নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জয় করবো বাংলাদেশ ।।

বাংলাদেশপন্থী ।।

Aabid

মানুষের স্বভাব হচ্ছে পিছন দিয়ে টেনে ধরা ।সে চায়না তার সামনে দিয়ে কেউ এগিয়ে যাক ।খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এই স্বভাবের বাইরে থাকতে পারে ।যুগে যুগে তারাই মহাপুরুষ হয়েছে,হচ্ছে,হয়ে যাবে ।।(প্রথম লাইনটা আমার স্কুল জীবনের প্রিয় শিক্ষক জাবেদ স্যারের ।পরের লাইনগুলি আমার লেখা)

Aabid › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্র রাজনীতিঃকিছু কথা ।।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪০

রাত ১১:২৫ বাজে ।
এই সময়ে এটা লিখতে
বসেছি ।
একধরনের বোকামী
বটে ।
আমার আবার কাল
এক্সাম আছে ।
ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক
আগে ভাবলাম এতো কিছু
নিয়ে লেখালেখি করি
অথচ "ছাত্র-রাজনীতি"
নিয়ে কিছু লিখিনি ।
এই ব্যাপারটা মাথায়
এসেছে আবার রূপার
কথা ভাবতে ভাবতে ।
যাহোক,
এই ব্যাপারটা
আমাদের দেশে প্রকট
রূপ ধারণ করেছে যা
পৃথিবীর অন্য কোনো
রাষ্ট্রে আছে কিনা জানা
নেই ।
শেখ হাসিনা অত্যন্ত
সূক্ষ্মভাবে যে দেশের
হাল ধরছেন তাতে কোনো
সন্দেহ নেই কিন্তু দেশটা
যে গরম হচ্ছেনা তা কিন্তু
নয় ।
একমাত্র শেখ হাসিনার
কারনেই এই উত্তপ্ততা
বুঝা যায় না ।
আমি তার এই ধরণের
নেতৃত্বকে স্যালুট জানাই ।

যা হোক,
প্রসঙ্গে ফিরে আসি ।
দেশে কিছু নব্য বুদ্ধিজীবীর
জন্ম হয়েছে যারা চায়
"ছাত্র-রাজনীতি" বন্ধ
করা হোক ।
আমি অবশ্যই এর স্বপক্ষে
নেই ।
কারন আমি ছাত্র-রাজনীতির
সোনালী অতীত জানি ।
সেই যে কবে থেকে
শুরু হয়েছে তা তো সেই
হাই-স্কুল থেকেই পড়ে
আসছি ।
ইতিহাস বইতে পড়েছি,
সমাজ,সামাজিক বিজ্ঞান,
বাংলা,বাংলা-২য় পত্র
কোথাও না কোথাও এ
সম্পর্কে কিছু না কিছু
আছে ।

আমাদের বাঙ্গালীর
একটাই সমস্যা আসল
জিনিসটাকে এড়িয়ে যাই ।
সাম্প্রতিককালে আমাদের
শিক্ষামন্ত্রী জনাব নুরুল
ইসলাম নাহিদ এই দৃষ্টান্ত
স্থাপন করেছেন ।
উনি প্রশ্ন ফাঁসকারীদের
না ধরে পরীক্ষা পদ্ধতি
পাল্টাচ্ছেন,সামাজিক
যোগাযোগ বন্ধ এবং
এটা সেটা করেই যাচ্ছেন
অথচ অপরাধীদের বেলায়
উনি পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন ।
হাহাহা,অতি হাস্যকর
ব্যাপার ।

ফিরে আসি ছাত্র-রাজনীতিতে,
এ ব্যাপারে যা বলছিলাম যে
দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো
পয়দা হওয়া চুশিল সমাজ
প্রায়ই ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধের
উপর জোর দেন ।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপারটা
যুক্তিযুক্ত মনে হলেও অতীত
অন্য কথা বলে ।
উপমহাদেশ যে ব্রিটিশদের
২০০ বছরের উপনিবেশ
থেকে মুক্তি পেয়েছে তার
পেছনে ছাত্র সংগঠনের
ভূমিকা অনবদ্য ।
পরবর্তীতে-
পাকিস্তান সৃষ্টি,
ভাষা আন্দোলন,
আইয়ুব বিরোধী সংগ্রাম,
৬৬ এর ৬ দফা,
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যত্থান,
১১ দফা এবং সর্বশেষ
৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ
কোথায়,কোথায় নেই
ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা ?

ছাত্র-রাজনীতিকে তো
ধ্বংস করা হয়েছে ।
ব্যাপারটা আরেকটু ক্লিয়ার
করে বলি-
ছাত্র-রাজনীতি থেকে
ছাত্র কেটে দিলাম থাকলো
"রাজনীতি" ।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
রাজনীতির সংজ্ঞা এমন-
"ক্ষমতার জন্য নানারকম
কর্ম ও কান্ড ।"

এইসব কর্মকান্ডের
অধিকাংশই ফ্যাসিবাদ,
অন্যায় আর অবৈধ
প্রভাব খাটানোতেই
সীমাবদ্ধ ।
আর এইসব কর্ম ও কান্ডে
ছাত্রদের যুক্ত করে গড়ে
তোলা হয়েছে একটি নষ্ট,
দূষিত ছাত্র-রাজনীতি ।

বাংলাদেশের দুটি বৃহত্‍
ছাত্র সংগঠন হল
ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল ।
এর মধ্য ছাত্রলীগকে
শেখ মুজিবুর রহমান
১৯৪৮ সালে নিজ
হাতে গড়ে তুলেছেন ।
প্রথম দিকে এর নাম
ছিল-
পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ ।
পরবর্তীতে নাম কেটে
শুধু ছাত্রলীগ করা হয়
এবং এটিই বাংলাদেশের
সবচেয়ে পুরনো ও
ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন ।
আর ১৯৭৯ সালে
মেজর জিয়ার তৈরি
বিএনপি থেকে সৃষ্টি
হয়েছিল ছাত্রদলের ।

