নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জয় করবো বাংলাদেশ ।।

বাংলাদেশপন্থী ।।

Aabid

মানুষের স্বভাব হচ্ছে পিছন দিয়ে টেনে ধরা ।সে চায়না তার সামনে দিয়ে কেউ এগিয়ে যাক ।খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এই স্বভাবের বাইরে থাকতে পারে ।যুগে যুগে তারাই মহাপুরুষ হয়েছে,হচ্ছে,হয়ে যাবে ।।(প্রথম লাইনটা আমার স্কুল জীবনের প্রিয় শিক্ষক জাবেদ স্যারের ।পরের লাইনগুলি আমার লেখা)

Aabid › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি বিপ্লবের কারন লিখছিঃ

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৪

আজ থেকে ৪৫ বছর
আগে পৃথিবীর বুকে একটি
স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল ।
তার নাম বাংলাদেশ ।
যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে
গড়তে শেখ মুজিব হাত
দিয়েছিলেন কিন্তু হাত সঠিক
সঠিক স্থানে ফেলাতে
পারেননি ।
তিনি সর্বপ্রথম এই জাতিকে
পঙ্গু করেছেন ৭২ সালের
সংবিধান দ্বারা ।
তিনি যদি জানতেন
৪৫ বছর পর এদেশের
ভাগ্যে কি হবে তাহলে হয়তো
ঐটা করতেন না ।
তিনি ঐ সংবিধান দ্বারা
এ জাতির জন্য শ্রেণী
সংগ্রাম হারাম করেছিলেন
এবং এখন পর্যন্ত তা বিদ্যমান ।
ফলস্বরূপ,
১৬ কোটির এই বাংলাদেশ
আজ পুঁজিবাদীদের আঁতুর
ঘরে পরিণত হয়েছে ।
কিছুদিন আগে কোথায়
যেনো দেখেছিলাম যে,
বাংলাদেশে ১ কোটি
কোটিপতী আছেন !
আবার প্রায়ই শুনি,
সুইস প্যাংকে হাজার কোটি
টাকা আঁটকে গেছে এদেশের
কোনো কোটিপতির যা
দিয়ে ১০০ টা পদ্মাসেতু
অনায়সে করা যাবে ।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে
শেখ মুজিব শিল্পকারখানাকে
রাষ্ট্রীয়করণ করেন ।
বেশ ভাল কাজ করেছিলেন
কিন্তু তিনি হয়তো তাকিয়ে
দ্যাখেননি যে কারখানাগুলির
দায়িত্বে কোন কোন
রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা আছেন ।
ফলস্বরূপ,
পকেটশূণ্য অসংখ্য নেতা
অতি অল্পসময়ে আঙুল
ফুঁলে কলাগাছ হয়েছেন ।

