নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহান সৃষ্টিকর্তার নশ্বর পৃথিবীতে আমি একজন ঠুনকো ছায়া। হয়তো একদিন চলে যাবো,চলে যাবে আমার সব চাওয়া-পাওয়া কিংবা পদরেখা। তবে, রেখে যেতে চাই নিজের তৈরী করা কিছু কীর্তি। যাতে, আমার প্রতি ভালোবাসা কারো কমে না যায়। ভালোবাসুন ভালো থাকুন....

মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র)

Do u know what is success.\nWhen ur signature becomes an autograph that\'s call success.

মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) › বিস্তারিত পোস্টঃ

"পরীক্ষার রেজাল্ট"--- রম্যরচনা

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

বিষয়ঃ রম্য
লিখাঃ মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র)
-----------------------------
জনাব কিপ্টা কালাচাঁনের একমাত্র পুত্রের আজ রেজাল্ট দিবে তাই তাড়াতাড়িই চলে আসলেন কাজের থেকে । অষ্টমবারের মত টেনা জেএসসি টেস্ট পরীক্ষা দিলো । বাসায় আসার পথে জনাব কালাচাঁন মোড়ের ঝন্টু লাইব্রেরি তে ঢুকলো
.
-- কি মিয়া, কি মনে কইরা...?(অবঙ্গার সুরে)
.
-- ঐ জালিবেতটা দেওতো, শক্তপোক্তটাই দেও, ত্রিশ টাকা দিমুনে, জানইতো বেত কেনোনের সময় আমি আবার কিপ্টামি করিনা
.
-- তাতো জানিই, পোলায় পাস্ করবো তো....???
.
হন্তো-দন্তো হয়ে টেনার বাপেরে আইতে দেইখ্যা টেনার মা সখিনা বানু দশ নাম্বার বিপদ সংকেত ভাইবা দৌড়াইয়া পলাইলো...
.
-- হতচ্ছাড়া,তোমার নালায়েক পোলা গেছে কই...?
.
-- পোলা কি খালি আমার তোমার না..??
.
--- তাইতো কই আমার পোলাডা গোল্লায় গেছে কেমনে,তোমার লাই পাইয়া পাইয়া গোল্লায় গেছে....
.
-- নয়া বেতটা কিনা আনছি, ওর পিঠে যদি এইডা না ভাঙ্গছি তাইলে আমার নাম কালাচাঁন না,ওর পিঠে এইডা ভাঙ্গুমই ভাঙ্গুম।
.
-- কেন, কি করছে আমার টেনা, হ্যা...??
.
-- কেন, তুমি বোঝনা? এত সকাল হইছে গাধার বাচ্চাটার কোন খবর নাই,নিশ্চয় আবারো ফেল করছে, আহুক আজকে...??
.
-- কি..??আমি গাধা..? তাইতো কৈ পোলা আমার প্রত্যেকবার ফেল করে কেন?গাধার বাচ্চা কখনো পাশ করবার পারে?গাধার বাচ্চাতো গাধাই। নিজের ভুল ঢাকতে কালাচাঁন বেতটাতে তেল মাখাইয়্যা বাইর হইয়্যা গেলো টেনার খোঁজে।
.
ঐদিকে টেনা গতবারও পরীক্ষায়
ফেল করে শিক্ষকদের
বেত্রাঘাত, পরিবারের সদস্যদের গণপিটুনি আর সহপাঠীদের
টিটকারী-তিরস্কারে অতিষ্ঠ হয়ে কানে ধরে শপথ
করে বলেছিল, ‘সামনের বার দেখে দেব, পরীক্ষায়
আমাকে ফেল করায় কীভাবে। বইয়ের পাতা থেকে প্রশ্ন
আসলেই হলো; যদি আমার কলমের কালি বিটলামি না করে আর
স্যারেরা যদি ঠিকমত কাগজ সাপ্লাই দিতে পারেন
তাইলে আমাকে পরীক্ষায় ফেল করায় কে,দেইখা নিবো? বইয়ের
আগা গোড়া খাড়া মুখস্ত করে ফেলবো না!’
.
