নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজনই!

সাকিব ইফতেখার

লেখার মাঝেই ডুবে থাকতে চাই................ facebook.com/sakib.ifteqar

সাকিব ইফতেখার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিখোঁজ -একটি থ্রিলার কাহিনী

১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৪

শনিবার....
"মেয়েটাকে নিয়ে আর পারছিনা" আরেক পেগ নিতে নিতে সায়মাকে বলছিলো দিপু "বিয়ের পর থেকেই অশান্তিতে আছি"।


আফিফুর রহমান দিপু।
মোটামুটি ভালোরকমের বেতনের একটা চাকরি করে সে একটি বেসরকারি ব্যাংকে।
তার স্ত্রী নাদিয়াকে নিয়ে সে অনেকদিন মানসিক অশান্তিতে আছে।মেয়েটার ব্যবহার কেমন জানি।
অসহ্য!

রাত হয়ে গেছে অনেক।
দুজনেই মদ খাচ্ছে বারে বসে।
একজন খাওয়ার অনেক কারণ আছে, অন্যজন শখে।
"আচ্ছা আজ অনেক হয়েছে।আর না।এবার উঠো।তোমার অবস্থা ভালোনা।" নেশাশক্ত দিপু'কে ধরে অনেক কষ্টে তুললো সায়মা।
"চলো তুমি আর আমি পালিয়ে যাই" সায়মাকে নেশাজড়িত কন্ঠে বললো দিপু।
উত্তরে মুচকি হাসলো মেয়েটা।
কিছু বললোনা।
ছেলেটা নেশায় বুদ হয়ে আছে।
রাত ৩ টার দিকে দিপুর বাসার সামনে তাকে নামিয়ে দিয়ে গেলো সায়মা।
ছেলেটার অবস্থা বেগতিক।
কিছুই তার কন্ট্রোলে নেই।
সায়মা দিপুকে নিয়ে একেবারে তার ঘরেই ঢুকে গেলো।


তারপরদিন....
রবিবার....
সকাল ৯ টা ৩৫ মিনিট...
সকালে উঠে বউকে ডাক দিয়ে চা আনতে বলার বদলে ফোনের ডায়ালার টিপে যাচ্ছে দিপু।
"হ্যাল্লো....মি. সাদেক!নাদিয়াকে পাওয়া যাচ্ছেনা ঘরে!সারাঘর তন্নতন্ন করে খুঁজলাম।তার মোবাইল নাম্বারও বন্ধ। না পেয়ে আপনাকে কল দিতে হলো......হ্যাঁ হ্যাঁ....হুম.....আমি আসবো পুলিশ স্টেশন?....না না.....ফ্রি আছি.....আচ্ছা আসতেছি.....ঠিক আছে রাখলাম।ধন্যবাদ"
ফোনটা রেখে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিলো সে।
ঘর থেকে বের হয়েই বাইক নিয়ে ছুটলো পুলিশ স্টেশনের দিকে।

