্ষনের জন্য অতি উৎকৃষ্ট
প্রজাতির বাঙালীতে রুপান্তরিত হয়ে যায়.
.
.
.
আমি এদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে, এতো অতি উত্তম মানের
কাজ আমি করতেই পারিনা. কখনো ফুল দিতে যাইনা শহীদ
মিনারে. যদি আসলেই কখনো তাদের প্রতি সম্মান
জানাতে ইচ্ছা করে তবে আল্লাহ তায়ালাকে বলি আমাদেরকে,সকল বাঙালিদেরকে এই ভাষায়
কথা বলার স্বাধীনতা পাইয়ে দেওয়ার জন্য যারা নিজের
জীবনকে দান করতেও পিছপা হননি তাদেরকে যেনো আল্লাহ
বেহেশত নসীব করেন.

আমার মতে কিছু সুন্দর ফুল দেবার থেকে মন
থেকে করা দোয়া সামান্য হলেও বেশি মুল্যবান
এবং কার্যকরি. আমি জানিনা কে কি মানে,
তবে আমি মনে করি আমার হাতের ফুল থেকে হয়তো আমার মন
থেকে, আমাদের মন থেকে করা দোয়া আল্লাহ এবং ঐ সকল
শহীদদের আত্মাগন অনেক অনেক বেশি পছন্দ করেন.
আর কারো মতে যদি সারাবছর এর বদলে হঠাৎ একদিন শহীদদের
সম্মানে কিছুক্ষন নীরবতা ও তাদের স্মরণে শহীদ মিনারে ফুল
দিলেই দেশের প্রতি আর দেশের তথা নিজের ভাষার
প্রতি সম্মান জানানো এবং কর্তব্য পালন করা হয়ে যায়,
তবে একটা কথাই বলতে চাই;

ধিক্কার জানাচ্ছি তোমাদের, সাথে সমবেদনাও. এতো নিচু
মানষিকতার প্রতি এই দুই ছাড়া এখন জানানোর মতো আর কিছুই
খুজে পেলাম না.
;
{-আমি কোনো সত্যিকারের, মন
থেকে নিজেকে বাঙালী মনে করে এমন
বাঙালিদেরকে ছোটো করিনি বা করতে চেষ্টাও করিনি.
আমার এই লেখা ওই সকল লোকদেরকে নিয়ে লেখা যারা আমার
মতে একদিনের জন্য বাঙালী সেজে শহীদমিনারে সামান্য ফুল
দিয়ে নিজেদেরকে বাঙালী মনে করে. এরা সত্যিকারের
বাঙালী নাম শোনার যোগ্য তো নয়ই,
বরং এদেরকে সত্যিকারের বাঙালী ডাকলে আসল সত্যিকারের
বাঙালিদের চেতনাকে অসম্মান করা হয় বলে আমার ধারণা.
তবুও কারো চেতনায় আঘাত হানলে আমি দুঃখিত-}

-------
অন্ধকার আকাশ্
--------

#অভ্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.