টেনার মধ্যে সত্যি কেমন জানি একটা বিরাট
পরিবর্তন লক্ষ করা গেল।
টেনা ফেলটুপুর স্কুলে পড়ে; ক্লাশ এইটেরর জেএসএসি
উঠবে।
টেস্ট পরীক্ষা হয়ে গেছে।
আজ ফলাফল ঘোষণার দিন।
মাথায় তেল দিয়ে জবজবে করে,সিথিঁ করে ইস্ত্রি করা জামা পরে মনের
আনন্দে ক্লাসে গিয়ে বসলো টেনা।
.
স্যার রেজাল্ট
শিট নিয়ে এলেন ক্লাশে। টেনা অনেকটা নিশ্চিন্ত
মনে পরীক্ষার ফলের জন্য অধীর আগ্রহে বসে টগবগ
করতে লাগল।
পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হলো। টেনার নাম-গন্ধ
নেই। সে ভাবল, স্যার বোধ হয় তার রেজাল্ট নিয়ে বদমাশি
করছেন। টেনার আর তর সয় না। হুট
করে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, ’স্যার আমার রেজাল্টটা!‘
.
স্যার আঁৎকে উঠে বললেন, ’অ, তাই তো! আসল খবরটাই বাদ
পইড়া গ্যাছে, আমাগো টেনা মিয়ার রেজাল্টের খবর। ’টেনা,
তোর রেজাল্টটা কী হইতে পারে একটু আন্দাজ কর দেহি!’ টেনা উত্তেজিত হয়ে বলল, ’কী হইতে পারে মানে গোল্ডেন পামু...? ’ স্যার মাথা নেড়ে বললেন,
’অ তুই গুল্ডেন পাবিই, নাহ?’ টেনা প্রচন্ড
আত্নবিশ্বাসে মাথা ঝাকিয়ে বলল, ‘হ স্যার।’
তার কথা আর মাথা ঝাকানি শেষ হতে না হতেই স্যার বিছার মত লাফিয়ে উঠে টেনার
কান প্যাঁচিয়ে ধরলেন। তারপর যে গতিতে ক্লাশরুম
থেকে টেনে নিয়ে গেলেন এতে তার পা মাটি স্পর্শ করেছিল
কি না সন্দেহ। স্যার তাকে সোজা হেড স্যারের কামরায়
নিয়ে স্যারের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে হাঁপাতে লাগলেন।
আমরা ভয়ে ভয়ে দূর থেকে ফুচকি দিয়ে আমাদের মুরুব্বীর এ
ভয়াবহ বিপদ দেখার চেষ্টা করছি। দেখি, টেনা
অবস্থা বড় খারাপ। বাঘের খপ্পরে পড়া অসহায় হরিণের মত
অবস্থা তার।
.
গোবরধন স্যার গভীর মনযোগে কি একটা কাগজ
পড়ছিলেন তখন। তিনি স্যারের হাঁপানির শব্দ
পেয়ে চশমার উপর দিয়ে তাকিয়ে অবাক হয়ে বললেন,
’ব্যাপার কী সাব?’ স্যার
রাগে কাঁপতে কাঁপতে বললেন, ’স্যার, গাধাটা এবারও ফেল
করেছে, খাঁড়া ফেল। তার মতো ছাত্রের কোনো দরকার নেই
এই ইশকুলে। একটার জন্য দশটার বদনাম। এইবার নিয়ে তিনবার
ফেল করেছে! তাকে এখনই টি সি দিয়ে বের
করে দিতে হবে স্যার।’ এ কথা বলে টেনার
দিকে তাকিয়ে রাগে কটমট করতে লাগলেন স্যার।
স্যারের মুখে এ কথা শোনামাত্র টেনার হাত-
পা কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেল, সাথে তালে-বেতালে বুক
ধড়ফড়ানি। টেনাকে খুব অসহায়ের মত দেখাচেছ।
জিহ্বাটা বের করে বারবার শুকনো ঠোঁট ভেজাবার
চেষ্টা করছে কিন্তু তার জিহ্বাটাও শুকিয়ে ঠন্ঠনা।
হেড স্যার প্রচন্ড মেজাজি মানুষ। কখনো বেশি কথা বলেন
না। স্যারের চাহনির মধ্যে বিরাট ভয় ও রহস্য লুকিয়ে থাকে।
বেয়াদবি, পড়ায়
অমনোযোগিতা ইত্যাদি কারণে যাকে একবার ধরেছেন
তো তার দফা রফা করে ছেড়েছেন। হয় সে স্কুল ছেড়েছে, নয়
সে মানুষ হয়েছে। স্যারের এসব ভয়ংকর ঘটনা টেনার
মনে যখন বিদ্যুৎ বেগে যাওয়া-আসা করছিল, তখন হেড স্যার
চোখের চশমাটা টেবিলে রেখে চেয়ারটা গড়গড় আওয়াজ
করে সরিয়ে উঠে বললেন, ’টি সি তো পরের কথা, আগে ফেল
করার হিসেবটা লই।’ টেনা তখন শুকনো মুখে ঘনঘন
লা ইলাহা ইল্লা আন্তা… পড়তে লাগল।তারপর হড়ড়ৎ হড়-গড়ড়ৎ
গড় শব্দ করে তার পেটটা কেমন মোচড় দিয়ে উঠল!