মি. সাদেক তার অনেক আগের পরিচিত।
বয়স ৫০ এর ঘরে।
অন্যান্য পুলিশ অফিসারদের মত নন উনি।
স্বাস্থ্যবান কিন্তু মোটা নন।
তার চশমা চোখে লাগিয়ে কারো সাথে কথা বললে বোঝা যায়না তিনি কার সাথে কথা বলছেন।
নাহ...উনি ট্যারা নন...গ্লাসে আলোর রিফ্লেকশনের কারণে চোখ দেখা যায়না।
পুলিশ স্টেশনে ব্রেক কষামাত্রই চোখে পড়লো মি. সাদেক'কে।
করমর্দন পর্ব শেষে সাদেক প্রথম প্রশ্নটাই করলেন "শেষ কখন দেখেছো তাকে?"
দিপু কম্পিত স্বরে উত্তর দিলো "গতকাল রাতে"
-তো...তুমি কখন বুঝলে যে উনি মিসিং?
-হুম....ঘুম থেকে উঠেই ঘরে সে নাই দেখেই আপনাকে কল দিলাম।
-ঘরে নাই দেখেই বুঝে নিলে সে মিসিং!?হতে তো পারে সে বাজারে গেছে?
-বিয়ের পর কখনো সকালে বাসার বাইরে যায়নি।আগে গেলে আমি এতোটা দুঃচিন্তা করতাম না।
থতমত খেয়ে উত্তর দিলো দিপু।
-তুমি চিন্তা করিও না দিপু।
তাকে আশ্বস্ত করলেন মি. সাদেক।তারপর দিপুকে সামনের চেয়ারে বসতে বলে উনি উনার চেয়ারে গিয়ে বসলেন।হাত নেড়ে ডাক দিলেন এক কনস্টেবলকে।
"চা নিয়ে এসো....উমম....সাথে বিস্কিট" দিপুর অবস্থা দেখে চায়ের অর্ডারই দিলেন সাদেক সাহেব।
তারপর দিপুকে প্রশ্ন করলেন,
-আচ্ছা তোমার দুঃচিন্তা কমাও....তো...নাদিয়ার সাথে তোমার সংসার জীবন কেমন ছিলো?
জেনেও প্রশ্ন করলেন সাদেক সাহেব।
-তেমন ভালো না।
-কেন?
-আমার সন্দেহ হয় তার কারো সাথে সম্পর্ক আছে।
-তোমার?
-কি বলতে চাচ্ছেন?
-তোমার কারো সাথে নেই?
-নাহ।
-আচ্ছা......সে ঠিক কোথায় কোথায় যেতে পারে তোমার মনে হয়?
-তার বাবার বাড়ি,ভাইয়ের বাসা,এক বান্ধবী আছে।সুমনা।তার বাসায়ও যেতে পারে।এ ছাড়া তার আর কেউ পরিচিত নেই।
-সবাইকে কল দিয়ে খোঁজ নিয়েছো?
-না।
-কেন?
-আমার মাথা তখন কোনো কাজ করছিলোনা।জাস্ট আপনার নাম মাথায় আসছিলো।তাই আপনাকেই কল দিলাম।
সাদেক সাহেব অনেক্ষণ মাথা নিচু করে কিছু ভাবলেন।

কনস্টেবল চা দিয়ে গেছে।ওটা মুখে নিয়ে চুমুক দিতে দিতে বললেন "আশা করি নাদিয়াকে খুব সহজে বের করে ফেলতে পারবো।সে হয়তো অভিমান করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে।গত ২/১ দিনের মধ্যে তোমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিলো?"
"না" নিরলস জবাব দিলো দিপু।
অনেক্ষণ কেউ কোনো কথা বললো না।
চা শেষ করে দুজনে উঠে দাঁড়ালেন।
"আমি সম্ভাব্য সব যায়গায় খোঁজ নিচ্ছি।আপনি একটু দেখবেন ব্যাপার টা" মি. সাদেককে অনুরোধ করলো দিপু।
সাদেক মলিন হাসি দিলেন।
দুজনে করমর্দন করে বিদায় নিলো দিপু।
তার গমনপথের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলেন সাদেক সাহেব।
কিছু একটা চিন্তা করছেন।
বিয়ের পর থেকেই ওদের সংসারে শান্তি ছিলোনা....



পরদিন...
সোমবার...
দুপুর ১ টা ১৭।
দিপু কল দিলো মি. সাদেককে।
-সাদেক সাহেব।
-হ্যাঁ দিপু বলো।
-নাদিয়ার খোঁজ পেয়েছি।সে সাহেব বাজারের একটা হোটেলে উঠেছে।মোনালিসা হোটেল।
-কিভাবে জানলে?
-আমার এক বন্ধু তাকে দেখেছে।
-আচ্ছা আমি খোঁজ নিচ্ছি।
-সাথে নাকি একটা ছেলে ছিলো।
-কি বলো!
-হ্যাঁ।
-আচ্ছা নাদিয়ার যে ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিলো তার ব্যাপারে তথ্য দিতে পারবে আমাকে?
-নাহ।ওর ব্যাপারে আমি জানিনা।তবে একবার নাদিয়ার মোবাইল ঘাটতে গিয়ে ওই ছেলের সাথে তার সম্পর্ক তা বুঝে ফেলি।মেসেজ দেখে।
-আচ্ছা তোমাকে আমি জানাবো পরের আপডেট।তুমি কিছু জানলে আমাকে জানাবে।
-অবশ্যই।
লাইন কেটে দিলো দিপু।
সাদেক সাহেব কিছুক্ষণ কি জানি চিন্তা করলেন।
তারপর এক কনস্টেবলকে ডাক দিয়ে গাড়ি বের করতে বললেন।