দেশের বড় দুই দল
আওয়ামী ও বিএনপি
প্রতি ৫ বছরে এই
দুটি ছাত্র সংগঠনের
ভেতর থেকে অসংখ্য
লক্ষণ সেন আর বখতিয়ার
খলজি তৈরী করছেন :-P

ব্যাপারটা একটু ঘোলাটে
লাগলো তাই তো ।
আমি ঘোলাটে কিছুই
রাখতে চাইনা ।
ক্লাস এইটের বইতে পড়েছিলাম
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ
বিন বখতিয়ার খলজি
১২০৪ সালে বাংলায়
মুসলিম শাসনের সূত্রপাত
ঘটান ।
তখন বাংলা শাসন
করছিলেন লক্ষণ সেন ।
বখতিয়ার সামনের দরজা
দিয়ে ঢুকছিলেন আর
লক্ষণ সেন পিছনের দরজা
দিয়ে পালিয়েছিলেন ।

আমাদের ছাত্র রাজনীতিটাও
এরকম করে ফেলা হয়েছে ।
আজ একদল ক্যাম্পাস
শাসন করছেন কাল
ক্ষমতার পালা বদলে
আরেকদল প্রধান ফটক
দিয়ে ঢুকছে আর একদল
পিছন দিয়ে পলাচ্ছে ।

আজ ছাত্রনেতাদের নামে
কত কিছু শুনি-
ধর্ষণের সেঞ্চুরী,
ক্যাম্পাসের নতুন মেয়েদের
ডেকে এনে বুক আর
কোমড়ের মাপ নেওয়া,
তুলে এনে ধর্ষণ,
ক্ষমতার জোরে হত্যা,
গুলি করা,চাপাতি নিয়ে
প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসে মহড়া,
শিক্ষকদের সাথে বেয়াদবি
আরো কতকিছু ।

কিন্তু অতীত কি বলে ?
অতীত বলে শেখ মুজিবের
উত্থান হয়েছিল ছাত্র-রাজনীতির
হাত ধরেই ।
৭১ পূর্ববর্তী যতো নেতা
ছিল তাদের প্রত্যেকেরই
খুঁটি ঐ ছাত্র-সংগঠন ।

আর বর্তমান সময়ে
ছাত্র-রাজনীতির নামে
ভুরি ভুরি লক্ষণ সেন
আর বখতিয়ার পয়দা
করা হচ্ছে ।

কাকে কি বলবো !
সবই তো এক ।
আওয়ামী-বিএনপি সবাই
ই তো ক্ষমতা চায় ।
আর জামায়াত গড়ে
তুলছে একটি স্বাধীনতা
ও সার্বভৌম বিরোধী
সংগঠন ছাত্র শিবির ।
যাদের প্রধান কাজ
রাজাকার বাঁচাতে রাজপথে
ভাংচুর আর সুন্দরবন
রক্ষায় নিরব থাকা,
শুওরের বাচ্চা সব ।

তুখোর কলমবাজ
আহমদ ছফার একটা
কথা আছে-
"ছাত্র-রাজনীতি হলো
রাজনৈতিক শিশু শ্রম ।"
কথা ১০০% সত্য ।

আমরা সবাই ক্ষমতার
জন্য ছাত্রদের হাতে
অস্ত্র তুলে দেই কিন্তু
একটা টেলিস্কোপ তুলে
দিয়ে বলেনা যে নতুন
কিছু আবিষ্কার করো ।

আমরা বাঙ্গালী জাত ।
আমি নিজেও বাঙ্গালী ।
তারপরো মাঝে মাঝে
ভাবি আমরা হচ্ছি
নেড়ী কুত্তার জাত ।
রাঁস্তায় যদি একদলা
'গু' পড়ে থাকে আমরা
তা নিয়েও রক্তপাত
করি ।
আমরা অন্যায় দেখে
সামান্য একটু চিল্লায়
আবার কুত্তার মতো
ক্রমে ঘেউ ঘেউ করতে
থেমে যাই ।
আমরা এমনি বেহায়া
জাত যারা দলকানা ।
দল পাদ দিলেও আমরা
তাকে সুগন্ধী মনে করি ।

আজ ছাত্র-রাজনীতির
বেহাল দশা,
টেন্ডারবাজি,সন্ত্রাসী আর
গুলাগুলি,চাপাতিতে এসে
থেমে গেছে ছাত্র-রাজনীতির
চেতনা ।
সেদিকে আওয়ামী-বিএনপি
কারো নজর নেই ।
তারা চায় ক্ষমতা,
ছাত্ররা গোল্লায় যাক,
দেশ গোল্লায় যাক তাতে
তাদের কিচ্ছু যায় আসেনা ।


ছাত্ররা হচ্ছে জাতির
মেরুদন্ড ।
এই মেরুদন্ডকে সোজা
রাখতে আমরা কেউ
কিছু করছিনা ।
একদিন এই মেরুদন্ড
ভেঙ্গে পড়বে,
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব
অরক্ষিত হয়ে যাবে ।

ছাত্র-রাজনীতি আগের
জায়গায় ফিরে আসুক
আমি বলবো না,
আমি চাই আওয়ামী-বিএনপি
তাদের ক্ষমতার লোভ
থেকে ছাত্রদের রেহাই দিক,
তাহলেই যদি কিছু হয় ।।














মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.