শেখ মুজিব হত্যা পরবর্তী
সময়ে বাঙ্গালী জাতির
ইতিহাস বিকৃত করা
হয়েছে ।
ঐ সময়ে দেশপ্রেমে উদ্দীপ্ত
ও সত্‍সাহসী কোনো নেতা
ছিলেন না ।
যারা ছিলেন (খালেদ মোশাররফ,কর্ণেল তাহের,
সৈয়দ নজরুল ইসলাম,
তাজউদ্দীন আহমেদ)
তাদের ৮০ সালের
আগেই হত্যা করা হয় ।
নিঃসন্দেহে শেখ মুজিব
হত্যা পরবর্তী ৫ বছরের
ভিতর জাতির শ্রেষ্ঠ
সন্তানেরা অত্যন্ত নির্মমতার
সাথে পৃথিবী ছেড়েছেন ।
ফলস্বরূপ,
এ দেশ ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের
একটি শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত
হয়ে গেছে ।
আর ধর্মীয়তা দেখিয়ে
বিশ্বের কোটিপতি ইসলামী
রাষ্ট্র (কাতার,ডুবাই,সৌদী আরব) থেকে আনা হয়েছে বিপুল অর্থ ।
সেই অর্থও ভাগবাটোয়ারা
করে খেয়েছে এ দেশের
নেতারা ।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে
এদেশে দুই একজন বাদে
কোনো ভাল সাহিত্যিক
বের হয়নি ।
আর যারা ছিলেন তাদের
পরিকল্পিতভাবে হত্যা
করা হয়েছে ।
এদেশের বাম রাজনীতির
দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন
তুখোড় কলমবাজ আহমদ
ছফা ।
আর একজন ছিলেন
হুমায়ূন আজাদ ।
যার প্রতিটা কথা বাঙ্গালী
জাতির ক্ষেত্রে সত্যে পরিণত
হয়েছে ।
অত্যন্ত,
দুঃখের কথা হলো দু'জনকেই
মরতে হয়েছে অত্যন্ত
নির্মমভাবে ।
এর মধ্যে,
আহমদ ছফার সাহিত্যগুলিকে
সুপরিকল্পিতভাবে এদেশের
যুবক শ্রেণীর কাছ থেকে
দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে ।
যদি আহমদ ছফার বই
হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের
মতো সবাই পড়তো তাহলে
এদেশে আওয়ামী-বিএনপি
বলে কোনো দল থাকতো
না ।
আর তাই তাকে এদেশের
সাহিত্যচর্চা থেকে ছেঁটে
ফেলা হয়েছে ।

২০০০ সালে বিএনপি
ক্ষমতায় এসেছিল ।
আমি তখন বাচ্চা ।
২০০০-২০০০৬
সাল এই সময়ে বাংলাদেশ
বুক জুড়ে সবচেয়ে বেশি
চুরি-চামারি হয়েছে ।
শত শত কোটি টাকা
নিয়ে তারেক জিয়া
বিদেশে স্বর্গপুরী গড়েছেন ।
ঐ সময়েই তৈরী হয়েছে
বাংলা ভাইয়ের মতো
জংগী ।
নিঃসন্দেহে আজকের
ব্লগার হত্যাকারীদের
জন্মও ঐ সময়ে ।
বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল
আহমদ ছফাকে হত্যা করে
আর ক্ষমতা থেকে
নেমেছিল হুমায়ূন আজাদকে
হত্যা করে ।

২০০৭ সালে ক্ষমতা
পায় ফখরুদ্দীন আলমগীর ।
এই ছোটখাটো ভদ্র
মানুষটি ২ বছরে যা করেছে
তা বিরল ।
তিনি দেশ থেকে দূর্নীতি
আতংক দূর করেছিলেন ।
তখন ঘুষ খাওয়ার আগে
১০ বার ভাবতো সবাই
কারন বিটিভিতে তখন
প্রচার হতো একটি গান-
"রাত দুপুরে যদি দুদক
ধরে...দুদক দুদক ।"

তখন আমি ক্লাস
ফাইভে পড়ি ।
অতিরিক্ত দুষ্টু ছিলাম ।
ঐ গান শুনে গান
বানিয়ে ফেললাম-
রাত দুপুরে যদি দুধ
ধরে :-D
আমি সবসময়ই ভদ্র
ফাজিল তবে খারাপ নই ।

যাহোক,
২০০৯ সালে ক্ষমতা
পায় আওয়ামীলীগ সরকার ।
ঐ বছরেই হত্যা করা হয়
দেশের শ্রেষ্ঠ ৫৭ জন
সেনা অফিসারকে ।
জাতি হয় আরেকবার
মেধাশূণ্য ।
আওয়ামীলীগ সরকার
যে ধোয়া তুলসি পাতা
তা কিন্তু নয় ।
শিক্ষাব্যবস্থার ১২ টা
বাজানো হয়েছে ।
আজকেই খবরে দেখলাম,
ঢাবিতে 'ঘ' ইউনিটে
পাশের হার মাত্র ৯ !

