![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্ধকার রাজ্যের গন্তব্যহীন পথিক আমি...!!
সব সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে যেই ছেলেটি কিংবা মেয়েটির মুখে হাসি লেগেই থাকে। তোমরা ভাবো তার মতো সুখী আর কেউ হয় না। হতে পারে না। তার কোনো কষ্ট নেই। তোমরা কি কখনো সেই ছেলেটি কিংবা মেয়েটিকে অন্য দৃষ্টিতে গভীরভাবে লক্ষ করেছো? তোমরা কি দেখেছো ওই হাসিখুশি মুখের আড়ালে একরাশ ক্রান্তির ছাপ অস্পষ্ট ভাবে ফুঁটে রয়েছে। কিংবা চোখের নিচের ওই কালো ডার্ক সার্কেলটা কখনো খেয়াল করেছো কি? অথবা হাসিখুশি মুখের ওই বিষণ্নতার কথা? থাক! সেসব না হয় বাদ-ই দিলাম। জানি তোমরা ওসব দেখোনি। দেখার বিন্দুমাত্র চেষ্টাটুকু পর্যন্ত করোনি। তোমাদের এতো সময়ই বা কোথায়! তোমরা বুঝবে না হাসিখুশি থাকা মানুষগুলো প্রতিনিয়ত নিজের মাঝে কতোটা কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছে। সব দুঃখ, কষ্ট, বেদনার সামনে এক অদৃশ্য দেওয়াল দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আর করে যাচ্ছে এক অদ্ভুত অভিনয়। মেকি হাসি দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে বারংবার তারাই প্রকৃত সুখী। তাদের চেয়ে সুখী আর কেউ হতেই পারে না।
***
তোমরা কি কখনো ভেবেছো ক্রান্তিময় অবয়বের উপরে হাসিময় আস্তরণ নিয়ে আসতে তাদের কতো কিছু বিসর্জন দিতে হয়েছে? কিংবা চোখের নিচের ওই ডার্ক সার্কেলটা তৈরী হতে কতোটা রাত ঘুমহীন কাটিয়ে দিতে হয়েছে? জানি তার হিসেব তোমাদের জানা নেই। জানার কথা ও না। দিন শেষে তারা পায় সুখী মানুষের ট্যাগ। আর তোমরা পাও দুঃখী মানুষের ট্যাগ। তারা যখন লোকচক্ষুর আড়ালে নিঝুম রাতে একলা হয়ে পড়ে। তখন কি তোমরা তাদের খুব কাছ থেকে না হোক। একটু দূর থেকেও কি তাদের কষ্টটুকু উপলব্ধি করেছো? জানি করোনি। তোমরা তখন নিজেদের জীবন নিয়ে প্রতিদিনের মতো হা হুতাশ করতে ব্যাস্ত। তোমরা ভাবো তোমরা খুব কষ্টে আছো। আর ওই মানুষগুলোর মনে কষ্টই নেই! তোমরা আক্ষেপ করে বিধাতাকে বলে উঠো মাঝে মাঝে, 'শুধু আমি-ই কেন? আমার সাথেই কেনো এমন হয়? আমাকে কেনো ওদের মতো হতে দাও না? কেনো ওদের মতো থাকতে দাও না?'
খোঁজ নিয়ে দেখো। হয়ত তারা তোমার চেয়ে অধিক অধিক কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছে এক অদ্ভুত হাসি নিয়ে। তারা হাসতে ভালোবাসে। হাসাতে ভালোবাসে। অন্যদের ভালো রাখার মাঝেই তারা সুখ খুঁজে পায়। নিজেদের নিয়ে ওতো ভাবার সময় কোথায়? মাঝে মাঝে অভিনয় করে বেড়াতে খুব বেশি না। একটু কষ্ট হয়ে পড়ে। এই যা। এই হাসির দেওয়াল ভেদ করে ওপারে যাওয়া চারটে খানি কথা নয়। যেটা তোমরা কখনো বুঝবে না। কখনই না। ভালো থাকুক মানুষগুলো। ভালো থাকুক হাসিখুশি থাকা মানুষগুলো। খুউব বেশি-ই ভালো থাকুক।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:২৮
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: আমারো এমনটাই মনে হল অনেক ভাবার পর। সুপ্রভাত!
