নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক
ক্যাম্পাসটা ভালোই লাগছে।
নতুন জায়গা।
নতুন বন্ধু হবে।
ভাবতে ভাবতে একটু মুচকি হাসলো সাদাফ।
ক্যাম্পাসে পরিক্ষা দিতে আসার পর র্যাগের মুখোমুখি হয়েছিলো সে।
তার সাথে তেমন কিছুই হয়নি।
তবে এক বেয়াদব ছেলেকে অর্ধনগ্ন করে ছেড়েছিলো বড় ভাইরা।
ফ্যাকাল্টি চিনতে অসুবিধা হয়নি।
ভর্তি পরিক্ষা দেয়ার সময়ই দেখে গিয়েছিলো।
তখনই পণ করেছিলো এখানেই চান্স পেতে হবে।
যেভাবেই হোক!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়!
স্বপ্ন পূরণ হলো!
ক্লাসরুম দ্বিতীয় তলায়।
সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলো সাদাফ।
আরেকটা মানুষের সাথে দেখা হবে আজকে।
অনেকদিন যাবৎ তার সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা হচ্ছিলো।
একইসাথে দুজনই চান্স পেয়েছে।
সাদাফ আর অহনা একই ডিপার্টমেন্টে।
মেয়েটা দেখতে কেমন জানেনা সে।
কিন্তু প্রেমে পড়ে গেছে।
মেয়েটাকে যদিও এখনো জানানো হয়নি।
সুযোগ বুঝে জানাবে।
ক্লাসরুম খুঁজে পেতে বেগ পেতে হলোনা।
২০৬ নাম্বার রুম।
ক্লাসরুমে ঢুকেই কেমন জানি লাগা শুরু হলো সাদাফের।
অন্যরকম একটা অনুভূতি।
সবাই অপরিচিত।
যে যার মতো বসে আছে।
স্যার এখনো আসেননি।
ডিপার্টমেন্ট এর দুই-একজনের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হলেও তেমন কথা হয়নি।
তাই সে চুপচাপ পেছনের সারির বেঞ্চের দিকে যেতে শুরু করলো।
হঠাৎ হুচোট খেলো কিছুর সাথে।
হুড়মুড়িয়ে পড়তে পড়তে নিজেকে সামলে নিলো।
কিসে পা বাধঁলো দেখতে যেয়ে একটু লজ্জ্বাই পেলো।
একটা ছেলে পা বাড়িয়ে দিয়েছিলো।
সেটাতেই তার পা লেগে গিয়েছিলো।
ছেলেটা চোখ পাকালো,
-কি হে রামগোপাল?চোখে দেখোনা?
-সাদাফ....সাদাফ আহমেদ।
-কার নাম?আমার না তোমার?
-তোমার সাথে পরিচিত হবার ইচ্ছা নাই আমার।তাই তোমার নাম জানতে চাইলাম না।আমি আমার নামটাই মনে রাখতে বললাম।
সাদাফের ঠান্ডা গলার আওয়াজে ছেলেটা একটু ভড়কে গেলো।
আর কিছু না বলে নিজের কাজে মনযোগ দিলো।
সাদাফ আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো অনেকেই তার দিকে তাকিয়ে আছে।সে মাথা নিচু করে চুপচাপ পেছনে একটা বেঞ্চে বসে পড়লো।
সাদাফের পাশের ছেলেটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করলো,
-হ্যায়!আমি জুনায়েদ।
-গুটিবাজ জুনায়েদ?
-আরে না মিয়া।
-আমি সাদাফ আহমেদ।
-পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো।
-আমারো।
তারপর দুজন কিছুক্ষণ চুপ।জুনায়েদ আবার কিছু বলতে চাচ্ছিলো। ঠিক তখনই স্যার ক্লাসে ঢুকলেন।ক্লাসে পিনপতন নীরবতা।
স্যার সবাইকে ধন্যবাদ জানালেন চুপচাপ থাকার জন্য,
-আমার ক্লাসে চুপচাপ থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।এখানে অনেক স্টুডেন্টস।তাই সবার নাম একজন একজন করে আর জিজ্ঞেস করলাম না।আমি তোমাদের হিল্লোল স্যার।এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পাশ করেছি বছর তিনেক হলো।
স্যার উনার বক্তৃতা দিচ্ছেন আর সাদাফের চোখ খুঁজে বেড়াচ্ছে অহনাকে।
জুনায়েদ ব্যাপারটা খেয়াল করে তাকে জিজ্ঞেস করলো,
-কাকে খুঁজছো?
