![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের স্বভাব হচ্ছে পিছন দিয়ে টেনে ধরা ।সে চায়না তার সামনে দিয়ে কেউ এগিয়ে যাক ।খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এই স্বভাবের বাইরে থাকতে পারে ।যুগে যুগে তারাই মহাপুরুষ হয়েছে,হচ্ছে,হয়ে যাবে ।।(প্রথম লাইনটা আমার স্কুল জীবনের প্রিয় শিক্ষক জাবেদ স্যারের ।পরের লাইনগুলি আমার লেখা)
ছোট বেলায়
শবে'বরাত ছিল আমি
ও আমার
সমবয়সীদের কাছে
উত্সবের দিন ।
আমি,রাসেল,মহাব্বাত,
রসুল আমিন,খলিল,
ফিরুজ আমরা সংঘবদ্ধ
দল ছিলাম,
হাসিবও পরে যোগ দিতো ।
শবে'বরাতের দিন
সন্ধ্যার পর থেকেই
শুরু হতো আমাদের
আনন্দ ।
ঈশারের আযান দিলেই
গোসল করতে খালে
নেমে যেতাম ।
একসাথে অনেক মানুষ
গোসল করতাম ।
মজাই ছিল অন্যরকম ।
শবে'বরাতের সময়
আমরা সারারাত মসজিদে
অবস্থান করতাম ।
নামায,জিকিরে আমরা
মুখরিত থাকতাম ।
কে কয় রাকায়াত নামায
পড়তাম তা নিয়ে হতো
প্রতিযোগীতা ।
কে বেশি পড়তে
পারে তা নিয়ে
চলতো হাড্ডাহাড্ডি
লড়াই ।
হাসি-ঠাট্টাও করতাম ।
খলিল,আমি আর
রসুল আমিন ফাজলামি
বেশি করতাম ।
একবার তারাবির
নামাযের সময় হুযুরের
ফোনে ১৪৫ টি মিসকল
দিয়েছিলাম আমি আর
রসুল আমিন ।
সে কথা আরেকদিন
হবে ।
ক্লান্তি আসতো না
আমাদের ।
তবে মাঝে মাঝে
প্রস্রাব করতে বাইরে
যেতে হতো ।
তখন ওযু করতে
হতো সেই ফাঁকে একটু
ঘুরাঘুরিও হতো ।
তারপর শেষরাতের
দিকে মাইকে গজল
গাইতাম আমরা ।
মহাব্বাতের কন্ঠে মায়া
আছে,ও বেশি গাই তো ।
তারপর রোযা রাখার
জন্য খেতে বাড়ি যেতাম ।
খেয়ে দেয়ে এসে
ফজরের নামায পড়তাম ।
সকাল বেলা উঠে
আমরা ঘুরতে বেরোতাম
আর বাড়ি বাড়ি চলতো
সুজি আর রুটি
বানানোর ধুম ।
অন্যেরা রোযা থাকলেও
আমি পারতাম না ।
এক ঘুরলি দিয়ে বাড়ি
এসে রাঁন্নাঘরে যেতেই
রোযা ভঙ্গ হতো
সারাদিন অনেক
ভিক্ষুক আসতো ।
তাদের ঐদিন চালের
পরিবর্তে রুটি আর
সুজি দিতাম ।
সন্ধ্যাবেলায় ইফতারের
আগে প্রতিবেশীদের
বাড়ি থেকে রুটি
আর সুজি আসতো,
আমরাও দিতাম ।
এখন বড় হয়েছি ।
সুজি আর রুটির সেই
শবে'বরাত অনেক
আগেই হারিয়ে গেছে
কিন্তু স্মৃতির পাতায়
সেই দিনগুলি এখনো
আছে,থাকবে ।।
©somewhere in net ltd.