হেড স্যার গম্ভীর স্বরে বললেন, ’তিনটা বেত লন।’
.
স্যার দ্রুত গতিতে পাশের কক্ষে ছুটে গিয়ে তিনটা বেত
একত্র করে এনে হেড স্যারের হাতে দিলেন।
ভয়ে শরীরটা প্রচণ্ড ঝাড়া দিয়ে কেমন জানি আবার
ঠান্ডা হয়ে গেল টেনার।
হেড স্যার বেত নাচাতে নাচাতে টেনার
সামনে এসে বললেন, ’বাংলাদেশের রাজধানীর নাম
কি রে টেনা, বল।’টেনা থতমত খেয়ে ঘনঘন ঠোঁট
নেড়ে তড়িঘড়ি জবাব দিল, আমাগো তুলাতুলি, না, না স্যার '
স্যার ফেলটুপাড়া স্যার।’
.
যেহেতু টেনা ফেলটু ইশকুলের ছাত্র ছিলো আর ঐখানকার ছাত্ররা ক্লাস করে না বলে সুনাম
রয়েছে এবং টেনা সেই সুনাম রক্ষার্তে নিবেদিতপ্রাণ
ছিলো। তাই ইশকুলের টিচারদের নামও জানতোনা
না চেহারাও চিনতো না ভালোমতো।ইশকুলের
সমাজ ম্যাডামরে ডাইকা আইনা
টেনাকে স্যার জিজ্ঞাসা করলেন “নিয়মিত ক্লাস
করোতো?”
টেনাঃ জ্বি স্যার।
কহিনূর ম্যাডামঃ বলত তোমাদের সমাজ ক্লাস
কে নিতেন?
টেনাঃ কহিনূর ম্যাডাম।(একবার কার কাছ থেকে যেন
শুনছিলাম যে কহিনূর ম্যাডাম সমাজ পড়ায়)
কহিনূর ম্যাডামঃ অবাক হয়ে “ম্যাডামকে চেন?”
টেনাঃ কনফিডেন্সের সাথে “অবশ্যই ম্যাডাম।চিনব
না কেন?উনিতো আমাকে খুব স্নেহ করতেন।”
আমার এই উত্তর শুনে হেডস্যার কহিনূর ম্যাডামরে
কানে কানে জিজ্ঞেস করল “আফা আপনার
কহিনূর না?!!!”
টেনা এই প্রতিভা ছোটবেলা থেকেই।ছোটবেলা থেকেই
টেনা শান্ত-শিষ্ট লেজ বিশিষ্ট প্রাণী।শুধু লেজ
খানা সামনের দিকে এই যা।শিশুকাল থেকেই তিনি
অসাধারন সুপ্ত প্রতিভাগুলোর ব্যাপক বিকাশ
ঘটিয়ে চলেছে।প্রথম এই প্রতিভার প্রকাশ ঘটায় ক্লাস ফাইভে।তখন
পরীক্ষা দিতে গিয়ে টেনা প্রশ্ন দেখে ব্যাপক
মজা পায় কাইন্দা দেয় এত মজা পাইয়্যা। কারন একটা প্রশ্নও
পারে না।কিন্তু প্রতিভার স্বাক্ষরতো রাখতে হবে। সেদিন আমাগো এগুলো লেকচার দিল....