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৭
কল্লোল পথিক বলেছেন: খুব সুন্দর কথা বলেছেন।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩০
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল ভাই। সবসময় সাথে থাকার জন্য।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৬
বিজন রয় বলেছেন: না সবসময় কেউ সুখী না।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩১
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: সহমত। আমারও তাই মনে হয়।
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৩০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খোঁজ নিয়ে দেখো। হয়ত তারা তোমার চেয়ে অধিক অধিক কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছে এক অদ্ভুত হাসি নিয়ে।
মূল্যবান কথা।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩২
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯
সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১১
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই।
৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭
দিগন্ত জর্জ বলেছেন: আপনার সাথে সহমত। বেশি হাসিখুশি থাকা মানুষটার মঝে কষ্টও একটু বেশি থাকে।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১২
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: জ্বি আসলেই। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাসতে দেখো গাইতে দেখো
অনেক কথায় মুখর আমায় দেখো
দেখো না কেউ
হাসি শেষে নীরবতা...
এই চারটা লাইন অনেক কিছু বলে দেয়।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: চমৎকার কয়েকটি কথা হামা ভাই। আসলেই এই কয়েকটি লাইন অনেক অব্যক্ত কিছু বলে দেয়। ভালো থাকুন প্রতিটি মুহূর্ত।
৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪
নেক্সাস বলেছেন: সুখের এই পৃথিবী
সুখেরই অভিনয়
আসলে কেউ সুখি নয়
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৯
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: জ্বি, জগতে কেউই পরিপূর্ণ সুখী নয়। কিছু কিছু চাওয়া অপূর্ণই রয়ে যায়।
৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: কে বলেছে কেউ সুখী নয়? আমি তো মনে করি এই মানসিকতার/শ্রেণির লোকেরাই সবচেয়ে সুখী.........
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৩
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: কেউ যে সুখী নয়। তা বলিনি। সুখী মানুষ অবশ্যই আছে। যেমন আপনার দেওয়া ছবির মানুষ দুজন। কিন্তু আমাদের মাঝে কিছু কিছু মানুষ দেখবেন। যাদের আমরা সুখী ভাবি। কিন্তু তারা কি সত্যিকার অর্থেই সুখী? সেটাই প্রশ্ন।
১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আসলে মানুষ নিজেকে যেভাবে উপস্থাপন করে, সেভাবেই আমরা তাকে চিনি, ভাবি। হয়তো এমনটা তারা আদৌ নয়।
তবে হাসিখুশি থাকাটা জরুরী। মনের ক্লান্তি একসময় দূর হয়ে যায়। আর হাসিখুশি মানুষ সবার পছন্দের।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪০
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। সহমত আপনার সাথে।
১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মানুষের বাহির দেখে ভেতর চেনা যায় না।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪০
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: জ্বি, ঠিক বলেছেন। সহমত আপনার সাথে।
১২| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: হাসি খুসির অন্তরালে অনেক দুঃখ থাকতে পারে। কে সুখি কে অসুখি হাসি দেখে বোঝা যাবে না।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১০
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: সহমত প্রিয় ব্লগার প্রামানিক। শুভেচছা সতত।
১৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩
নীল কপোট্রন বলেছেন: পড়েছিলাম আগে।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৬
মহা সমন্বয় বলেছেন: মোটেও না.... এক গবেষণায় দেখা গেছে বরঞ্চ তারা আরও বেশি অসুখী।
যদিও সুস্থ থাকার জন্য হাসির গুরুত্ব অপরিসীম।