কিছুক্ষণ পর...
মোনালিসা হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে সাদেক সাহেব অনেক্ষণ কিছু একটা চিন্তা করলেন।
তারপর কনস্টেবলকে গাড়ির কাছে রেখে রিসিপশনিস্টের রুমে গেলেন।
শুকনা কাঠির মতো লোকটা।ক্লিন শেভ।হোমরা-চোমরা টাইপের।পুলিশ দেখে ভরকে গেলো খুব।
সাদেক সাহেব রিসিপশনিস্টের ডেস্কের সামনে দাঁড়িয়েই শুরু করলেন।
-নাম কি?
-স্যার....আ আ আমার নাম....কুমার।
-তো মি. কুমার।,কাল এবং আজকের আপনাদের রুম বুকিং এর লিস্টটা আমি দেখতে চাচ্ছি।
-কে কে কেন স্যার?
-কোনো প্রশ্ন না......
ঠান্ডা চোখে রিসিপশনিস্টের দিকে তাকালেন সাদেক সাহেব।
-স্যরি স্যার।এইযে নিন।
বুকিং লিস্টের নামগুলোতে চোখ বুলাতে লাগলেন সাদেক সাহেব।
গতকাল থেকে আজ.......
এইযে!
নাদিয়া হাসান।
গতকাল বিকাল ৪.৩০ মিনিটে বুকিং।
কিন্তু রুম ছেড়ে দিয়েছে ওরা!
আজ সকাল ৮ টায়!
সাথে আর কারো নাম নেই।
সাদেক সাহেব রিসিপশনিস্টকে জিজ্ঞেস করলেন,
-এই মেয়েটার বিবরণ দিতে পারবে?
-না স্যার।
-কেন?
-কাল এইসময় আমার ডিউটি ছিলোনা।
-ও আচ্ছা তাই।
-হ্যাঁ স্যার।
-নাম কি জানি তোমার?
-কুমার।
সাদেক সাহেব বাইরে বেরিয়ে কনস্টেবলকে বললেন "রিসিপশনিস্ট শালাকে ধরে গাড়িতে তুলো।সোজা থানায়।"


বুধবার...
বিকাল ৩.৩৩ মিনিট।
ফোন বাজছে সাদেক সাহেবের।রিসিভ করলেন কল।
-কে?
-আমি দিপু সাদেক সাহেব।
-বলো দিপু।
-কিছু পেলেন?
-পেলাম তো অনেককিছুই।তবে আরো সামনে এগুতে হবে।
-আচ্ছা দেখুন।নাদিয়া পালিয়েছে মনে হচ্ছে আপনার?
-হ্যাঁ।কোনো একটা ছেলের সাথে পালিয়েছে।
-কোথায় আছে এখন তা বলতে পারেন?
-নাহ।জানলে তো এখনই গিয়ে ধরে নিয়ে আসতাম।আচ্ছা দিপু সাহেব,সায়মা নামে তোমার একটা বান্ধবী আছে।তার সাথে একটু দেখা করা যাবে?
-হ্যাঁ অবশ্যই।বাসার ঠিকানা লাগবে?নাকি বাইরে কোথাও?
-বাসার ঠিকানাই দাও।অযথা উনাকে কষ্ট করে বাইরে আসা লাগবেনা।
দিপু থেকে সায়মার বাসার ঠিকানা নিয়ে সেখানে রওনা দিলেন সাদেক সাহেব।


অন্যদিকে....
ফোনটা রেখে সায়মাকে কল দিলো দিপু।
-হ্যাঁ সায়মা....
-হ্যাঁ বলো।
-বাসায় আছো?
-হ্যাঁ কেন?
-সাদেক সাহেব যাচ্ছেন তোমার বাসায়।
-কেন!?
একটু চমকে গেলো সায়মা।
-জানিনা।হয়তো আমাদের ব্যাপারে বুঝতে পেরেছেন।
-উনাকে এখন কল দিয়ে না বলো।আমার জরুরি কাজ আছে।উনি এসে বিরক্ত করবেন।
-স্যরি।এটা করতে পারবোনা আমি।
-প্লিজ?
-এটা খুবই বাজে ব্যাপার হয়ে যাবে উনাকে না করলে।প্লিজ বোঝার চেষ্টা করো......
সায়মা কেটে দিয়েছে।
দিপু হঠাত করেই অন্যমনস্ক হয়ে পড়লো।

রাতে একবার সাদেক সাহেব দিপুর বাসায় এসেছিলেন।
অনেক্ষণ কথা বলেছিলেন।
পারিবারিক,ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে। নিখোঁজের ব্যাপারে কেউ তেমন কথা বললোনা।
আড্ডা দিতে দিতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিলো।
আড্ডা শেষে উনি চলে গিয়েছিলেন।


শুক্রবার....
সকাল ৫ টা ৫৫।
দিপুর বাসার দরজায় করাঘাত হলো জোরে জোরে।
শব্দের কারণে তার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
বিরক্তি নিয়ে দরজা খুলতে গিয়ে চমকে গেলো সে!
সাদেক সাহেব!
উনার পেছনে তাকালো দিপু।না আর কেউ নেই।
-কি ব্যাপার সাদেক সাহেব!আপনি এতো সকালে কি মনে করে?
-নাদিয়া নিখোঁজ হওয়ার রহস্য মনে হয় বের করে ফেলেছি দিপু।
-কিভাবে?
-আগে ঢুকতে দাও। পরে বলি?