নিঃসন্দেহে,
আগামী ২০ বছরের
মধ্যে বাংলাদেশ মেধাশূণ্য
হয়ে যাবে ।
তবে এতে শিক্ষামন্ত্রী ও
সরকারের কোনো ক্ষতি
হচ্ছেনা কারন স্বাক্ষরতার
হার দেখিয়ে ঠিকই তারা
উন্নত দেশ থেকে অর্থ
এনে পকেট ভারী করছে
কিন্তু দেশ হচ্ছে মেধাশূণ্য ।


সব,সবকিছু বিবেচনা
করে একটা সিদ্ধান্তেই
আসা যায় তা হচ্ছে-
বিপ্লব ।
একটি বিপ্লবের বড়
প্রয়োজন বাঙ্গালী জাতির ।
পুঁজিবাদীদের থামিয়ে দিতে,
ফুটপাথের শিশুর চোখের
জলের জন্য,
ডাস্টবিনে পড়ে থাকা সদ্য
জন্ম নেওয়া শিশুটির জন্য,
কঙ্কালসার মায়ের বুকে
দুধ না পেয়ে কাঁন্নারত
শিশুটির জন্য,
বস্তা হাতে কাগজ টোকানো
চকচক চোখে তাকানা
কিশোরী মেয়েটার জন্য,
একটা লাল জামার জন্য
দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে
থাকা কিশোরীর জন্য,
প্রেমিকার স্তনে প্রেমিকের
কালো থাবা বন্ধের জন্য,
আঙুল ফুলে কলাগাছ
হওয়া থামাতে,
কোরআন প্রেমীদের ভন্ডামী
থামাতে,
জনগনকে ফুটবল বানিয়ে
খালেদা-হাসিনার ফুটবল
খেলা বন্ধ করতে,
দেশটাকে মেধাশূণ্য করা
থামাতে,
জামায়াত-শিবিরের ধর্মকে
ঠাপানো রুখতে,
রক্ত লাল ঐ সূর্যটার জন্য
একটি বিপ্লব বড্ড
প্রয়োজন ।
একটি রক্তাক্ত ঢাকা শহরই
পারে একটি উজ্জল বাংলাদেশ
তৈরি করতে ।
একটি রক্তাক্ত বিপ্লবই
পারে দুর্নীতিকে থামিয়ে
দিতে ।

বিপ্লবী সংগঠনগুলির
প্রতিঃ-
দেশের ৬৫ টি জেলায়
১০ জনের কমিটি তৈরি
করুন ।
খেটে খাওয়া মানুষদের
বিপ্লবী হতে শেখান,
জনগনের অংশগ্রহণ ছাড়া
বিপ্লব সম্ভব নয় ।
বাংলাদেশের ৬০ হাজার
ওয়ার্ড থেকে ১ জন করে
আনলেও ৬০ হাজার
যুবক আসবে,
পরিকল্পিত উপায়ে ঢাকাকে
ব্লক করে দিতে হবে ।
এবং অতিদ্রুত সেনাবাহিনী
হেডকোয়ার্ডার,বঙ্গোভবন,
আওয়ামী-বিএনপি অফিস
ঘেরাও করে ফেলতে হবে,
কেউ প্রতিবাদ করলেই
গুলি চালাতে হবে ।
মনে রাখতে হবে,
যে প্রতিবাদ করবে
বুঝবেন সেইটাই বদমায়েশ ।
বদমায়েশ বাঁচিয়ে রাখা
যাবেনা ।

দেশের সমস্ত মিডিয়া
ও গণমাধ্যম অফিস ঘেরাও
করে একটাই শিরোনাম
দিতে হবে-
"দেশে গণবিপ্লব শুরু,
সংবিধান,সরকার বাতিল ।
জনগনকে শান্ত থাকার
আহবান"

মনে রাখতে হবে,
বাঙ্গালী জাত স্রোত যেদিক যায় সেদিক যাবে,
বিপ্লব হয়ে গেলে কুত্তাটাও
ঘেউ ঘেউ বন্ধ করে দিবে ।

ব্যাপারটা কঠিন মনে হতে
পারে কিন্তু ৬০ হাজার যুবক
কম না ।
ভেবে দেখবেন,হে বিপ্লবীরা ।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.