ইংরেজি শব্দের শব্দার্থ করতে হবে।
প্রশ্নঃ Monkey
চিন্তা করে নাকি টেনা দেখলো এই শব্দ জীবনে চউক্ষে দেহে নাইকা।
কি করা যায়।হটাৎ নাকি মনে হইলো শব্দটারে সন্ধি-বিচ্ছেদ
(যদিও তখন ব্যাপারটার সাথে পরিচিত ছিলো না মিঃ টেনা) করাই।
Mon+Key। Mon মানেও জানিনা key মানে জানতো । তাই নাকি
লিখছিলো Monkey = মনের চাবি। টেনার
পাশের যে কিউট ম্যাইয়াটা পরীক্ষা দিতেছিল সেও নাকি টেনারটা দেখে এইটাই লিখছিলো।
পরীক্ষা দিয়ে এসে বাপরে যখন নিজের এই অসাধারন
প্রতিভার জানান দিলো টেনা তখনই বাপ বুঝল
এইটারে দিয়া আর কিছুই হইবো
না।
ভাইভা বোর্ডে এই রকমই উলটা-পালটা উত্তর
দিয়া মাষ্টাররে বহুত বার আউলাইয়া দিসে এই টেনা।
.
শেষমেষ হেডস্যার কইলো টেনা যদি এই প্রশ্নের ঠিকঠাক উত্তর দেস তাইলে তুই পাস......
টেনা খুশি হইয়া কইলো বলের স্যার..!!!
-- গাধা চিনস্, গাধার কয়েকটা বৈশিষ্ট্য বল...??
.
দুইটি কান, দু’টি চোখ ও দু’টি শিং বিশিষ্ট একটি গৃহপালিত
অবলা প্রাণী। এদের একটি নাকও আছে সাথে একটি কপাল ও
ইয়া বড় ভুঁড়িওয়ালা পেট এবং সে তুলনায় সরু একটি লেজও
রয়েছে। গাধা অনেকটা প্রায় ছাগলের মত সবই খায়। কিন্তু দুর্নাম
হয় ছাগলের। এরা মাঠে ফিল্ডিং মারতে ভালবাসে। গাধা আমাদের দুধ, গোবর
এবং গুঁতো দিয়ে থাকে। একবার কোরবানির ঈদে গাধার পিঠে উঠতে গেলে গাধা পাশের বাড়ির বিলকিস্রে ঠুয়া মারে
ফলে সেই মাইয়্যা ক্ষিপ্ত হয়ে আমারে গুতা দেয় এবং অকথ্য
ভাষায় গালাগাল করে ( বাকি শব্দ গালাগালের জন্য
লিখা গেল না) কিন্তু এত্ত কিছু সুবিধা গাধা থেকে পাওয়ার পরও
আমাদের জাতীয় পশু কিন্তু রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
যা দেখলে সবাই পালাই।
.
জবাবটা শুনে স্যার এক সেকেণ্ডও
দেরি করলেন না, পাঞ্জাবির হাতা গুটাতে গুটাতে বলেন,
’সোঝা হয়ে দাঁড়া।’ টেনা সোঝা হয়ে দাঁড়াল।
মনে হলো এলোমেলো হাড়গোড় একত্র
করে কোনোমতে খাড়া করল সে।
হেড স্যার মার শুরু করার আগে যাকে মারবেন তার
আপাদমস্তক পর্যবেক্ষণ করে নেন, এটা তাঁর রাগন্ত স্বভাব।
স্যার রাগে কটমটিয়ে টেনার মাথা থেকে চোখ
বুলাতে বুলাতে পায়ের পাতা পর্যন্ত গিয়ে হঠাৎ
থমকে দাঁড়ালেন। চোখ কপালে তুলে সবিস্ময়ে বললেন,
‘ঘটনা কি রে, কামাল! তোর চোখে এক ফোঁটা পানি নেই,
অথচ প্যান্টের নিচ দিয়ে কলকলিয়ে পানি বেরোচেছ যে,
ব্যাপারটা কি!’
‘হিসু করে দিছি স্যার‘ – এ কথা বলে নির্বোধ বালকের মত
কামাল ভাই স্যারের চোখের দিকে অপলক
তাকিয়ে মৃগীআক্রান্ত রোগীর
মতো কাঁপতে লাগল।
.