সাদেক সাহেব রুমে ঢুকে শার্ট খুলে নিলেন।
অনেক গরম।
-আপনি এতো সকালে এখানে এসেছেন কেউ জানে?
-নাহ।সকালে ঘুম থেকে উঠে সব ক্লিয়ার হয়ে যায়।তাই ছুটে আসলাম আপনার কাছে।মারাত্মক দুঃচিন্তায় ছিলাম আপনাকে নিয়ে।
-কি পেলেন?নাদিয়া কোথায়?
মি. সাদেক ঠান্ডা স্বরে জিজ্ঞেস করলেন "তো...দিপু....নাদিয়া কোথায়?”
-মানে?
-মনে হচ্ছে সব ক্লিয়ার করা লাগবেই।
-কি ক্লিয়ার করবেন?


সাদেক সাহেব ঠান্ডা স্বরে শুরু করলেন "প্রথমদিন আমার সন্দেহ হয় তোমাকেই ।সে হারিয়েছে নাকি কোথাও গেছে তোমার উপর রাগ করে তা না জেনেই পুলিশের কাছে ছুটলে।অপরাধীরা এমনই করে যেন পুলিশ তাকে সন্দেহ না করে।" বলে তাকালেন দিপুর দিকে।চুপ করে শুনছে দিপু।চেহারায় কোনো পরিবর্তন নেই "তারপর কয়েকদিন তোমার চলাফেরার উপর নজর রাখতে বললাম একজনকে।তার কথা শুনে মনে হচ্ছিলোনা তুমি কিছু করেছো।তবে তুমিই আবার খাল কেটে কুমির আনলে আমাকে তাদের হোটেলে উঠার খবর টা দিয়ে।ওখানে গেলাম আর সহজেই বুঝে নিলাম এটা নাদিয়া হতে পারেনা কখনোই!কারণ যে পালিয়ে থাকে তার নিজের নাম দিয়ে হোটেল বুক করেনা!তারপর রিসিপশনিস্টকে ধরে নিয়ে কয়েকটা মারতেই হরমর করে বলে দিলো মেয়েটার চেহারার বিবরন।নাদিয়ার সাথে কোনো মিলই নাই।হাজার হোক নাদিয়াকে তো আমি চিনি ভালো করেই।রিসিপশনিস্টকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে চুপ করতে বলা হয়েছিলো।কিন্তু জানোই তো টাকার চেয়ে জীবন বড়?আর হ্যাঁ রিসিপশনিস্ট আমাকে ধোঁকা দিতে চেয়েছিলো সে ওই সময় ডিউটিতে ছিলোনা এ কথা বলে।কিন্তু বোকা ভুলেই গিয়েছিলো নাদিয়া নামে রুম বুক করার ঘরে তারও সাইন সে দিয়ে রেখেছে!তখন কে ডিউটিতে ছিলো তার প্রমাণ"
কিছুক্ষণ থামলেন সাদেক সাহেব।
দিপুর চেহারায় এখনো কোনো পার্থক্য দেখলেন না।