-কাউকে না।
-গার্লফ্রেন্ড?
-সবসময় দুই নাম্বারি চিন্তাভাবনাই শুধু ঘুরে মাথায়?
-না।তিন নাম্বারি চিন্তাভাবনা ঘুরে।
এবার তার দিকে বিরক্ত হয়ে তাকালো সাদাফ।ইচ্ছে করছে ছেলেটাকে লবণ-মশলা লাগিয়ে তেল দিয়ে ভালো করে ভেজে খেয়ে ফেলে।
অনেক কষ্টে ইচ্ছেটা দমন করলো।
অন্যপাশে আরেকটা ছেলে সাদাফকে জিজ্ঞেস করলো,
-অহনাকে খুঁজছো বুঝি?
সাদাফ অবাক হলো ভীষণ,
-তুমি কিভাবে বুঝলে?
-এই একটামাত্র মেয়েই তো আমার মেসেজের রিপ্লাই দিয়েছে!কথা বলে যতটুক বুঝলাম অনেক ফ্রি মেন্টালিটির মেয়ে।
-তাই!হুম অহনাকেই খুঁজছিলাম।
-ক্লাস শেষে একসাথেই খুঁজবো?
-ঠিক আছে।
-ওহ!পরিচয় তো দিলাম না।আমি বাবু।
-তো ভার্সিটিতে ভর্তি হলে কিভাবে!?
-মানে কি!নিজ যোগ্যতায় ভর্তি পরিক্ষা দিয়ে।
-ওহ।
-হঠাৎ এমন প্রশ্ন?
-নাম বাবু তো। তাই।
ছেলেটা কেমন জানি মর্মাহত হলো মনে হচ্ছে।আর কিছু না বলে স্যারের লেকচারে মনযোগ দিলো।
হঠাৎ স্যার ডাক দিলেন,
-এই!এই সাদা শার্ট পড়া ছেলে।উঠো।আর এই মেয়ে....হ্যাঁ তুমি...উঠো।কি ব্যাপার?আমি লেকচার দিচ্ছি আর তোমরা দুজনের একজন পাশের জনের সাথে কথা বলছো আরেকজন মোবাইল টিপছো!সমস্যা কি?
সাদাফ আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ালো। সাদা শার্ট একমাত্র সেই পড়ে আছে ক্লাসের মধ্যে।আরেকটা মেয়ে দাঁড়ালো।
স্যার প্রথমে সাদাফকে জিজ্ঞেস করলেন,
-সমস্যা কি?
-কোনো সমস্যা নাই স্যার।
-তাহলে পাশের জনের সাথে কি এতো কথা?
-দুঃখিত স্যার।
-ঠিক আছে।নাম কি তোমার?
-সাদাফ...সাদাফ আহমেদ।
-বন্ড....জেমস বন্ড?
ক্লাসের মধ্যে হাসির রোল উঠলো।সাদাফও হেসে দিলো,
-জ্বী স্যার।
-বসো!
স্যার এবার মেয়েটার দিকে ঘুরলেন,
-কি সমস্যা আপনার?
-স্যার মোবাইল হঠাৎ অন হচ্ছিলোনা।তাই ঠিক করার চেষ্টা করছিলাম।
-এক কাজ করো।ফ্যাকাল্টির বাইরে একটা মোবাইল ওয়ার্কশপ খুলে বসো।ভালো ইনকাম হবে।
-ইয়ে.....
-নাম কি?
-অহনা খাঁন।
নামটা শুনে মেয়েটার দিকে ঝট করে বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে তাকালো সাদাফ!
অহনা!
(চলবে......)
১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫
সাকিব ইফতেখার বলেছেন: সাথে থাকুন।
ভালো একটা গল্প উপহার দিবো আশা করছি।
গল্পটা বড় হবে।তাই পার্ট পার্ট করে দিবো।
২| ১২ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০
আলগা কপাল বলেছেন: একবারে দিলে ভালো হতো না? আমার আবার সিরিজ টাইপের লেখাগুলো পছন্দ হয় না। আমার এক নিঃশ্বাসে পড়ার অভ্যাস। যদি বড় উপন্যাস হয় তো লেখাটার পিডিএফ বানিয়ে লিংক দিয়ে দিলেই আমি খুশি।
৩| ১৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৯
সাকিব ইফতেখার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য
ভালো ব্যাপার ধরিয়ে দিলেন।
ইনশাল্লাহ একসাথেই পাবেন
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮
ওমেরা বলেছেন: ভাল লাগছে মোটামুটি ।