কালাচাঁন এদিক ওদিক খুঁজতে খুঁজতে ওদের ক্লাসের বরাবরই পাশ করা ছাত্র পাচঁনের সাথে দেখা হয়। পরবর্তী দৃশ্যপট খুবই মনোরম। টেনা দৌড়াচ্ছে কালাচাঁন মিয়াও ছুট সমান তালে চেচাচ্ছেনও বটে।"ধর,ধর"।
টেনা মরণ ছুট দিয়েছে এই দৃশ্য দেখে বন্ধু কলিমুদ্দি ভাবলো পাগলা কুত্তায় ধরলো কি না, তাছাড়া দৌড়াচ্ছে কেন? সে নিজে দৃশ্যটা কল্পনা করে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতে লাগলো।
.
টেনার বাপ কলিমুদ্দিরে পাশ কাটিয়ে আসার সময় এমন হাসতে দেখে অবাক হলেন, কাছে গিয়ে জিঙ্গাস করলেন, "কি রে কলিমুদ্দি,এমুন কইরা হাসতাছোস কেন..?? কলিমুদ্দি কইলো,
-- পাগলা কুত্তার তাড়া খাইয়া টেনা এমুন দৌড় দিছে!দেইখা হাসতাছি। " কালাচাঁন মিয়া কইলো, "কি? আমি পাগলা কুত্তা? এত বড় সাহস তোর!
কলিমুদ্দি কিছু বোঝার আগে বেতের চার-পাঁচ ঘা তার পিঠে, সেও সাথে সাথে টেনার সঙ্গী।
বুড়ো কালাচাঁন পারলোনা টেনারে ধরতে । টেনা জীবনে বই খুইলা দেখছে নাকি সন্দেহ আছে তাই হয়তো কচ্ছপ আর খরগোশের গল্পটাও জানতো না।
.
কালাচাঁন সারাদিন হাঁটতে হাঁটতে দেখে বাজারের আগের বটগাছের নিচে কি আরাম করে ঘুমাচ্ছে,"বেত দিয়া খোচাঁ দিল,"কোন হালায়রে,"
কোন হালায়না, তোর বাপ। দুই বেতের বাড়ি দিতেই ঘুম বাপ বাপ করে পালাইলো । "আব্বা,আর হইবোনা কোনোদিন,পাশ করুমই। এইবারের মত মাফ কইরা দেও,দোষ তো আমার একার না"।
বাপের কপট চোখ দেইখ্যা বুঝলো এইতো সুযোগ, "সব দোষ বুঝি আমার,স্যারগোর বুঝি কোনো দোষ নাইক্কা"। তারা ভালো কইরা পড়াইলেতো ঠিকই পাশ করতাম। টেনার হাত ধইরা টানতে টানতে নিয়া গেলো স্যারের কাছে।
.
হেডস্যার ইতোমধ্যে পাচঁন আর কলিমুদ্দির কাছে টেনার বাপের ক্ষোভের কথা শুনেছে। তার মধ্যে হাতে বেত দেখে তার মনে কু-ডাক দিল। তিনি আর দেরী করলেননা উল্টো দিকে ভৌ-দৌড় লাগালেন আর বয়সের ভারে পারলেননা। পড়ে গেলেন পাশের ড্রেনে আর সাথে সাথে টেনার বাপ হাজির।
"ও কি স্যার,এমন দৌড় দিলেন কেন" লাঠি উচিঁয়েই বললেন টেনার বাপ । নিজের কোমর সোজা করতে করতে বললেন। "এমনি, শরীরচর্চা করছিলাম", বেত নিয়ে ঘুরছেন কেনো এই ভরদুপুরে ।
" গরুরে গাধা বানাবো "-- কি বলছেন যত্তসব। কি আর আমার টেনারে এই শেষবারের মতো আপনার হাতে দিয়া গেলাম এবার যদি খারাপ হয় গাধার বাচ্চারে আর পড়ামুই না। অবশ্য এই শেষবারের মতোই কালাচাঁন টেনারে গাধার বাচ্চা বলেছিলেন............
.
সবশেষেঃ
--------------
লেখক নই পাঠক আমি
আনন্দ পাই পড়ে
গল্প কবিতা ছড়া পদ্যে
শব্দরা পড়ে ঝরে।
.
শব্দের তরী ভেসে চলে
অথৈ উপমা সায়রে
প্রেমের বৈঠা হাতে মাঝি
যাও কোথা ওরে!
.
মাঝিরা সব শব্দ যাদুকর
শব্দের খেলা দেখায়
ছন্দের ঝড় তোলে মনে
সুখের স্বপ্ন আঁকায়।
.
----------
অন্ধকার আকাশ্
----------
.
#অভ্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.