নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহান সৃষ্টিকর্তার নশ্বর পৃথিবীতে আমি একজন ঠুনকো ছায়া। হয়তো একদিন চলে যাবো,চলে যাবে আমার সব চাওয়া-পাওয়া কিংবা পদরেখা। তবে, রেখে যেতে চাই নিজের তৈরী করা কিছু কীর্তি। যাতে, আমার প্রতি ভালোবাসা কারো কমে না যায়। ভালোবাসুন ভালো থাকুন....

মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র)

Do u know what is success.\nWhen ur signature becomes an autograph that\'s call success.

মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপ্রকাশিত ভালবাসার শেষ পরিণতি/:)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

বিকাল ৫ টা বেজে ৩০ মিনিট

অভ্র আর অবণী বসে আছে সি.আর.বি-র কোন এক জায়গায়। অভ্র অবণীকে গল্প শোনাচ্ছে, ভালোবাসার গল্প।
.
অবণীর চোখ দিয়ে টপটপ
করে পানি পড়ছে। ভালোবাসার গল্পের
যে ছেলেটা আছে তার জন্য মেয়েটার প্রচন্ড মায়া হচ্ছে।
ছেলেটা মেয়েটাকে এতো ভালোবাসে।
এতোকিছু করছে শুধু বলতেই
পারছে না 'ভালোবাসি'। শুধু ছটফট করছে।
গল্প শেষ করার পর অবণী উঠে চলে যায়।
যে ছেলেটা গল্প বলছিলো সে মানে অভ্র এতোক্ষণ
ধরে নিজের গল্পটাই শোনাচ্ছিলো। নিজের সবকিছু
মেয়েটাকে বললো শুধু বললো না -'তুমি গল্পের
যে ছেলের জন্য চোখ দিয়ে জল
ঝরাচ্ছো সেটা আমি। আর মেয়েটা তুমি!'

অবণী বই কিনবে এজন্য
অভ্র দাড়িয়ে আছে। কয়েকমাস
ধরে অভ্রর বুকের ভেতর
আস্তে আস্তে একটা প্রেমপত্র লিখেছে।

গতরাতে বুকের ভিতরে দাগকাটা প্রেমপত্রটাকে একটা খাতার পাতায় বাস্তবতার রূপ দিয়েছে। বই কিনে দেয়ার
ফাঁকে চিঠিটা জাস্ট ঢুকিয়ে দেয়ার ইচ্ছা!

বইটা ঠিকই অবণীকে কিনে দেয়া হয়।
শুধু চিঠিটাই বুকপকেটের মায়া ছাড়তে পাড়েনা, থেকে যায় পকেটের এক কোণে।

ছেলে এই
চিঠি নিয়ে হয়তবা এই ব্যাস্ত শহরের রাস্তাগুলোতে অযথাই
হেঁটে বেড়াবে। সিগারেটেরর নীল ধোঁয়ায় নিজেকে ভুলিয়ে রাখার ব্যার্থ চেষ্টা করে যাবে। রাতে বাসায়
গিয়ে শুয়ে এপাশ ওপাশ করবে। ঘুম আসবে না।
তার চিঠিটা দেয়া হলো না। কিছুই বলা হলো না।

অভ্র একবার অবণীকে
বলেছিলো

-'জানিষ বাঙ্গালী মেয়েদের নীল
শাড়ি পরলে সুন্দর লাগে। আর কপালে যদি ছোট্ট একটা টিপ থাকে তাহলে সে আর মেয়ে থাকে না।
সমুদ্র হয়ে যায়। কপালের টিপ যে
সমুদ্রে জেগে উঠা দ্বীপ। আমি সেই
দ্বীপে আশ্রয় খুজে বেড়াই!"

মেয়েটা ছেলেটার কথামতো নীল শাড়ি, দু'হাত ভর্তি নীল চুড়ি আর টিপ
পরে নিজেকে সমুদ্র বানিয়ে ফেলেছে।

অভ্র অবন্তীকে দেখে মুগ্ধ হয়ে বলেছিলো

- বাহ! তোমাকে তো এ্যাথেনার মতো লাগছে।

আমি জানতাম এ
শহরে এতো মেয়ে আছে,প্রেমিকা আছে কিন্তু
এ্যাথেনার মতো কেউ নেই। এ্যাথেনারা
অন্য শহরে থাকে। কিন্তু তোমাকে দেখে ভুল
ভাঙ্গছে। তোমাকে এ্যাথেনার মতোই লাগছে!
অবণীর চোখে আনন্দে পানি চলে এসেছে।
কিন্তু
বলতে পারে নি -'আমি সেজেঁ এসেছি শুধুমাত্র
তোমার জন্য'

অভ্র আর অবণী দুজনই দুজনকে প্রচন্ড
ভালোবাসে। শুধু বলতে পারে না।
অভ্র ভয়ে থাকে।
ভালোবাসি বললে যদি অবণী পাশে না থাকে।
যদি ভুল বুঝে।
যদি দূরে সরে যায় ....

অপরপাশে অবণীও অপেক্ষায়
থাকে ছেলেটাই আগে তাকে বলুক!

মেয়েটার বিয়ে হচ্ছে। অবণীরর পাশে অন্য
একটা মানুষ! অভ্র হাসি হাসি মুখে দাড়িয়ে আছে।
অপলক দৃষ্টিতে অবণীকে দেখছে।
অবণী অন্যের হয়ে যাবে চিরদিনের মতো।
অভ্রর ভিতরটা পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে।
পুড়ে যাওয়া ভিতরটার কোন গন্ধ হয় না,ধোয়াঁও হয় না।
শুধু কিছু জল হয়। তার স্বাদটা পিচ্ছিল নোনতা ধরনের!

অবণী শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার
আগে সবাইকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে।
শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগে সব মেয়েই কাঁদে এমন
একটা ভাব নিয়ে সবাই দেখছে। কিন্তু কেউ
জানে না মেয়েটা কাঁদছে হাসি হাসি মুখে দাড়িয়ে থাকা ঐ ছেলেটার
জন্য। অনকক্ষণ ধরে কান্না চেপেছিলো! এখন
কেঁদে একটু হালকা হচ্ছে মেয়েটা!
বাসর রাতে মেয়েটার শরীর পড়ে থাকবে অন্য
একটা মানুষের কাছে কিন্তু
মনটা পড়ে থাকবে ছেলেটার কাছে যে আজ বাসায়
ফিরে সারারাত কাঁদবে।অতি
উৎসবের আলোতে দুজন অপরিচিত মানুষের
বিয়ে হয়ে যাওয়াটা সবাই দেখলো। শুধু কেউ
দেখলো না,কেউ জানলোও না এই উৎসবের
আলোতে একটা অদ্ভুত সুন্দর ভালোবাসার মৃত্যু
হয়ে গেছে। বিয়েটা ছিলো মৃত ভালোবাসার
শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান!

অথচ গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো যদি দুজনের
কেউ সব ভয় সংকোচ সরিয়ে একটা বার বলতো
-'আমি সারাজীবন তোর হাতে হাত রাখতে চাই কিংবা তোর
পাশে বসে জোঝঁনা দেখতে চাই'

অভ্রের হাসি পেলো ভেবে... একবার স্বপ্নরা এসে বলল,
আচ্ছা আমরা সত্যি হবো কবে ?
জীবন হেসে বলল, তোমরা সত্যি হলে যে আমি মূল্যহীন
হয়ে যাবো...

---------
অন্ধকার আকাশ্
---------

#অভ্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.