![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্ধকার রাজ্যের গন্তব্যহীন পথিক আমি...!!
সম্পর্কের এক পর্যায়ে এসে ছেলেটি মেয়েটিকে কিংবা মেয়েটি ছেলেটিকে হঠাৎই নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বলে বসে, 'তুমি আমাকে ভুলে যাও। তুমি আমার চেয়ে বেটার কাউকে ডিজার্ভ করো।'
অথচ কোনো এক গোধূলিক্ষণে সেই মানুষটিই তার চোখের দিকে তাকিয়ে হাতটুকু ধরে কথা দিয়েছিল, 'যতো বাঁধা বিপত্তিই আসুক না কেনো। এই হাত আমি কখনও ছেঁড়ে দিবো না। কখনই না।'
কিন্তু সেই একই মানুষটির কাছে এমন কথা শুনে ছেলেটি কিংবা মেয়েটি প্রথমে বেশ বড় একটা ধাক্কা খায়। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। পুরো পৃথিবী যেন নিমিষেই আধারে ছেঁয়ে যায়। কেউ কেউ বিশ্বাস অবিশ্বাসের দেওয়াল ভেদ করতে না পেরে বলে বসে, 'এই! তুমি নিশ্চয় আমার সাথে আবার মজা করছো। তাই না বলো?'
কিংবা 'এসব কি যাতা বলছ তুমি। মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে তোমার। একটু শান্ত হওও। আই ক্যান্ট লিভ উইদাউট ইয়্যু।'
-
একদিন যার চোখে বিন্দু জল দেখে বুকের বাম পাশে অদ্ভুত এক মোচড় দিয়ে উঠত। কিংবা নিজ হাতে আলতো করে চোখের জলটুকু মুছে দিয়ে মন ভালো করার জন্য দিশেহারা হয়ে পড়ত। ঠিক সেই রক্তেমাংসে গড়া মানুষটিরই সেদিন আর প্রিয়তমেষুর কান্নায় মন গলে না। বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না সামনে দাড়িয়ে থাকা মানুষটির গভীর কষ্টে। সে হয়ে উঠে তখন মানুষরুপী এক অনুভূতিহীন হিংস্র রোবট। তার কাছে তখন বিপরীতে দাড়িয়ে থাকা মানুষটির কষ্ট, কান্না স্রেফ বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পিছু ফিরে তাকিয়ে আর চোখের জলটুকু মুছে দেয় না কেউ। চলে যায় সে তাকে ছেড়ে নিজ গন্তব্যে।
-
ছেলেটি হয়ত ক্ষণিকের দুঃখ ভোলার জন্য নিকোটিন কিংবা নেশার জগতে আসক্ত হয়ে পড়ে। অথবা মেয়েটির প্রতিটি রাত কেটে যায় ঘুমহীন ধ্বংসাত্মক আবছা অনুভূতি নিয়ে। সময় পেরিয়ে যায়। দিন পেরিয়ে মাস। মাস পেরিয়ে বছরের পর বছর। ছেলেটি কিংবা মেয়েটি আর আগের মতো থাকে না। বাস্তবতা বুঝতে শিখে। তাদের ও একটা ছোট্ট সংসার হয়। হয় একটি সুখের সংসার। সময়ের সাথে সাথে তারা বুঝতে শিখে তাদের ছেড়ে চলে যাওয়া মানুষটি জাস্ট একজন লুজার ছাড়া আর কিছু ছিল না। তারা আর অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করে না। ফিরে তাকায় না অতীতের দুঃস্বপ্নের বেড়াজালে। শুনেছিল তারা বিধাতা যা করে ভালোর জন্যই করে। ভুল শুনেনি সেদিন তারা। ঠিকই শুনেছিল। দিন শেষে সেদিন তারাই প্রকৃত সুখী হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
পৃথিবীটা খুব বেশি বড় নয়। এখানে একই মানুষের সাথে নিজের অজান্তেই আকস্মিকভাবে দেখা হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। হঠাৎই একদিন শহরের কোনো এক ভিড়ে সুখী মানুষটির সাথে আবার সেই পুরোনো মানুষটির দেখা হয়ে যায়। সুখী মানুষটি ক্ষনিকের জন্য থমকে দাঁড়ায়। এক সময় ছেড়ে চলে যাওয়া মানুষটির বুকের বাম পাশে এবার কেনো যেন চিন চিন করে ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। না পাওয়ার কষ্ট মাথাচারা দিয়ে উঠে। পেয়েও হারিয়ে ফেলার কষ্টের দাবানলে দগ্ধ হতে থাকে সে। সুখী মানুষটি সেদিন নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে হেসে আবার ভিড়ের মাঝে হারিয়ে যায়। মনে মনে বলে উঠে, 'তুমি সেদিন ঠিকই বলেছিলে। তুমি আমায় ডিজার্ভ করোনা। তোমার চেয়ে বেটার কেউই আমায় ডিজার্ভ করে। এন্ড ইটস ট্রু। সো ট্রু!'