-পানি হবে দিপু?
দিপু পানি আনতে গেলো।
মাথা নিচু করে বসে থাকলেন সাদেক সাহেব।
কিছুক্ষণের মধ্যেই দিপু পানি নিয়ে এলো।ওটা পান করতে করতে আবার শুরু করলেন "তারপর তোমার গার্লফ্রেন্ড সায়মার ব্যাপারে জানতে পারি তোমার এক বন্ধু থেকেই।তার পরিচয় গোপন থাক।সায়মার বাসায় গেলাম।জানো কি পেয়েছি?সায়মা বাসায় নেই!ইভেন এখন পর্যন্ত নেই!"
এবার চমকাতে দেখা গেলো দিপুকে।
"কি?" দিপু বিস্ময়ে চেঁচিয়ে উঠলো।
"হ্যাঁ।তুমি ঠান্ডা হোও।" তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলেন সাদেক সাহেব। "তারপর শুনো....জানতে পারলাম সে আজকে রাতের ফ্লাইটে দুবাই চলে যাচ্ছে।আর একটা তথ্য..তুমি আমাকে ইনফরমেশন দিয়েছো নাদিয়ার ব্যাপারে যে সে একটা ছেলে নিয়ে উঠেছে হোটেলে।আসলে সায়মাই একটা ছেলেকে নিয়ে উঠেছে যার সাথে তার অনেক আগে থেকেই সম্পর্ক।আর তোমার এতোদিনে জমানো টাকাগুলো তাকে দেয়া ঠিক হয়নি দিপু।সব টাকা নিয়ে ওই ছেলেটার সাথে সে পালাচ্ছে।"
দিপুর চেহারায় ভয়ানক পরিবর্তন দেখতে পেলেন সাদেক সাহেব।
"শান্ত হও দিপু।" সাদেক সাহেব তার কথা চালিয়ে যেতে থাকলেন "তারপর তোমার কয়েকজন পাড়াপ্রতিবেশির সাথে কথা বললাম।উনারা জানালেন তোমার ডিপ ফ্রিজের কথা।বিশাল ডিপ এনেছো।কয়েকটা তথ্যের মধ্যে এটা অন্যতম। কিন্তু আমি সেদিন রাতে এসে তোমার ঘরে ডিপ ফ্রিজ টা পাইনি।আচ্ছা ওটা কোথায়........." সাদেক সাহেবকে থামিয়ে দিলো দিপু।

উঠে দাঁড়িয়ে হাটাহাটি শুরু করলো সে।
-ডিপ ফ্রিজের পেছনে লেগে না থেকে বলুন তো আপনি নাদিয়া হারানোর পেছনে আমাকেই দোষ দিচ্ছেন?
- হ্যাঁ। নাদিয়াকে লুকিয়েছো।তারপর সায়মাকে নাদিয়া পরিচয়ে বিভিন্ন যায়গায় পাঠিয়েছো যাতে সবার মনে হয় নাদিয়া পালিয়েছে।যখন সবাই দেখবে নাদিয়া এখানে ওখানে গেছে তখন সবাই ধরে নিবে সে পালিয়েছে।আর কিছুদিন কাটিয়ে তারপর পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে এলে সায়মাকে বিয়ে করে নিতে।তাকে বলে দিলে সে যেন তার ঘরেই থাকে।শুধু যখন নাদিয়াকে দরকার তখন তাকে ঘর থেকে বের হতে বলতে।এজন্য সে কয়েকদিন ঘরে নেই শুনে তুমি রেগে গেছো।সে তোমার সাথে এতোদিন মিথ্যা বলে আসছিলো!আর হ্যাঁ সায়মার একাউন্টে তোমার সব টাকা পাঠাইয়ে দিয়েছো।কিন্তু সায়মা তোমার সাথে বেঈমানি করলো.........টাকার ব্যাপার জানলাম কিভাবে?ভুলে যেও না।তোমার একাউন্ট এর ব্যাপারে সব জানি আমি।মনে আছে একবার পাসওয়ার্ড দিয়েছিলে আমাকে?আর নাদিয়া কোথায়?”

দিপু পেছনে চলে গিয়েছিলো পায়চারি করতে করতে।পেছন থেকে সে খুব ঠান্ডা স্বরে বললো,
"সাদেক সাহেব, বেশিই বুঝে ফেলেছেন।ডিপ ফ্রিজে আরো একটা মানুষকে কেটে ৬/৭ টুকরা রাখার মতো যায়গা বাকি আছে....."
কথাটা শোনার সাথে সাথে গলায় চাকুর স্পর্শ পেলেন সাদেক সাহেব......


***************শেষ***************

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

পুলহ বলেছেন: সাদেক সাহেবকে মেরে ফেলার অংশটুকু অপ্রত্যাশিত। এক লাইন এক লাইন করে গল্প বলার স্টাইলটা ডমিনেটিং ছিলো মনে হচ্ছে, এম্নিতে আপনি গল্প লেখার ফর্মটা একটু বর্ণনামূলক করে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
গল্পের মাঝের দিকটায় সাদেক সাহেব দিপুকে একবার আপনি একবার তুমি করছিলেন, সেটা সুযোগ মত এডিট করে নিয়েন।
শুভকামনা আপনার জন্য।

২| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

অংকুর জেসফি বলেছেন: ভাল লেগেছে, শুভকামনা থাকল।

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:২২

সাকিব ইফতেখার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাদের।

আশা করি পাশে থেকে উৎসাহ দিয়ে যাবেন ।

:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.