অপরদিকে ব্যার্থ মানুষটি ছন্নছাড়া হয়ে চলতে থাকে। বুকের মাঝে যেই দাবানল শুরু হয়েছে। তা আর থামে না। ক্রমাগত বাড়তেই থাকে। কেউ বলে না দিলেও বুঝতে অসুবিধা হয় না। মনের এই আগুন আর কখনও থামবে না। কখনই না!'
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৭
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন:
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৯
ঋজুক বলেছেন:
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: ভেংচি ক্যানো?
৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৫
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। ধন্যবাদ
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। নিরন্তর ভালো থাকুন।
৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: তবুও ভাঙা-গড়ার ভেতর দিয়েই পথ চলতে হয়।জীবনতো একটাই।ভালো লাগল পোস্ট
+
০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১০
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: এক জীবনে আমরা কতো ধরনেরই না অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই। মাঝে মাঝে ভাবতেও অবাক লাগে! অসংখ্য ধন্যবাদ রুদ্র ভাইয়া। শুভেচ্ছা রইল।
৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: আসুন আমরা কারোকে ধোঁকা না দিয়ে সবাইকে সমানভাবে ভালোবাসি :p
০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২১
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: সবাইকে সমানভাবে? কে কি আছে সেই সমানভাবের লিস্টে? ;-)
৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪
নীল কপোট্রন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সবসময়।
৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩
কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল পথিক। ভালো থাকুন সবসময়।
৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০১
মাসুদ মাহামুদ বলেছেন: একদিন যার চোখে বিন্দু জল দেখে বুকের বাম পাশে অদ্ভুত এক মোচড় দিয়ে উঠত। কিংবা নিজ হাতে আলতো করে চোখের জলটুকু মুছে দিয়ে মন ভালো করার জন্য দিশেহারা হয়ে পড়ত। ঠিক সেই রক্তেমাংসে গড়া মানুষটিরই সেদিন আর প্রিয়তমেষুর কান্নায় মন গলে না। বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না সামনে দাড়িয়ে থাকা মানুষটির গভীর কষ্টে। সে হয়ে উঠে তখন মানুষরুপী এক অনুভূতিহীন হিংস্র রোবট।
ধন্যবাদ ভাল লাগলো
০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১২
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।
৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: মনের এই আগুন আর কখনও থামবে না। কখনই না!' এইটা এই পোস্ট মডার্ন আরবান লাইফে সত্যি না। এভরি থিং ইজ রিপ্লেসেবল। সেটা সেভেন আপ, চিপস, সেলফোন বা নারী যাই হোক না কেন।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: সবকিছুর রিপ্লেসেবল হয়ে যায় তা ঠিক। তবে সব মানুষর জীবনেই হঠাৎ হঠাৎ পুরোনো সব কিছু কারণ ছাড়াই মনে পড়ে যায়। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়ে উঠে। পরে আবার যেমনভাবে ঠিক হয়ে যায়। ঠিক তেমনভাবে আবারো কোনো এক সময় কষ্টগুলো জেগে উঠে। কোনো না কোনো ভাবে এর কষ্ট কখনো না কখনো তাকে পেতেই হয়।
১০| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩
দিগন্ত জর্জ বলেছেন: কাউকে কষ্টে দিয়ে সাময়িক সুখ পাওয়া গেলেও, এটার শাস্তি পেতেই হয়। হয় আজ না হয় কাল। সুন্দর লিখেছেন।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৩
ঋজুক বলেছেন: 'তুমি সেদিন ঠিকই বলেছিলে। তুমি আমায় ডিজার্ভ করোনা। তোমার চেয়ে বেটার কেউই আমায় ডিজার্ভ করে। এন্ড ইটস ট্রু। সো ট্রু!'